উয়েফার ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বে ঘটে গেল এক বিরল ঘটনা। ম্যাচের ফয়সালা করতে ৩৪টি পেনাল্টি শট নিতে হয়েছে দুই দলের। আর এতেই রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে ম্যাচটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে। ডাচ ক্লাব আয়াক্স ও গ্রিক ক্লাব প্যানাথিনাকসের মধ্যকার এই ম্যাচটি ১৩-১২ ব্যাবধানে শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটি।
গত সপ্তাহে প্রথম লেগে গ্রিসে ১-০ ব্যবধানে জিতে এসে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল আয়াক্স। তবে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হওয়ার পথে ৮৯তম মিনিটে গোল খেয়ে বসে ডাচ ক্লাবটি। ফলে অগ্রগামিতায় ১-১ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে শুরু হয় টাইব্রেকার।
তবে সেই যে শুরু হলো, তা যেন আর থামতেই চাইছিল না। ম্যারাথন এ টাইব্রেকারে আয়াক্সের গোলরক্ষক রেমকো পাসভির পাঁচটি শট ঠেকান এবং নিজেও একটি গোল করেন। অবশেষে ৩৪তম শটে দলকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন আয়াক্স ডিফেন্ডার আন্তন গাই। আর এর ফলেই হয়ে যায় রেকর্ড।
উয়েফার প্রতিযোগিতায় এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৩২ শটের। ২০০৭ সালে উয়েফা অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডকে ১৩-১২ গোলে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় শিরোপা জিতে রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শুরু এমবাপ্পের
তবে উয়েফার ম্যাচে পোনাল্টিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। গত মৌসুমে কনফারেন্স লিগের বাছাইপর্বে গ্লেনটোরানের বিপক্ষে জিজিরা ইউনাইটেডের ১৪-১৩ ব্যাবধানের জয়টিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
অবশ্য ফুটবলে সবচেয়ে বেশি শটের বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়েছে এ বছরের মে মাসেই। ইসরায়েলের একটি তৃতীয় বিভাগের ম্যাচে ৫৬ শট নেওয়ার পর ম্যাচের ফলাফর চূড়ান্ত হয়।
ম্যাচের পর আয়াক্স কোচ ফ্রান্সেসকো ফারিওলি বলেন, ‘আজ রাতে দলের উদ্দীপনা ও নিবেদন ছিল অসাধারণ। আমরা নিখুঁত নই, তবে এটুকু বলতে পারি যে খেলোয়াড়রা তাদের সবটুকু দিতে দিয়েছে।’
জিগো স্পোর্টসকে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচের পর পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়া কঠিন। যদিও সময় একটু বেশি লেগেছে, তবে এই জয়ে আমরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এগিয়েছি।’
এই জয়ের পর আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগের লিগ পর্বে জায়গা করে নিতে জাগিয়েলোনিয়া বিয়ালিস্টকের বিপক্ষে চলতি মাসেই দুই লেগের প্লে-অফ খেলে জিততে হবে আয়াক্সের।
আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে ভিএআর সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেবে ইপিএল