এ তালিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের একজন মোসাদ্দেক হোসেনের নামও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও, মোসাদ্দেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে পারেননি।
রবিবার রাতে ইনস্টাগ্রামে তামিম ইকবালের সাথে লাইভ সেশনে যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন মাহমুদুল্লাহ।
শনিবার রাতে মুশফিকুর রহিমের সাথে ইনস্টাগ্রাম লাইভ শোর ধারাবাহিকতা শুরু করেন তামিম। পরের দিন রাতে তামিম লাইভে মাহমুদুল্লাহর সাথে দীর্ঘ ৪০ মিনিট আলোচনা করেন।
লোয়ার মিডল অর্ডারে কে বড় ভূমিকা নিতে পারেন- তামিমের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের সেটআপে সাইফুদ্দিনের একজন বড় তারকা খেলোয়াড় হয়ে উঠার দক্ষতা আছে। সে বড় বড় শট খেলতে পারে। আমাদের দলে আফিফ হোসেনও রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তারও বড় মাপের খেলোয়াড় হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে মোসাদ্দেক হোসেনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিমের প্রশংসা করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘তুমি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ডই তোমার। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে তোমার আরও অনেক কিছু করার সম্ভাবনা আছে। আমিও লোয়ার অর্ডারে ভালো খেলার চেষ্টা করি। কখনও কখনও আমি ভালো কিছু করতে পারি এবং কখনও কখনও আবার আমি ব্যর্থও হই। আমি মনে করি, ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করতে আমাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে।’
জাতীয় দলে আসার প্রথমদিকের সময়গুলোতে মাহমুদুল্লাহ হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান ছিলেন না। তবে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত বিশ্বকাপ চলার সময়ে ব্যাটিং স্টাইল পরিবর্তন করে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পর পর শতক করেছিলেন।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পরামর্শে তার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রটি আরও ভালো হয়েছে।
‘চার বছর আগে যখন আমাদের চন্ডিকার অধীনে খুলনায় অনুশীলন ক্যাম্প ছিল তখন আমি মানসিকতা এবং হিট করার দক্ষতা উন্নতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে কাজ করেছি। ওই সময় আমি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠার জন্য উইকেটে গিয়ে প্রথমে কয়েকটা বল দেখে খেলার চেষ্টা করতাম। তবে, এখন প্রথম বল থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারি,’ যোগ করেন মাহমুদুল্লাহ।