শিক্ষা
‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বাকৃবি প্রশাসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ‘কম্বাইন্ড’ বা সম্মিলিত ডিগ্রির বিষয়টির সমাধানে একাডেমিক কাউন্সিল-পরবর্তী সকল ঘটনায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়টি সমাধানের জন্য গঠিত কমিটির ছয় দফা সুপারিশ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে প্রস্তুত থাকলেও পরবর্তীতে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে আটকে রাখে। তাদের মধ্যে বৃদ্ধ, হৃদরোগী, ডায়াবেটিস রোগী ও গর্ভবতী শিক্ষিকাও ছিলেন। তীব্র গরমে ও অভুক্ত অবস্থায়ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার চেষ্টা চালান এবং তাদের প্রতিনিধিদের বসতে বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে, এমনকি নারী শিক্ষকদের ভোগান্তির কথাও তারা উপেক্ষা করে। আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পরও শিক্ষকরা ধৈর্য ধরে বলপ্রয়োগ না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালান। তবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপও ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবি প্রশাসনকে এবার ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়লে অডিটরিয়ামের দক্ষিণ ও মুক্তমঞ্চ দিকের গেটের তালা কে বা কারা ভেঙে দেয়। ফলে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা শিক্ষকরা বাইরে আসার সুযোগ পান। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এতে মর্মাহত হয়ে আহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শিক্ষকদের স্বজন, কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। গেটের তালা ভাঙার ঘটনাটি কারা করেছে তা নিশ্চিত নয়। এটি শিক্ষকদের স্বজন, এলাকাবাসী বা কর্মচারীরা করেছেন কিনা, তা তদন্তে বের হবে। যদি বহিরাগত কেউ জড়িত থাকে তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালানো হয়, যা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়— বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
রেজিস্ট্রারের সেই করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী বা হামলাকারী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত শেষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
১০৪ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: ‘৩৬ জুলাইয়ের’ সঙ্গে মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ইশতেহার ঘোষণা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ৩৬ দিনের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। এ ইশতেহারে ৬টি জরুরি বিষয় বাস্তবায়ন এবং ৬টি বিষয় প্রতিহত ও দূর করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় ডাকসু ভবনের সামনে ইশতেহার উপস্থাপন করেন প্যানেল থেকে এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান। এ সময় এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদসহ অন্যান্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহারে বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুত ৬টি বিষয় হলো– নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যাপ্ত তথ্য ও সেবা।
প্রতিহত ও দূরীভূত করার প্রতিশ্রুত বিষয়গুলো হলো–কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও 'লাঞ্চের পরে আসেন' কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং।
প্যানেলটির ঘোষিত ৩৬টি ইশতেহারের মধ্যে আছে, ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা, হল ও অন্যান্য ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু প্রণয়ন এবং ৩ মাস অন্তর খাবার মান পরীক্ষা করা, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা, ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া।
পড়ুন:ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই, হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত
ইশতেহারের আরও রয়েছে, ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধি-নিষেধ শিথিল করা, ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা, কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে 'পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং' গড়ে তোলা, উচ্চ শিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা, ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।
শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করতে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে 'মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম' চালু করা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চ-বিষয়ক কর্মশালা করা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষ এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষে সম্প্রসারণ করা এবং সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করার প্রতিজ্ঞাও এই ইশতেহারে রয়েছে।
এছাড়াও ইশতেহারে, অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয় সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত এ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও সেবা আধুনিকীকরণ, মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ, সারাদেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের জনা ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করার উদ্যোগ নেবেন বলে এ ইশতেহারে উল্লেখ করেছে ছাত্রশিবির।
৩৬ দফার এ ইশতেহারে আরও রয়েছে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ল্যাবগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান-নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান হকার ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা, যৌন হয়রানি ও সাইবার-বুলিং প্রতিরোধে 'জিরো টলারেন্স নীতি' বাস্তবায়ন, অভিযোগ সেল শক্তিশালীকরণ ও আইনি সহায়তা প্রদান, ফ্রি 'মেন্সট্রুয়াল হাইজিন প্রোডাক্ট' সহজলভ্য করা, হলভিত্তিক সমস্যা সমাধানে 'গ্রিভেন্স রেসপন্স টিম' এবং 'ভিক্টিম সাপোর্ট সেল' গঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত মেইলের প্রবেশ বাড়ানো, জরাজীর্ণ বাসগুলো বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় নতুন বাস ক্রয় করা, মোবাইল অ্যাপে রিয়েলটাইম ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করে ‘লিগ্যাল হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা।
