শুধু আর্জেন্টিনাবাসী নয়, সারাবিশ্বের ফুটপ্রেমীদের কাছের আরাধ্য নাম লিওনেল মেসি। যার জন্মই হয়েছে ফুটবল জাদু দেখানোর জন্য। দুনিয়া কাঁপানো এই ফুটবলারের জীবনগল্প সচিত্রে তুলে ধরা হলো।
লিওনেল মেসির এই সচিত্র জীবনগল্প উঠে এসেছে ওয়েব পোর্টাল এমএসএন-এ।
শুধু আর্জেন্টিনাবাসী নয়, সারাবিশ্বের ফুটপ্রেমীদের কাছের আরাধ্য নাম লিওনেল মেসি। যার জন্মই হয়েছে ফুটবল জাদু দেখানোর জন্য। দুনিয়া কাঁপানো এই ফুটবলারের জীবনগল্প সচিত্রে তুলে ধরা হলো।
লিওনেল মেসির এই সচিত্র জীবনগল্প উঠে এসেছে ওয়েব পোর্টাল এমএসএন-এ।
অল্প বয়সেই নিজের ভাইবোনদের সঙ্গে ফুটবল খেলা শুরু করেন মেসি। মাত্র চার বছর বয়সেই গ্রান্ডোলি নামের একটি স্থানীয় ক্লাবে যোগ দেন।
ছয় বছর বয়সে রোজারিওতে অবস্থিত নিজের প্রিয় ক্লাব নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে যোগ দেন মেসি। সেখানে তিনি ছয় বছর কাটিয়ে অর্জনের তালিকায় ৫০০ গোল অন্তর্ভুক্ত করেন।
১৪ তে বার্সার জার্সি। বয়সের কারণে বিশ্বের অন্যতম ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা তাকে নিতে কিছুটা দ্বিধায় ছিল। তবে প্রতিভা দেখানোর সুযোগ করে দিয়ে স্পেনের এই ক্লাব চুক্তি করতে রাজি হয়।
অল্প কিছুদিনের মধ্যে বার্সেলোনার দ্বিধা কেটে যায়। বার্সেলোনার ইয়ুথ একাডেমিতে যাওয়ার পর মেসি ২০০২ সালে স্প্যানিশ ফুটবল লিগে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধিত হন। ক্লাবের একজন ‘গোল্ডেন প্লেয়ার’ হিসেবে প্রমাণ করেন।
২০০৬-২০০৭ মৌসুমে বেশ কড়া বাছাই পর্বের পর মেসি ক্লাবের হয়ে ২৪টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক শিরোপা জয় করেন।
বার্সেলোনার হয়ে মেসি যেসব শিরোপা জয় করেন- ৮টি কিংস কাপ (কোপা দেল রেই), ৭টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ১০টি স্প্যানিশ লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ। এছাড়াও মেসি ও তার দল চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জয় করেন।
একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সম্মান গোল্ডেন বল (ব্যালন ডি’অর) মেসির ঘরে শোভা পেয়েছে সাতবার।
স্প্যানিশ আইনে কয়েকটি চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মেসিকে ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। জনসম্মুখে ক্লাব ছাড়ার খবর দিতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন এই ফুটবল তারকা।
২০২১ সাল থেকে মেসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁ’র (পিএসজি) হয়ে খেলা শুরু করেন।
তিনি ২০১৭ সালে তার শৈশবের প্রেমিকা রোজারিও’র আন্তোনেলা রোকুজ্জোকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।
২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলেন মেসি। তিন ম্যাচে এক গোল করেন।
২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেন।
২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে চার গোল করেছিলেন মেসি। ফাইনালে উঠলেও জার্মানির বিপক্ষে তৃতীয় বিশ্বকাপে নিজের ঘরে ট্রফি তুলতে পারেননি তিনি।
প্রশ্ন একটাই- কাতার বিশ্বকাপ কি লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ? সবার একটাই প্রত্যাশা, যেন শেষ বিশ্বকাপে ফুটবলের এই তারকার বিশ্বকাপ মিস না হয়!