২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে সাফ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করার সময় পড়া তৈয়ব হাসানের ওই জার্সিটি দুই লাখ টাকায় কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরার এক তরুণ ব্যবসায়ী।
সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান তৈয়ব হাসান আন্তর্জাতিক রেফারি ছিলেন ১৯৯৯-২০১৬ পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৮ বছরে শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশে কোনো রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড এটি।
টানা ১০ বছর এএফসির এলিট প্যানেলে ছিলেন। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় ছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাই, অলিম্পিক বাছাই, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ, এএফসি কাপ, দুটি এশিয়ান গেমস, এএফসি বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনাল রাউন্ড, সাফ, সাফ গেমসসহ অনেক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তার।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তৈয়ব হাসান বলেন, 'আমি হয়তো কোনো ক্রীড়াবিদ নই। নামী দামিও কেউ নই। কিন্তু তারপর ভেবেছি এই সময়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কিছু করা উচিত। আমার সামান্য আর্থিক অনুদানে যদি একটি মানুষও উপকৃত হয় সেটিই হবে আমার স্বার্থকতা।’
‘তাই সাফ ফাইনালের জার্সিটি নিলামে তুলার ঘোষণা দিয়েছি। সেটা থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেব,' যোগ করেন তিনি।
জার্সিটি নিলামে বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পর কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী ডা আবুল কালাম বাবলার ছেলে তোফান কোস্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ ব্যবসায়ী শেখ তানজিম কালাম তমাল।
তিনি বলেন, ‘জার্সি বিক্রির যাবতীয় টাকা করোনা আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন তৈয়ব হাসান। আমি তার এ মহৎ কাজে সাড়া দিয়ে ২ লাখ টাকায় ইতিহাস গড়া ওই জার্সিটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি।’