চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে শনিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
মেহেদি হাসান মিরাজের জাদুকরী ব্যাটিং প্রদর্শন এবং সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের শক্তিশালী বোলিং পারফরম্যান্সকে পুঁজি করে ঢাকায় দুটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ক্লিন সুইপ করতে সকলের দৃষ্টি থাকবে বাংলাদেশি লাইনআপের দিকে।
উভয় ক্ষেত্রেই একটি অনিশ্চিত অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও দ্রুত রিবাউন্ড করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ এবং মিরপুরের চ্যালেঞ্জিং সারফেসে কেন তারা শক্তিশালী দল তা প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছিল।
৭ ডিসেম্বরে একটি হৃদয়বিদারক দ্বিতীয় ম্যাচে, রোহিত শর্মার বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিং প্রদর্শন সত্ত্বেও ভারত অল্পের জন্য পাঁচ রানে হেরে যায়। যিনি তার হাতে আঘাত নিয়েই লড়াই করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, এই চোট তাকে চূড়ান্ত ওয়ানডে থেকে বাদ দিয়েছে এবং
আগামী ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজের জন্য তিনি অনিশ্চিত। সিরিজ জয়ের আশায় ভারতীয় দলকে শর্মার অনুপস্থিতিতে খেলতে হবে।
গত ম্যাচে রোহিতের অনুপস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট বলেছেন, ‘ওর না খেলার সঙ্গে আমাদের আরও ভালো সুযোগ রয়েছে। ‘সে এমন একজন উচ্চমানের খেলোয়াড়। আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম যে সে আগে ব্যাট করতে আসেনি (দ্বিতীয় ম্যাচে)।
এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়, প্রথমটি ২০১৫ সালে এসেছিল।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ভারতের বিরুদ্ধে বিরল ক্লিন সুইপ অর্জন করার জন্য তাদের বোলিং-অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর বলেছেন যে তারা একটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক সিরিজের প্রত্যাশা করছেন। সিরিজ চলাকালীন বাংলাদেশি দল দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে এবং ভারত ফিরে এসে ফাইনাল ম্যাচ বাঁচাতে পারে কিনা তা দেখার বিষয়।
শেষ ওয়ানডে ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উপমহাদেশের একটি কঠিন দল। ‘আমি নিশ্চিত আগামী বছর বিশ্বকাপে তারা দারুণ একটি খেলা দেখতে পারবে।’
শেষ ওয়ানডে শুরু হবে দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়)। ওয়ানডে সিরিজের পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।