জাপান
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাপানের টোকিওতে ইকনোমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময়ে বাংলাদেশে আরও বেশিসংখ্যক জাপানি যাতে বিনিয়োগ করেন, সেই ব্যবস্থা নিতে ওগুশি মাসাকির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পাবলিক প্রাইভেট ইকনোমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা দিতে বাংলাদেশে সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করা হয়েছ। তিনি জাপানের বিনিয়োগকারীদের এ সুযোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শি জিন পিংয়ের
বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাচিকি ইমোতো, জেটরোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুয়া নাকাজো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে টোকিওতে একটি হোটেলে ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশনের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।।
জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
৫৮ দিন আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীন। বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অধিক সংখ্যক পণ্য ও জনশক্তি আমদানিরও আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টোকিওতে জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বাাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এ সময়ে বাংলাদেশে জাপানের ব্যবসা অব্যাহত রাখা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বাংলাদেশকে জাপানের কৌশলগত অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। তারা আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রধান উন্নয়ন সহযোগী।’
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়াও জাপান বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানি গন্তব্যের একটি
‘বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫০টির বেশি জাপানি কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাপান থেকে আমরা আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী, জেটরো প্রতিনিধি লুইজি অ্যান্ডো ও জাইকা প্রতিনিধি ইয়াসুজুকি মুরাহাসি এবং জাপানে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মন।
বৈঠকে জাপানের প্রতিনিধি দলটিতে উপস্থিত ছিলেন জাপানের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য গ্রুপ এনইএক্সআই (নিপ্পন), মিতুসি, মারুবেনি, এইচএসবিসি মিতুসিবিসি হেভি ইন্ডাস্ট্রি ও জেট কোম্পানির সদস্যরা।
৫৯ দিন আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আসন্ন সংসদীয় উপমন্ত্রী পর্যায়ের সফর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক সমর্থনের এই বার্তা বহন পৌঁছে দেবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সংস্কার প্রচেষ্টায় সমর্থন এবং 'কৌশলগত অংশীদারিত্বের' আওতায় বিস্তৃত ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরতর করা, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত শিগগিরই ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজন এবং নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, জাইকা প্রধানের এ বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।
তিনি উপকূলীয় এলাকায় টহলের জন্য বাংলাদেশকে পাঁচটি টহল জাহাজ সরবরাহের জাপানের সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণে যন্ত্রপাতি সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতির বিষয়েও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশে প্রধান উন্নয়ন উদ্যোগে জাপানের অবদানের কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই স্থিতিশীল এবং বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সব সময় সুরক্ষিত থাকবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও টেকসই সমাধানের জন্য জাপানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডার ভিসা দ্রুত সময়ে চায় ঢাকা
তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিতসহ তাদের জন্য জাপানের মানবিক সহায়তারও প্রশংসা করেন।
রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জাতিসংঘের সহযোগিতায় দোহায় বাংলাদেশ আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আসন্ন সম্মেলনে জাপানের সমর্থন কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় পক্ষ আন্তর্জাতিক ফোরামে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচনী বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
৭৯ দিন আগে
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে জাপানের প্রতি রাষ্টপতির আহ্বান
বাংলাদেশের অবকাঠামো, অটোমোবাইল, আইসিটিসহ উদীয়মান বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ করতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিন বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের পক্ষ থেকে নতুন রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
সাইদা শিনিচিকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাপান বাংলাদেশের একক সর্ববৃহৎ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার। দুদেশের সম্পর্ক স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে (কৌশলগত অংশীদারত্ব) উন্নীত হয়েছে।
সাক্ষাতকালে বিগ বি ইনিশিয়েটিভের অধীনে বাংলাদেশের উন্নয়নে ঋণ ও অনুদান হিসেবে জাপানের ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাপানের ৩৫০টির বেশি কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করতে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানে জাপানের ভূমিকার প্রশংসা করে রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে এবং সম্মানজনকভাবে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে—সে বিষয়ে জাপান আগামীতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় জাপানের রাজা, রানী ও রাজপরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামো খাতে জাপানের বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপান। তিনি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
৯১ দিন আগে
বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্কতা কমাল জাপান
বাংলাদেশে ভ্রমণে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ঝুঁকি কমিয়েছে জাপান। বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা লেভেল ২ থেকে লেভেল ১-এ অবনমিত করেছে দেশটি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি মাসে জাপান বাংলাদেশের ওপর লেভেল ২ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছিল।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-জাপানের আলোচনা
দেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশ ভ্রমণে চার স্তরের সতর্কতা ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে জাপান। এর মধ্যে লেভেল ৪ হলো সর্বোচ্চ সতর্কতা, আর লেভেল ১ সর্বনিম্ন।
লেভেল ১-এর আওতায় ভ্রমণকারীদের সাধারণ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, যেখানে লেভেল ২-এর ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকে দেশটির সরকার।
১১০ দিন আগে
জাপান ৮১ বছর পর দেশে নিচ্ছে ২৪ সৈনিকের দেহাবশেষ
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে (যুদ্ধসমাধি) সমাহিত করার ৮১ বছর পর নিজ দেশে নেওয়া হচ্ছে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ।
জাপান থেকে আসা ৭ সদস্যের একটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল দেহাবশেষ উত্তোলনের কাজ শুরু করেছেন।
সমাধিতে মাথার খুলি, শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। ২৮ বছরের এক তরুণ সৈনিকের মাথার খুলিতে বুলেটের চিহ্নও পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ৭ সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ইনোওয়ে হাসোয়েকি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে ব্যাপক সাড়া
ইনোওয়ে হাসোয়েকি বলেন, কুমিল্লার ‘যুদ্ধসমাধিতে ১৩টি দেশের ৭৩৭ সৈনিকের মধ্যে জাপানের আছেন ২৪ জন। ২৪ নভেম্বরের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতায় দেহাবশেষগুলো জাপানে নেওয়া হচ্ছে।’
এছাড়া সৈনিকদের পরিবারগুলো এমন উদ্যাগে আপ্লুত এবং তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ বলে জানান ইনোওয়ে হাসোয়েকি।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ১৩টি দেশের ৭৩৭ সৈনিককে এখানে সমাহিত করা হয়। ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনেরা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত
১৪৮ দিন আগে
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা হামলা, গ্রেপ্তার ১
জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টোকিওর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশ কয়েকটি আগুনবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি এবং সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকেসহ দেশটির অন্যান্য গণমাধ্যম এই খবর প্রচার করেছে।
টোকিও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
খবরে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি তার গাড়ি চালিয়ে পাশের বেড়ার ভিতরে ঢুকে পড়েন। তবে হামলার উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: জাপান সফরে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান
সন্দেহজনক তহবিল এবং কর ফাঁকির সঙ্গে জড়িত একটি ঋণের কিস্তির অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জনগণের কাছে ক্রমেই অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
শনিবারের হামলার বিষয়ে দলটি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পুলিশের কাছে সব প্রশ্নের জবাব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
আগামী ২৭ অক্টোবর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কিছু কলঙ্কিত রাজনীতিবিদ ক্ষমতাসীন দলের আনুষ্ঠানিক সমর্থন হারালেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দলটি নতুন ভাবমূর্তি তুলে ধরার আশায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে। তবে জনমত জরিপে তাদের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা যাচ্ছে। যদিও বিভক্ত বিরোধীদের কারণে আসন্ন নির্বাচনে তারা নিম্নকক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে কিনা তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
কিছু প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে, যা জাপানি সংস্কৃতিতে তুলনামূলকভাবে বিরল।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা গত কয়েক দশক ধরে প্রায় অবিচ্ছিন্নভাবে জাপান শাসন করে আসছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে জাপান একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়ায় তাদের নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
২০২২ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের এক প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আবের হত্যাকারী একটি হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলেছিল, তিনি আবের প্রতি বিরক্ত হয়েছেন। কারণ তার মা পরিবারের সমস্ত অর্থ ইউনিফিকেশন চার্চে দিয়েছেন। আবে সেই চার্চের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করেছিলেন ওই হত্যাকারী। ক্ষমতাসীন দলের কিছু রাজনীতিবিদের সঙ্গে অনেকের এ ধরনের সম্পর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টায় শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের নিহন হিদানকিও
১৮০ দিন আগে
জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সমাজ সংস্কার ও নগরায়নের নেপথ্যে মূল চালিকা শক্তি হলো উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রায়োগিক জ্ঞান। এই দক্ষতার বলে যে কোনো জাতি তাদের ধ্বংসপ্রায় অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান। যুদ্ধাহত ও দুর্যোগপ্রবণ হওয়ার পরেও দেশটি এশিয়ার সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। সঙ্গত কারণেই দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য প্রতি বছর জাপানমুখী হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। চলুন, জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও অধ্যয়ন খরচ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জাপানে কেন পড়তে যাবেন
শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (এমইএসটি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশটির প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক আগে থেকেই জায়গা দখল করে আছে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ শীর্ষ শতকে। তার মধ্যে ২৮তম অবস্থানে আছে ইউনিভার্সিটি অব টোকিও এবং ৪৬ নাম্বারে রয়েছে কিয়োটো ইউনিভার্সিটি। ওসাকা ইউনিভার্সিটি এবং টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির র্যাংকিং যথাক্রমে ৮০ ও ৯১।
সারা বিশ্বে ৩য় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে বিখ্যাত সব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থল।
মাত্র ২২ দশমিক ৭ ক্রাইম ইনডেক্স নিয়ে বিশ্বের নিরাপদ দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এ রয়েছে জাপান। দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট অনুসারে টোকিও ও ওসাকা যথাক্রমে বিশ্বের ১ম ও তৃতীয় নিরাপদ শহর। সময়ে সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ায় দেশটির অবকাঠামোগুলো নির্মিত হয় সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা মান বজায় রেখে। বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী প্রযুক্তিতে শতাব্দীর সেরা উদ্ভাবনগুলো এসেছে জাপানের মাধ্যমেই।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এছাড়া ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, পৃথিবীর সর্বাধিক আয়ুর অধিকারী জাতি হচ্ছে জাপানিরা। এর নেপথ্যে রয়েছে তাদের চমৎকার চিকিৎসা ব্যবস্থা, যেটি জাতীয় স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে খুব সাশ্রয়ী মূল্যেই পাওয়া যায়।
জাপানে উচ্চশিক্ষার পূর্বশর্ত
এখানকার ইংরেজি ভাষার স্নাতক প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তির জন্য টোফেল (আইবিটি) স্কোর ন্যূনতম ৭২ বা আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৫ দশমিক ৫ থাকতে হবে। তবে স্নাতকোত্তরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আরও বেশি স্কোরের দরকার হতে পারে।
স্থানীয় ভাষা বাধ্যতামূলক না হলেও জাপানিরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দোকানপাট ও অফিস সর্বত্রে তাদের নিজস্ব ভাষাকেই অগ্রাধিকার দেয়। তাছাড়া সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধার স্কলারশিপ পেতে হলে জাপানি ভাষা শেখা অপরিহার্য।
ইজেইউ
জাপানের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির পূর্বশর্ত হিসেবে এই স্কোরটি দেখাতে হয়। ইজেইউ পূর্ণরূপ হলো এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস। এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষা ও একাডেমিক দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়। এই পরীক্ষায় বেশি স্কোর পাওয়ার মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরীক্ষার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে জাপানি ভাষা, বিজ্ঞান, গণিত ও সাধারণ বিষয়। বিজ্ঞান বিভাগটি পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে বিভক্ত। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য জুন বা নভেম্বরের মধ্যে জাপানে পৌঁছাতে হবে।
আরো পড়ুন: টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
জেএলপিটি
এটি হচ্ছে জাপানি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষা, যা অধিকাংশ জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহীত হয়। এতে রয়েছে পাঁচটি মেধা স্তর, যেখানে সর্বোচ্চ স্তর এন৫ এবং সর্বনিম্ন স্তর এন১ হিসেবে অভিহিত হয়। জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সাধারণত কমপক্ষে এন২ স্তর থাকতে হয়।
জাপানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এর শীর্ষ ২০০-তে থাকা ৯টি জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়-
· ইউনিভার্সিটি অব টোকিও
· কিয়োটো ইউনিভার্সিটি
· ওসাকা ইউনিভার্সিটি
· টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
· তোহোকু ইউনিভার্সিটি
· কিউশু ইউনিভার্সিটি
· নাগোয়া ইউনিভার্সিটি
· হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি
· ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন বিষয়গুলো-
· প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
· ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা
· ডেটা সায়েন্স
· কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
· কম্পিউটার সায়েন্স
· স্থাপত্য
· অর্থনীতি
· হেল্থকেয়ার ও মেডিসিন
· পরিবেশ বিজ্ঞান
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত স্প্রিং, সামার, এবং ফল- এই তিনটি মৌসুমে ভর্তি নিয়ে থাকে। প্রথমে আবেদন, অতঃপর প্রবেশিকার পরীক্ষা- এই দুটি ধাপে পুরো ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
আবেদন
এই ধাপে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এখানে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড এবং আবেদন ফি পরিশোধ করে আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। এ সময় শুধুমাত্র গৃহীত কাগজপত্রের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে যে বিষয়গুলোতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় সেগুলো হলো-
· ইজেইউ স্কোর
· জেএলপিটি স্কোর
· আইইএলটিএস/টোফেল (আইবিটি) স্কোর
প্রবেশিকা পরীক্ষা
এই দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ সনদপত্র এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· স্নাতক সনদ
· প্রবেশিকা পরীক্ষার স্কোর (ইজেইউ, জেএলপিটি)
· ইংরেজি প্রোগ্রামের জন্য আইইএলটিএস, টোফেল আইবিটি স্কোর
· রিকমেন্ডেশন লেটার
· স্টেটমেন্ট অব পার্পাস বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· কমপক্ষে ১ বছরের মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট
· ৪ থেকে ৬টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· টিউশন এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার প্রমাণস্বরূপ আর্থিক নথিপত্র
· পেশাগত যোগ্যতার সনদ (এমবিএর ক্ষেত্রে)
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
জাপানে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন যেভাবে