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের অবকাঠামোগত আধুনিকায়ন, হল পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়ন ও ইনডোর গেমসের আওতা বাড়ানো, টিএসসির অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থী উপযোগী ক্লাসরুম ও একাডেমিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য 'সেলফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ'র আয়োজন করা
হলগুলোতে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কর্মচারী মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের সংরক্ষণ, শব্দ দূষণ রোধ, সুষ্ঠু ট্র্যাফিক বাবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন গ্রিন ক্যাম্পাস গঠন করা এবং সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় এই অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করা।
১০৫ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নিবার্চন ভন্ডুল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডাকসু নিবার্চন-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সকল নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত। যারা ডাকসু নির্বাচনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি ডাকসু নির্বাচনকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সব সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, ডাকসু নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সহযোগী রিটার্নিং অফিসার, ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১০৫ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত
ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সম্প্রতি ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম রিট মামলাটি করেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। আর এস এম ফরহাদের পক্ষে শুনানি করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এসএম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। দুএক দিনের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগমী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭১
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন।
এছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী এবং ১৩টি সদস্য পদে মোট ২১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
১০৫ দিন আগে
বাকৃবি প্রশাসনকে এবার ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি পেশ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন ও ব্ল্যাকআউট করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ছয় দফা দাবি ধরেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেটে জড়ো হন অনেক শিক্ষার্থী। এ সময় তারা ঘোষণা দেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই হলে অবস্থান করবেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো— অবৈধভাবে হল খালি করার নির্দেশনা দুপুর ২টার মধ্যে প্রত্যাহার করে আদেশ তুলে নিতে হবে, হলগুলোতে চলমান সব ধরনের সুবিধা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মদদে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত দিয়ে হামলার দায়ে প্রক্টোরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ ছাড়াও হামলার সঙ্গে জড়িত কৃষি অনুষদের শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল , শরীফ আর রাফি, কামরুজ্জামান, পশুপালন অনুষদের শিক্ষক বজলুর রহমান মোল্যা, জেনেটিক্সের মুনির, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আশিকুর রহমান এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, গত ১ মাস ধরে চলমান একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন করে আসা সেই ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে, তিনটি ভিন্ন ডিগ্রি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই ছয় দফা দাবি দ্রুত মেনে না নিলে পুরো বাকৃবি লকডাউন এবং ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হবে। তারা বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নিন্দা
এর আগে গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান বহিরাগতরা। এতে সাংবাদিক, নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এই ঘটনার পর বাকৃবি শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।
১০৫ দিন আগে
বাকৃবি: অনেকেই ছাড়ছেন হল, নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে একাংশের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও প্রশাসনের আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশনার পর অনেক শিক্ষার্থী হল ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে এই নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তে আজ (সোমবার) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু নারী ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেটে জড়ো হন অনেক শিক্ষার্থী। এ সময় তারা ঘোষণা দেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই হলে অবস্থান করবেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেট এলাকায় অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নিন্দা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবির এক শিক্ষার্থী বলেন, কিছু হলেই হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়, এই হল বা বিশ্ববিদ্যালয় কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলার বিচার না করে আবার হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না। যতক্ষণ না দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে।
১০৫ দিন আগে
বাকৃবিতে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নিন্দা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল (৩১ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরপরই বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রের হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ।’
সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম লেখেন, ‘বহিরাগতদের হামলা এই ক্যাম্পাসে মানবো না। ১৯শে সেপ্টেম্বর বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা। প্রিলি পরীক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যাবে কোথায়? ছেলে–পেলেদের কিছু করে খেতে দেন।’
এ ছাড়া শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম তুষার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধিক্কার জানাই এই প্রশাসনকে। অযোগ্য ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’
