তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামের বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শনিবার (১০ মে) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি।
এ সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্রিকেট, ফুটবলসহ ক্রীড়াঙ্গণের উন্নতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। তামিম ইকবাল বলেন, ‘আজকে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে চিটাগাংয়ের স্পোর্টস রিলেটেড কিছু কথা বলতে চাই। একটা সময় এমন ছিল, যখন ক্রিকেট বলেন, ফুটবল বলেন, অথবা যেকোনো স্পোর্টস বলেন, চিটাগাং থেকে ৬-৭ জন ন্যাশনাল টিমকে প্রেজেন্ট করতেন। লাস্ট ১০-১৫ বছর ধরে দেখেছি, চিটাগাং থেকে একজন বা দুই জন ক্রিকেট বা ফুটবল বা অন্য যেকোনো ন্যাশনাল টিমে প্রেজেন্ট করছেন, এটার কারণটা খুঁজে বের করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘কেন চিটাগাংয়ের মত এত বড় একটা ডিভিশনে আমরা স্পোর্টসম্যান তৈরি করতে পারছি না। আমার কাছে মনে হয়, আপনারা এর উত্তর যদি জানতে চান তাহলে আপনাদের নিজেদের থেকে দিতে হবে। আপনারা যদি এখন মনে করেন যে অমুকের কারণে খেলতে পারি নাই, তমুকের কারণে খেলতে পারি নাই, তাহলে এটা স্পোর্টসম্যানের কথা হবে না। কথা হবে হয়তবা কোনো ভুল ছিল, যার কারণে আমি জাতীয় দলে যেতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: ক্রিকেটারদের বেইজ্জত করা হচ্ছে, দাবি তামিমের
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ওই জিনিসটা আগে মেনে নিতে হবে যে আমাদের কি ভুল ছিল, আমরা কোন জায়গায় ভালো কাজ করতে পারি, যেভাবে আমরা ন্যাশনাল টিমে রিপ্রেজেন্ট করতে পারি।’
‘যেদিন আমরা এই ত্রুটিগুলো বের করতে পারব, ইনশাল্লাহ দেখবেন আমরা আগের জায়গাটা ফিরে পাব,’ বলেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমার সঙ্গে হেলাল ভাইয়ের কথা হয়, ইসরাফিল ভাইয়ের কথা হয়, হুম্মাম ভাইয়ের কথা হয়েছিল, যে কীভাবে চিটাগংয়ের স্পোর্টসকে আগের জায়গায় নিয়ে আসা যায়। আমি নিশ্চিত, তারা যখন সুযোগ পাবেন, তখন তাদের বেস্ট রাইট হবে চিটাগাংয়ের ইন্টারেস্টটা সবচেয়ে আগে রাখবেন। যে ধরনের স্পোর্টস হোক না কেন, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন সব প্রমোট করবেন। এভাবে চিটাগং থেকে আমরা আগের দিনে ফিরে যাই।’
২০৮ দিন আগে
ক্রিকেটারদের বেইজ্জত করা হচ্ছে, দাবি তামিমের
ফিক্সিং, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেটারদের ‘বেইজ্জত-অপমান’ করা হচ্ছে বলে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হার্ট অ্যাটাকের পর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সময় একাধিক বিষয়ে অসন্তোষের কথা জানান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু নিয়ে আজ (শুক্রবার) বৈঠক বসে মোহামেডান ও বিসিবি। মোহামেডানের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার তামিমসহ বেশ কয়েকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাটি গত ১২ এপ্রিলের। ডিপিএলে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে সেদিন তর্কে জড়ান মোহামেডানের অধিনায়ক হৃদয়। শুধু মাঠে তর্কে জড়িয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, ম্যাচ শেষে কিছুটা বিতর্কিত সুরে বলেছিলেন, ‘তিনি (সৈকত) আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।’
ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে তর্ক ও তাদের কটাক্ষ করার কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। তবে তার শাস্তি কমানোর জন্য ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করে মোহামেডান কর্তৃপক্ষ। কমিটি তাতে সাড়া না দিলেও তাদের সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নিয়ে আসে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ, অথচ এই এখতিয়ার তাদের নেই।
নিয়ম ভেঙে হৃদয়ের এই শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত। তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সৈকতের অভিমান ভাঙায় বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ এবং সেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে দেওয়া হয় হৃদয়কে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।
এ বিষয়ে তামিমের ভাষ্য, ‘হৃদয়ের ইস্যুটা... ওকে দুটি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তখন কিন্তু কোনো খেলোয়াড় বা কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি! আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারি মিলে তাকে নিষিদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করতে পারি, সিদ্ধান্তটা কঠোর ছিল, কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি। তার কিছুদিন পর দেখলাম যে, (নিষেধাজ্ঞা) দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হলো; এটা বিসিবি করেছে। তখনও আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি। তারপর হৃদয় একটা ম্যাচ না খেলে পরের দুটি ম্যাচ খেলল। স্বাভাবিকভাবে ওর যে শাস্তি ছিল, সেটা সে ভোগ করে নিয়েছে। এখন দুটি ম্যাচ খেলার পর গতকাল শুনলাম যে, তাকে আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করা হয়েছে—তা আমার জানা নেই। এটা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। এটা হাস্যকর ছিল। কোনোভাবেই সে নিষিদ্ধ হতে পারে না যে কিনা আগেই (একবার) নিষিদ্ধ হয়েছে। বিসিবি তাকে দুটি ম্যাচ খেলতে দিয়েছে। তাকে আবার আপনি কীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারেন?’
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তামিম, ফিরেছেন বাসায়
এছাড়া, ডিপিএলের চলতি আসরে একটি ম্যাচকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচকে ঘিরে ওঠা সেই সন্দেহের ম্যাচটি নিয়ে বিসিবির তদন্ত চলছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১০ এপ্রিল শাইনপুকুরের দুই ক্রিকেটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরকে মিরপুরে ডাকা হয়। এই দুজন স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে উপস্থিত হয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করে দেখান। উইকেটের দুই পাশে দুটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয় সেই দৃশ্য। মিডিয়াকর্মীরাও সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, মিডিয়ার সামনে এই দুই ক্রিকেটারকে দিয়ে অভিনয় করানোর কোনো অধিকার কারও নেই।
‘আমরা এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডকে সরাসরি বলেছি যে দেখেন, যদি ওখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে বা কোনো খেলোয়াড় কোনো ধরনের দোষ করে থাকে, আমরা সবাই চাই এটার (জন্য) শাস্তি হোক; এতে আমরা শতভাগ একমত। কিন্তু তার মানে এটা না যে, আপনি ওই দুটি ছেলেকে নিয়ে গিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন, এমনটা করার অধিকার কারো নেই।’
‘বিশ্বের কোথাও দুর্নীতি দমন ইউনিটে এমন নিয়ম নেই যে, একই জিনিস অভিনয় করিয়ে আপনি ওই দুটি ছেলেকে বেইজ্জত করবেন মিডিয়ার সামনে। এটা খেলোয়াড়দের অপমান করা। এই জিনিস নিয়ে আমরা একবিন্দুও খুশি ছিলাম না।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। যাদের নাম গণমাধ্যমে আসায়ও বিসিবিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তামিম।
‘বিপিএলেও ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে বিসিবির ভেতর থেকে; ১০ জনের ছবি মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই চাই, ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয়, তার শাস্তি হোক।
কিন্তু তাদের মধ্যে যদি দুজন বা আটজনও নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়?—প্রশ্ন রেখে তামিম তাদের নামগুলো জনগণের সামনে ফাঁস করে দেওয়াকে ‘অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের যদি এভাবে ট্রিট করা শুরু করেন, তাহলে তো হলো না! এই জিনিস নিয়ে আমরা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছি আসতে। উনি এসেছেন, সঙ্গে আরও দুজন পরিচালক (নাজমুল আবেদীন ও ইফতেখার আহমেদ) ছিলেন। আমরা লম্বা আলোচনা করেছি। আমাদের পয়েন্ট তুলে ধরে উনাকে বলেছি যে, (বিষয়গুলো নিয়ে) আমরা আপসেট।’
‘এসব নিয়ে আমাদের বিতর্ক হয়েছে। উনাদের আমরা সুন্দর করে (নিজেদের) অবস্থান পরিষ্কার করেছি যে আমরা কী অনুভব করি। তারপর উনারা উনাদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
২২৩ দিন আগে
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তামিম, ফিরেছেন বাসায়
খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে চারদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। তামিমকে পর্যবেক্ষণে রাখা ডা. সাহাবউদ্দীন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তামিমকে পুনর্বাসন কর্মসূচির মধ্যে থাকতে হবে।
গত ২৪ মার্চ সাভারের বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচটিতে টসের পরপরই অসুস্থ হয়ে যান তিনি। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনারও অবস্থা ছিল। অচেতন অবস্থায় কেপিজে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জরুরি ভিত্তিতে তার হার্টে পরানো হয় স্টেন্ট।
আরও পড়ুন: রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বড় বিপদ হয়নি এই তারকার। সাভারের হাসপাতালে দুদিন রাখার পর তাকে রাজধানীর বিখ্যাত এভারকেয়ারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আরও দুদিন পর তিনি বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র পেলেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তামিম এখন পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবেন। সতর্ক হয়ে চলাচল করবেন, কিছু স্বাস্থ্যবিধিও তাকে মেনে চলতে হবে।
তবে তিনি ক্রিকেট খেলতে পারবেন কিনা—সেটা আরও তিন-চার মাস পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
২৫১ দিন আগে
তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি বলে জানিয়েছেন সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব। তামিমের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এমন কথা বলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তামিম ইকবাল সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তখন আমরা ভাবছিলাম, তাকে ঢাকায় নেওয়া যাবে কিনা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাকে ঢাকায় নেওয়া যায়নি।’
