শিক্ষা
দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
তিন দফা দাবিতে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) পূর্ণ কর্মবিরতি বা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়াতে শাহবাগ অবরোধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েট) শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা হল ফাঁকা দেখা যায়। একই অবস্থা দেশের অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও লক্ষ্য করা যায়।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দাবি পূরণ না হলে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
এর আগে, বুধবার রাতে শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
এরপর বুধবার রাজধানীর শাহবাগে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন।
১০৯ দিন আগে
বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহাল দাবিতে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বিক্ষোভ
হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জেরে আন্দোলন শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তারা বরখাস্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা নোটিসে ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আন্দোলনরত নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকাইয়া বিনতে মাজহার বলেন, ‘আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরতে বলেছিলেন। প্যানেল শিক্ষার্থীরা যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন, তারা শেষ পিরিয়ডে ওই ক্লাসে গেলে আপা তাদের বলেছিলেন বাইরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। প্যানেল শিক্ষার্থীরা ড্রেসকোড না মানা ছাত্রীদের বাইরে নিয়ে ৮-১০ মিনিট কথা বলেন।
‘এই ১০ মিনিটের জন্য আমাদের শিক্ষকের নামে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল এবং অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই।’
আন্দোলনরত দশম শ্রেণির ছাত্রী মেহের আফরোজ কনক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রী আনিসা করিম বলেন, ‘আমি ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। শুধু নাহার আপা নয়, অন্যান্য শিক্ষকরাও কখনো আমাদের হিজাব নিয়ে কোনো কথা বলেননি। আমার বিশ্বাস আপার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হচ্ছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যেসব গণমাধ্যমসহ যারা আপার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে তার মানহানি করার চেষ্টা করছেন, তাদের বিচার চাই।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির (অস্থায়ী কমিটি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নোটিসে উল্লেখ করা হয়।
তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতেও বলা হয়েছে নোটিসে। অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার বলেন, ‘আমি এই কাজটাই করিনি। আর এই ক্লাসে ২২ জন মেয়ে হিজাব পরে না। নয়জন বা ১১ জন পরে। আমি মেয়েদের বলেছি, তোমরা হিজাব পরে স্কুলে আসবে। হিজাব কীভাবে পরতে হবে তার নিয়মও ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছিলাম।’
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখায় কর্মরত ওই শিক্ষক সেদিনের ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন ক্লাসে গেলাম, গিয়ে দেখি ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের চেক করছে—পোশাক ঠিক আছে কি না, নখ বড় কি না, চুল বাঁধা ঠিক আছে কি না।
‘তখন আমি ওদের (ভলান্টিয়ারদের) বললাম, তোমরা সারাদিন কী করলে? বলে, আপা আমরা সময় পাইনি। তখন বললাম, তাই বলে লাস্ট পিরিয়ডে চেক করবে? তা ঠিক আছে, যাও, তোমাদের যা যা কাজ তোমরা বাইরে নিয়ে যাও এদের, বাইরে নিয়ে তোমাদের দায়িত্ব পালন করো। এটা বলেছি, মেয়েদের বেরও করিনি।’
তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার আগে কোনো শোকজ করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বুধবার দুপুরে বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা একটি তদন্ত পরিচালনা করছি। আমাদের বিশ্বাস, তদন্তে সত্য ঘটনা উঠে আসবে। সে অনুসারে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।’
১১০ দিন আগে
ঢাকায় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা, প্রতিবাদে শাবিতে বিক্ষোভ
ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এ সমাবেশ করেন তারা। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবিতে প্রকৌশলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। ঘটনাস্থলে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এসব হামলার তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত ও প্রকৌশলীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: শাবিতে নতুন ৭ সহকারী প্রক্টর নিয়োগ
সমাবেশে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শাহিদুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেদিকে সরকার কর্ণপাত করছেন না। আজকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যেভাবে পুলিশ হামলা করেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, 'সব সময় কেন শুধু মুভমেন্ট করে দাবি আদায় করতে হবে। এটা তো কোনো অমূলক দাবি না। তাই দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
১১০ দিন আগে
হিটের ১৫১ উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র চুক্তি সই
হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ১৫১টি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের ৪৩টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে চুক্তি এই সই হয়। ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং উপ-প্রকল্পপ্রাপ্ত পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্বিবিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের প্রাকটিস ম্যানেজার কেইকো ইনোউএ, লিড ইকোনোমিস্ট ও টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার টবি লিনডেন, টাস্ক টিম লিডার টিএম আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজারগণ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে হিটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাব-প্রজেক্ট নির্বাচন প্রক্রিয়াসহ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, হিটের উপ-প্রকল্প নির্বাচনে উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি উপ-প্রকল্পপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গবেষকদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি এ কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ডিনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে তাদের সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান প্রকল্পপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রকল্পের সকল কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থ জনগণের করের টাকা ও বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বব্যাংক ও হিট প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হিট প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের থেকে উন্মুক্ত প্রতিয়োগিতার মাধ্যমে প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এতে মোট ১ হাজার ৪৮১টি উপ-প্রকল্প প্রস্তাব জমা হয়। যাচাই বাছাই শেষে ১৫১টি উপ-প্রকল্প চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি (২০২৩-২০২৮) হিট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন এই প্রকল্প ইউজিসি বাস্তবায়ন করছে।
১১০ দিন আগে
ডাকসু ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রুমমেটকে ছুরি মারার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের হলে তার রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জালাল আহমেদ টেলিভিশন ও ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থী রবিউল হক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮–১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তারা একই কক্ষের বাসিন্দা।
রবিউল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রাবিউল বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল রুমে এসে লাইট অন করে এবং শব্দ করতে থাকে। ফলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে অযথা শব্দ করলে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এতে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ, বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে আঘাত করে জখম করে। পরে কোনোক্রমে আমি নিজেকে আত্মরক্ষা করি।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: চারুকলায় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ফেস্টুন ভাঙচুর
তবে ঘটনার পর এক ফেসবুক পোস্টে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জালাল। তিনিই বরং রবিউলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি জালালের।
ওই পোস্টে নিজের ক্ষতচিহ্নের ছবি যুক্ত করে জালাল লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে অবৈধ ও বহিরাগত শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার দাবিতে উকিল নোটিস পাঠানোর প্রাক্কালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে আজ রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে মেরেছে আমার রুমমেট রবিউল ইসলাম। সে গত কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছে।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে প্রক্টরিয়াল দলের সদস্যরা গেছেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১১০ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: চারুকলায় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ফেস্টুন ভাঙচুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার প্রথম দিনেই চারুকলা অনুষদে (চারুকলা) শিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’র ব্যানার ছুঁড়ে ফেলে ছবি বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা গেছে যে ফেস্টুনের ছবি বিকৃত করা হয়েছে, যা আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
সূত্র মতে, সকাল থেকেই বিভিন্ন প্যানেল এবং প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে। এর অংশ হিসেবে, চারুকলায় শিবির-সমর্থিত প্যানেল একটি অস্থায়ী ব্যানার স্থাপন করে। তবে, একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি এসে ফেস্টুনটি ছুঁড়ে ফেলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের ক্রীড়া সম্পাদক মিফতাহুল মারুফ অভিযোগ করেছেন, ‘চারুকলা অনুষদে আমাদের দুটি ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছি। ফুটেজ পর্যালোচনা করলে দোষীদের শনাক্ত করা যাবে।’
এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কারা এটি করেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, প্যানেল এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে।
এই বিষয়ে শিবির মঙ্গলবার(২৬ আগস্ট) বিকালে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছে। তারা প্রশাসনের কাছে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭১
সংবাদ সম্মেলনে, জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের নানাভাবে ফাঁসানো হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল যে, আমরা নারীদের স্থান দেই না। কিন্তু আমাদের জনপ্রিয়তা থামাতে না পেরে তারা ভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। আজ প্রচারণা চালানো হচ্ছে নিয়ম মেনে। এখানে, ছবিতে একটি চোখ বিকৃত করে জুলাইকে অপমান করা হয়েছে, যারা জুলাইয়ে তাদের চোখ হারিয়েছেন তাদের অপমান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবিতে যে আকৃতিটি আঁকা হয়েছে—তার মাধ্যমে নারীদের প্রতি, হিজাবের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করে। এটি ইসলামোফোবিয়া এবং ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষের প্রকাশ।’
