ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসকে ছয় বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রেস নোটে আইসিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইসিসি জানিয়েছে, একটি স্বাধীন দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। স্যামুয়েলসকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতিবিরোধী একাধিক ধারা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) হয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসি।
চলতি বছরের আগস্টে দেওয়া রায়ে ট্রাইব্যুনাল সর্বসম্মতভাবে স্যামুয়েলসকে চারটি ধারা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে।
এরমধ্যে অনুচ্ছেদ ২.৪.২ অনুযায়ী, কোনো উপহার, অর্থপ্রদান, আতিথেয়তা বা অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্তির কথা প্রকাশ না করায় স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ২.৪.৩- এর অধীনে স্যামুয়েলসকে ৭৫০ মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের আতিথেয়তার তথ্য প্রকাশে অবহেলা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে নিয়েছে, এছাড়াও স্যামুয়েলস অনুচ্ছেদ ২.৪.৬ এবং ২.৪.৭ লঙ্ঘন করেছে।
সাবেক এই ক্রিকেটার তার বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্তে সহযোগিতা না করায়ও অভিযুক্ত হয়েছেন।
এর পরিবর্তে প্রাসঙ্গিক তথ্য গোপন করে তদন্তে বাধা বা বিলম্ব করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
আইসিসির মানবসম্পদ ও সততা ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল তার বক্তব্যে শাস্তির কঠোরতার উপর জোর দিয়েছেন।
মার্শাল বলেন, ‘স্যামুয়েলস প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি অসংখ্য দুর্নীতিবিরোধী সেশনে অংশ নিয়েছেন এবং জানেন দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গ না করার ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব ঠিক কী ছিল’।
তিনি আরও বলেন, ‘মি. স্যামুয়েলস যদিও এখন অবসর নিয়েছেন, কিন্তু অপরাধ সংঘটিত করার সময় তিনি খেলায় নিয়মিত ছিলেন। যারা নিয়ম ভাঙতে চায়, ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’