‘পরবর্তীতে তার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল হয়ে যায়। এ অবস্থায় তার যে ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন, তা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর রহমতে, কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। আমরা বলি, তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এ জন্য এনজিওগ্রাম, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও একটি স্ট্যান্ট করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
এই চিকিৎসক বলেন, আল্লাহর রহমতে খুবই স্মুথলি ও এফিশেন্টলি স্ট্যাটিং হয়েছে। আমাদের কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ এটা করেছেন। তার (তামিম) ব্লকটি এখন পুরোপুরি চলে গেছে। তবে অবশ্যই আমরা যেমনটি বলেছিলাম, ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্ট্যাটিংয়ের পরেও তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি। সবাই দোয়া করবেন তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরতে পারেন।’
ভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ডসভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল
বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে, আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।’
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।
২৫৫ দিন আগে
রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে আছেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে, আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।’
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তামিমের দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ডসভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
২৫৫ দিন আগে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবাল
সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল। তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।’
‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়,’ বলেন তিনি।
টাইগারদের সাবেক এই ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ডসভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
২৫৬ দিন আগে
শেষের নাটকীয়তায় পরও রেকর্ড গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চিটাগাং কিংস। তবে তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের সে স্বপ্ন গ্লানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কিংস। এটি ছিল বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে রেকর্ড করতে হতো বরিশালকে।
আর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ঝড় এবং শেষের নাটকীয়তার পর তিন বল বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এরপর কাইল মেয়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সে কাজ আরও সহজ করে দেয়। যদিও শেষদিকে মেয়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল চিটাগাং, তবে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে সেই আশার গুড়েও বালি পড়ে।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাঈম ইসলাম দুটি ও বিনুরা ফের্নান্দো নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তামিম, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওভারে বিনুরাকে তামিম তিনটি চার মারলে ওই ওভারে ১৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এরপর আরাফাত সানিকে দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারে ফের বিনুরার বলে তিনটি চার মেরে ১২ রান সংগ্রহ করেন তামিম।
চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ১১ রান। পরের দুই ওভারে উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগী হলে রানের চাকা কিছুটা গতি হারায়। ফলে পাওয়ার প্লেতে চিটাগাংয়ের মতোই বিনা উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
সপ্তম ওভারে একটি করে ডবল, চার ও ছক্কায় ১৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল, সেই সঙ্গে ২৪ বলে একটি ছক্কা ও ৯টি চারের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
অষ্টম ওভারটি দেখেশুনে খেলার পর নবম ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চিটাগাং। শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে, আর চতুর্থ বলে শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নতুন ব্যাটার ডাওইড মালান। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও শরিফুল রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ফলে দলীয় ৭৬ ও ৭৮ রানে প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল।
তামিম ফিরে গেলে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ, তাতে কিছুটা সফলও হন তিনি; দশম ওভারে তৌহিদের দুটি চারসহ ১৫ রান তোলে বরিশাল। তবে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে তিনটি চারে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যান তিনি। এতে দলীয় সংগ্রহ একশ পূর্ণ করার আগেই বরিশালের তিন ব্যাটার বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় জুটি গড়ার আভাস মেলে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে মেয়ার্স দুটি ছক্কা হাঁকালে পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি চার আসে, এর দুটি মুশফিকের ব্যাট থেকে ও পরেরটি অতিরিক্ত হিসেবে। চতুর্থ বলে ফের উড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ডিপ লেগে নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মেয়ার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে শেষ ৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ৪৪ রানে নামিয়ে আনেন এই ক্যারিবীয়।
শেষের দিকে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেয়ার্স, তবে তা লুফে নিতে পারেননি শরিফুল। এরপর শেষ তিন ওভারে ২৫ রান নিতে হতো বরিশালকে। তবে অষ্টাদশ ওভারে আবারও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শরিফুল।
ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুলের বলে ফের ক্যাচ দিলে মেয়ার্সের সেই ক্যাচ ধরতে ভুল হয়নি বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন মেয়ার্স। এরপর পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিক। ফলে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল শেষ দুই ওভারে পায় ২০ রানের লক্ষ্য।
১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রিশাদের একটি ছক্কাসহ মোট ১২ রান নিলে ম্যাচের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারী হয়ে ওঠে। তবে পরের বলেই ফের নাটক। বিনুরার ওভারের শেষ বলে জোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিড-অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবি। ফলে শেষ ওভারে ৮ রান করতে হতো বরিশালকে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই লং অনে বিশাল ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে দুই ব্যাটার একবার জায়গা পরিবর্তনের পর তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান রিশাদ, কিন্তু আম্পায়ার দুহাত প্রসারিত করে ওয়াইড দিলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে বরিশালের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, মেয়ার্স ৪৬, তৌহিদ ৩২; শরিফুল ৪/৩৪, নাঈম ২/১৮)।
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল তিন উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।
৩০০ দিন আগে
বিসিবির অস্পষ্ট অবস্থানেই তামিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অনিশ্চিত
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল প্রস্তুতি শুরু করলেও অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত হয়ে আছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকেও কোনো পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়নি।
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তামিম। এরপর থেকে ইনজুরি ও জাতীয় দলে তার অনুপস্থিতি তাকে দলের বাইরে রেখেছে। এরই মধ্যে গত বছরের শেষ দিকে নতুন বছরের জাতীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তামিম, যা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মাহমুদউল্লাহ, বাদ পড়লেন তামিম
তবে তামিম বা বিসিবি কারও কাছ থেকেই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তামিমের সম্ভাব্য ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন ‘তামিম কি বলেছে যে সে ফিরে আসবে?’ তামিমের সঙ্গে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
তামিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন বলে জানালেও আলোচনার ফলাফল প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান জালাল।
তিনি বলেন, নিজের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে তামিম বোর্ড সভাপতির সঙ্গে দেখা করবেন। তবে এ বৈঠক কবে হবে তা জানাননি জালাল ইউনুস।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন তামিম
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালকে প্রথম শিরোপা এনে দেওয়া এবং মৌসুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে তামিমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিরে আসার বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও আর কোনো ঘোষণা দেননি তামিম।
এদিকে তামিমকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তামিম ফিরবেন কি না এ নিয়ে সব আলোচনাই এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ’: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
৫৯৬ দিন আগে
‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার কাজের সঙ্গে ছোটভাই তামিমের চলমান পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই’
বাংলাদেশ দলের সাবেক ওপেনার ও বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের বর্তমান সদস্য নাফিস ইকবাল একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে চলে যাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক হোম সিরিজে নাফিস জাতীয় দলের অপারেশনাল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডেতে একই ভূমিকা পালন করতে স্টেডিয়ামে আসেন তিনি। তবে ম্যাচ শুরুর এক পর্যায়ে তিনি স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যাওয়ায় জাতীয় দল থেকে তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের হয়ে ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা নাফিস বুধবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আগের দিন সকালে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অংশ না হওয়ার বিষয় জেনে মানসিক প্রভাবের কারণে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমিও মানুষ। বাকি সবার মতো আমারও আবেগ আছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের উদ্দেশে রওনা দিল বাংলাদেশ দল
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং ছোট ভাই তামিম ইকবালের সঙ্গে যা ঘটছে, তার সঙ্গে আমার এই কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। মাঠ থেকে আমার চলে যাওয়ার ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়।’
নাফিস জোর দিয়ে বলেন, তিনি মাঠ ছাড়ার সময় প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি প্রথমে প্রধান কোচকে অবহিত করেছিলেন এবং তারপরে স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটোকল অনুসরণ করেছিলেন।
বাংলাদেশ দল বর্তমানে ভারতের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছে, যেখানে তারা ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের মূল ইভেন্টের আগে দু’টি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন তামিম
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি
৭৯৮ দিন আগে
সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন তামিম
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩’র জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড নির্বাচনের পর থেকেই আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পরই মূলত এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
অবশেষে মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তামিম তার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ না করা এবং তার ফিটনেস সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে কথা বলেছেন।
তার ভক্ত ও জনসাধারণের সত্য জানার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি।
তামিম জানান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে টপ অর্ডারে নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর তাকে বাদ দিতে বলা হয়েছিল।
তবে কে তাকে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তা প্রকাশ করেননি তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দাবি করেছিলেন, তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে এটা বলা ঠিক হবে না; বরং তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, ফিটনেস নিয়ে শঙ্কার কারণে তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের উদ্দেশে রওনা দিল বাংলাদেশ দল
বিষয়টি কিছুটা অস্বস্তির কথা উল্লেখ করে তামিম বলেন, 'আমি এখনো ইনজুরিতে পড়িনি। যেহেতু চার থেকে পাঁচ মাস পর ক্রিকেটে ফিরেছি, তাই কিছুটা ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, নিউ জিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে ফিজিও তার ফিটনেস মূল্যায়ন করেছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন যে তিনি ব্যথা অনুভব করলেও তিনি নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত। তবে বিশ্রাম নিলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারবে। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তামিম।
জনসমক্ষে ফিজিওর রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক করার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তামিম বলেন, 'ফিজিও রিপোর্টে বলা হয়নি যে আমি খেলতে পারব না।’
তামিম বলেন, বিসিবির একজন 'প্রভাবশালী ব্যক্তি' তাকে ফোন করে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তামিম বলেন, 'আমি তাকে বলেছিলাম, প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনও ১২-১৩ দিন দূরে রয়েছি এবং ততক্ষণে আমি আরও ভালো হয়ে যাব। এরপর তিনি আমাকে প্রথম ম্যাচে খেলতে চাইলে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে বলেন। আমি এটা ভালোভাবে মেনে নিতে পারিনি। আমি রেগে গিয়েছিলাম এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম।
টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে তামিম বলেন, 'আমি তাকে বলেছি, ওপেনার হিসেবে আমার ১৭ বছরের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও যদি তারা আমাকে নিচে ব্যাট করাতে চায়, তাহলে তাদের উচিত আমাকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেওয়া।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি
‘সরি, একজন খেলোয়ার তামিম ইকবাল’
৭৯৯ দিন আগে