জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে একাদশে রাখা হয়নি তাকে। অন্যদিকে এই ম্যাচে দুজনের অভিষেক হয়েছে। তারা হলেন আফিফ হোসেন এবং মোহাম্মাদ নাঈম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। এছাড়া দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৫৫ এবং প্রথমটিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।
কিন্তু দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে একাদশে না রাখার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। সেই ইঙ্গিতই সত্যি হলো।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার (মুশফিক) অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে একাদশ সাজানো হবে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তেমন একাদশ মাঠে নামানো হবে।
আগামী এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া ওই সময় আরেকটি টেস্টও খেলবে টাইগাররা। নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের উদ্বেগের কারণে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মুশফিক।
অবশ্য বিসিবি থেকে ওই সিরিজ চূড়ান্ত হওয়ার পর বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়ে ক্রিকেটারদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ পরে ভোল পালটান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। তিনি বলেন যে মুশফিক দলের বাকি সদস্যদের সাথে সফরের জন্য ‘চুক্তিবদ্ধ’।
পাকিস্তান সফরের আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল বলেছিলেন, পাকিস্তান সফর করতে চান কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার প্রতিটি খেলোয়াড়েরই রয়েছে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের পর মুশফিকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
‘আমরা আশা করি এবার পাকিস্তান সফরে যাবে মুশফিক। শুধু সে নয়, আমি মনে করি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটারের পাকিস্তান সফরে যাওয়া উচিত। কিছু কিছু সময় আপনাকে অবশ্যই দেশ নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের সবার কাছে পরিবারের গুরুত্ব বেশি, কিন্তু দেশ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন নাজমুল।
‘সে (মুশফিক) তার সতীর্থদের কাছ থেকে ধারণা নিতে পারে (নিরাপত্তার বিষয়ে)। সে আমার সাথেও কথা বলতে পারে। আমি মনে করি তার অন্যদের সাথে কথা বলা এবং পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত,’ বলেন তিনি।