১৯তম ওভারে ৩টি ছক্কা হাঁকানো মুক্তার আলী শেষ ওভারে (মেহেদী হাসানের করা) প্রয়োজনীয় ৯ রান সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন। ফলে মুশফিকের নেতৃত্বে থাকা ঢাকাকে ২ রানের পরাজয় মেনে নিতে হলো।
১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা ঢাকার জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। এবাদত হোসেনের করা ১৮তম ওভারে ঢাকা মাত্র ৬ রান সংগ্রহ করে। ফরহাদ রেজার করা ১৯তম ওভারেই ভালো কামব্যাক করে তারা। মুক্তার আলীর ব্যাটে ভর করে ওই ওভারে ২১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। প্রথম তিন বলে কোনো রানই নিতে পারেননি মুক্তার আলী। চতুর্থ বলে ৪ হাঁকান তিনি। পরের বলটি ছিল নো। তবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মুক্তার। শেষ বলে মাত্র এক রান আসে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ ইউকেটে ঢাকা সংগ্রহ করে ১৬৭ রান।
রাজশাহীর করা ১৬৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা প্রথম তিন উইকেট হারায় ৫৫ রানের মধ্যেই। তাজিদ হাসান ১৮, ইয়াসীর আলী ৯ এবং মোহাম্মাদ নাঈম করেন ২৬ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও আকবর আলী ৭১ রান যোগ করেন। আকবর আলী ৩৪ রান করে ফরহাদ রেজার বলে সাজঘরে ফেরেন। মুশফিক করেন ৪১ রান। এবাদতের বলে আউট হন তিনি। সাব্বির ও মুক্তার যথাক্রমে ৫ ও ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
রাজশাহীর হয়ে মেহেদী, এবাদত, ফরহাদ ও আরাফাত সানি প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মেহেদীর ৩২ বলে ৫০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় রাজশাহী। মেহেদীর ইনিংসে ছিল ৪টি বিশাল ছক্কা ও ৩টি চারের মার। নবম উইকেট জুটিতে রাজশাহীর পক্ষে নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী সংগ্রহ করেন ৮৯ রান। নুরুল ২০ বলে ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে ৩৯ রান করেন।
ঢাকার হয়ে মুক্তার আলী ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৩টি, মেহেদী হাসান রানা, নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।