ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দুই বছর তদন্তের পর ৩৮ ফুটবলার ও পাঁচ ক্লাব কর্মকর্তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে চীনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (সিএফএ)।
সিএফএ সভাপতির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) চীনের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ক্রীড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
দালিয়ানে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ঝাং শিয়াওপেং বলেন, তদন্তে ১২০টি ম্যাচ পাতানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ৪১টি ফুটবল ক্লাব জড়িত ছিল।
তবে সবগুলো ম্যাচ চীনে হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
পাশাপাশি সাবেক চার ক্রিকেটারকেও আজীবন নিষিদ্ধ করেছে চীন। ওই চার ক্রিকেটার হলেন- চীনের জিন জিংদাও, গুও তিয়ানিউ ও গু চাও এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সন জুন-হো। ১০ মাস আটক থাকার পর গত মার্চে মুক্তি পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যান সন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ: ব্রাজিল পুলিশের তদন্তে নির্দোষ আন্তোনি
অবশ্য শাস্তি পাওয়া খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে এখনও কেউ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে ঝ্যাং বলেন, ৪৪ জনকে ঘুষ, জুয়া ও অবৈধভাবে ক্যাসিনো খোলার কারণে ফৌজদারি শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এছাড়া আরও ১৭ জন ঘুষ ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সিএফএ সভাপতি সং কাই জানান, ৪৪ জনের মধ্যে ৪৩ জনকে ফুটবল সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আরও ১৭ জনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত সপ্তাহে জাপানের কাছে ৭-০ গোলে হারের পর মঙ্গলবার দালিয়ানে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত চীনের ফুটবল। স্থানীয় ভক্তরা জাতীয় দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণেই খেলাটির এই অবস্থা বলে মনে করে থাকেন।
আরও পড়ুন: শাস্তি পেতে পারেন বেলিংহ্যাম
সম্প্রতি ফুটবল-সম্পর্কিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে চীন। আগস্টে ঘুষ গ্রহণের জন্য দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক সাবেক সহ-সভাপতিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রতিযোগিতা বিভাগের সাবেক পরিচালককে একই অপরাধের জন্য সে সময় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটি।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চে সিএফএর সাবেক এক চেয়ারম্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় চীনের আদালত।