প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
চিকিৎসা গবেষণায় আরও সময় দিন: চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার মানসিকতাকে কবর দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় আরও সময় দিতে দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা একটি সেক্টরে পিছিয়ে আছি। আর সেটি হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা। চিকিৎসকরা প্র্যাকটিস করে অর্থ উপার্জনে নিয়োজিত থাকেন এবং তারা গবেষণার কাজে আগ্রহী না।’
'বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ', 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ' এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের বিশেষ গবেষণার অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার(১১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনা শ্রোতাদের মধ্যে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়ে জানতে চান।
তিনি বলেন, ‘এটি ঠিক যে, এখানে চিকিৎসকরাও আছেন, আমি সরাসরি তাদের জিজ্ঞাসা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী এখন থেকেই গবেষণা কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষকে সুস্থ, সবল ও মেধাবী হতে হবে। তাদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য গবেষণা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় যারা সম্পৃক্ত হবেন তাদের সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দেবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও অনুরোধ করবো সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণা কাজে আরও বেশি সময় দিন।’
তিনি বলেন, গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করতে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করে। আমাদের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো ধরনের গবেষণায় সব ধরনের বাধা দূর করতে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গবেষণার জন্য বিনিয়োগের অর্থ দেশের গণমানুষের পকেট থেকে আসছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের এই অর্থ অবশ্যই জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি নির্মাণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মাটি খুবই নরম। আমরা প্রতিটি দ্বীপে মাটি পরীক্ষা করেছি, কিন্তু সেখানে এ ধরনের প্লান্ট নির্মাণ করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে সরকার রূপপুরে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে প্রথমটি শেষ করার পরপরই দ্বিতীয়টি শুরু করতে বলেছি এবং এখন থেকেই আমাদের তার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আলী হোসাইন এতে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার নতুন প্রযুক্তি ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে (বিসিজি) একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ২টি হেলিকপ্টার ক্রয়ের মাধ্যমে এভিয়েশন উইং গঠনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছি, যা কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসবে গড়ে তুলবে।’
আজ রবিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিজি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি প্রতিস্থাপন জাহাজ নির্মাণের জন্য একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্রভিত্তিক পেশা ও নৌপথে নিয়োজিত জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কোস্ট গার্ড কর্তৃক গভীর সমুদ্রে টহলের জন্য আরও ৪টি ওপিভি, ২টি মেরিটাইম ভার্সন হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট ও দ্রুতগতির বোট।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এসব জাহাজ সংযোজন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এই বাহিনী একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সক্ষমতা অর্জন করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সমুদ্রে ‘নীল অর্থনীতি’ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে রূপকল্প ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বর্তমান জনবল ১৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: শিশুদের দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শেখান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে অন্তত ৪০ জন বিসিজি কর্মকর্তা, নাবিক ও বেসামরিককে সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরূপ ১০টি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, ১০টি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, ১০টি রাষ্ট্রপতি কোস্ট গার্ড পদক এবং ১০টি রাষ্ট্রপতি কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক প্রদান করেন।
এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট কোস্ট গার্ড।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
কোস্ট গার্ড ভিস্যাটনেট সিস্টেমের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাস্টের চেয়ারপারসন চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটি বিগত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর বিষয়ে আলোচনা করে।
সভায় উপকমিটির প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ট্রাস্টির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দিন, ফরিদা শেখ, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ট্রাস্টির অন্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
পুরুষের পাশাপাশি সমাজে সমানভাবে অবদান রেখে দেশ গড়তে নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আজকে যদি আমাদের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে নারী-পুরুষ সমানভাবে তাদের কাজ দিয়ে একটি দেশ গড়তে পারে।’
শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে শহরে আয়োজিত এক আলোচনা ও জয়িতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের অর্ধেক অংশ নারীরা যদি এগিয়ে না আসে, সমাজে অবদান না রাখে, তবে সেই সমাজ কখনোই বিকাশ করতে পারে না, অগ্রগামী হতে পারে না।
আরও পড়ুন: ৫ নারীর হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আজকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কারণ আমরা এটি (নারীদের অংশগ্রহণ) নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কখনো পিছিয়ে থাকবে না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা তাদের সনদ ও নির্বাচনী ইশতেহারে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে ৫ নারীর হাতে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার-২০২৩’ তুলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রন্ধন দক্ষতায় নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছেন শেফ জাহিদা বেগম
৫ জয়িতা হলেন— ময়মনসিংহের আনার কলি (অর্থনীতি), রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি (শিক্ষা ও কর্মসংস্থান), মৌলভীবাজারের কমলী রবিদাশ (সফল মা), বরগুনার জাহানারা বেগম (দমন-পীড়ন প্রতিরোধ) ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
জয়িতা সম্মাননাপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কল্যাণী মিনজি সম্মাননা গ্রহণের পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সকল বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো নারীই জয়িতা। যা একজন সংগ্রামী ও অদম্য নারীর প্রতীকী নাম।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরিতে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল মা, নির্যাতনের কালো দিনগুলো মুছে ঘুরে দাঁড়ানো নারী এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা নারী- এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়িতাদের সম্মাননা দিয়ে থাকে সরকার।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির যে অধ্যাপক ‘মাদার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক’ হিসেবে পরিচিত
৫ নারীর হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে ৫ নারীর হাতে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার-২০২৩’ তুলে দিয়েছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার তুলে দেন।
৫ জয়িতা হলেন— ময়মনসিংহের আনার কলি (অর্থনীতি), রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি (শিক্ষা ও কর্মসংস্থান), মৌলভীবাজারের কমলী রবিদাশ (সফল মা), বরগুনার জাহানারা বেগম (দমন-পীড়ন প্রতিরোধ) ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
জয়িতা সম্মাননাপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কল্যাণী মিনজি সম্মাননা গ্রহণের পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সকল বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো নারীই জয়িতা। যা একজন সংগ্রামী ও অদম্য নারীর প্রতীকী নাম।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরিতে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল মা, নির্যাতনের কালো দিনগুলো মুছে ঘুরে দাঁড়ানো নারী এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা নারী- এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়িতাদের সম্মাননা দিয়ে থাকে সরকার।
আরও পড়ুন: রন্ধন দক্ষতায় নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছেন শেফ জাহিদা বেগম
রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
শিশুদের দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শেখান: প্রধানমন্ত্রী
দেশের ঐতিহাসিক দিন ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের তরুণ সমাজকে অবশ্যই এই দিনগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।’
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস।
তিনি বলেন, 'আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, তা না হলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।’আরও পড়ুন: জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, ক্ষমতায় থাকা মানে শুধু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা নয়।
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থানে পৌঁছাতে যে সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তার ইতিহাস জানতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবাই দেশের ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করবে।’
তিনি সবাইকে দেশের ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার অনুরোধ করেন, কারণ ইতিহাস শেখায় কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় এবং সফল হতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের জনগণকে উৎসাহিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক রূপরেখা দিয়ে গেছেন। সেই ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর আইকনিক ভাষণের মাধ্যমে যে স্বপ্নের রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন, তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে নোংরা খেলা হয়েছে।’
এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'যারা জয় বাংলায় বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণ মানে না- তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই শ্রেণির মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না।
তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চায় না। মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে?'
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং এরপর তারা নির্বাচন বর্জন করে বা বানচালের চেষ্টা করে খেলা শুরু করেছিল।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা চেষ্টা করলেও ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, আর এখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা নেতাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (স্বাধীনতাবিরোধীরা) জাতির পিতার নাম মুছে দেওয়া হয়, তার ছবি দেখানো যেত না, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়।’
জাতির পিতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশকে তিন বছর সাত মাসের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধীরা পছন্দ করেনি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
তিনি বলেন, ‘আর দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তা পছন্দ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি, বরং তার নিজের দেশের কিছু মানুষ তাকে হত্যা করেছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।
পরে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে যান এবং তাদের জন্য কাজ করতে বলেছেন, কারণ জনকল্যাণই তার সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে এই আহ্বান জানাবো যে মানুষের পাশে যান, মানুষের জন্য কাজ করেন… আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কল্যাণে।’
বুধবার (৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও কল্যাণমুখী দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণ উন্নত ও মানসম্মত সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে আরও সতর্ক থাকতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান আসছে। এ মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোভ-লালসা সংবরণ করার পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে, এটা খুবই দুঃখজনক।’
বুধবার(৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ শুরু করে, দাম বাড়ায় এবং নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।
র্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এসব অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঈদকে সামনে রেখে জাল নোটের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতেও র ্যাব সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং আমি আপনাদের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে র্যাবের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর