প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
এর আগে ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
এছাড়া, ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি ছিলেন।
প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। এর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
তিস্তা: সংরক্ষণ-ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে কারিগরি দল
৫৪১ দিন আগে
হায়দরাবাদ হাউজে হাসিনা-মোদির বৈঠক শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত হায়দরাবাদ হাউজে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন।
এর আগে তাদের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে নয়া দিল্লিতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উষ্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য লাল গালিচা বিছানো হয় এবং বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মোদি।
রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি ঘোড়ায় চালিত দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে সামনের দিকে তার মোটরযান নিয়ে যায়।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৩ বাহিনীর চৌকস একটি দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে ভারতের উষ্ণ অভ্যর্থনা
৫৪১ দিন আগে
২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি নয়াদিল্লি সময় বিকাল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
সফরকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে। পরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করবে।
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশক ধরে, একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি হবে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। তিনি সেখানে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন।
এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা ভারতের হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে।
উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী প্রেস বিবৃতি দেবেন।
এরপর তারা হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
দিল্লি সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আনুমানিক রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন ২১ জুন
৫৪২ দিন আগে
কবি অসীম সাহার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, অসীম সাহার মৃত্যুতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জ আ. লীগ নেতা রেজাউলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে অসীম সাহা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'একুশে পদক'-এ ভূষিত হন। এছাড়াও, সামগ্রিকভাবে সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অসীম সাহা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের নিখোঁজ সংসদ সদস্যের লাশ উদ্ধার, প্রধানমন্ত্রীর শোক
৫৪৫ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন ২১ জুন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটি হবে কোনো সরকারপ্রধানের ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের আগে ১৫ দিনেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানীতে এটি শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর হতে চলেছে। গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিও ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফরের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত সংযোগ উদ্যোগ, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ, মোংলা বন্দরের ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ বাণিজ্য। এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি আলোচনারও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোদির ঈদের শুভেচ্ছা
গত এক দশকে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠিতব্য হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব বাড়ানোর বিষয়টিও উঠে আসতে পারে। ভারত প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, যেখানে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার বাসস্থান হোটেল তাজ প্যালেসের সভাকক্ষে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
শনিবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ সময় তাকে গার্ড অব অনারও দেওয়ার কথা রয়েছে।
এরপর তিনি রাজ ঘাটে গিয়ে ভারতীয় জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে হায়দ্রাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এসময় উভয়েই সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।
পরবর্তীতে সংবাদ বিবৃতি দেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তারা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
ওইদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫৪৫ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জন্য আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডের শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবারকে ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ এক এক করে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এর বাসিন্দাদের হাতে ফলমূল ও মিষ্টি হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
এসময় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন তো করেনিই, বরং নানভাবে তাদের হয়রানি ও অসম্মানিত করেছে। এটা করেই স্বৈরশাসকরা থেমে যায়নি, তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে এদেশের গৌরবময় ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছেন। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মানের স্থানে বসিয়েছেন। যার ফলে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তারা সবচেয়ে সন্তুষ্ট আছেন বলে মনে করেন।
সবশেষে বক্তব্যের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সকল মাপকাঠি পূর্ণ করেছেন। সামনের দিনগুলোতে তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
৫৪৬ দিন আগে
পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (১৬ জুন) এক অডিও-ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, 'ঈদুল আজহার শিক্ষা ধারণ করে আসুন আমরা ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’
বছরঘুরে ফিরে আসা পবিত্র ঈদুল আজহার গুরুত্ব উল্লেখ করে এই উৎসব নিয়ে নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক।’
উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
৫৪৭ দিন আগে
সেচ পাম্পগুলো পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতে চলবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশের সেচ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সেচ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল করতে চাই। প্রাথমিকভাবে এক্ষেত্রে কিছু বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাবে।’
শনিবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি চমৎকার পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে। সোলার প্যানেল দিয়ে সজ্জিত একটি ছাতা একটি কূপের উপরে স্থাপন করা হবে যেখানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হবে। সৌরশক্তি দিয়ে সেচ করা হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বিপুল পরিমাণ জমি নষ্ট করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সোলার প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে এবং আমরা সেচ করার জন্য নিকটবর্তী গ্রামে সোলার প্যানেল স্থাপন করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সবুজ করতে তার দলের নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি সবুজ আন্দোলনকে জোরদার করতে নদীর বাঁধ, উপকূলীয় অঞ্চল, রাস্তার ধারে, ছাদে, বাড়িতে চারা রোপণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে গণভবনে ৩টি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকারও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত প্রেস সচিবের শ্রদ্ধা
৫৪৮ দিন আগে
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ১৯৭৫ সালের আগস্টের মতো ঘটনা ঘটাতে স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘এখন কিছু মানুষ সেই চেষ্টাই করছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়, যখন নগদ টাকায় কেনা খাদ্যশস্য বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণমানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সে সময় এক কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করা হয়েছিল। তা করতে ব্যর্থ হলে তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা সাজায়।’
এ সময় কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকারও বক্তব্য রাখেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ সংখ্যক গাছ লাগানো কৃষক লীগ নেতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
৫৪৮ দিন আগে
গাজীপুরে ফজিলাতুন্নেছা কেপিজে হাসপাতালে নিয়মিত পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
গাজীপুরের কাশিমপুরের তেতুইবাড়িতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান জানান, শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন করে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান প্রধানমন্ত্রী।
হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে রেজিস্ট্রেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি পরিশোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দেশের খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সদের সঙ্গে দেখা করে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
হাসপাতালের সেবার বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।
৫৪৯ দিন আগে