জাপান
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাপানের রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্যাম্প পরিদর্শনে যান তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রদূত একটি ই-ভাউচার আউটলেট, একটি জীবিকা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন কেন্দ্র এবং কুতুপালংয়ের একটি শিক্ষা কেন্দ্র এবং ক্যাম্প ৪ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাপানি অভিনেত্রী সাহেল রোজ।
শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
২০১৭ সালের আগস্টে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে, কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসান চরে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে জাপান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫২ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি আমার পঞ্চম সফর, এবং আমি আইএসসিজি, ডব্লিউএফপি, ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই সফরের আয়োজন করেছে। সাহেল রোজও এই সফরে এসেছেন। আমি আশা করি তিনি ক্যাম্পে যা দেখেছেন তা জাপানের লোকদের কাছে জানাবেন।’
তিনি আরও বলেন, এই সংকটের ছয় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এই সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিনিয়োগের সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আমাদের বিদ্যমান পর্যটন অকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণে জাপানি বিনিয়োগ একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠককালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্ব বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত উন্নয়ন অংশীদার। জাপান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে জাপান আনন্দিত। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা চমৎকার।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুতই তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ অপারেশন শুরু করা যাবে। পাশাপাশি বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট ইতোমধ্যে জাপানের যাত্রীদের মধ্যে ইনফ্লাইট সেবা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পর্যটনে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে জাপান তা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, এভিয়েশনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে দুই দেশ একত্রে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজানে ইফতার পার্টি না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ১৭৫০০ করোনা শনাক্তকারী কিট দিয়েছে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছেন।
জাপান সরকার ও এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) পরিচালিত স্টকপাইল প্রকল্পের অধীনে এই টেস্টিং কিটগুলো সরবরাহ করা হয়।
জাপান সরকার, বাংলাদেশ সরকার, বিডিআরসিএস এবং আইএফআরসিকে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য নতুন বিস্তার হওয়া সংক্রামক রোগের (ইআইডি) প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতিতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
‘কোভিড-১৯ এবং নতুন করে হওয়া অন্যান্য সংক্রমণ রোগের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার মোট ১৭ হাজার ৫০০টি টেস্টিং কিট হস্তান্তর করা হয় যেগুলো অন্তত ১৭ হাজার ৫০০ বাংলাদেশির কাছে পৌঁছানো হবে।
জাপান সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির নাম কোভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো অন্যান্য রোগের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের মাধ্যমে দেশটিতে রোগগুলোর মাত্রা হ্রাস করা হবে।
এর আগে সোমবার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডিআরসিএসের মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আইএফআরসির প্রতিনিধিদলের প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা, ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ ডিজিএইচএসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
জাপান ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য ২০২০ সাল থেকে ৭৫ বিলিয়ন জাপানি মুদ্রা দিয়ে কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমার্জেন্সি সাপোর্ট লোনও চালু করে।
এছাড়া জাপান জানিয়েছে, মানব নিরাপত্তার জন্য হুমকি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ‘কারো স্বাস্থ্যকে পিছিয়ে না রাখার’ নীতির ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: উপহার হিসেবে চীন থেকে ভ্যাকসিনের ৬ষ্ঠ চালান পেয়েছে বাংলাদেশ
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে পাঠানো শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘ঢাকার একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
ইয়োকো কামিকাওয়া বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তার বার্তায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা এবং তাদের প্রিয়জনদের হারানোর জন্য শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মহার ২০২৩ সালে, কমেছে বিয়ের হারও
জাপানে টানা অষ্টম বছরের মতো গত বছর শিশুর জন্মহারের সংখ্যা কমে নতুন করে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত সরকারি তথ্যে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
দেশেটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ছয় বছরে এই প্রবণতা বিপরীতমুখী করা দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে জাপানে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১ শিশুর জন্ম হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। ১৮৯৯ সালে জাপান এই পরিসংখ্যান সংকলন শুরু করার পর থেকে এটিই সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় বিয়ের সংখ্যা কমেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮১ দম্পতিতে দাঁড়িয়েছে, যা বিগত ৯০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অর্ধ মিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে। এটি শিশু জন্মহার কমার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে পিতৃতান্ত্রিক ঐতিহ্যের উপর ভিত্তিতে এবং পারিবারিক মূল্যবোধের কারণে জাপানে বিবাহবহির্ভূত সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিরল।
জরিপে দেখা গেছে, অনেক তরুণ জাপানিরা বিয়ে বা পরিবার গঠনে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে চাকরির সম্ভাবনা কম থাকায় তারা নিরুৎসাহিত হন। এছাড়া আয়ের চেয়ে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া এবং কর্পোরেট সংস্কৃতি- যা বাবা-মা উভয়েরই কাজ করার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কারণও উল্লেখযোগ্য। এমনকি কান্নাকাটি করা শিশু এবং শিশুদের বাইরে খেলাধুলা করা ক্রমবর্ধমানভাবে একটি উপদ্রব হিসাবে বিবেচিত হয় তাদের কাছে। এর বাইরে অনেক তরুণ বাবা-মা বলেন যে তারা প্রায়শই বিচ্ছিন্ন বোধ করেন।
চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, চলমান নিম্নগামী জন্মহার 'সংকটজনক অবস্থায়' রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আগামী ছয় বছর বা ২০৩০ সাল পর্যন্ত তার বেশি সময় তরুণ জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করবে, তখন আমরা এই প্রবণতা বিপরীত করতে সক্ষম হতে পারি। 'নষ্ট করার মতো সময় নেই।'
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নিম্ন জন্মদানকে 'জাপানের সবচেয়ে বড় সংকট' বলে অভিহিত করেছেন এবং একটি প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন যার মধ্যে বেশিরভাগ প্রসব, শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য আরও সহায়তা এবং ভর্তুকি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবার আপিল খারিজ, জাপানি ২ শিশু থাকবে মায়ের জিম্মায়
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সরকারের এই প্রচেষ্টা কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে তারা সন্দিহান। কারণ, এখন পর্যন্ত তারা মূলত এমন লোকদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে যারা ইতোমধ্যে বিবাহিত বা ইতোমধ্যে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে বিয়েতে বা পরিবার গঠন করে সন্তান নিতে অনাগ্রহী তরুণদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে যথেষ্টভাবে সম্বোধন করা হয়নি ওই প্রণোদনা কর্মসূচিতে।
জন্মহারের সংখ্যা বিগত ৫০ বছর থেকে কমছে। এই সংখ্যাটি প্রায় ২১ লাখে পৌঁছেছিল। বার্ষিক সংখ্যা ৭ লাখ ৬০ হাজারের নিচে নেমে আসার ঘটনা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে দ্রুত ঘটেছে, যা ২০৩৫ সালের মধ্যে ঘটার কথা ছিল।
২০৭০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমে জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৫০ লাখের বেশি থেকে ৮ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স হবে ৬৫ বা তার বেশি।
অন্যদিকে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা মোকাবিলায় দেশটি তার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করায় অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি নিম্নমুখী এবং বয়স্ক জনসংখ্যার ব্যাপক চাপে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে জন্মহার কমলেও জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ছাড়াল
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জাপান আরও জোরদার করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি গ্রাম, একটি পণ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে কাজ করছে। এ কর্মসূচি সফল করতে জাপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ ও সহযোগিতার আশা দিয়ে বলেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৪’ আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আশা করছি।
এসময় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
জাপানি ২ শিশুর বিষয়ে যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
জাপানি দুই শিশুর মধ্যে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে করা রিভিশন আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়টি দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবেন। জাপানি মা ও তাদের বাংলাদেশি বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, নাসিমা আক্তার লাভলী।
নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বড় মেয়ে তাকবে মায়ের কাছে। মেঝে মেয়ে থাকবে বাবার কাছে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ছোট মেয়ে জাপানে আছে, সেটা মামলার বিষয়বস্তু না। তার ব্যাপারে হাইকোর্ট কিছু বলেননি।
এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান।
শিশুদের নিজ হেফাজতে নিতে বাবা ইমরান শরিফের করা আবেদন খারিজ করে ওই রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন ইমরান শরিফ।
পরে গত বছরের ১৬ জুলাই দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফের করা আপিল খারিজ করে দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে ইমরান শরিফ। যে আবেদনের ওপর আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য জাপানের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
জাপান সরকারের পাঠানো মিশনটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবে মাসাতোর নেতৃত্বে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন বাইরের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাস জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ ও গণনা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মিশনটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে মতবিনিময় ও তথ্য বিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে জাপানের সহযোগিতার অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাচ্ছে দেশটি।
বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় সোমবার (১ জানুয়ারি) দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ইশিকাওয়া ও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেগুলোর একটির রিখটার স্কেলের পাঠ ছিল ৭ দশমিক ৬।
সংস্থাটি ইশিকাওয়া অঞ্চলের জন্য বড় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। তবে হোনশু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের বাকি অংশের জন্য নিম্ন স্তরের সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, সুনামির সতর্কতা নেই
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
২০২৩ সালে জাপানে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি
জাপান সরকার ৩ বছরে প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি।
জাপানের সংবাদপত্র আসাহি শিম্বুন বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে, ৩ জনের অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে মৃত্যু এবং আরও ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এ বছর চূড়ান্ত হওয়াসহ বর্তমানে জাপানে ১০৬ জন বন্দি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত।
বন্দিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে না।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৬ জুলাই তোমোহিরো কাতোকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। যিনি ২০০৮ সালে টোকিওর আকিহাবারা জেলায় হামলায় ৭ জনকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
আরও পড়ুন: মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৬০ জন নিহত
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ জন নিহত