বল হাতে বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষ দিনে জ্বলে উঠলেন তিনি। আর তাতেই উঠে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ইতিহাসের সেরা বাঁহাতি স্পিনার এখন এই অলরাউন্ডার।
এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক স্পিনার ড্যানিয়েল ভেটোরির। তবে তার চেয়ে মাত্র দুই উইকেট পেছনে থেকে পিন্ডি টেস্ট খেলতে নামেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে মাত্র একটি উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভেটোরিকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
৪৪২ ম্যাচের ৪৯৮ ইনিংসে বোলিং করে ৭০৫ উইকেট ছিল ভেটোরির, ৪৪৪ ম্যাচের ৪৮২ ইনিংসেই তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেটের সংখ্যা এখন ৭০৭। এর মধ্যে টেস্টে ২৪১, ওয়ানডেতে ৩১৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সাকিব। মোট ২৭ ওভার বোলিং করে ১০০ রানের বিনিময়ে তার প্রাপ্তি ছিল কেবল আগা সালমানের উইকেটটি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে চেনা রূপে ফেরেন তিনি। পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে গুঁটিয়ে দেওয়ার পথে ১৭ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
দ্বিতীয় ইনিংসে সম্প্রতি পাকিস্তানের রান মেশিন হয়ে ওঠা সৌদ শাকিলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ভেটোরিকে স্পর্শ করেন সাকিব। এরপর আব্দুল্লাহ শাফিকের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার বনে যান তিনি। পরে নাসিম শাহকে আউট করে নিজেকে তোলেন আরেকটু উচ্চতায়।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সাকিব ও ভেটোরি ছাড়া ৭০০ উইকেট তো দূরের কথা, ৬০০ উইকেটও নেই আর কারও। ৫৬৮ উইকেট নিয়ে তিনে রয়েছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা এবং ৫২৫ উইকেট নিয়ে চারে শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। পাঁচে থাকা আরেক লঙ্কান সনৎ জয়সুরিয়ার নামের পাশে রয়েছে ৪৪০ উইকেট।
আরও পড়ুন: প্রথম ইনিংসেই মুশফিকের একগাদা রেকর্ড
তবে পেসার-স্পিনার মিলিয়ে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে সাকিবের অবস্থান তৃতীয়। ৪৬০ ম্যাচের ৫৩২ ইনিংসে ৯১৬ উইকেট নিয়ে অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। ৪৩৯ ম্যাচের ৫২০ ইনিংসে ৭৬১ উইকেট নিয়ে দুইয়ে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস।