প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
চীনে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বুধবার(১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শি-হাসিনার বৈঠক: বাংলাদেশকে অনুদান ও ঋণ সহায়তা দেবে চীন
এদিন সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রায় ২১টি সহযোগিতা নথি সই ও নবায়ন করা হয়। এর বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক।
এছাড়া দেশ দুটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ওপর যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনসহ সাতটি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্বাগত ভোজে অংশ নেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত জানান এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মঙ্গলবার চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা একই দিনে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকালে সরকারি সফরে বেইজিং পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেন। তার ওই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা চীনা প্রধানমন্ত্রীর: হাছান মাহমুদ
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫২৩ দিন আগে
ঢাকা-বেইজিং দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বেলা ১১টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে শুরু হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের উপস্থিতিতে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক সই ও নবায়ন করা হবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই ভেন্যুতে চীনা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত স্বাগত ভোজসভায় যোগ দেবেন।
এর আগে শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং পৌঁছান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আজ রাত ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন এবং মধ্যরাতের পর তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেট হল অব পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
৫২৩ দিন আগে
গ্রেট হল অব পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
বুধবার সকালে বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল প্রাঙ্গণে পৌঁছালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাকে স্বাগত জানান।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে সুসজ্জিত মঞ্চে যান এবং চীনা সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এ সময় ২ দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। শেখ হাসিনা সালাম গ্রহণ করেন এবং গার্ড পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনকে সহায়তা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে গান স্যালুটের আয়োজন করা হয়।
উভয় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।
এদিকে স্বাগত অনুষ্ঠানের পর গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
গ্রেট হল অব পিপল রাষ্ট্রীয় ভবন যা চীন সরকার ও চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি কর্তৃক আইনসভা ও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
৫২৩ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনকে সহায়তা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীনে সফরকালে দেশটির নেতার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা ন্যাশনাল কমিটি অব দ্য পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলেন 'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আমাদের সহায়তা করুন।’
গত জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর চীনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো, আগামী বছর দু'দেশের মধ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই বিষয়টি বৈঠকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং এ বিষয়ে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, 'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।’
মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান এবং বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
৫২৪ দিন আগে
ঋণের সুদের হার কমাতে এআইআইবির প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতি বাংলাদেশের ঋণের সুদের হার আরও কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেইজিংভিত্তিক এআইআইবির প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ, নদী খনন ও জলবায়ু খাতে অর্থায়ন বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে এআইআইবি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ঋণদাতা এআইআইবি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ঋণের সুদ আরও কমানোর জন্য এআইআইবিকে অনুরোধ করেছেন।’
জবাবে এআইআইবির কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ এআইআইবির সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে অন্যতম। সুদের হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ব্যাংকটি।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিশেষ ছাড় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
৫২৪ দিন আগে
বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে বুধবার(১০ জুলাই) রাতে ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগের সফরসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করার কথা ছিল।
৮ থেকে ১০ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া একই দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন তিনি।
বুধবার বিকালে প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফর শেষ করবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' থেকে 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে' উন্নীত করাই এই সফরের লক্ষ্য।
বুধবার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
রবিবার(৭ জুলাই) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছেছিল।
শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
আগামী বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।
গত ২১ থেকে ২২ জুন তার শেষ ভারত সফরের পর ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলের সভাকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের শাংগ্রিলা সার্কেলে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী ও কনসালটেটিভ পার্টি ওয়াং হুনিংয়ের সভাপতির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণবীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।
বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকসহ অসংখ্য সমঝোতা স্মারক সই হবে।
পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নেবেন।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৫২৪ দিন আগে
তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বীরদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বীরদের স্মৃতিস্তম্ভ হিরোস মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটিতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী চীনের বিপ্লবী বীরদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে বিউগল বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়।
এর আগে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে সোমবার চীন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৫২৪ দিন আগে
চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
সহযোগিতার বৃহত্তর ক্ষেত্রে জড়িত দু'দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগামী ২১ জুলাই থেকে স্পেন ও ব্রাজিল সফর করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
পৃথক এই দুটি দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগামী ২১ থেকে ২৩ জুলাই স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, স্পেন সফর শেষে তিনি ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ব্রাজিল সফর করবেন এবং লন্ডনে যাত্রাবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস সম্প্রতি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফর হবে 'দ্বিপক্ষীয়'।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সফরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: গৃহহীন মুক্ত দেশ হতে চলেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ব্রাজিলে আমন্ত্রণ জানান।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় সফর। শুধুই তার। ধারণাটি হলো তিনি প্রেসিডেন্ট লুলার সঙ্গে ক্ষুধার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি শুরু করতে পারেন। তারপরে তিনি পুরো অপেরা সফরের সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য ব্রাসিলিয়ায় যাবেন।’
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে 'ডিক্যাব টক'-এ আলাপকালে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস এ কথা বলেন।
এটি ল্যাটিন আমেরিকার কোনও দেশে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। যে দেশটিকে একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে দেখা হয়।
ব্রাজিল বাংলাদেশে একটি ভিসা সেন্টার খোলার পরিকল্পনা করছে, যাতে দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজতর হয়।
বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুবিধা বাড়াতে স্পেনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে বাংলাদেশ-চীন উভয় দেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে: চীনা ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
৫২৪ দিন আগে
একসঙ্গে বাংলাদেশ-চীন উভয় দেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে: চীনা ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার এখনই সময়।
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার এখনই সময় আমাদের। একসঙ্গে আমরা এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি, যাতে লাভবান হতে পারে আমাদের দেশ ও জনগণ।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেইজিংয়ে চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ক এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনটি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, বিডা, বিএসইসি ও সিসিপিআইটি’র আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অংশীদারিত্ব অবারিত প্রতিশ্রুতি বহন করে, কারণ উভয় দেশই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও নিরন্তর উন্নয়নের জন্য আমাদের মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি গঠন করেছে।’
তিনি চীনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ সফর, সুযোগগুলো খুঁজে দেখা ও আমাদের জনগণের উষ্ণতা ও আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সমর্থন ও সহায়তা আমাদের মধ্যে পাবেন। আসুন আমরা আরও শক্তিশালী, আরও সমৃদ্ধ ও আরও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করি। এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সময় এসেছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের হাত যুক্ত হয়ে আমরা একসঙ্গে বড় কিছু অর্জন করতে পারব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম অংশীদার, বছরের পর বছর বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে।
তবে তিনি বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা দূর করতে ও আরও ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ চীনে আরও পণ্য যেমন টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য ও কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোতে চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই, যা আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে বৈচিত্র্য আনতে ও বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে সহায়তা করবে।’
ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতে শেখ হাসিনা চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গঠনে উৎসাহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সহযোগিতা উভয় পক্ষের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর, দক্ষতা বিকাশ ও বাজারে প্রবেশাধিকার সহজতর করবে। উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতার বিকাশের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি ও একাডেমিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চীনা কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জনশক্তির দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচিতে চীনের সমর্থন চাই। উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বাড়াতে উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে চীনা বিশেষজ্ঞ বিনিময়কে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।
প্রধানমন্ত্রী চীনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের মূল খাতগুলো বিবেচনার জন্য উৎসাহিত করেন এবং অবকাঠামো, জ্বালানি ও লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে চীনা বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং চীনের সঙ্গে ‘বাই-ব্যাক’ ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ উন্মুক্ত করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৩টি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছি, যেখানে চীন রিয়েল এস্টেট ও আতিথেয়তা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমাদের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ অন্বেষণের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে সেগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলাই হচ্ছে উদ্দেশ্য। আমরা একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা ‘ডেরিভেটিভ’ পণ্য প্রবর্তনের প্রান্তে রয়েছি, যা আমাদের আর্থিক বাজারকে আরও বৈচিত্র্যময় ও প্রশস্ত করবে।’
চীনে ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ উন্মুক্ত হস্তে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে, তাই সরকার আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধিকে সক্রিয়ভাবে প্রচার করছে, স্টার্টআপদের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে, প্রযুক্তি পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করছে এবং উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করে এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ উদ্যোক্তারা বিশ্ব মঞ্চে তাদের চিহ্ন তৈরি করছে এবং আমরা আপনাকে এই উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রার অংশ হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং সরকার বিশ্বাস করে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন আন্তঃসংযুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নবায়নযোগ্য শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজ প্রযুক্তির অসংখ্য সুযোগ প্রদান করি।’
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী হিসেবে আপনারা আবিষ্কার করবেন- বাংলাদেশ আপনাদের ব্যবসা পরিচালনাকে লাভজনক করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে পরিবেশগতভাবে দায়বদ্ধ ও টেকসই হওয়া।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থনের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চীন আমাদের অবকাঠামো প্রকল্প, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও আমাদের অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ খুব অল্প কয়েকটি অর্থনীতির মধ্যে একটি যা মহামারি চলাকালীন প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে এবং দেশটি এখন ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে।
তিনি বলেন, ‘এই রূপান্তর বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা প্রদর্শন করে।’
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশ স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা গড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘দেশটির অর্থনীতি ২০০৯ সালে ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২৩ সালে ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রসারিত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম উদার বিনিয়োগ নীতি প্রদান করছে এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক ছাদের নিচে বেশ কয়েকটি সেবা প্রদান করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি, প্রতিটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা ৫টি দেশ নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাছাড়া ব্যবসা সহজীকরণ বাড়াতে সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সরকার আরও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুরক্ষিত ও অনুমানযোগ্য পরিবেশ সরবরাহ করতে একাধিক সংস্কার শুরু করেছে।’
৫২৪ দিন আগে
গৃহহীন মুক্ত দেশ হতে চলেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আর ১১ হাজার বাড়ি বিতরণের পর বাংলাদেশে আর কোনো গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।
ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, 'আর মাত্র ১১ হাজার ঘর বিতরণ করলেই বাংলাদেশ গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত দেশ হবে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বস্তিবাসীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছে। সেখানে তারা বস্তির সমান ভাড়া পরিশোধ করে থাকতে পারবে।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক, বিষয়টি বিচারাধীন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের মধ্যে ঘর বিতরণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে কাউকে ঘর ও ভূমিহীন রাখা হবে না।
কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো খোলা হয়েছে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইইউ।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার পরবর্তী কর্মস্থল ব্রাসেলসে। সেখানে তিনি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে কাজ করবেন এবং তিনি বাংলাদেশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
'ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ' চালু প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই স্কিম আইনি পথে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অভিবাসনের দ্বার উন্মুক্ত করবে। কারণ বাংলাদেশি দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরা এ সুযোগ গ্রহণ করবে এবং কাজের জন্য বৈধ অনুমোদন পাবে।
তিনি বলেন, যারা ইমিগ্রেশন করবেন তারা ৪-৫ বছর পর দেশে ফিরতে পারবেন, তাই এক্ষেত্রে মেধা পাচারের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং দেশের জন্য অবদান রাখবে। ‘সুতরাং, আমি এটিকে মেধা পাচার হিসেবে মনে করি না।’
লাকসাম-চট্টগ্রাম রুটে রেল সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, এটি ব্যয়বহুল ও অলাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। ইইউ এই প্রকল্পে সমর্থন দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
প্রেস সচিব প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকায় সরকার ইইউয়ের অর্থায়নে একটি উপযুক্ত ও টেকসই প্রকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ-ভারত কানেক্টিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশের মধ্য দিয়েও ভারতের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমরা ট্রান্স-এশিয়ান রেল কানেকটিভিটিকেও আমরা সেভাবে বিবেচনা করছি।’
বিমসটেককে শক্তিশালী করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। কারণ থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এর পরবর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া দুই ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সব সময় এই ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে শান্তির আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ‘শুধু ইউক্রেন-রাশিয়া ও গাজায় নয়, আমরা সর্বত্র শান্তি চাই।’
এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
৫২৬ দিন আগে