বাজেট
'স্মার্ট বাংলাদেশের' পথ প্রশস্ত করেছে গত দেড় দশকের প্রবৃদ্ধি
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক এক বাজেট নথিতে এই তথ্য উল্লেখ করে দেশের সামাজিক, আর্থিক ও ভৌত অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।’
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচন
গত দেড় দশকে বাংলাদেশ একটি গতিশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মোট জাতীয় আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে মাথাপিছু আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ৩৩তম অবস্থানে আছে।
এসময়কালে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, চরম দারিদ্র্যের হার কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধা পাচ্ছে এবং ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে।
দেশের গড় আয়ু এখন ৭২.৮ বছর। এছাড়া শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২১ জন এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬১ জনে নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সম্প্রসারণ
গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছয়গুণ বেড়ে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, যার ফলে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে শতভাগ জনসংখ্যা। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের গ্রাহকও বেড়েছে চারগুণ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিবহন অবকাঠামোতেও উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ দেখা গেছে। জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় তিনগুণ বেড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার থেকে ৩২ হাজার ৬৭৮ কিলোমিটার হয়েছে। গ্রামের সড়কগুলো ৭৬ গুণ বেড়ে ৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার থেকে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৬ কিলোমিটারে প্রসারিত হয়েছে।
পাশাপাশি রেলপথ ৫০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৫৬ কিলোমিটার থেকে ৩ হাজার ৪৮৬ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় অগ্রগতি
গত দেড় দশকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখা গেছে স্বাস্থ্য খাতে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ৭১ হাজার। সরকারি ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে যথাক্রমে ৩০ হাজার ১৭৩ জন এবং ৪৪ হাজার ৩৫৭ জন।
অন্যদিকে নার্সিং কলেজের সংখ্যা ৩১টি থেকে বেড়ে ৯৯টি হয়েছে আর ১৪ হাজার ৩১১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
বাজেট নথিতে শিক্ষায়ও আকর্ষণীয় অর্জনের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। সাক্ষরতার হার ২০০৬ সালে ছিল ৪৫ শতাংশ যা বেড়ে ২০২৩ সালে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৮ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কৃষি ও ডিজিটাল খাতে রূপান্তর
গত দেড় দশকে কৃষিখাতে উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শস্য উৎপাদন ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে ৪ কোটি ৯২ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে মাছচাষ ২১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন থেকে ৫৩ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদনও যথাক্রমে প্রায় দ্বিগুণ ও তিনগুণ হয়েছে।
এছাড়াও এসময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ঘটেছে ডিজিটাল বিপ্লব। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সক্রিয় মোবাইল ফোনের সিম প্রায় দশগুণ বেড়ে ১ কোটি ৯০ লাখ থেকে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ হয়েছে। সরকারি ডিজিটাল সেবার সংখ্যা ৮ থেকে ৩ হাজার ২০০টিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সরকারি ওয়েবসাইট ৯৮টি থেকে বেড়ে বর্তমানে ৫২ হাজার ২০০টি।
আইসিটি পণ্য ও সেবার রপ্তানি মূল্য ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে আইটি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ২০০ থেকে বেড়ে ৬ লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যার সুবাদে বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারদের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাসস্থল বাংলাদেশ।
৪ মাস আগে
স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নতুন অর্থবছরের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে অনুমোদিত বাজেট স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার(১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে বাজেট বাস্তবায়নে সবাই অত্যন্ত সতর্কতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মনোযোগী হয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়।
এছাড়া পদ্মা সেতু অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি (পিএলসি) গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে।
বোর্ডের অর্গানোগ্রাম ঠিক করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতু বিভাগ ও অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে কোম্পানির ১৪ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে।
বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুর টোল সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রস্তাবিত কোম্পানি দায়িত্ব নেবে।
এছাড়া মাদারীপুরের শিবচরে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০১৪ -এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইসিটি বিভাগ 'শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' নামে এটি স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত আইনটি উত্থাপন করলেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার নাম ব্যবহারের অনুমতি দেননি।
তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের মূল উদ্দেশ্য আইসিটি সম্পর্কিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা।
মন্ত্রিসভা কিছু পর্যবেক্ষণসহ রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭ খসড়াও অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে : প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আয়োজিত বাজেটোত্তর নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩০ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন টেবিল ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ ও সংসদ সদস্যরা।
এছাড়াও নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
৫ মাস আগে
বাজেট এখনও পাস হয়নি, অনেক কিছু সংশোধন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাসের আগে সরকার বাজেট নিয়ে সব ধরনের বাস্তবসম্মত সমালোচনা ও পরামর্শ বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা সব মতামত বিবেচনায় নিচ্ছি। বাজেটে যেগুলো বাস্তবসম্মত ও সমাধানযোগ্য সেগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ বাজেট এখনো পাস হয়নি।’
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে 'বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল বিবৃতি দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে। তিনি বলেন, 'আমি তাদের বলব, আমাদের অর্থনীতি ও বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কী বলছে তা দেখুন।’
তিনি বলেন, 'বাজেট নিয়ে আরও কিছু বলার আছে, বিশ্বব্যাংক বলেছে এটা ভালো। আমার টাকা দরকার, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। তা না হলে আপনারা (সমালোচকরা) আমাকে টাকা দিন।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫টি প্রস্তাবের সবগুলোই উপেক্ষা করায় ক্ষুব্ধ বাজুস নেতারা
অর্থমন্ত্রী সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, কেউ কেউ বলেন সরকার দেউলিয়া, কিন্তু দেউলিয়া মানে কী? ‘আমরা দেউলিয়া নই। বিশ্বব্যাংক কিছু বোঝে না, আপনারা সব বোঝেন?'
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দেখুন এবং এটি বোঝার চেষ্টা করুন। এই বাজেট জনবান্ধব বাজেট। কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিক-নির্দেশনা নেই: নাগরিক প্ল্যাটফর্ম
৬ মাস আগে
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবে সমর্থন প্রধানমন্ত্রীর
বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে কালো টাকা বৈধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নামমাত্র পরিমাণ অর্থ (ট্যাক্স) দিয়ে প্রথমে যথাযথ জায়গায় (ব্যাংকিং চ্যানেলে) টাকা আসতে দিতে হবে এবং তারপর নিয়মিত কর দিতে হবে। মাছ ধরতে গেলে আগে টোপ দিতে হবে।’
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে কালো টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে এটি আইনি করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, এটা ঠিক নয়, বরং আসল কথা হলো সবকিছুর দাম বেড়েছে এবং এক কাঠা জমির মালিক কোটিপতি। কিন্তু কেউই সরকারি দামে জমি বিক্রি করে না বরং বেশি দামে বিক্রি করছে। তাই জমি বিক্রি করে পাওয়া বাড়তি টাকা ব্যাংকে রাখে না।
আরও পড়ুন: যেসব দেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা, অথচ তার সরকার এবার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাজেটে কিছু মৌলিক দাবির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও স্থানীয় শিল্প এবং সামাজিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমিত আয়ের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে কষ্ট পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দারিদ্র্য বিমোচন ও শিশুদের স্বাস্থ্য-শিক্ষায় অর্থ সরবরাহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সীমিত আয়ের মানুষের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করেছি, যাতে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারে। যারা হতদরিদ্র তাদের আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।'
এছাড়া সরকার ১৫০টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জনগণকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণত প্রতি বর্ষা মৌসুমে পণ্যের দাম বেশি থাকে। এটা মাথায় রেখেই আমরা ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করব।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, বিশেষ করে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর জন্য এটি প্রয়োজন।’
বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ঘাটতি রাখা হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও বাজেট ঘাটতি এর চেয়ে বেশি।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে একটি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকার শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
‘মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য ৬ মাস অপেক্ষা করুন’: বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে দেশবাসীকে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সবকিছু করছে এবং বাজেটে গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখে জাতীয় বাজেটের আকার কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ, ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। কিন্তু সরকার দুই বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরবর্তী দশকে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে।’
আপাতত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা আরও কী করতে পারি তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ছাড়া বাকিরা সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন। গভর্নর অংশ নিলে সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন বর্জন করবেন বলে জানান। এরপর তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না, অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়ন হার ৯২-৯৭%: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না। অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) সংসদে প্রায় ৮ লাখ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়, বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেননা। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।’
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আবার যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন, তারা কোনো কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী এটা তো বোঝানো যায় না। সেজন্য সবকিছুতে ভুল ধরা উনাদের অভ্যাস। সেজন্যই তারা বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নরেযাগ্য নয়। সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র হত্যাকারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দরিদ্রতা ও অতিদরিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরও বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।’
সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ, সমাজকে পথ দেখায়, সমাজের অনুম্মোচিত বিষয়গুলো উম্মোচিত করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। তবে অনেকসময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমনভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএ’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
কালো টাকা সাদা করার বাজেট প্রণয়ন অসাংবিধানিক ও দুর্নীতিবান্ধব: টিআইবি
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনায় নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক বিবৃতির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিল করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবি জানায়, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এই ব্যবস্থা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি গড়ে তুলবে। ঘোষিত অর্থ ও সম্পদের ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখা দেশে দুর্নীতিবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করা হবে বলে জানায় এ সংস্থা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “‘ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম বা ডিভিএস’ চালু করার ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ ঘোষণায় আইনি জটিলতা এবং করদাতাদের অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে যেভাবে ‘অপ্রদর্শিত অর্থে’ ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা জমি কেনা বৈধ করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হলো- তা সত্যিই হতাশার।”
কালো টাকা সাদা করার সুযোগের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ করের বিধান বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘বিষয়টি একজন সুনাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, একইসঙ্গে তা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ প্রক্রিয়ায় নৈতিক আপস করে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘শুভবুদ্ধি, দূরদৃষ্টি, সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেবে- এমনটাই আশা।’
এছাড়াও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে কালো টাকার মালিকদের সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের মাধ্যমে কার্যকর জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
৬ মাস আগে
বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
ঢাকা, ৬ জুন (ইউএনবি)-মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এ সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়টি স্পষ্ট না করায় ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্য ১৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২০২৩ সালের শুরুর দিক থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) ভ্যাট আরোপের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের ভ্যাট কমিশনার শওকত আলী।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও এনবিআরের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখার ঘোষণা দেয় এনবিআর।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রীর এ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হবে এবং মেট্রোরেলের টিকিটের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না এলে নির্ধারিত সময় শেষে ভাড়া বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
৬ মাস আগে
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত লুটেরাদের নতুন পরিকল্পনা এটি।
তিনি বলেন, ‘সরকার লুটেরা হয়ে গেছে। লুণ্ঠনকে আরও প্রশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে লুটেরাদের এই বাজেট। আমি বিশ্বাস করি, বাজেটে (জনগণের অর্থ) আত্মসাতের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকা।
তিনি বলেন, ‘পুরো বাজেটটিই মনে হয় মেগা প্রকল্প, মেগা চুরি, দুর্নীতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে আমি শুধু তথাকথিত গণবিরোধীই বলছি না, বাংলাদেশবিরোধীও বলছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত ব্যয় রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা কেবল জনদুর্ভোগকেই তীব্রতর করবে এবং তাদের বোঝা বাড়িয়ে তুলবে।
সরকার ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট কাটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ বা অনুদান নেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করতে হবে জনগণকেই। তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও সেবাখাতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে অদূর ভবিষ্যতে সেবাখাতের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
৬ মাস আগে