ফরহাদ আরও বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম চারুকলা বনাম ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।’
১১১ দিন আগে
জবি শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত, ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খাতুনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এর ৪৪(৬) ধারা এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ১২(১) এর অধীনে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বরখাস্ত ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আজ থেকে কার্যকর হবে।
পড়ুন: আইন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে: নবনিযুক্ত উপাচার্য
এতে আরও বলা হয়, অভিযোগের মধ্যে রয়েছে শুধুমাত্র একটি ক্লাস অংশ নেওয়ার পর দুটি ক্লাসের জন্য উপস্থিতি দেওয়া, ধারাবাহিক মূল্যায়ন নম্বর দেওয়ায় অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার অফিস ও উপাচার্যের অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি অশালীন ভাষা ব্যবহার এবং হুমকি দেওয়া।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের কাজ অসদাচরণ এবং নৈতিক স্খলনের নামান্তর। যার ফলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৪৭১ জন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৫০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জন স্বেচ্ছায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: সেনাবাহিনীর ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ মোতায়েনসহ থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা
পদভিত্তিক প্রার্থী সংখ্যা-
সহ-সভাপতি (ভিপি) ৪৫ জন; সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন; সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন; কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন; আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন; সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন; ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন; সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন; মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ১১ জন; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ১৫ জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ২১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ৩৮তম ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: সেনাবাহিনীর ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ মোতায়েনসহ থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। এদিন ৮টি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসিসর সদস্য এবং প্রক্টোরিয়াল টিম থাকবে। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশপথে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
মঙ্গলবার(২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করা হয়।
সভায় রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
এসময় আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং ভোটগ্রহণের পর, ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত, ভোটকেন্দ্র সেনা সদস্যরা ঘেরাও করে রেখে নিরাপত্তা দেবে। ভোট গণনার সময়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) এবং নির্বাচনের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে।
নির্বাচনের দিন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্পূর্ণরূপে সিলগালা থাকবে। বৈধ শিক্ষার্থী, স্বীকৃত সাংবাদিক এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ছাড়া কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
পড়ুন: ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রদর্শন বন্ধ থাকছে
নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে বাইরের কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। তবে, নারী শিক্ষার্থীদের হলে বাইরের কাউকে কখনও থাকতে দেওয়া হবে না।
ক্যাম্পাসের বাইরে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ভোটদানের জন্য বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হবে। এই বাসগুলোর সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বরাত দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যেই টহল দল ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে।
১১১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন প্রত্যাহার ২১ প্রার্থীর, কাল থেকে প্রচারণা শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২১ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এই তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটদানে জটিলতা এড়াতে হল কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড বা পে-ইন স্লিপ দিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো আচরণবিধির লঙ্ঘন হয়নি। এমনটি যেন ভবিষ্যতে না হয় তা নিশ্চিত করতে চিফ রিটার্নিং অফিসার ও তার টিম কাজ করছে। অসমতা বা বৈষম্য দেখা দিলে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে লড়বে ৯ প্যানেল, প্রার্থিতায় নতুনত্ব
আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় সব ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থীদের সঙ্গে সিনেট হলে মিটিং করে আচরণবিধি নিয়ে কথা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ আগস্ট থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পরিচয়ে হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা কার্যক্রম চালানো যাবে। তবে এ সময়ের মধ্যে সামাজিক, আর্থিক, সেবামূলক সহযোগিতা বা কার্যক্রম পরিচালনা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা প্রাঙ্গণে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ থাকবে। এসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে এবং ‘নির্বাচন আচরণবিধিমালা’–এর ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
১১২ দিন আগে