গোল করেই ম্যাচ শুরু করল ফ্রান্স। অথচ তারপরই উজ্জীবত ও নিখুঁত ফুটবল উপহার দিয়ে ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে ম্যাচটি জিতে গেল ইতালি।
শুক্রবার রাতে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রান্সে ‘এ’ গ্রুপের লিগ-২ এর প্রথম ম্যাচটি ৩-১ ব্যবধানে জিতে নেশন্স লিগে শুভযাত্রা করেছে ইতালি।
এদিন ম্যাচের ১২ সেকেন্ডে কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে বসে সফরকারীরা। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন ব্রাদলে বার্কোলা।
চাপের কারণে সতীর্থের কাছ থেকে আসা ব্যাকপাসটি ধরতে খানিকটা গড়িমসি করে ফেলেন ইতালির ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সো। তা দেখে ছুটে গিয়ে তার সামনে থেকে বল ছোঁ মেরে নিয়েই বক্সে ঢুকে পড়েন বার্কোলা। এরপর ডান পাশের শটে জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে পরাস্ত করে জালে জাড়িয়ে দেন বল।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
ফ্রান্স ও নেশন্স লিগের ইতিহাসে এটিই দ্রুততম গোলের রেকর্ড। নেশন্স লিগে এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল সুইজারল্যান্ডের। ২০২২ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৭ সেকেন্ডে গোল করেন হারিস সেফেরোভিচ।
তবে এতদিন ফ্রান্সের ইতিহাসের দ্রুততম গোল ছিল ৩৭ সেকেন্ডের। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইতালির বিপক্ষেই ওই রেকর্ড গড়েন বের্নাদ লাকোম্বে। ৪৬ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন বার্কোলা।
ম্যাচ শুরু হতেই পিছিয়ে পড়ে তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইতালি। এরই ফলস্বরূপ ষষ্ঠ মিনিটেই দারুণ একটি সুযোগও তৈরি করে তারা। তবে দাভিদ ফ্রাত্তেসির হেডার ক্রসবারে লেগে ফিরে আসার পর মাতেও রেতেগির হেডার পোস্টের উপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হয় সফরকারী দর্শক।
এরপর দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমিয়ে তোলে ম্যাচ। তবে ৩০তম মিনিটে প্রত্যাশিত সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় ইতালি।
সতীর্থের ক্রস ধরে সান্দ্রো তোনালিকে পাস দিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন ফেদেরিকো দিমারকো। প্রথম ছোঁয়াতেই তোনালি এগিয়ে যাওয়া দিমারকোকে ফিরতি পাস দিয়ে দিলে দারুণ এক ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন এই ইন্টার মিলান উইংব্যাক।
৩৯তম মিনিটে বার্কোলার নিচু শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্কোরলাইন সমতায় রেখেই বিরতিতে যায় দুদল।