জাপান
জাপানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৩, সাগরে ২ ফুট সুনামি
জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি হাচিনোহের উত্তর-পূর্বে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গভীরে আঘাত হানে।
এরপর সম্ভাব্য আফটারশক ও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর উত্তরে আওমোরির উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে। তবে, জাপান সরকার এখনো সুনামি ও ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে বিধায় চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর আওমোরির ঠিক দক্ষিণে ইওয়ার কুজি বন্দরে ৭০ সেন্টিমিটার (২ ফুট ৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত উচ্চতার সুনামি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে।
ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এনএইচকে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের বেশিরভাগই ধসে পড়া বস্তুর আঘাতে আহত হয়েছেন। হাচিনোহের একটি হোটেলে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং তোহকুতে গাড়ি খাদে পড়ে এক ব্যক্তি আঘাত পেয়েছেন।
জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি মিনোরু কিহারা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কতা না ওঠা পর্যন্ত উঁচু স্থান বা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জানান, ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ৮০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এই অঞ্চলের কিছু অংশে শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ও লোকাল রেললাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আওমোরি হাচিনোহে শহরের দোকান মালিক নোবুও ইয়ামাদা সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে’কে বলেন, ‘আমি এত বড় কম্পন আগে কখনো অনুভব করিনি। সৌভাগ্য যে আমাদের এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রয়েছে।’
ওই অঞ্চলের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কিহারা।
পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আওমোরির রোক্কাশো জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের জ্বালানি শীতলীকরণ এলাকা থেকে প্রায় ৪৫০ লিটার পানি উপচে পড়েছে। তবে পানির স্তর স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই রয়েছে এবং কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি জানান, হাচিনোহে বিমান ঘাঁটিতে প্রায় ৪৮০ জন বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য ১৮টি প্রতিরক্ষা হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
এনএইচকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে হোক্কাইডোর নিউ চিটোস বিমানবন্দরে প্রায় ২০০ যাত্রী সারা রাত আটকা পড়েছিলেন।
এদিকে, আগামী কয়েকদিনে সম্ভাব্য আফটারশকের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। তারা জানিয়েছে, টোকিওর পূর্বে চিবা থেকে হোক্কাইডো পর্যন্ত জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সম্ভাব্য সুনামির ঝুঁকি কিছুটা বেড়েছে।
সংস্থাটি এই এলাকার ১৮২টি পৌরসভার বাসিন্দাদের আগামী সপ্তাহে তাদের জরুরি প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সাংবাদিকদের জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নিরূপণের জন্য সরকার একটি জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। তিনি বলেন, আমরা মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং আমাদের পক্ষে যা সম্ভব সবই করছি।
তিনি ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্থানীয় পৌরসভাগুলোর সর্বশেষ তথ্যের দিকে নজর রাখার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে প্রস্তুত থাকুন যাতে কম্পন অনুভব করার সাথে সাথেই আপনারা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারেন।’
আবহাওয়া অফিসের ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিভাগের কর্মকর্তা সাতোশি হারাদা বলেন, ‘আপনাদের এমন একটি দুর্যোগ আবারও ঘটতে পারে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কর্তৃপক্ষ উত্তর জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের জন্য জারি করা সব সুনামি সতর্কতা তুলে নেয় বলে খবরে বলা হয়েছে।
৮ দিন আগে
৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে রাশিয়া, জাপানে সুনামি; দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে সতর্কতা জারি
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বুধবার ৮.৮ মাত্রার ওই কম্পনে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আলাস্কা, হাওয়াই ও দক্ষিণে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপান ও মার্কিন ভূমিকম্পবিদদের মতে, জাপানের স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ভূমিকম্পটির প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৮.০। পরে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) তা সংশোধন করে ৮.৮ করে এবং ভূকম্পনটির গভীরতা ছিল ২০.৭ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাশিয়ার কামচাটকার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে ১১৯ কিলোমিটার পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পূর্বে। ওই শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে এ পর্যন্ত ৬.৯ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পনও রেকর্ড করা হয়েছে।
পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কিতে ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, রাস্তায় গাড়ি দুলেছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মোবাইল ফোন সেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কয়েকজন চিকিৎসা সহায়তা চাইলেও গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
২০১১ সালের মার্চে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বিশ্বজুড়ে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন। ওই ভূমিকম্পে বিশাল সুনামি হয়েছিল এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গলন শুরু হয়।
তবে জাপানের প্রশান্ত উপকূলীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বুধবারের ভূমিকম্পের পর কোনো গড়বড় ধরা পড়েনি। টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, ফুকুশিমা দাইইচি কেন্দ্রটিতে প্রায় ৪ হাজার কর্মী উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং দূর থেকে কেন্দ্রে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৪০ দিন আগে
বাংলাদেশ এশিয়ায় জাপানের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: ড. ইউনূসকে জাইকা শীর্ষ কর্মকর্তা
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা বলেছেন, এশিয়ায় বাংলাদেশ এখনও জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং দেশটি বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিয়াজাকি কাতসুরা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ, মৎস শিল্প, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও তরুণদের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জাপান সবসময়ই আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। সম্প্রতি জাপান সফরকালে আমি ও আমার প্রতিনিধি দল যে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা পেয়েছি, তা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মাতারবাড়ি প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে একে দেশের ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: গুমের সঙ্গে সেনা সদস্যদের জড়িতের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা: সেনা সদর দপ্তর
সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি জাপানে জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি বলেছিলাম আমরা একটি ব্লু ইকোনমির দেশ হতে চাই।’
ড. ইউনূস বাংলাদেশের তরুণদের জন্য জাপানে শিক্ষাবৃত্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোরও অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে যেতে চায়। কিন্তু সমস্যা হলো ভাষায়। আমরা আহ্বান করছি যে—জাপানি শিক্ষকরা এখানে আসুক, অথবা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের মানুষকে জাপানি ভাষা ও কর্মক্ষেত্রের আচরণ শেখানো হোক।’
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সমস্যার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। হাজার হাজার রোহিঙ্গা তরুণ ক্যাম্পে ভবিষ্যতের কোনো আশা ছাড়াই বেড়ে উঠছে। এতে তারা ক্রমেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।’
জবাবে মিয়াজাকি ২০২৬ সালে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘জাইকা এ দেশের বিচার বিভাগ, সরকারি প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে সহায়তায় নজর দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে জাপান-বাংলাদেশ যৌথ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পে স্থানীয় সরকার, কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যুক্ত থাকবে।
তরুণদের উন্নয়নের প্রসঙ্গে ড.ইউনূস বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা ক্রীড়াক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি করেছে। তারা সব জায়গায়ই জিতছে। গতকালও তারা একটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে। আমরা তাদের জন্য হোস্টেলের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। তবে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে মিয়াজাকি বলেন, জাপান বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক পাঠাচ্ছে এবং বাংলাদেশের নারীদের ক্রীড়া খাতে আরও সহযোগিতা বিবেচনায় নিচ্ছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি ১০০ কোটি ডলারের ঋণ ও অনুদান চুক্তির জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান। এই অর্থ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, রেলপথ নির্মাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যয় হবে। তিনি বার্ষিক জাপানি অনুদানের পরিমাণ ৩০০০ কোটি ইয়েন থেকে বাড়িয়ে সাড় ৪ হাজার কোটি ইয়েনে উন্নীত করার অনুরোধ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,‘বাংলাদেশের জনগণ জাপানের বন্ধুত্ব ও উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।’
১৬৭ দিন আগে
জাপানি দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপপুঞ্জে গেল দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এখন সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে, সেই আতঙ্কে সেখানকার নাগরিকদের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে। যদিও এসব ভূকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে। ভূমিকম্পের এই প্রবণতা কখন থামবে, তা বলতে পারছে না জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ভূমিকম্প ও সুনামি পর্যবেক্ষণ বিভাগের পরিচালক আয়াতাকা এবিতা বলেন, ‘গেল ২১ জুন থেকে তোকারা দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রে ভূকম্পনীয় তৎপরতা খুবই সক্রিয়।’
