বুধবার রাতে এমন এক শুভক্ষণে অভিজাত খুলনা ক্লাবে দুটো পরিবারের মিলন মেলার ভিড়ে মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হট্টগোল।
সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার, বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যর বন্ধু অলিসহ সৌম্যর স্বজনদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়।
পরে সৌম্যর মেঝভাই প্রণব সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মোবাইল চুরির বিষয়ে অবহিত করেন এবং চোরদের ধরতে যান। কিন্তু চোরের পক্ষ হয়ে ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী ঔধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং প্রণব ও অলিদের ওপর ক্লাবের কর্মচারীরা হামলা চালান। এতে তারা আহত হলে প্রায় আধা ঘণ্টা থমকে যায় পুরো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তখন সাত পাকে ঘুরছিলেন বর সৌম্য।
সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ সরকার জানান, প্রচণ্ড ভিড়ে গেট দিয়ে প্রবেশের সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরে সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বড় যাত্রীদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়। একপর্যায়ে চোরদের হাতে নাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা আবার তাদের ওপর হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোবাইল চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নম্বরে ফোন দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বেজে উঠে। তাকে ধরলে তার কাছে ৫টি মোবাইল পাওয়া যায়।
এদিকে ঘটনার পর খুলনা ক্লাবে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতনরা সৌম্যের অভিভাবকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
যোগাযোগ করা হলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বলেন, ‘মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের কর্মচারী ও বরযাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সেখানে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি, তবে ভিড়ের মধ্যে কারো গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে।’
দুই মোবাইল চোর থানায় আটক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে খুলনা ক্লাবেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। প্রায় পাঁচ শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন তিনি।
প্রিয়ন্তি দেবনাথের বাবা গোপাল দেবনাথ ব্যবসায়ী এবং মা মাধবী দেবনাথ গৃহিণী। তাদের বাড়ি খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকায়। পূজা বর্তমানে ঢাকার একটি কলেজে ও লেভেল হায়ার সেকেন্ডারিতে (এইচএসসি) পড়ছেন। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।