এদিকে, আজ (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাকৃবি শাখাও এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বহিরাগতদের বর্বরোচিত হামলা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বহিরাগতদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে আশ্রয় নিলেও সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। নারী শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। এই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক।
আরও পড়ুন: বাকৃবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যা প্রবল আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, গতকাল (রোববার) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা সন্ত্রাস–দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক শিক্ষা অঙ্গন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা সে আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। শত শহীদের রক্তের অর্জনকে এভাবে ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।
১০৫ দিন আগে
চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ছাত্রদের উপর ‘হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ফ্যাসিবাদের দোসরেরা হুশিয়ার, সাবধান’—ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রদল নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে। এর আগেও আমরা দেখেছি, জুলাই আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরের উপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু কোনো ধরনের বিভেদ নেই।জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিবাদের দোসরেরা সারা দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই নেই। ছাত্রদল যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। যারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান।’
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের ঘটনায় চবিতে ১৪৪ ধারা জারি
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা দেখছি কিছু কিছু মহল যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাচ্ছে, তারা আজ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। ইন্টেরিম সরকার ষড়যন্ত্র রুখতে ব্যর্থ। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাই। একটি নির্বাচিত সরকারই দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।’
বিক্ষোভ মিছিলে জবি ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১০৫ দিন আগে
বাকৃবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু পালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের সিংহভাগ শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে আজ বেলা ১১টায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শুরু হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পূর্বের মতো বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ও ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের (ডিভিএম) পাশাপাশি কম্বাইন্ড ডিগ্রিও চালু থাকবে। শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে তাদের দীর্ঘ আন্দোলনের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করে এবং বাকৃবি উপাচার্যসহ প্রায় আড়াইশ শিক্ষককে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবরুদ্ধ রেখেছিল শিক্ষার্থীরা।
পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ
চলমান আন্দোলনের মধ্যে হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতরা হামলা করেছে। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে উপাচার্যের বাসভবনের দিক থেকে অর্ধশত বহিরাগত আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছি।
শিক্ষার্থীরা তাদের উপর এই হামলার প্রতিবাদে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা জব্বারের মোড়ে জড়ো হচ্ছেন।
১০৬ দিন আগে
সংঘর্ষের ঘটনায় চবিতে ১৪৪ ধারা জারি
শুক্রবার দিবাগত রাতে এক ছাত্রীকে হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মুমিন রবিবার(৩১ আগস্ট) বিকালে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের পূর্ব পাশ থেকে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পূর্ব পাশে রেলগেট পর্যন্ত রবিবার দুপুর ২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এই জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সকল ধরণের আন্দোলন, জমায়েত, সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং সকল ধরণের অস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পড়ুন: চবিতে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষ, সব পরীক্ষা স্থগিত
এর আগে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উপাচার্য ও প্রক্টরসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, উপ উপাচার্য এবং প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর আবাসিক এলাকার ২ নম্বর গেটে স্থানীয় একদল লোক কোনো উসকানি ছাড়াই শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ৫০ জন আহত হন। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন, সকালে ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেলেও তারা একটি সংক্ষিপ্ত অভিযান চালিয়ে চলে যান। তাদের চলে যাওয়ার পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে, সংঘর্ষের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
উপ উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়দের হামলায় আহত অনেক শিক্ষার্থীর আজ নির্ধারিত পরীক্ষা ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
এর আগে, শনিবার দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মধ্যরাতের কিছু আগে গেট খোলার বিষয়টি নিয়ে তার ভাড়া বাড়ির একজন প্রহরী এবং তার মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে, প্রহরী মেয়েটিকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে।
অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে জড়ো হয়ে প্রহরীকে আটক করার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে, স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে বাসিন্দাদের জড়ো হয়ে আক্রমণ করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে চবি সোহরাওয়ার্দী হল মসজিদ থেকে ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়, যার ফলে ভয়াবহ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং ৫০ জন আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন যে, সংঘর্ষের সময় স্থানীয় লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে।
আহতদের মধ্যে ২০ থেকে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
১০৬ দিন আগে