রবিবার দুপুরে নগরীর দরগাহ গেটের একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে সিসিকের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এই বাজেট ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত বাজেটে আয়ের সমপরিমাণ ব্যয়ও ধরা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণা করেন সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ন ও নাগরিকদের অধিকতর সুবিধা ও সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণে এবার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজেটের উল্লেখযোগ্য আয়ের খাতগুলো হলো- হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ০৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর কর ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুননির্মাণের ওপর কর ২ কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার ওপর কর ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের ওপর কর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগের ফি এক কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপন অনুমোদন ও নবায়ন ফি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রভৃতি।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য ব্যয়ে খাতের মধ্যে রাজস্ব খাতে ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, রাজস্ব খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন বাবদ ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ২০ কোটি টাকা, সরকারি মঞ্জুরি খাতে ১০ কোটি টাকা, অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা, নগরীর ১১ টি ছড়া সংরক্ষণ ও আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ৩৪ কোটি টাকা, ভারতীয় অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা জমি অধিগ্রহণ ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, দক্ষিণ সুরমা শেখ হাসিনা শিশু পার্কে রাইড স্থাপন প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অন্যন্য কাজে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৭৪ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড নির্মাণ প্রকল্প বাবদ ৫০ কোটি টাকা, আইসিটি ভবন নির্মাণ, ধোপাদিঘীতে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ ৭৪ কোটি টাকা প্রভৃতি।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।