সোমবার টোকিও মিশনের সহকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু রাষ্ট্র এবং দুদেশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক উন্নয়ন, দেশে জাপানি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শ্রম বাজারের প্রসার এবং প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত এবং সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময়ের আগে রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জাপান সরকারের আইন মোতাবেক ১৪ দিন কোয়ারাইন্টাইন অতিবাহিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
এর আগে তিনি ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।