ভিসা আবেদনে যাওয়ার পূর্বে উপরোক্ত নথিগুলো দিয়ে সার্টিফিকেট অব ইলিজিবিলিটি বা সিওইর জন্য আবেদন করতে হবে। এই নথিটি মূলত জাপানের আঞ্চলিক ইমিগ্রেশন ব্যুরো থেকে শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়।
সার্টিফিকেট অব ইলিজিবিলিটি
এই সনদটি হলো এক প্রকার যোগ্যতার শংসাপত্র। এটি জাপানে প্রার্থীর অভিবাসনের উদ্দেশ্যকে সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে আবেদনকে আরও যৌক্তিক করে তোলে।
ইমিগ্রেশন ব্যুরো থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রার্থীকে এই সিওই পাঠানো হয়। এই সিওই ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে তা ভিসার আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
জাপানের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের জন্য https://www.mofa.go.jp/files/000124525.pdf-এই লিংকের ফর্মটি ডাউনলোড করে তা পূরণ করতে হবে। তারপর প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে কনসুলেটর অফিসে যেয়ে আবেদন জমা দিতে হবে। এছাড়া জাপানের ভিসা আবেদনের জন্য সরাসরি কোনো অনলাইন পদ্ধতি নেই।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· সম্পূর্ণ পূরণকৃত স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনপত্র
· অনুলিপিসহ বৈধ পাসপোর্ট
· ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ ইঞ্চি X ১ দশমিক ৪ ইঞ্চি), যেটি অবশ্যই বিগত সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা হতে হবে
· সিওই (জাপানি সরকারি স্কলারশিপপ্রাপ্তদের জন্য প্রয়োজন নেই)
· জাপানি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির চিঠি
· বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· আর্থিক সক্ষমতার প্রত্যয়িত নথি: এক বছরের জন্য সর্বনিম্ন ২০ লাখ ইয়েনের (১ জাপানিজ ইয়েন = ০ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা হিসাবে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৩ টাকা) ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে
· স্কলারশিপ বা স্পন্সরশিপ থাকলে তার প্রমাণপত্র
· স্বাস্থ্য বীমা: প্রতি বছরের জন্য সর্বনিম্ন ২০ হাজার ইয়েন (১৬ হাজার ৯০৫ টাকা)
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· অধ্যয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অর্থপ্রদানের রশিদ
· এয়ারলাইন বুকিং স্লিপ
সিওই প্রাপ্তির পর তা আবেদনপত্র ও উপরোক্ত কাগজপত্রের সাথে একত্রে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। তবে যাওয়ার পূর্বে প্রথম কাজ হলো ভিসা কেন্দ্রের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া।
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং ও আবেদন জমা
আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্র জমা এবং সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হলে consular@dc.mofa.go.jp-এই ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। ই-মেইলের সংযুক্তি হিসেবে (https://www.bd.emb-japan.go.jp/files/100472248.xlsx)-এই ফর্মটি পূরণ করে দিতে হবে।
জাপানি ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ঠিকানা: জাপান দূতাবাস, বাংলাদেশ, প্লট নং ৫ ও ৭, দূতাবাস রোড, বারিধারা, ঢাকা।
ভিসা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার সময় রবি থেকে বৃহস্পতিবার যে কোনো দিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা ৫০-এর মধ্যে। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার চলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আবেদনের যাবতীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার পর ভিসা অফিস থেকে একটি রশিদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভিসা সংগ্রহের সময় এই রশিদটি সঙ্গে নিয়ে আসতে হয়।
আরো পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মেয়াদ, ফি ও ভিসা সংগ্রহ
সাক্ষাৎকারের দিন থেকে থেকে সাধারণত ৫ কর্মদিবস পরে ভিসা সরবরাহের নিয়ম। তবে সিওইসহ ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিতে ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার জন্য ফি ৩ হাজার ইয়েন (২ হাজার ৫৩৬ টাকা) ও ডাবল-এন্ট্রির জন্য ৬ হাজার ইয়েন (৫ হাজার ৭২ টাকা)।
ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট বিতরণের সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। এ সময় পাসপোর্টসহ জমাকৃত সব মূল কাগজ ফেরত দেওয়া হয়।
প্রার্থী ভিসা কেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হতে অপারগ হলে তার মনোনীত ব্যক্তিকে পাঠাতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির সঙ্গে আসল প্রার্থীর বৈধ স্বাক্ষরসহ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি চিঠি ও আবেদনের রশিদ থাকা আবশ্যক।
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
জাপানে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার সম্ভাব্য খরচ
এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্নাতক প্রোগ্রামগুলোতে অধ্যয়ন ফি সাধারণত গড়ে ১২ লাখ ৪০ হাজার ইয়েন থেকে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন। এই মূল্য প্রায় ১০ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৮ থেকে ২৩ লাখ ৯২ হাজার ১৪৬ টাকার সমতূল্য। মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪৪ লাখ ইয়েন, যা ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৬০১ থেকে ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ২৩৮ টাকার সমান। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য খরচ হতে পারে ১৯ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়েন (১৬ হাজার ৬০ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৪৩৪ টাকা)।
জাপানের জীবনযাত্রায় আবাসনের খরচ শহরভেদে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। টোকিও শহরে মাসিক বাসা ভাড়া গড়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ইয়েন (১ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৬ টাকা) এবং ওসাকাতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ইয়েন (১ লাখ ১৪ হাজার ১১৩ টাকা)। কিয়োটোতে থাকার জন্য বাজেট রাখতে হবে ১ লাখ ১৮ হাজার ইয়েন বা ৯৯ হাজার ৭৪৩ টাকা এবং ফুকুওকার জন্য ১ লাখ ৫ হাজার ইয়েন তথা ৮৮ হাজার ৭৫৫ টাকা।
টোকিওর মতো ব্যস্ততম শহরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বাইরে থাকাটা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিগুলোতে এক রুমের জন্য প্রতি মাসে দিতে হয় প্রায় ১২ হাজার ইয়েন (১০ হাজার ১৪৩ টাকা)।
এছাড়া বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের মুদি ও খাবারের জন্য মাসিক বাজেট রাখতে হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার ইয়েন। এই মূল্য প্রায় ২৫ হাজার ৩৫৮ থেকে ৩৩ হাজার ৮১১ টাকার সমতুল্য। স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো মাসে ২ থেকে ৩ হাজার ইয়েনের (১ হাজার ৬৯১ থেকে ২ হাজার ৫৩৬ টাকা) মধ্যে পাওয়া যায়। ইউটিলিটির জন্য খরচ সাধারণত প্রায় ১০ হাজার ইয়েন অথবা ৮ হাজার ৪৫৩ টাকা। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ছাত্রদের জন্য মাসিক পাস ফি প্রায় ৫ হাজার ইয়েন (৪ হাজার ২২৬ টাকা)।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ
জাপানে স্কলারশিপের সুযোগ
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে যারা ন্যূনতম ৬৫ শতাংশের অধিক ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের জন্য জাপানে রয়েছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। পিএইচডি ছাড়াও অন্যান্য পর্যায়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের ওপর এই স্কলারশিপগুলো দেওয়া হয়।
এর মধ্যে জাপানের সরকারি স্কলারশিপে টিউশন ফি ও রাউন্ড ট্রিপের বিমান ভাড়ার পাশাপাশি ১ লাখ ৪৪ হাজার ইয়েনের মাসিক উপবৃত্তি পাওয়া যায়। বাংলাদেশি টাকায় এটি ১ লাখ ২১ হাজার ৭২১ টাকার সমান।
জাপান স্টুডেন্ট সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন স্কলারশিপের আওতায় রয়েছে ২৭ থেকে ৪২ হাজার ইয়েন (২২ হাজার ৮২৩ থেকে ৩৫ হাজার ৫০২ টাকা) মাসিক উপবৃত্তি।
জেটি এশিয়া স্কলারশিপ শুধুমাত্র মাস্টার এবং ডক্টরাল শিক্ষার্থীদের ২ বছরের জন্য প্রতি মাসে পরিমাণ ১৫ লাখ ইয়েন (১২ লাখ ৬৭ হাজার ৯২২ টাকা) উপবৃত্তি দেয়।
সাতো ইয়ো ইন্টার্ন্যাশনাল স্কলারশিপ পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো জাপানি ভাষায় দক্ষ হওয়া। এখানে স্নাতক স্তরের প্রার্থীদের জন্য প্রতি মাসে বরাদ্দ থাকে ১৫ লাখ ইয়েন (১২ লাখ ৬৭ হাজার ৯২২ টাকা)। স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা পান ১৮ লাখ ইয়েন, যা প্রায় ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫০৬ টাকা।
আইচি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অধ্যয়ন ফি ও ভ্রমণ খরচের সঙ্গে থাকে ১৫ লাখ ইয়েনের (১২ লাখ ৬৭ হাজার ৯২২ টাকা) মাসিক উপবৃত্তি।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
জাপানের স্টুডেন্ট ভিসার আওতায় খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ থাকে না। এর জন্য ইমিগ্রেশন অফিসে পৃথকভাবে পার্ট-টাইম ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। অবশ্য এর আগের কাজ হচ্ছে ভর্তি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি রেসিডেন্ট কার্ড সংগ্রহ করা। এই কার্ডটি পরবর্তীতে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পাওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য প্রয়োজন হয়। পার্ট-টাইম ওয়ার্ক পারমিটে সেমিস্টার চলাকালীন সপ্তাহভিত্তিতে ২৮ ঘণ্টা এবং ছুটির সময়ে ৪০ ঘণ্টা কাজ করা যায়।
এই চাকরিগুলোর মধ্যে কনভেনিয়েন্স স্টোর স্টাফদের মজুরি ঘণ্টাপ্রতি ১ হাজার ২০০ ইয়েন (১ হাজার ১৪ টাকা) এবং রেস্তোরাঁ বা ক্যাফে স্টাফদের ১ হাজার ইয়েন (৮৪৫ টাকা)। আইটি সাপোর্ট কর্মীদের পারিশ্রমিক ২ হাজার ৪০০ ইয়েন (২ হাজার ২৯ টাকা) এবং ফুড ডেলিভারিতে পাওয়া যায় ১ হাজার ৫০০ ইয়েন (১ হাজার ২৬৮ টাকা)। গবেষণা সহকারীদের মজুরী ২ হাজার ২০০ ইয়েন (১ হাজার ৮৬০ টাকা) এবং লাইব্রেরি সহকারীদের ১ হাজার ৮০০ ইয়েন (১ হাজার ৫২২ টাকা)।
এই চাকরিগুলো থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ইয়েন (১ লাখ ৫ হাজার ৬৬০ টাকা) আয় হয়। এগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ আয়ের চাকরি হলো ইংরেজি টিউটর বা ভাষা প্রশিক্ষক, যেখানে ঘণ্টা প্রতি ৩ হাজার ৫০০ ইয়েন (২ হাজার ৯৫৮ টাকা) পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পরিমিত জীবনযাত্রার খরচ
জাপানের ব্যয়বহুল শহরগুলোতে থাকার সেরা উপায় হলো পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনধারণে অভ্যস্ত হওয়া। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রাবাস বা শিক্ষার্থী বা স্থানীয় পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করা থাকা। এতে করে বড় শহরগুলোতে চলাফেরার ক্ষেত্রে মাসিক বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি ও খাবার কেনার জন্য ডিসকাউন্ট স্টোরগুলোতে কেনাকাটা করা উচিত। যেমন ডন কুইজোট (ডনকি) ও ডাইসোর মতো স্টোরগুলোর পণ্য যথেষ্ট সাশ্রয়ী। অনেক রেস্তোরাঁ ও দোকান শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ছাড়ের ব্যবস্থা রাখে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে গণপরিবহন ব্যবহার করা উত্তম। পাবলিক বাস বা ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে মাসিক পাসগুলো বাজেট বাঁচানোর ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। এছাড়াও বিভিন্ন উপলক্ষগুলোতে জেআর পাসের মতো ডিসকাউন্ট ভ্রমণ পাস ব্যবহার করা যেতে পারে। দৈনন্দিন অল্প দূরত্বের জায়গাগুলোতে যাতায়াতের জন্য সাইকেল ব্যবহার করাটা দীর্ঘ মেয়াদে লাভজনক হতে পারে।
শেষাংশ
জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানি ভাষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। পড়াশোনায় স্কলারশিপপ্রাপ্তি এবং পার্ট-টাইম চাকরির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির অফার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে ইজেইউ পরীক্ষার উচ্চ স্কোর। এই অর্জন সিওই পাওয়াটাকেও সহজ করে তুলতে পারে, যা কম সময়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য অতীব জরুরি। সর্বসাকুল্যে, এই পদক্ষেপগুলো অধ্যয়নের পাশাপাশি এশিয়ার উন্নত জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা পেতে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
২১০ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে সারাহ কুকের সাক্ষাৎ, জলবায়ু পরিবর্তন-জ্বালানি রূপান্তর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
এর আগে জাপান দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে অগ্রসর হবে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান 'কৌশলগত অংশীদারত্বের' আওতায় জাপান বলে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবর্তন প্রক্রিয়ার পাশে থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যৌথ কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত রাশিয়ার
২৩৮ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘জাপানের বিভিন্ন খাত, বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। তাই এসব খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে চায় দেশটি।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরিয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১২ ক্যাটাগরিতে ওমানে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) জাপানি ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপানি ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ শিগগিরই সাজাতে সক্ষম হব।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আরও আন্তরিক ও স্মার্ট সেবা প্রদান করা হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর বৈঠক মঙ্গলবার
২৭৪ দিন আগে