শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লিটন দাস ও তামিম ইকবালের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩২২ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারেই তিন শতাধিক রানের পর বৃষ্টি আইনের কল্যাণে জিম্বাবুয়ের জন্য সে লক্ষ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৪২ রানে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২১৮ রানেই থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস।
নেতা হিসেবে মাশরাফির বিদায়ের দিনে রেকর্ডবই নতুন করে লেখিয়েছেন লিটন-তামিম ওপেনিং জুটি। আগের ম্যাচেই গড়া তামিমের ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে লিটন করেন ১৭৬ রান। ১৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ২৪টি বাউন্ডারি, যার মধ্যে ৮টি ছক্কা এবং ১৬টি চারের মার।
খুব পিছিয়ে ছিলেন না আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। আগের ম্যাচে ১৫৮ রান করা তামিম এবার ১০৯ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের ইনিংসে দুই ওপেনার লিটন-তামিম ছাড়া অন্য কারো কথা আসছে না, তার অন্যতম কারণ তারা অন্যদের দিকে আলো ছড়াতে দেননি, সবকিছু নিজেদের করে নিয়েছেন। দুজনের ২৯২ রানের রেকর্ড জুটি যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সেরা। দুই ওপেনারের ব্যাটে সেঞ্চুরিও এই প্রথম দেখল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য এমনিতেই ছিল জিম্বাবুয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রথম ওভারে মাশরাফির উইকেটে আরও চাপে পড়ে যায় সফরকারিরা।
রেজিস চাকাভা একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন কিছুক্ষণ। ওয়েসলি মাধেভেরে আবার রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। মিডর অর্ডারে সিকান্দার রাজা খেলেছেন ৫০ বলে ৬১ রানের ইনিংস। কিন্তু জিম্বাবুয়ে জয়ের সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি কখনও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশের ব্যাটিং: ৪৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ১২৮*, লিটন ১৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩ এবং আফিফ ৭)।
জিম্বাবুয়ের বোলিং: মুম্বা ৮-০-৬৯-৩, সুমা ৬-১-৪৮-০, রাজা ৭-০-৬৪-০, মাধেভেরে ৫-০-২৯-০, টিরিপানো ৮-০-৬৫-০ এবং উইলিয়ামস ৯-১-৪৬-০।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং: ৩৭.৩ ওভারে ২১৮ (কামুনহুকামউই ৪, চাকাভা ৩৪, টেইলর ১৪, উইলিয়ামস ৩০, মাধেভেরে ৪২, রাজা ৬১, মুটুমবামি ০, মুটুমবোদজি ৭, টিরিপানো ১৫, মুম্বা ৪* এবং সুমা ০)।
বাংলাদেশের বোলিং: মাশরাফি ৬-০-৪৭-১, সাইফ ৬.৩-০-৪১-৪, মিরাজ ৮-০-৪৭-০, মুস্তাফিজ ৬-০-৩২-১, আফিফ ২-০-১২-১, তাইজুল ৯-০-৩৮-২।