দক্ষিণাঞ্চলীয় কিয়ুশু দ্বীপে পাঁচ দশমিক পাঁচ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হওয়ার পরই তিনি এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। এই ভূকম্পবিশারদ বলেন, ‘আজ ৪টা পর্যন্ত ভূমিকম্পের সংখ্যা ৯ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: মুসলমানদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছেন মামদানি
অঞ্চলটিতে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে শঙ্কায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাপানি সংবাদমাধ্যম দ্য মেইনিচি শিম্পুন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত আগের ১০ দিনে অঞ্চলটিতে ৭৪০টি ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে। সাত মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্রতার স্কেলে এক বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ছিল এগুলো। জাপানে ভূমিকম্পের কাঁপুনির মাত্রা বোঝাতে এই স্কেল ব্যবহার করা হয়, যেখানে সাত হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রা।
পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলে মানুষকে সতর্ক করার জন্য সেটি যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই মাত্রার ভূমিকম্পে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে, টাল সামলাতে অবলম্বন হিসেবে কিছু একটা ধরে রাখতে বাধ্য হতে হয়।
নিজেদের ওয়েবসাইটে তোকারা গ্রাম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ভয়ে লোকজন ঘুমাতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
‘মনে হচ্ছে, গ্রামটি সবসময় কাঁপছে। যে কারণে ঘুমাতে গেলে আতঙ্ক তৈরি হয়,’ বললেন একজন বাসিন্দা। কখন এই ভূমিকম্প শেষ হবে, তা স্পষ্ট না বলে মন্তব্য করেন আরেক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে কিনা; সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সরকারি উপাত্ত থেকে জানা যায়, ২৩ জুন একদিনেই ১৮৩টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২৬ জুন এই সংখ্যাটি ছিল ১৫; ২৭ জুন ১৬। কিন্তু পরেরদিন থেকে আবার বাড়তে থাকে ভূকম্পের সংখ্যা। ২৮ জুন ৩৪টি ভূমিকম্প হয়েছে, ২৯ জুন ৯৮টি। আর ৩০ জুন ৬২টি ভূমিকম্প হয়েছে।
এরআগে ২০২৩ সালে তোকারা অঞ্চলে একই ধরনের ভূকম্পনীয় প্রবণতা দেখা গেছে। তখন ৩৪৬টি ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন তোকারা দ্বীপপুঞ্জের সাতটিতে মানুষ বাস করেন। এসব দ্বীপে সবমিলিয়ে ৭০০ বাসিন্দা রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তোকারা দ্বীপপুঞ্জের আশপাশের অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠন অস্বাভাবিক হওয়ায় সাগরতলের নিচে গিয়ে চাপ জমা পড়ে সহজভাবে, পরে তা ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে আসে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূকম্পনপ্রবণ দেশগুলোর একটি হচ্ছে জাপান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বে আদেশ কার্যকর হচ্ছে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ারের’ পশ্চিম প্রান্ত বরাবর চারটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত জাপান। সাড়ে ১২ কোটি জনসংখ্যার দেশটির বাসিন্দারা বছরে দেড় হাজারের বেশি ভূকম্পের মুখে পড়েন। যা বিশ্বের মোট ভূমিকম্পের আঠারো শতাংশ।
তবে এগুলোর বেশিরভাগই মৃদু হওয়ায় অবস্থান ও ভূমিকম্পের গভীরতার ওপর ভিত্তি করে ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
১৬৭ দিন আগে
জাপানে ৯ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ‘টুইটার কিলার’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
জাপানে ৯ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে বহুল আলোচিত ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিতি পাওয়া সিরিয়াল খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৭ সালে টুইটারে পরিচয় হওয়া অল্পবয়ষ্ক নারীদের হত্যার ঘটনাগুলো ঘটান দণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তি। ২০২২ সালে দেশটিতে পুনরায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড চালুর পর প্রথম কার্যকরের ঘটনা এটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে জানা যায়, ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম তাকাহিরো শিরাইশি। তিনি, মূলত টুইটারের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত ও আত্মহত্যাপ্রবণ তরুণীদের ফাঁদে ফেলতেন। পরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করতেন। এরপর তাদের মৃতদেহ টুকরো টুকরো করতেন এই ব্যক্তি। তার শিকারদের বেশিরভাগই ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী নারী।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে প্রবেশের জন্য শত শত মানুষ ভিড় করেন। আদালত তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। সম্প্রতি তার মৃত্যদণ্ড কার্যকর হয়। জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পুলিশ নিখোঁজ এক তরুণীর সন্ধানে টোকিওর নিকটস্থ জামা শহরের তার অ্যাপার্টমেন্টে গেলে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডগুলো সামনে আসতে থাকে। পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে ৯টি মৃতদেহের টুকরো অংশ কুলার ও টুলবক্সে সংরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করে। যা স্থানীয় গণমাধ্যমে ‘হরর হাউজ বা ভৌতিক বাড়ি’ নামে পরিচিতি পায়।
ঘটনাটি উদঘাটনের পরই এটি জাপানের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
যেভাবে ভয়ংকর ফাঁদে ফেলতেন তরুণীদের
সিরিয়াল খুনি শিরাইশির টুইটারে প্রোফাইলে লেখা ছিল, ‘কষ্টে থাকা ব্যক্তিদের সাহায্য করতে চাই। প্রয়োজনে সরাসরি মেসেজ দিন।’ এই ছদ্মবেশে তিনি আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এমনকি, কখনও কখনও তিনি নিজেও ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে আত্মহত্যা করবেন বলে তাদের ফাঁদে ফেলতেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে গাঁজা কিনতে লাগবে প্রেসক্রিপসন!
পরে শিরাইশি আদালতে ওই ৯জন হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেন। যদিও তার আইনজীবীরা দাবি করেন, ভিকটিমরা নিজের ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে চেয়েছিলেন। তাই এটি ‘সম্মতির সঙ্গে হত্যা’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। তারা শিরাইশির মানসিক অবস্থা মূল্যায়নেরও দাবি জানান।
তবে নিজেই আইনজীবীদের সেই যুক্তি নাকচ করে শিরাইশি বলেছিলেন, ‘ভিকটিমদের কেউই তাকে সম্মতি দেননি। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হত্যা করেছেন।’
এ ঘটনা সেইসময় জাপান জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করেছিল। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নীতিমালা সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিল টুইটার (বর্তমানে এক্স) কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জাপানের আইনমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি জানান, ‘তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’ বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শিরাইশি নিছক নিজের যৌন এবং আর্থিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য এইসব বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।’
১৭৩ দিন আগে
জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হতে পারে জাপান: প্রেস সেক্রেটারি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সদ্যসমাপ্ত জাপান সফরকে অত্যন্ত সফল আখ্যা দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সফরের কারণে জাপান থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
রবিবার (১ মে) বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাপান সফরটি অত্যন্ত সফল । এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর ও দৃঢ় হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বড় বড় জাপানি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বড় পরিসরে বিনিয়োগে আসবেন।’
জাপানে দেশীয় জনশক্তি রপ্তানি সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, ‘এ সফরে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স এরমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশ জাপানে আরও জনশক্তি পাঠাতে পারবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ জনশক্তি পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি রপ্তানি গন্তব্য হবে।’
আরও পড়ুন: আগামীকাল ফের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক
গেল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও জাপান দুটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের কর্মশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাপানে তাদের কর্মসংস্থান সহজ করার উদ্দেশ্যে এ দুটি সমঝোতা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। একই দিন প্রধান উপদেষ্টা ‘৩০তম নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’তে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক ইউনূস নিক্কেই ফোরামের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশকে আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে সমর্থনের আহ্বান জানান।
শুক্রবার সোকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ইউনূসকে সামাজিক উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়।
১৯৯ দিন আগে
বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার বাজেট সহায়তা দেবে জাপান
বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেবে জাপান। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ মে) টোকিওতে এ সংক্রান্ত তিনটি চুক্তি সই হয়েছে।
এই ঋণ সহায়তার অর্থের ৬৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার দেশের রেলওয়ে খাতের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল-গেজ ডাবল-লেন রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু পরিবর্তন স্থিতিশীলতার জন্য ৪১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার ও মানব উন্নয়ন বৃত্তির জন্য অনুদান ৪২ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘নতুন বাংলাদেশ’ নির্মাণে জাপান ও দেশটির উদ্যোক্তাদের পাশে চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি নিজ নিজ দেশের পক্ষে এসব চুক্তিতে সই করেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব চুক্তি সই ও নথি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
২০১ দিন আগে
