প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মগুলো সময়মতো কাজ করে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম আছে, কিন্তু প্রয়োজনের সময় ফোরামগুলো কাজ করে না।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ইতোমধ্যে অনেক প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সময়মতো কাজ করে না।’
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ -এ যোগদানের লক্ষ্যে তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ক্ষুদ্র ভূমিতে বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মধ্যম শক্তি বা উদীয়মান শক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির কোনো উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি ভাবছেন না।
এনায়েতউল্লাহ খান তার প্রশ্নে বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে রয়েছে, যখন জোটনিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। আমাদের (বাংলাদেশ) মতো মধ্যম শক্তি ও উদীয়মান শক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম অন্যতম।
ইউএনবির প্রধান সম্পাদক জানতে চান, 'আপনি (শেখ হাসিনা) জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে মা ও শিশু, নারীর ক্ষমতায়নসহ (আন্তর্জাতিক ফোরামে) অনেক বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মধ্যম শক্তি ও উদীয়মান শক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন কিনা?'
আরও পড়ুন: গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি আমার দেশ, দেশের মানুষ, ছোট ভূখণ্ডের বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যস্ত আছি। হ্যাঁ, আমি আওয়াজ তুলি এবং যেখানে কোনও অন্যায় দেখি সেখানে প্রতিবাদ করি। আমি সব সময় বলি, আমি যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কোনো প্লাটফর্ম গঠন করার মতো যোগ্যতা ও চিন্তাভাবনা তার নেই।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে যেভাবে ভেটো দেওয়া হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে হাসপাতালগুলোও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এবং শিশুদের খাবার নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। আমার যা কিছু আছে তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সচেতন। এর চেয়ে বড় কিছু করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
আরও পড়ুন: রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪-এ যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ছোলা, খেজুর, চিনির মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। ‘সুতরাং, এতে কোনো সমস্যা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো বিশ্ব নেতা তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরে গত মাসের(৭ জানুয়ারি) সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ বা প্রশ্ন উত্থাপন করেননি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ ও প্রশ্ন নেই।’
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪-এ যোগ দিতে তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
তিনি বলেন, 'নির্বাচন সম্পর্কে কেউ আমাকে কিছু বলেনি, কারণ তারা জানত যে আমি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসব।’
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, এমন একটি দেশ আছে যেখানে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে ১২-১৩ দিন সময় লাগলেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলা হয়।
বাংলাদেশে ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হলেও নির্বাচন অবাধ নয়। কীভাবে বলা যায়!
প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে আসেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন এবং পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সপ্তাহে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ শান্তি, সার্বভৌমত্ব এবং সার্বিক বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
সম্প্রতি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ২০২৪-এ যোগ দিতে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের ফলাফল বিষয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
লিখিত বক্তব্যে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে সফল বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তিনি বিশ্ব নেতাদেরকে বলেছেন, আকার নয়, একটি দেশের নীতির শক্তিই হচ্ছে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক মুক্তির পথ।
এছাড়া বন্ধুপ্রতীম দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২৪ অংশগ্রহণ নিয়ে ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট : স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে তিনি অবিলম্বে গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সব ধরনের শত্রুতা, অবৈধ দখলদারিত্ব ও নিরস্ত্র মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর অমানবিক হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও প্রভাব ফেলে।’
এ প্রসঙ্গে অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসান ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস ও অর্থায়ন সহজলভ্য ও বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন,‘মানবতার অস্তিত্বের সংকটের মধ্যে আমি এই কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছি যে, ক্ষুদ্র স্বার্থ কেবল দুর্দশা নিয়ে আসে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়ন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে তিনি বিশ্ব নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বহুমুখী নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগণের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি, প্রতিশ্রুত তহবিলের প্রকৃত স্থানান্তর এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনার সময় রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে পারস্পরিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গের (অ্যাক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ) সঙ্গে বৈঠকে তিনি মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তিতে অবদানের আলোকে চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত পথেও বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং গম, ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতার জন্য তাদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত দ্রুত সমাধানের কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার জন্য আমি তাকে আহ্বান জানিয়েছি। আমরা গাজা উপত্যকার সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফর শেষে মিউনিখ থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২৪ অংশগ্রহণ নিয়ে ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ২০২৪ যোগ দিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন এবং সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের মহান ত্যাগের চেতনায় দেশ পরিচালিত হওয়ায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'একুশে ফেব্রুয়ারি (ভাষা আন্দোলন) এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের জনগণ যে মহান ত্যাগ স্বীকার করে নিয়েছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। একারণে আজ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয় তেজগাঁওয়ে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের জনগণ তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, 'গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষের উন্নতি হয়েছে। কোনো আদর্শ অনুসরণ না করে কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর এই আদর্শ আমরা শিখেছি ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগ জাতিকে কারো কাছে মাথা নত না করার আদর্শ নিয়ে চলতে শিখিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘একুশ আমাদের মাথা নত না করে, মাথা উঁচু করে এবং আদর্শ নিয়ে চলতে শিখিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টেনে তুলতে পারবে না। তিনি বলেন, 'এই প্রত্যয় নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করায় জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। ‘ফলে জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে, বারবার ভোট দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন, সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪' প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মাধ্যম সবার জন্যই মাতৃভাষা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত মাতৃভাষায়। পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাও শেখার সুযোগ থাকতে হবে।
শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার জন্য মাতৃভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই আমি মনে করি। মাতৃভাষা দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করলে সেই শিক্ষা গ্রহণ করা, সেই শিক্ষাকে জানা, সেই শিক্ষা উপলব্ধি করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
তবে তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে পুরো বিশ্ব এখন একে অপরের এত কাছাকাছি যে অন্য ভাষাও শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের শিশুরা অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় তাদের জন্য দু’টি বা তিনটি ভাষা শেখা কঠিন কাজ হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু আমরা আমাদের মাতৃভাষার জন্য লড়াই করেছি, আমি মনে করি আমাদের শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত মাতৃভাষা। আর এটা প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু হওয়া উচিত।’
প্রাথমিক স্তর থেকে এই শিখন প্রক্রিয়া শুরু না হলে শিশুরা তা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারবে না। এভাবেই জ্ঞান অর্জনের পথ সহজ ও প্রশস্ত হবে।
তিনি অভিভাবকদের একটি অংশের তাদের সন্তানদের মাতৃভাষা ছাড়া ইংরেজি-মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি করার মানসিকতার সমালোচনা করেন।
দেশের এক শ্রেণির মানুষ এখন ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা উচ্চারণ করায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন, যা শুনতে খুবই হাস্যকর শোনায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইনস্টিটিউটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য রুমানা আলী এবং কার্যালয়ের প্রধান এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুজান মেরি ভিজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: নিঃস্বার্থভাবে সমাজের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
স্বাগত বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সুলেমান খান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ভাষাবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যালঘু ভাষায় অনূদিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'মাতৃভাষা পেডিয়া' এবং মার্টি লিঙ্গুয়াল পকেট ডিকশনারি'র মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ভাষাভাষীর শিশুরা তাদের নিজস্ব ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়।
অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভিজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইউনেস্কোর ক্যাটাগরি-২ চুক্তি নবায়নের একটি দলিল উপহার দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ঐকমত্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ঐকমত্য
পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ঘানা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সফররত ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতিবিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ ঐকমত্য হয়।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য কৃষি, ওষুধ, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক খাদ্যপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং টেক্সটাইল সামগ্রিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতিবিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ঘানার রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছে দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি কৃষি, ওষুধ, আইসিটি ও কৃষিভিত্তিক খাদ্যপণ্যের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ মহাসচিব নির্বাচনে তার দেশের প্রার্থিতার জন্য বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। এবার আফ্রিকার দেশগুলো থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।
আরও পড়ুন: ২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি পাট ও পাটজাত পণ্য এবং টেক্সটাইল সামগ্রীর কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকার দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে।
কমনওয়েলথ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় এই সংগঠনটি নিষ্ক্রিয় ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি এটি সক্রিয় হয়েছে এবং বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণে জোরালো ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী মহাসচিব পদে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: নিঃস্বার্থভাবে সমাজের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
নিঃস্বার্থভাবে সমাজের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন স্থানে নিঃস্বার্থভাবে সমাজ সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একুশে পদক-২০২৪ বিজয়ী দই বিক্রেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিবেদিতপ্রাণ জিয়াউল হকের আত্মত্যাগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের অনুরোধ করব, প্রতিটি জায়গায় এমন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন, যাদের কোনো প্রচার নেই।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জনকে 'একুশে পদক-২০২৪' প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শিক্ষা অর্জন করতে পারেনি, তাদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে জিয়াউল হক তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: ২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'আমরা যারা সমাজের উঁচু স্তরে রয়েছি তাদের দায়িত্ব কারা এত বড় ত্যাগ স্বীকার করছে তাদের খুঁজে বের করা।’
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানান এবং সমাজের প্রতি তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেন।
জিয়াউল হাসান সমাজসেবার জন্য একুশে পদক-২০২৪ লাভ করেন। গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণে তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি।
মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও স্কুলে যাওয়ার পরিবর্তে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে জীবন সংগ্রাম করতে হয়েছে। মহান মানুষ দরিদ্র ছাত্রদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমে একটি পারিবারিক পাঠাগার (১৯৬৯ সালে) এবং পরে ‘জিয়াউল হক কমন লাইব্রেরি’ নামে একটি গণগ্রন্থাগার গড়ে তুলেন।
একুশে পদক সময় জিয়াউল তার পাঠাগারের জন্য স্থায়ী জমি ও ভবন দাবি করেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউলের দাবি অনুযায়ী তার গণগ্রন্থাগারের জন্য স্থায়ী জমি ও ভবনের ব্যবস্থা করবেন।
তিনি চাইলে জিয়াউলের প্রতিষ্ঠিত স্কুল জাতীয়করণের উদ্যোগ নেবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সফলভাবে জাতিকে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমরা অন্তত বিকৃত ইতিহাস থেকে জনগণকে মুক্ত করতে পেরেছি। আজ মানুষ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে গেছে।’
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন করার জন্য বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন।
‘কোনো অবদান না থাকলে তিনি কেন জেলে ছিলেন’- এমন প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারই ১৯৭৫-১৯৯৬ সময়কালে হারানো বাংলাদেশের গৌরবময় ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে এই ভাবমূর্তি সমুন্নত রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বিশ্ব দরবারে মর্যাদা সমুন্নত রেখে, মাথা উঁচু করে চলব।’
'অমর একুশে' ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য আশরাফ উদ্দিন আহমেদ (মরণোত্তর) ও মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর) একুশে পদক পাচ্ছেন।
এছাড়া সংগীত ক্যাটগরিতে জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), মুক্তিযোদ্ধা কল্যানী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব; নৃত্যকলা ক্যাটগরিতে শিবলী মোহাম্মদ; অভিনয় ক্যাটগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীরের হাতে একুশে পদক তুলে দেওয়া হয়।
আবৃত্তি ক্যাটগরিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী; চিত্রকলা ক্যাটগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটগরিতে কাওসার চৌধুরী পদকটি পেয়েছেন।
এদিকে, সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ; ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষা বিভাগে অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু এ পুরস্কার পেয়েছেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের