দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতার বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন-পালন করেছেন এবং সন্তানদেরও একই মূল্যবোধে লালন-পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনা অনুসরণ করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গমাতার মহান আত্মত্যাগ ও তার পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি উৎসর্গ স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন।
পরে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইমরান বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা চিরকাল বাঙালি নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
মিশনের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেনও আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা ও শক্তি দিয়ে স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
৬ দফা দাবিতে হরতাল সফলের নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী
বিদেশি দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে ডেনমার্ক
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন স্থানীয় সময় রবিবার (৩১০ জুলাই) বলেছেন, নর্ডিক দেশে বিদেশি দূতাবাসের সামনে কুরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থের অবমাননাকে বেআইনি ঘোষণা করার কথা ভাবছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার ডিআর-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো ‘এমন একটি বিশ্বে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, যার আসলে ঐক্যের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা সরকারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা দেখব কিভাবে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের বিদ্রুপ বন্ধ করতে পারি। যা ডেনিশ স্বার্থ এবং ডেনিশদের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।’
ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে মুষ্টিমেয় কিছু ইসলামবিরোধী মানুষের প্রকাশ্যে কুরআন অবমাননার সাম্প্রতিক ঘটনায় মুসলিম দেশগুলোতে প্রচণ্ড বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
লোকে রাসমুসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের মন্ত্রিসভা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস না করে এই ধরনের কাজ নিষিদ্ধ করার জন্য ‘একটি আইনী পন্থা’ খুঁজে বের করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে এটি সহজ হবে না।
তিনি ডিআরকে বলেছেন, ‘অবশ্যই ধর্মীয় সমালোচনার জায়গা থাকতে হবে। একটি ব্লাসফেমি ধারা পুনঃপ্রবর্তনের কোনো চিন্তা আমাদের নেই।’
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের আলোচনা
তিনি বলেন,‘কিন্তু আপনি যখন বিদেশি দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে কুরআন পোড়ান বা ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে তাওরাত পোড়ান; তখন তা বিদ্রুপ করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয় না।’
রবিবার ডেনিশ সরকারের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ড্যানিশ সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তবে ডেনমার্কে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থের অবমূল্যায়নের ফলে জাতিটি বিশ্বের অনেক জায়গায় ‘এমন একটি দেশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, যারা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ঐতিহ্যের অপমান ও অবমাননার সুযোগ দেয়।’
এতে আরও বলা হয়েছে, সরকার আবারও এই ধরনের অবমাননার নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘গভীরভাবে আপত্তিকর ও বেপরোয়া কাজটি নির্দিষ্ট কিছু মানুষ করেছে’ এবং ‘তাদের এই কাজ ডেনিশ সমাজ যে মূল্যবোধের উপর নির্মিত তা প্রকাশ করে না।’
সুইডেনে প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন রবিবার ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, তার সরকার কুরআন এবং অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা সংক্রান্ত আইনী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে। কেননা শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের কাজগুলো সুইডেনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করছে।
ক্রিস্টারসন বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমরা সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা নীতির মধ্যে আছি।’
সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের সরকার আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুইডেনে মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
রাশিয়ার দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশিদের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা
ঢাকায় রুশ দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশে ঈদুল আযহার চেতনা পুরোপুরি অনুভব করা যায়।
এসময় লাখ লাখ মুসলমানের আবাসস্থল হিসেবে রাশিয়া বাংলাদেশসহ বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক উন্নয়নে মুসলিম সম্প্রদায়ের অবদানের প্রশংসা করে।
মঙ্গলবার দূতাবাসের অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স একাতেরিনা সেমেনোভা ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই আনন্দময় উৎসব সুখ, সমৃদ্ধি এবং সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করার শক্তি বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক!’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান দূতাবাস এবং আমার পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশি মুসলমানদের পাশাপাশি হজ পালনকারী সকল মুসলমানকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল ৮টায় ঈদের জামাত
কূটনীতিক বলেছেন, এই উৎসব সবসময় ইতিবাচক উদ্যোগ এবং সহানুভূতি, আত্ম-উন্নতি ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে।