‘নতুন বাংলাদেশ’ নির্মাণে জাপান ও দেশটির উদ্যোক্তাদের পাশে চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘নতুন বাংলাদেশ’ নির্মাণে জাপান সরকার ও দেশটির উদ্যোক্তাদের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার ইন টোকিও’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। জেট্রো ও জাইকার আয়োজনে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বড় সমস্যায় আছি। বাস্তবিক অর্থেই বাংলাদেশ গত ১৬ বছর ধরে একটি ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে গেছে। সবকিছু ভেঙে পড়েছে... এখন আমরা সেগুলো গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে জাপানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘একজন ভালো বন্ধু কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায়; জাপান তেমনই এক বন্ধু। আমি এসেছি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে।’
আরও পড়ুন: জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই
তরুণদের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণের অসংখ্য স্বপ্ন আছে। সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতার দরকার।’
এই চ্যালেঞ্জকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই—হ্যাঁ, এটি সম্ভব হয়েছিল এবং তা হয়েছিল নিখুঁতভাবে।’
‘আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি এবং বলছি— আমরা কাজে নামার জন্য তৈরি। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে এটি সম্ভব। চলুন একসঙ্গে এগিয়ে যাই এবং কাজটি শেষ করি। এটি অর্থ শুধু উপার্জন নয়, মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার বিষয়।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে তার সরকার, আর সে পথে জাপান বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘আরেকটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা “নতুন বাংলাদেশ” নাম দিয়েছি। আমরা একসঙ্গে সেই বাংলাদেশ গড়ব। আপনারা পাশে থাকলে এটি অবশ্যই সম্ভব, আর তার ভিত্তি ইতোমধ্যে আমরা স্থাপন করেছি।’
মাতারবাড়ী উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি একটি পিছিয়ে পড়া দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাপান
প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্যে, ‘নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের মানুষ মাতারবাড়ীর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে প্রবেশাধিকার পেতে পারে। মাতারবাড়ী হবে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্তির দরজা... আমরা এই দরজা সবার জন্য খোলা রাখব।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার শিনজি তাকেউচি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোকে সংযুক্তকারী কৌশলগত কেন্দ্র এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির সংখ্যা এখন ৩০০ ছাড়িয়েছে, যা গত এক দশকে ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে জাপান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে চায়।
জাপান সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহ দিচ্ছে বলে জানান তিনি। জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন শিনজি। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইলকেন্দ্রিক হলেও তা আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করার আহ্বান জানান ভাইস-মিনিস্টার।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার প্রচেষ্টায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতাবিষয়ক ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেট্রো চেয়ারম্যান ও সিইও নোরিহিকো ইশিগুরো। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কমিটির চেয়ারম্যান এবং মারুবেনি করপোরেশনের নির্বাহী করপোরেট উপদেষ্টা ফুমিয়া কোকুবু।
২০১ দিন আগে
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরের তৃতীয় দিনে দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতা বিষয়ে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩০ মে) টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জেবিআইসি) ও বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারকটি সই হয়। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জ্বালানি খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেবিআইসি ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপ-প্রেস সচিব।
বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) জমি ইজারা চুক্তির জন্য জাপানের ওনোডা ইনকরপোরেশনের সঙ্গে দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়। ওনোডা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে বাংলাদেশে গ্যাস মিটার স্থাপনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং বিএসইজেডের একটি কারখানায় গ্যাস মিটার অ্যাসেম্বলি, পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাপান
তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটিও বিএসইজেডের একটি জমি ইজারা চুক্তির জন্য বাংলাদেশ ন্যাক্সিস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সই হয়। বিএসইজেডের কারখানায় পোশাক সামগ্রী উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে ন্যাক্সিস।
ব্যাটারিচালিত সাইকেল ও ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল তৈরির একটি কারখানা স্থাপনে সহযোগিতার বিষয়ে গ্লাগিট, মুসাশি সেইমিৎসু ইন্ডাস্ট্রি গ্লাফিট ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মধ্যে চতুর্থ সমঝোতা স্মারকটি সই হয়।
পঞ্চম সমঝোতা স্মারকের আওতায় সাইফার কোর কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে তথ্য নিরাপত্তার জন্য ২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্ভাবক তাকাতোশি নাকামুরার কমপ্লিট সাইফার টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে এই প্রকল্প বাংলাদেশকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
ষষ্ঠ সমঝোতা স্মারকটি জাইকা ও বিআইডিএর মধ্যে সই করা হয়। এই সমঝোতা স্মারকটি ইন্টিগ্রেটেড সিঙ্গেল উইন্ডো প্ল্যাটফর্মের (আইএসডব্লিউপি) প্রাথমিক পর্যায়ের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত ও ইন-কাইন্ড সহায়তা প্রদানের জন্য জাইকার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশজুড়ে বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রচার সংস্থার পরিচালিত ব্যক্তিগত ওয়ান-স্টপ পরিষেবাগুলোকে একীভূত করার জন্য বিডার নেতৃত্বে একটি প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার প্রচেষ্টায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস এই চুক্তিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ এগুলো বাস্তবায়ন করা। আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত।’
বাংলাদেশের গত ১৬ বছরের পরিস্থিতিকে ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘অনবরত ভূমিকম্পের মুখে পড়ার কারণে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট একটি আকৃতি পেতে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘এই পরিস্থিতিতে একজন ভালো বন্ধু এগিয়ে এসেছে… সেই বন্ধু হলো জাপান। আমি এখানে এসেছি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে।’
এই চ্যালেঞ্জকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই—হ্যাঁ, এটি সম্ভব হয়েছিল এবং তা হয়েছিল নিখুঁতভাবে।’
‘আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি এবং বলছি— আমরা কাজে নামার জন্য তৈরি। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে এটি সম্ভব। চলুন একসঙ্গে এগিয়ে যাই এবং কাজটি শেষ করি। এটি অর্থ শুধু উপার্জন নয়, মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার বিষয়।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে তার সরকার, আর সে পথে জাপান বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘আরেকটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা “নতুন বাংলাদেশ” নাম দিয়েছি। আমরা একসঙ্গে সেই বাংলাদেশ গড়ব। আপনারা পাশে থাকলে এটি অবশ্যই সম্ভব, আর তার ভিত্তি ইতোমধ্যে আমরা স্থাপন করেছি।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার শিনজি তাকেউচি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোকে সংযুক্তকারী কৌশলগত কেন্দ্র এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির সংখ্যা এখন ৩০০ ছাড়িয়েছে, যা গত এক দশকে ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে জাপান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে চায়।
আরও পড়ুন: মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়ন জোরদারে জাইকার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেট্রো চেয়ারম্যান ও সিইও নোরিহিকো ইশিগুরো। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কমিটির চেয়ারম্যান এবং মারুবেনি করপোরেশনের নির্বাহী করপোরেট উপদেষ্টা ফুমিয়া কোকুবু।
২০১ দিন আগে
বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাপান
বাজেট সহায়তা, রেলপথ উন্নয়ন ও অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাপান।
শুক্রবার (৩০ মে) এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে জাপান ও বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এ অর্থ সহায়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতার জন্য ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন হিসেবে দেওয়া হবে প্রায় ৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
এ ছাড়া, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রুটকে ডুয়েল গেজ ডবল রেলপথে উন্নীত করার জন্য ৬৪ কোটি ৪১ লাখ ডলার এবং বৃত্তির জন্য ৪০ লাখ ২০ হাজার ডলার সহায়তা দেবে টোকিও।
আজ (শুক্রবার) সকালে টোকিওতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সফররত দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাংলাদেশের সংস্কার ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তর প্রচেষ্টার প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে পরে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্রগঠনের উদ্যোগ, সংস্কার প্রচেষ্টা ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের অঙ্গীকারের প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার প্রচেষ্টায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
বৈঠকে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস। অপরদিকে, রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ী আশ্রয় ও তাদের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা।
এ সময় দক্ষ মানবসম্পদ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের উপায়সহ পারস্পরিক সার্থসংশ্লিষ্ট একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
২০১ দিন আগে