নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নেপিয়ারের এই জয়ের পেছনে অসাধারণ অবদান রেখেছেন শরিফুল ও লিটন দাস।
শরিফুল ইসলামের তিন উইকেট ও লিটন দাসের অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে ১৩৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করে পাঁচ উইকেটের বড় জয় পায় টাইগাররা।
এমন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করা সহজ ব্যাপার ছিল না। পর পর বাংলাদেশের কয়েকটি উইকেটের পতন হয়। কিন্তু লিটন প্রতিরোধ গড়ে তুরতে সক্ষম হন এবং আট বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দল।
আরও পড়ুন: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
রনি তালুকদার ১০ রান নিয়ে দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই বিদায় নেন। নাজমুল হোসেন শান্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করলেও ১৯ রান সংগ্রহ করে আর অগ্রসর হতে পারেননি। সৌম্য সরকারকে আশাব্যঞ্জক মনে হলেও ২২ রানের মাথায় বেন সিয়ার্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আউট হয়ে যান।
এছাড়া, তৌহিদ হৃদয় ১৮ রান ও আফিফ হোসেন মাত্র এক রান নিয়ে দ্রুত আউট হন। মেহেদী হাসান ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে অ্যাডাম মিলনের বলে জয়সূচক শট নেন।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে টস জিতে ভারতের বিপক্ষে বোলিং করছে দ. আফ্রিকা
এর আগে স্বাগতিকরা প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরে আটকে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা।
প্রথম ওভারে মেহেদি এবং দ্বিতীয় ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপসকে কাঁপিয়ে দেন শরিফুল। ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জেমস নিশাম (৪৮) ও মিচেল স্যান্টনার (২৩) ইনিংস পুনর্গঠনের চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই সংগ্রহ পর্যাপ্ত ছিল না।
এই ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এই সফরের আগে নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট ক্রিকেটের কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। এখন কিউইদের মাটিতে টানা দুই জয় নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তারা।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৪ রানে থামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