সিসিক
সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর গ্রেপ্তার
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) র্যাব-৯’র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে এসএমপির মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাতিজা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মতিউর রহমান (৫০) সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর এলাকার মৃত নশিদ আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৭ অক্টোবর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পলাতক ছিলেন তিনি।
গ্রেপ্তার আসামিকে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
১ সপ্তাহ আগে
বন্যা মোকাবিলায় সিসিকের হটলাইন নম্বর চালু
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিলেট সিটি করপারেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়া বন্যাকবলিতদের সহায়তায় হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে সিসিকের নগর ভবনের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সিসিক মেয়র বলেন, ‘চলমান বন্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিটি করপোরেশন কতৃর্পক্ষ। প্রধানমন্ত্রীও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’
তিনি জানান, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবারসহ ওষুধ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। দুর্গত এলাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে নগর ভবন। বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ডুবেছে সিলেটের সব উপজেলা, ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘বন্যায় আতঙ্কিত না হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন। যাদের বাসার বৈদ্যুতিক লাইন পানির নিচে ডুবে গেছে, তারা স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়ে সিটি করপোরেশনের সহায়তা নিন।’
এসময় জরুরি প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নম্বরে (০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি জানান, দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমাজের বৃত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, সন্ধ্যা ৭টায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বিশেষ সভা করে সিটি করপোরেশন পরিষদ। সভায় বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয়, পানিবন্দিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা এবং ত্রাণ সহায়তা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।
তার আগে, মঙ্গলবার বিকালে নগরীর বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র রক্ষায় সেনাবাহিনীর একটি টিম নিয়ে বন্যাকবলিত কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বন্যা, হু হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানি
৫ মাস আগে
সিসিকের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগর ভবনের মেয়রের কার্যালয়ে দায়িত্ব নেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা রক্ষায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
এদিকে, নগরভবনে মেয়রের কার্যালয়ে বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হাতে দায়িত্ব তুলে দেন।
এসময় বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান এবং নগরীর উন্নয়নে সবসময় তার সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখার ঘোষণা দেন।
জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়ে তার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বিদায়ী ও নবনির্বাচিত মেয়রবৃন্দের স্ত্রী-সন্তানেরা এবং সিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ৫ মেয়রপ্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
১ বছর আগে
সিলেটে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ আবদুল্লাহ কারাগারে
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আবদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন নবর্নিাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ আব্দুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এর পক্ষে থাকা আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন জানান, সিসিক নির্বাচনকালীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান গত ১২ জুন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছিলেন বলে জানা যায়।
আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জামিন বাতিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এই শুনানি শেষে সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহসহ তাদের সকলের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন খানের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজাল জানান, দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারার মামলায় সায়ীদ আব্দুল্লাহসহ ১১ জন উচ্চ আদালত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডাইরেকশনে ছিলেন।
আদেশ মোতাবেক আসামিরা সিলেট মহানগর দায়রা জজের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান।
সায়ীদ আবদুল্লাহ ছাড়াও একই মামলায় যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো. মোবারক হোসাইন, জীবন, ফরিদ মিয়া, রাজন আহমদ। এরা সবাই নগরীর ৭ নং ওয়ার্ডের বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- নগরীর বনকলাপাড়া এলাকার সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ (৩৬), কাজী মিজান (২৯), শাহীন (৩০) রাজন আহমদ, ছবের মিয়া (৩৪), এমাদ উদ্দিন সুয়েব (৩৩), মতিউর রহমান মৃধা (৪২), আমিন মিয়া (৩২), আল আমিন (২৮), পশ্চিম পীর মহল্লার আবুল কালাম মাস্টার (৪৫), জুনেদ আহমদ (৩৫) ও অগ্রণী আ/এ এলাকার সোহাগ মিয়া (২৬)।
এদিকে সোমবার (২৪ জুলাই) নির্বাচনকালীন অস্ত্রের মহড়ার অভিযোগে একই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
বরগুনায় নারী নির্যাতন মামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে
১ বছর আগে
সিসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা রক্ষায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরবিচ্ছিন্ন করতে নগরীতে কাজ করছে প্রায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য। এছাড়াও মাঠে রয়েছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসএমপি কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ পরিদর্শক, উপ-পুলিশ পরিদর্শক একজন ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও চারজন পুলিশ সদস্য এবং সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ছয়টি ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে দু’টি ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের মোট ২২টি ও পাঁচটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল।
এ সময় পুলিশ কমিশনার নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
এদের মধ্যে দলীয় মনোনীত চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল) মার্কায় নির্বাচন করবেন।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস গাড়ি) এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
অপরদিকে ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে আটজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১৮দিন পর শেষ হলো সিসিক নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী সোমবার (১৯ জুন) রাত ১২টায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় মোটরসাইকেল চলাচল। এরপর থেকেই স্তব্ধ সিলেট নগর।
ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে আগের ও পরের দিন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ১৯ জুন সোমবার রাত ১২টা থেকে ২২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সিসিক এলাকায় কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। আর ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ২১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ি, পিক আপ, প্রাইভেট কার ও ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
তবে, অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে ওই আইন শিথিল করা হয়েছে। এর বাইরে জরুরি সেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত যেমন : অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞার প্রযোজ্য হবে না বলে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সিসিক নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ৫৮টি কেন্দ্র সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসএমপির করা এবারের তালিকা অনুযায়ী ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪২ নম্বর (মোট ১৮টি) ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু ওয়ার্ডের এক বা একাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম নবগঠিত ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিমুক্ত বা সাধারণ।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস জানান, সিসিক নির্বাচনে মোট ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৫৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিচারে নেওয়া বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। দূরবর্তী অনেক কেন্দ্র রয়েছে, কিছু কেন্দ্রের আশেপাশের পরিবেশ নিরাপদ নয়, কিছু কেন্দ্রে গোলযোগের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করা ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশি কম নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন কমিশন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন সিসিক মেয়র আরিফ
১ বছর আগে
সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমনও রয়েছেন। বাকীদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও চারজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার (৫ জুন) রাতে কেন্দ্র থেকে সিলেট মহানগর বিএনপির কাছে বহিষ্কারের আদেশ আসে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৪৩ জনকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৪১ নেতাকর্মী প্রথমে দল শোকজ করেছে। কিন্তু তারা শোকজের কোনো জবাব দেননি। এরপর কেন্দ্রে আরও দু’জনের নাম পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিলেটের ৪৩ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। আপনার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গত ১৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে করা গুম, খুন ও সরকারি পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে এমন পরিবারসহ গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারর করা হলো। এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আজীবন বহিস্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছালাউদ্দিন রিমন।
সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিস্কৃত হয়েছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি (১নং ওয়ার্ড), মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম (৬নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম (১৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল (১৮নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব তুহিন (২১নং ওয়ার্ড), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ (২৫নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু (১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু (৩নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী (৫নং ওয়ার্ড), আমিনুর রহমান খোকন (৫নং ওয়ার্ড), শাহেদ সিরাজ (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের (১০নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির (১১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান (১৫নং ওয়ার্ড), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন (২৩নং ওয়ার্ড), এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা (২২নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন (২৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি (২৬নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুস মিয়া বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।
এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বহিস্কৃত হয়েছেন- জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬)।
এর আগে গত শনিবার (৩ জুন) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী পৃথকভাবে এসব শোকজ নোটিশ ইস্যু করেছেন। শোকজ নোটিশে বলা হয়, ‘১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর ধরে কারাভোগ করছেন। বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় বড় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। সুতরাং কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দেখিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত আমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বিএনপি আজীবন বহিষ্কার করেছে।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হন বদর উদ্দিন কামরান; ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন কারাগার থেকে। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট নগর ভবনের ছাদ থেকে স্টিলের পাইপ পড়ে এক সেনাসদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) রাতে সিলেট সেনানিবাসের সেনা সদস্য মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
নিহত মো. দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জগিরগোফার রায়পুর গ্রামে। তিনি ল্যান্স করপোরাল হিসেবে সিলেট ক্যান্টনমেন্টের ৫০ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, জামাল অ্যান্ড কোং–এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রাজ্জাক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোং–এর মালিক মো. জামাল উদ্দিন, ক্রেনচালক মো. সাদেক।
এছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক এবং ঠিকাদারকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় নির্মাণকাজে অবহেলাজনিত অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি জানান, মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবারই ১৭ জনকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ জুন শনিবার দুপুরে বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের নিচতলা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নগর ভবনের ছাদ থেকে লোহার পাইপ পড়ে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক সেনাসদস্য আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ১২ তলার ছাদ থেকে হঠাৎ করেই একটি স্টিলের পাইপ সিটি মার্কেটের ভেতরে ওই সেনা সদস্যের মাথায় এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে রাতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলার পর রবিবার তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করেন মেয়র। কমিটি থেকে প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হককে। এই কমিটিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটি:
আহ্বায়ক সিসিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ বদরুল হক, সদস্য সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. মতিউর রহমান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) রাজ উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
১ বছর আগে
সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৩ মে) পর্যন্ত মেয়র পদে ১১ জনসহ মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ১১ জন, সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডে ৮৯ জন ও সাধারণ (পুরুষ) ওয়ার্ডে ২৮৭ জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেল (সিটি নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শুরু করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২৭ দিনে মেয়র পদে মোট ১১ জন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা করেন ৩৭৬ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১১ জন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনের জন্য চারজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম।
এছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন দাখিল করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতে এক উৎসবমুখর হয়ে উঠে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় প্রাঙ্গন। সকাল থেকেই শুরু হয় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া। এ সময় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় দলের ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মীকে সেখানে উপস্থিত দেখা গেছে। পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান এবং তাদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটির ভোট। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ২৩ মে। ২৫ মে মনোনয়ন ফরম বাছাই এবং ১ জুন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আগামি ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক
১ বছর আগে
বন বিভাগের অনুমতির আগেই ২০০ গাছ কেটে ফেলল সিসিক
সিলেটে সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য প্রায় ২০০ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার এই গাছগুলো কেটেছে খোদ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সিসিকের কর্মীরা উপশহরের সড়কের পাশের দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলে। আর কেটে ফেলা গাছগুলো টুকরো করে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছ ইতোমধ্যে বিক্রিও করা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ট্রাকে করে সেগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে গাছ কেটে অধিকাংশ বিক্রি করে ট্রাকে করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র গাছ কেনাবেচায় কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে। খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে কেনাবেচার সত্যতা পেয়েছে।
বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া আফতাব চৌধুরী উপশহর এলাকারই বাসিন্দা। এই সড়কের পাশের গাছগুলো তিনিই রোপন করেছিলেন। আফতাব চৌধুরী বলেন, ‘এই গাছগুলোর অধিকাংশ আমার হাতে লাগানো। কোনো বাছবিচার ছাড়াই নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। যেখানে ৫০টির মত গাছ কাটা প্রয়োজন সেখানে ২০০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এই ২০০টি গাছ একেকটি এক লাখ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার মতো।’
পড়ুন: দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখছে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল’ পালন
সিসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেন নির্মাণ ও রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। শাহজালাল উপশহর এলাকার সি ব্লকের ২১, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর রাস্তায় সম্প্রতি ড্রেন ও রাস্তা বড় করার কাজ শুরু হয়। ওই এলাকার রাস্তার দুই পাশে রেইনট্রিসহ নানা প্রজাতির এসব গাছ ১৯৯০ সালের দিকে লাগানো হয়েছিল।
বন বিভাগের বিধিমালায় আছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা সরকারি জমি থেকে গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। এরপর তদন্ত করে গাছ কাটার যৌক্তিকতা পাওয়া গেলে গাছের দরদাম নির্ধারণ ও পরবর্তী আরও গাছ লাগানোর শর্তে গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়া বন বিভাগের মাধ্যমে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানা যায়, ড্রেন নির্মাণে উপশহর এলাকার কিছু গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করে সিসিক। তবে বন বিভাগ এখনও গাছ কাটার অনুমতি দেয়নি। অনুমতি পাওয়ার আগেই কেটে ফেলা হয়েছে ২০০ গাছ।
বন বিভাগের সিলেট শহর রেঞ্জের রেঞ্জার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘উপশহরে রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করতে কিছু গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে ১৭ অক্টোবর বন বিভাগকে একটি চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন। পরদিন আমাদের কর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন গাছ কাটা হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ঠিক কী পরিমাণ গাছ কাটা হয়েছে এবং কাটা গাছগুলো কোথায় নেয়া হয়েছে, তা আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
শ্রমিকরা না বুঝেই গাছ কেটে ফেলেছে জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘ওইখানে ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সম্প্রসারণ হবে। এজন্য কিছু গাছ কাটা প্রয়োজন। গাছ কাটার জন্য আমরা বন বিভাগকে চিঠিও দিয়েছি। তবে অনুমতি পাওয়ার আগেই সিটি করপোরেশনের কিছু লোক গাছ কেটে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে দায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সিটি করপোরেশন গাছ রক্ষায় খুবই আন্তরিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘উপশহরে গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। আর যাতে অকারণে কোনো গাছ কাটা না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াব।’
পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে মুরাদনগরের ‘মৃৎশিল্প’
‘ফাতেমা’ জাতের ধানে বিঘায় ৫০ মণ ফলন
৩ বছর আগে
সিলেটে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে পঁচা বাসি খাবার প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি!
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার লালমাটিয়া পারাইরচক ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে বিস্কুটের গুঁড়া ও পঁচা ভাত সংগ্রহ করে তা দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার গুরুতর অভিয়োগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রবিবার (১০ অক্টোবর) দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর, ষাটঘর, বান্দর ঘাট ও পারাইরচক এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিসিক মেয়র জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেটের পবিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও সিলেটের পুলিশ কমিশনার বরাবরেও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
৩ বছর আগে