সেমেনোভা বলেছেন, কীভাবে ধর্মীয় সহনশীলতা এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচার করা, অন্যান্য বিশ্বাসের বৈচিত্র্য গ্রহণ করা এবং আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা যায়, তা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানরা কীভাবে তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে এই উৎসব উদযাপন করতে সমবেত হয়, তা দেখাটাও আনন্দের বিষয়।
রাশিয়ান কূটনীতিক বলেছেন, ‘প্রত্যেকে এখানে অন্যকে সাহায্য করার উদারতা ও আতিথেয়তার মাধ্যমে এই ছুটির চেতনাকে সম্পূর্ণরূপে অনুভব করতে পারে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই: দ. কোরিয়া দূতাবাস
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস বাংলাদেশের সকল ভিসা আবেদনকারীদের উদ্দেশে ফের বলেছে যে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় (ভিসা ফি ছাড়া) কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন নেই।
দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা সকল আবেদনকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বৃহস্পতিবার দূতাবাস এক বার্তায় জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বা কোনও কোরিয়ান ব্যক্তি কখনই ভিসা সংক্রান্ত কোনও উদ্দেশ্যে অর্থ চাইবে না।
দূতাবাস জানায়, ‘কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসের সঙ্গে অধিভুক্ত হওয়ার দাবি করে এবং ভিসা পরিষেবা বা সহায়তার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনের অনুরোধ করে এমন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিষয়ে দয়া করে সতর্ক থাকুন।’
দূতাবাস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা বার্তায় জানায়, এগুলো প্রকৃত আবেদনকারীদের থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য করা কোনো প্রতারণামূলক স্কিম হতে পারে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি কোন সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা ব্যক্তিদের সম্মুখীন হন, অনুগ্রহ করে অবিলম্বে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে রিপোর্ট করুন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
চলতি মাস বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সুদানে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা মিশন প্রধানের
সুদানে বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তারেক আহমেদ বলেছেন, যে এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ হাউস অবস্থিত সেখানে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল।
বুধবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা এখন পর্যন্ত দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেনি।’
বাংলাদেশ মিশনের প্রধান বলেন যে তারা সুদানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও কিছুই চূড়ান্ত নয়, আমরা আশা করছি যে এই মাসের মধ্যে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সম্পন্ন হবে। এখনই সরিয়ে নিতে আগ্রহী আমাদের এমন প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দূতাবাস সরিয়ে নিলেও ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাস এখনও চালু রয়েছে।
খার্তুমে পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত রয়ে গেছে, যদিও তারা কয়েকটি অঞ্চলে কিছুটা উন্নতির কিছু তথ্য পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা, সমস্ত কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার, রাজধানীর বাইরে একটি নিরাপদ স্থানে আছি।’
আরও পড়ুন: কেন সুদানের সংঘাত বাকি বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে: শাহরিয়ার
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
ঐদিনে পাকিস্তান সামরিক জান্তার কুখ্যাত অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এ নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস এক কর্মসূচির আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সকালে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কমার্স) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাপানে গণহত্যা দিবস পালন
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের মহান আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে।
তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং উল্লেখ করেন যে সেদিন নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি জান্তার পরিকল্পিত গণহত্যায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ব্যাপক ধ্বংসলীলা সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবস পালিত হবে শনিবার
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার যাত্রায় যোগ দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মিনিস্টার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসানও আলোচনায় অংশ নেন এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ঐদিনে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।
কর্মসূচি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিল্টন।
আরও পড়ুন: দেশে গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে আজ
ঢাকায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা
বিপুল সমারোহে ঢাকায় ফের আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা। সোমবার ঢাকার বনানী এলাকায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এই নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়। এটা একটা আবেগঘন মুহূর্ত।’
আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তটিকে ‘দুই দেশের মধ্যে আরও ভাল এবং শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরির জন্য একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা।
১৯৭৮ সালে তৎকালীন লাতিন আমেরিকার দেশ শাসনকারী সামরিক জান্তা ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক কার্যক্রম যেমন- ভ্রমণের জন্য ভিসা ইত্যাদি তখন থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
আর্জেন্টিনা বলেছে যে ‘রাজনৈতিক, কৌশলগত ও বাণিজ্যিক’ কারণে বৈদেশিক নীতি নির্দেশিকা অনুসারে পুনরায় দূতাবাস চালু করা সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
নতুন দূতাবাস উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন আর্জেন্টিনার মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা ছাড়াও ক্যাফিয়েরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, দুই দেশের কৃষি ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশ ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল ও গম আমদানি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুরে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেরকোসুর বা সাউদার্ন কমন মার্কেট হল একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক; যা মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েকে নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত দুই দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করার পাশাপাশি ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে আর্জেন্টিনা সফরকারী দল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
দূতাবাস চালু ও সম্পর্ক গভীর করতে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো ঢাকায় এসেছেন।
সোমবার সকালে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান।
এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে বিসিআইইউয়ের বাণিজ্যবিষয়ক বৈঠক
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নতুন দূতাবাস উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর করতে তিনি এই সফর করছেন।
৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ বিকালে বনানীতে আর্জেন্টিনা প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস উদ্বোধনে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস ১৯৭৮ সালে দেশটির তৎকালীন সামরিক জান্তা শাসক বন্ধ করে দেয়।
কূটনৈতিক কার্যক্রম, যেমন ভ্রমণের জন্য ভিসা, ভারতে আর্জেন্টিনা দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
আর্জেন্টিনা বলেছে যে ‘রাজনৈতিক, কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক’ কারণের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি নির্দেশিকা অনুসারে দূতাবাস পুনরায় চালু করা সুবিধাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজেরও আয়োজন করবেন।
ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস পুনরায় খোলা ছাড়াও ক্যাফিয়েরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, দুই দেশের কৃষি ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল ও গম আমদানি ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট মেরকোসুরে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেরকোসুর, বা সাউদার্ন কমন মার্কেট হলো একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্লক যা মূলত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত দুই দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করার পাশাপাশি ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে আর্জেন্টিনার সফরকারী দল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০২৩ সালকে বাংলাদেশ-দ.কোরিয়া সম্পর্কের মাইলফলক বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেছেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বছরটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হবে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা এটিকে (২০২৩ সালকে) একটি মাইলফলক বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
বুধবার দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
এসময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য বাংলাদেশে কোরিয়ান সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানান।
অর্থনৈতিক সাফল্য উদযাপন ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করতে কোরিয়ান কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ‘স্টে স্ট্রং, মার্চ টুগেদার’- থিম নিয়ে ‘কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩’- এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) এবং কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে ‘কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩’।
১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগসহ দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম এফডিআই প্রদানকারী দেশ।
প্রায় ২০০ কোরিয়ান কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
মার্কিন ভিসার আবেদন করার জন্য দালালের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই: দূতাবাস
মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের কাছে প্রতারণামূলক এন্ট্রি ও এক্সিট স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
মার্কিন ভিসা আবেদনপত্রে যে তথ্য দেয় এবং সাক্ষাত্কারে যে তথ্য-উপাত্ত দেয় তার দায় আবেদনকারীদের।
সম্ভাব্য ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়া।
শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, যেকোনো সহায়ক ডকুমেন্টসসহ সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং ভিসা প্রক্রিয়া ও সাক্ষাত্কারের সময় প্রকৃত ও সত্য উত্তর দিন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস
দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডেনর বলেন, মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য দালাল ধরার প্রয়োজন নেই।
মার্কিন ভিসা আবেদনকারীদের অনলাইনে তাদের নিজস্ব আবেদনগুলো পূর্ণ করতে উত্সাহিত করা হয়। কারণ একটি আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আবেদনকারীদের সতর্ক করছি যে মিথ্যা তথ্য ও নথি উপস্থাপনের ফলে শুধুমাত্র ভিসা প্রত্যাখ্যানই হতে পারে না; বরং এটি একটি অযোগ্যতার কারণও হতে পারে। যা ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে বাধা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: শরণার্থী, অভিবাসন সমস্যা আলোচনায় বাংলাদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব নয়েস
স্বাধীন, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস