বার্সেলোনা
নিকো, লুইসকে না পেয়ে র্যাশফোর্ডকে দলে টানছে বার্সেলোনা
নিকো উইলিয়ামসকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। কিন্তু শেষমেষ তাকে না পেয়ে লুইস দিয়াসকে দলে টানতে মরিয়া হয়েছিলেন বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর দেকো। তার মধ্যেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে দলে ভেড়ানোর খবর চাউর হয়েছে।
ইংলিশ ফুটবলের দলবদল-সংক্রান্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টাইন জানিয়েছেন, এক মৌসুমের জন্য র্যাশফোর্ডকে ধারে পেতে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে প্রস্তাব দিয়েছিল বার্সেলোনা। রুবেন আমোরিমের দলে ব্রাত্য এই উইঙ্গারের জন্য প্রস্তাবটি প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছে ইউনাইটেড। আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে, এখন কয়েকটি বিষয় সমাধানে শেষ মুহূর্তের আলোচনা চলছে।
বার্সেলোনায় এলে র্যাশফোর্ডের বেতনের পুরোটাই বহন করবে বার্সেলোনা। সেইসঙ্গে আগামী মৌসুমে যদি তাকে স্থায়ীভাবে কিনে রেখে দিতে চায়, তবে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর মতো গুনতে হতে পারে ক্লাবটিকে। অন্তত বার্সেলোনার সংবাদ কভার করা ইতালিয়ান সাংবাদিক মাত্তেও মোরেত্তো তেমনই বলেছেন।
এদিকে, ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানোও ‘হেয়ার উই গো’ বলে র্যাশফোর্ড-বার্সা দলবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
রোমানো জানিয়েছেন, আজ রবিবার অথবা আগামীকালই ইংল্যান্ড থেকে কাতালুনিয়ায় পৌঁছাবেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এরপর শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আগামী সপ্তাহ, অর্থাৎ সোমবার থেকে যেকোনো দিন তার দলবদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বার্সেলোনা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাতালান ক্লাবটির প্রাক-মৌসুম সফরেও সঙ্গী হবেন র্যাশফোর্ড।
এদিকে, আর্থিক জটিলতার কারণে এখনও ১:১ নিয়মে ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। কয়েকদিন আগে এস্পানিওল থেকে দলে ভেড়ানো তরুণ গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়ারই এখনও লা লিগায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেনি ক্লাবটি। ফলে র্যাশফোর্ডের নিবন্ধনেও সময় লাগবে। তবে বার্সেলোনায় খেলতে সমস্ত অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যান তিনি।
এর আগে গত মৌসুমের জানুয়ারির দলবদলের সময়ও বার্সেলোনায় আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন র্যাশফোর্ড। সে সময় নিজের প্রতিনিধিকে দিয়ে ক্লাবটির কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে তখন শেষ পর্যন্ত তাকে দলে টানেনি কাতালানরা।
এরপর মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ধারে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলায় যান তিনি। সেখানে ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখেন র্যাশফোর্ড। সেইসঙ্গে ১৭ ম্যাচে ১০ গোলে অবদান রাখেন (৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট)।
তবে এপ্রিল মাসে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় আগেভাগেই তার মৌসুম শেষ হয়ে যায়। শেষ চার ম্যাচে ভিলানদের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জন্য অ্যান্ডোরা ও সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য থমাস টুখেলের ঘোষিত স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।
ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ আয়ের খেলোয়াড়দের একজন র্যাশফোর্ড। তার সাপ্তাহিক বেতন ৩ লাখ ৮০ হাজার ইউরোরও বেশি। এই বেতনের তিন-চতুর্থাংশ পরিশোধ করে ভিলা। এর পাশাপাশি পারফরম্যান্সভিত্তিক বোনাসও দিয়েছে ক্লাবটি।
এ বছরের শুরুতে বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন, তিনি লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার পাশাপাশি উইংয়ে আরও খেলোয়াড় চান। বিকল্প না থাকায় মৌসুমের শেষভাগে এসে খানিকটা ভুগতেও হয়েছে দলটিকে।
আরও পড়ুন: নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
এরপর মৌসুম শেষ হলে আথলেতিক বিলবাউয়ের তরুণ প্রতিভা নিকো উইলিয়ামসের প্রসঙ্গটি আরও একবার সামনে আসে। কিন্তু শুরুতে বার্সেলোনা সাফ জানিয়ে দেয়, নিকোর জন্য অপেক্ষা করে গত বছরই ছেড়ে গেছে বার্সেলোনার ট্রেন।
তবে নিজেই এবার প্রতিনিধিকে দিয়ে বার্সায় খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন নিকো। সেইসঙ্গে ব্লাউগ্রানা জার্সি পরতে প্রয়োজনে গতবার বার্সেলোনার প্রস্তাবিত বেতনের চেয়েও কম নিতে রাজি বলে জানান তিনি। এমনকি বায়ার্ন মিউনিখ তাকে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি বেতনের প্রস্তাব দিলেও বার্সেলোনায় খেলার আগ্রহ থেকে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
বাঁ উইংয়ে তার শক্তি ও তীব্র আগ্রহ বিবেচনায় আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে নড়েচড়ে বসে বার্সা কর্তৃপক্ষ। নিকোর রিলিজ ক্লসের ৬০ মিলিয়ন ইউরো জোগাড়ও শুরু করে তারা। শেষ পর্যন্ত যখন বিলবাউয়ের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে, তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নেন তিনি।
পরে অবশ্য জানা যায়, বিলবাউকে ট্রান্সফারের অর্থ পরিশোধ করলেও নিজের নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন নিকো। কিন্তু বার্সেলোনা তা দিতে অস্বীকৃতি জানালেও তিনি মৌসুমের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে খেলবেন বলে মৌখিক নিশ্চয়তা দিয়েছিল। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, নিজের বড় ভাই ইনিয়াকি উইলিয়ামস এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে বারবার নতুন চুক্তিতে সই করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
নিকোর সঙ্গে হওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতার পর নিজের প্রথম পছন্দ লিভারপুলের কলম্বিয়ান তারকা লুইস দিয়াসের দিকে দৃষ্টি দেন দেকো। তার জন্য উঠেপড়ে লাগে বায়ার্নও। কিন্তু দুই ক্লাবের প্রাথমিক প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করে লিভারপুল। এরপর কয়েক দফায় বায়ার্ন অর্থের পরিমাণ বাড়ালেও তাতে এখনও রাজি হয়নি ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এই অবস্থা এবং নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিয়াসের দিক থেকে মুখ ফেরায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে নাকি ৬০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই ৯০ মিলিয়ন ইউরো চাওয়া লিভারপুলের কাছে সেটি পাত্তা পায়নি। তাই দীর্ঘদিন ধরে নিজের স্বপ্নের ক্লাবে খেলতে চাওয়া ইংলিশ প্রতিভাকেই দলে ভেড়াচ্ছে বার্সেলোনা।
এই চুক্তি কার্যকর করায় বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের ভূমিকা ছিল বলে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। জার্মান এই কোচের অধীনে একেকটি দানবে পরিণত হয়েছে দলটির তরুণ ফুটবলাররা। আনসু ফাতি ছাড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন।
ফলে ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পাবেন, সঙ্গে স্বপ্নের ক্লাবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে থেকে যাবেন বহু বছর—র্যাশফোর্ডের পাশাপাশি এই প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন বার্সেলোনার কোটি সমর্থক।
১৩৮ দিন আগে
বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে বার্সেলোনা, চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা, অলিম্পিক লিওঁ ও রোমাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। পাশাপাশি এই ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উয়েফার প্রতিযোগিতায় নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উয়েফার ক্লাব ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি (সিএফসিবি) এই জরিমানা করেছে। উয়েফা বলছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি।
উয়েফার আর্থিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উয়েফার নির্ধারিত আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লাবগুলো এই জরিমানার মুখে পড়েছে। পরের মৌসুমে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হলে আরও বড় জরিমানা গুনতে হতে পারে ক্লাবগুলোকে।
এক বিবৃতিতে সিএফসিবি জানিয়েছে, ‘সম্পদ বিক্রি, খেলোয়াড় বিনিময় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে খেলোয়াড় স্থানান্তরের মাধ্যমে যে আয় হয়, তা ক্লাবের হিসাব-নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।’
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। এমন খুশির দিনেও ক্লাবটিকে দুঃসংবাদ শুনতে হলো।
এই জরিমানার সবচেয়ে বড় অঙ্ক গুনতে হচ্ছে চেলসিকে। ক্লাবটিকে সর্বোচ্চ ৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়ের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্কোয়াড গড়তে ব্যয়ের নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে আরও ১১ মিলিয়ন জরিমানা করা হয়েছে। এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে উয়েফার করা সর্বোচ্চ জরিমানা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
তবে এই শাস্তি এখানেই শেষ নয়; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাবের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত না করতে পারলে তাদের আরও ৬০ মিলিয়ন ইউরো (৭১ মিলিয়ন ডলার) অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনার ঘাড়ে চেপেছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা খড়্গ।
এর আগেও একবার উয়েফার জরিমানার কবলে পড়েছিল বার্সেলোনা। ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে কাতালান ক্লাবটিকে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছিল সংস্থাটি।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা ফরাসি ক্লাব লিওঁকে জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ ইউরো। নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে এই ক্লাবটিকেও।
আমেরিকান ব্যবসায়ী জন টেক্সটরের মালিকানাধীন লিওঁ বর্তমানে আর্থিক দুরবস্থার কারণে ফরাসি ঘরোয়া লিগ ‘লিগ আ’ থেকে অবনমনের বিরুদ্ধে লড়ছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে ক্লাবটির করা আপিলের শুনানি হওয়ার কথা। তাছাড়া, উয়েফা-নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে লিওঁ আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগ থেকেও বাদ পড়তে পারে।
এই ক্লাবগুলোর পাশাপাশি আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো এবং ইতালির রোমাকে ৩ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুনতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়াগো জোতা নিহত
উয়েফার শর্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোকে দুই থেকে চার বছরের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উয়েফার আয়ের নীতিমালার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য ফেরাতে হবে।
১৫২ দিন আগে
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
কাগজে-কলমে রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপাস্বপ্ন টিকে থাকলেও প্রায় অসম্ভব সমীকরণ মেলাতে হতো দলটির; নিজেদের অবশিষ্ট তিন ম্যাচ জয় এবং বার্সেলোনার তিনটি ম্যাচই হারতে হতো। এ ক্ষেত্রে রিয়াল প্রথম ম্যাচটি জিতলেও নিজেদের ম্যাচ জিতে সব হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এতে করে ২৮তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এক মৌসুম পর শিরোপা পুনরুদ্ধারে তিন ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল বার্সেলোনার। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
কাতালুনিয়া ডার্বিতে এদিন পূর্ণ শক্তি নিয়েই নেমেছিল বার্সেলোনা। অপরদিকে, ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে দেওয়া এস্পানিওল কোচের কণ্ঠে বার্সাকেও হারানোর প্রত্যয় ঝরেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধ অবশ্য ঠিকঠাক খেলে লামিন-রাফিনিয়াদের আটকে রাখে এস্পানিওল। তবে বিরতির পর আর দলটিকে রুখতে পারেনি তারা। ৫৩তম মিনিটে লামিনের বাঁ পায়ের কারিকুরিতে পরাস্ত হয় দলটির রক্ষণভাগ। নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগে বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালককে অযথা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিকদের ডিফেন্ডার লেয়ান্দ্রো কাবরেরা। পরে যোগ করা সাত মিনিটের পঞ্চম মিনিটে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করার গোলটি করেন দুর্দান্ত ফেরমিন লোপেস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৭ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হয়েছে ৮৫। আর সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৭৮। ফলে দুই ম্যাচে রিয়াল পূর্ণ ছয় পয়েন্ট এবং বার্সেলোনা দুটিই হারলেও তাদের ধরা সম্ভব হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এদিকে, হেরে অবনমনের শঙ্কা বেড়েছে এস্পানিওলের। টেবিলের ১৬তম স্থানে থাকলেও অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট দূরে আছে দলটি। ফলে পরের দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততেই হবে মানোলো গন্সালেসের শিষ্যদের।
২০২২-২৩ মৌসুমেও এস্পানিওলের এই মাঠ থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। সেবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে জিতে শিরোপা উদযাপন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় দলটিকে। এবারও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা যাতে মাঠে উদযাপন করতে না পারে, সে লক্ষ্যে শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠের পানির স্প্রেগুলো চালু করে দেওয়া হয়। আর হান্সি ফ্লিকও ছিলেন সতর্ক। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিষ্যদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন তিনি।
২০২ দিন আগে
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২, ৫-২ ও ৩-২ গোলে তিনটি ম্যাচ হারিয়ে আগেই দুটি শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এবার ৪-৩ গোলে হারিয়ে মৌসুমের সবগুলো এল ক্লাসিকো জিতে নিল কাতালান জায়ান্টরা। সেইসঙ্গে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের বন্দরে প্রায় নোঙর করেই ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ক্যাম্প ন্যুতে রবিবার লা লিগার দ্বিতীয় ও মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ৪-৩ গোলে হেরে গেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
এই জয়ে লিগের আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ২৬ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কাতালানদের আর দরকার দুই পয়েন্ট। আগামী বৃহস্পতিবার রাতে কাতালুনিয়া ডার্বিতে এস্পানিওলের মাঠে খেলতে যাবে ফ্লিকের দল। টেবিলের চতুর্দশ স্থানে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলবে তারা।
এদিন রিয়াল মাদ্রিদের তিন গোলের তিনটিই করেছেন এমবাপ্পে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে একমাত্র ৮ বা তার বেশি রেটিংয়ের পারফরম্যান্স দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি (৮.৮)। বার্সেলোনার দলীয় পারফরম্যান্সের সামনে বৃথা গেছে তার হ্যাটট্রিক।
অবশ্য দল না জিতলেও ব্যক্তিগত একাধিক অর্জন হয়েছে এই ফরাসি তারকার। রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ৩৮টি গোল করে ফেলেছেন এমবাপ্পে, অভিষেক মৌসুমে যা রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন এমবাপ্পে। এমনকি হাতে আরও তিনটি ম্যাচ থাকায় এই রিকর্ডটি তিনি আরও উচ্চতায় তুলতে পারেন।
এছাড়া লা লিগায় ২৫ গোল নিয়ে ম্যাচ শুরু করা এমবাপ্পের লিগে গোল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। চলতি মৌসুমের পিচিচি ট্রফিরে দৌড়ে বার্সেলোনার রবের্ট লেভানডোভস্কিকে (২৬) পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন রক্ষণের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, আর তা থেকে সফরকারীদের এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের ঢোকার আগে কুবারসিকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান এমবাপ্পে, এরপর স্টান্সনি এগিয়ে গিয়ে এমবাপ্পের পা থেকে ঝাঁপিয়ে বল কাড়তে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন। এরপর ভিএআর রিভিউ শেষে ষষ্ঠ মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা।
চতুর্দশ মিনিটে বার্সার হাইলাইন ডিফেন্স ভেঙে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার। গোল খেয়ে অবশ্য মাঝমাঠ থেকে লামিনকে ফাউল করে বল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল বার্সেলোনা, তবে রিভিউতে তাদের সে আবেদন জোর পায়নি।
এর পাঁচ মিনিট পর এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। এ সময় বক্সের মধ্যে আসা ক্রসে প্রথমে মাথা দিয়ে বল গোলপোস্টের মাঝ বরাবর পাঠান ফেররান, তাতে সফল হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন এরিক।
এরপর ৩২তম মিনিটে লামিন ইয়ামাল ও ৩৪তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোল প্রথমোর্ধেই রিয়ালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমবাপ্পের আরও এক গোলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল দলটি। তবে তা ম্যাচ জিতে লিগে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
একেবারে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন ফেরমিন লোপেস। তবে অফসাইডে গোলটি কাটা পড়লে ৪-৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ মিলেছে। সেইসঙ্গে লা লিগা জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
২০৭ দিন আগে
সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।
এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।
তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।
এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।
২১২ দিন আগে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচটি জিতে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
বেঞ্চের ফুটবলারদের ঝালিয়ে নিতে নিয়মিত একাদশের নয়জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়েছিলেন হান্সি ফ্লিক। তবে শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল তার দল। পরে কয়েকটি পরিবর্তন এনে বার্সেলোনাকে ম্যাচটি জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছের তিনি।
শনিবার রাতে লা লিগায় নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামে রিয়াল ভায়াদোলিদ ও বার্সেলোনা। সবশেষ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলা একাদশের ৯ জনকেই এদিন বিশ্রাম দেন ফ্লিক। ওই একাদশ থেকে মাঠে নামেন কেবল পেদ্রি ও জেরার্দ মার্তিন।
তবে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে ঘরের মাঠে সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয় ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন নিশ্চিত করে ফেলা ভায়াদোলিদ। এরপর প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতেও সক্ষম হয় দলটি।
৩৮তম মিনিটে এই ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষিক্ত দানি রদ্রিগেস চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে খেলতে নামেন লামিন ইয়ামাল। আর তাতে কাতালানদের আক্রমণে ধার বাড়ে। পরে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করার সময় পেদ্রি ও আনসু ফাতিকে বসিয়ে রেখে যথাক্রমে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও রাফিনিয়াকে মাঠে নামান ফ্লিক।
এরপর সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি সফরকারীরা। ৫৪তম মিনিটেই রাফিনিয়ার গোলে সমতায় ফেরে তারা। এর সাত মিনিট পর ফেরমিন লোপেসের একটি ব্যাঙ্গারে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: অগ্নিঝরা ফাইনাল জিতে কোপা দেল রের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা
পরে অবশ্য আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা মেলেনি দলটির। এছাড়া চোট থেকে সেরে উঠে ২২৪ দিন পর মাঠে নামা বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন পরে আর ভুল না করে বরং তিনটি অসাধারণ সেভ করলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকা বার্সেলোনা নিজেদের পয়েন্ট ৭৯-তে উন্নীত করেছে, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আবারও বাড়িয়ে নিয়েছে সাত পয়েন্টে।
নিজেদের ৩৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে রবিবার। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় সেল্তা ভিগোকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
পরের সপ্তাহে লিগে মৌসুমের দ্বিতীয় ও শেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার মাঠে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ওই ম্যাচটিই লা লিগার চলতি আসরের ভাগ্য গড়ে দেবে বলে ফুটবল পাড়ায় জোর আলোচনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
২১৫ দিন আগে
মৌসুম শেষ কামাভিঙ্গার, ফাইনালে আলাবাকে নিয়ে সংশয়ে রিয়াল
গেতাফের বিপক্ষে কোনোরকমে জিতে লা লিগার শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকলেও কোপা দেল রের ফাইনালের আগে দুঃসংবাদ দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চোটের কারণে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার। এছাড়া ফাইনালে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন ডিফেন্ডার দাভিদ আলাবাও।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে আরদা গুলেরের গোলে গেতাফেকে ১-০ ব্যবধানে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। আলাবা শুরুর একাদশে থেকে ম্যাচ শুরু করলেও দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামেন কামাভিঙ্গা। তবে দুজনকেই মাঠ ছাড়তে হয় অস্বস্তি নিয়ে।
ম্যাচশেষে আনচেলত্তি জানান, কামাভিঙ্গা ও আলাবা পেশিতে টান পেয়েছেন। ফলে বার্সেলোনার বিপক্ষে ফাইনালে তাদের পাওয়ার আশা করছেন না তিনি।
কোচের সেই আশঙ্কা সত্যি করে আজ (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, কামাভিঙ্গার বাঁ পায়ের অ্যাডাক্টর টেন্ডন সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গেছে। ফলে অন্তত তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই মিডফিল্ডারকে।
এর ফলে মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে এই ফরাসি মিডফিল্ডারের। এমনকি আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপও খেলতে পারবেন না তিনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কোপের রিয়াল মাদ্রিদ বিটের সাংবাদিক আরানচা রদ্রিগেস জানিয়েছেন, তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে কামাভিঙ্গাকে। আগস্টের মাঝামাঝি লা লিগার পরবর্তী মৌসুম শুরুর হওয়ার সময় দলে ফিরবেন এই মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: একাধিক সুযোগ নষ্ট করে গেতাফের হার, লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল
কামাভিঙ্গাকে স্থায়ীভাবে হারালেও আলাবাকে নিয়ে যে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন আনচেলত্তি, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুটা স্বস্তির খবর মিলেছে।
আরানচা জানিয়েছেন, আলাবার চোট ততটা গুরুতর নয়। আগামীকাল (শুক্রবার) তিনি যদি খুব বেশি অসুস্থ বোধ না করেন, তাহলে দলের সঙ্গে সেভিলে যেতে পারেন।
সেভিলের লা কার্তুহা স্টেডিয়ামে শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এই ম্যাচের আগে কামাভিঙ্গার ছিটকে যাওয়া ও আলাবাকে নিয়ে সংশয় থাকায় রিয়ালের লেফট ব্যাক পজিশনে এখন একমাত্র নাম ফ্রান গার্সিয়া। তবে চলতি মৌসুমে তার পারফরম্যান্স খুব বেশি আশা জাগানিয়া নয়। ফলে ১৭ বছর বয়সেই ফুটবল বিশ্বের আলো কেড়ে নেওয়া লামিন ইয়ামালকে আটকাতে কী কৌশল অবলম্বন করবেন আনচেলত্তি, তার ওপর দলের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করছে।
ফাইনাল ম্যাচে দলটির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় খেলতে পারবেন না। এদের মধ্যে দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাও চোট পেয়ে বেশ আগেই এই মৌসুমের জন্য দলের বাইরে চলে গেছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন কামাভিঙ্গা। তাছাড়া দাভিদ আলাবা ও ফেরলঁ মঁদির খেলা নিয়েও রয়েছে সংশয়। পাশাপাশি চোটের কারণে কিলিয়ান এমবাপ্পে শনিবারের ফাইনালে খেলতে পারবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অন্যদিকে, এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনা যে খুব ভালো অবস্থায় আছে, তা নয়। চোটের কারণে কাতালান দলটিও আছে বিপদে।
আরও পড়ুন: কষ্টের জয়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে বার্সেলোনা শিবিরে দুঃসংবাদ
লেগানেসের বিপক্ষে চলতি মাসের ১২ তারিখের ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান দলটির নিয়মিত একাদশের লেফট ব্যাক আলেহান্দ্রো বালদে। এরপর সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে শনিবার (১৯ এপ্রিল) হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন চলতি মৌসুমে বার্সার সর্বোচ্চ গোলদাতা রবের্ট লেভানডোভস্কিও। শুধু কোপার ফাইনালই নয়, ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দুই লেগেও তাকে না পাওয়া শঙ্কায় আছেন হান্সি ফ্লিক।
এছাড়া, পেশির চোটে অনেক আগেই মৌসুম শেষ হয়ে গেছে দলটির মাঝমাঠের দুই খেলোয়াড় মার্ক বের্নাল ও মার্ক কাসাদোর। ডিফেন্ডার আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন ও গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন অনুশীলনে ফিরলেও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছেন তারা। মাঠে ফিরতে তাদের আরও কিছুটা দেরি আছে।
তাছাড়া বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ম্যাচ খেলার ধকল থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ায় কিছুটা হলেও বেশি বিশ্রামের সুযোগ মিলবে রিয়াল মাদ্রিদের। সব মিলিয়ে দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের ছাড়াই কোপার ফাইনালে শনিবার রাতে মাঠে নামতে হচ্ছে দুই দলকে। ফলে দুই কোচের কৌশল ও ম্যাচ ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করছে কাদের হাতে উঠতে চলেছে এবারের কোপা দেল রে।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লেভানডোভস্কির চোট, বিপদে বার্সেলোনা
২২৪ দিন আগে
একাধিক সুযোগ নষ্ট করে গেতাফের হার, লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল
৩৬ শতাংশ পজেশন রেখেও ২০টি শট নিয়ে তার ছয়টি লক্ষ্যে রাখল গেতাফে। ম্যাচজুড়ে গোল করার চারটি পরিষ্কার সুযোগও তৈরি করল তারা। তবে গোল আর করা হয়ে উঠল না। বিপরীতে ১৪টি শটের সাতটি লক্ষ্যে রেখে দুটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করে তা থেকেই ঠিকানা খুঁজে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাতেই কোনোমতে ম্যাচ জিতে নিয়ে শিরোপার লড়াই আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল কার্লো আনচেলত্তির দল।
বুধবার রাতে গেতাফের কলিসেউম স্টেডিয়ামে লা লিগার ৩৩তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আগের রাতে মায়োর্কাকে একই ব্যবধানে হারানোয় রিয়ালের সঙ্গে বার্সেলোনার পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে হয় সাত। তাই নিজেদের ম্যাচটি হারা তো দূর, ড্র করলেও লিগ শিরোপার লড়াই থেকে একপ্রকার ছিটকে যেত আনচেলত্তির দল। তবে জিতে সেই ব্যবধান ফের চারে নামিয়ে তা হতে দেয়নি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৩৩ ম্যাচে ২৪ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭৬। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ জয় ও ৬ ড্রয়ে নিজেদের পয়েন্ট ৭২-এ উত্তীর্ণ করেছে রিয়াল।
আরও পড়ুন: মায়োর্কার ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে ফাইনালের প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
শনিবারের কোপা দেল রের ফাইনালে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ফিট রাখতে বার্সার মতোই বেশ কয়েকজনকে বিশ্রামে রেখে একাদশ সাজান আনচেলত্তি।
চোটের কারণে এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের না খেলার কথা জানা গিয়েছিল আগেই। এছাড়া আন্টোনিও রুয়েডিগার, জুড বেলিংহ্যাম, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, লুকা মদ্রিচ ও রদ্রিগোকে এদিন বেঞ্চে রাখেন রিয়াল বস। এর ফলে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে আক্রমণভাগে খেলার সুযোগ পান ব্রাহিম দিয়াস ও এন্দ্রিক। মাঝমাঠে খেলতে নামেন আরদা গুলেরও।
একাদশে অদল-বদল হলেও প্রথমার্ধে অসাধারণ পারফর্ম করে রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য তাদের সমানে জবাব দিয়ে যাচ্ছিল গেতাফেও।
তবে ২১তম মিনিটে গুলেরের চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এ সময় ব্রাহিমের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে পরমুহূর্তে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান গুলের। জায়গা বানিয়ে নিয়েই ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন এই তরুণ তুর্কি, গোলরক্ষক দাভিদ সরিয়া ঝাঁপিয়ে তাতে হাত ছোঁয়ালেও আটকাতে ব্যর্থ হন।
৩২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও পেয়েই গিয়েছিল রিয়াল। এন্দ্রিকের শট সরিয়া প্রতিহত করলেও তা গোলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন গেতাফের এক ডিফেন্ডার।
২২৫ দিন আগে
মায়োর্কার ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে ফাইনালের প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
পুরো ম্যাচজুড়ে শট নিল চল্লিশটি, অথচ গোল পেল মাত্র একটি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। এমনটিই ঘটেছে মায়োর্কার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচে। ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতার এমনই এক রাতে অবশ্য জিতেই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
মঙ্গলবার রাতে লা লিগার ৩৩তম রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠে মায়োর্কাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন দানি অলমো।
গত ১৫ বছরে লা লিগার কোনো দল এক ম্যাচে এত বেশি (৪০) শট নিতে পারেনি। ফ্লিকের বার্সেলোনার সৌজন্যে সেই বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব।
চোটে খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি এবং আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর কথা মাথায় রেখে টানা ম্যাচ খেলা একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড়দের ছয়জনকে বদল করে নতুন একাদশ সাজিয়ে এদিন শিষ্যদের মাঠে নামান হান্সি ফ্লিক। তবে তাতে তার দলের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি।
অপরদিকে, গত কয়েক মৌসুম ধরে কোনোরকমে অবনমন এড়ানো মায়োর্কা চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে। লিগ টেবিলের সাতে থাকা এই দলটির পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই হতাশাজনক। ফলে তাদের ওপর পুরো ম্যাচজুড়ে ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সেলোনা।
৭৮ শতাংশ পজেশন ধরে রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ৪০টি শট নেয় দলটি, যার ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, মাত্র চারটি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি মায়োর্কা।
এর ফলে এক গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে চলা কোপা দেল রের ফাইনালের প্রস্তুতি সেরেছে কাতালান জায়ান্টরা। সেই সঙ্গে অনিয়মিত খেলোয়াড়দেরও ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ফ্লিক।
চোটে ছিটকে যাওয়া লেভানডোভস্কি এবং রাফিনিয়াকে বিশ্রামে রাখায় এদিন কপাল খোলে আনসু ফাতির। তাকে বাঁ পাশে রেখে ফেররান তোরেস ও লামিন ইয়ামালকে নিয়ে আক্রমণ ত্রয়ী সাজান ফ্লিক।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লেভানডোভস্কির চোট, বিপদে বার্সেলোনা
মাঠে নেমে প্রথম মিনিটেই গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন ফাতি, তবে শটটি মায়োর্কার রক্ষণে আটকে যায়। এরপর সপ্তম থেকে নবম মিনিটের মধ্যে লামিনের দুটি ও ফেররানের একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বাদশ মিনিটে ফেররান ও লামিনের জোড়া শট প্রতিহত করেন মায়োর্কা গোলরক্ষক লেও রোমান। সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল ধরে এগিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে থেকে জোরালো শট নেন ফেররান, গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে তা ফিরিয়ে দিলে বল চলে আসে ডানপাশে থাকা লামিনের পায়ে। তিনি সেখান থেকে শট নিলেও বল লুফে নেন রোমান।
অষ্টাদশ মিনিটের শুরুতে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে গোল করার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে মায়োর্কা। তবে গোলমুখে বাড়ানো নিচু ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হওয়ায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগবঞ্চিত দলটি।
২৬তম মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিলেন অলমো, কিন্তু তার অসাধারণ টোকায় গোলের উদ্দেশে বাড়ানো বলের দিক পরিবর্তন করে দেন রোমান। ২৯তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল খাওয়া থেকে দলকে রক্ষা করেন তিনি। পরের মুহূর্তেই গাভির নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তার কয়েক মুহূর্ত পর গোলমুখে বল পেয়েও বাইরে মারেন আরাউহো।
এই সময় থেকে মোটামুটি পাঁচ মিনিট মায়োর্কার খেলোয়াড়দের ওপর বুলডোজার চালাতে থাকে বার্সার খেলোয়াড়রা। একের পর এক আক্রমণ, শটে গোল আদায়ের জোরালো প্রচেষ্টা চালাতে থাকে দলটি। কিন্তু কোনোমতে বার্সার আক্রমণগুলো প্রতিহত করে ম্যাচে নিজেদের ধরে রাখে মায়োর্কা।
চল্লিশতম মিনিটে আরও একবার দুর্দান্ত আক্রমণ শানিয়ে তিন তিনবার গোলে শট নেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা, তবে এবারও মায়োর্কার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রোমান। ৪৪তম মিনিটে বাঁ পাশ থেকে বক্সে ঢুকে নেওয়া ফাতির শট পোস্টঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
ফিরতি বল থেকেই আক্রমণে উঠে বার্সার রক্ষণ ভেঙে এগিয়ে গিয়ে গোল করেন আন্তোনিও সানচেস, তবে শেষ পর্যন্ত তা অফসাইডে কাটা পড়ে।
আরও পড়ুন: হারের শঙ্কা জাগিয়েও সাত গোলের থ্রিলার জিতল বার্সেলোনা
এর কিছুক্ষণ পর বিরতিতে যায় দুদল। বিরতির আগে প্রতিপক্ষকে চোখ রাঙিয়ে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। ৭৮ শতাংশ সময় পজেশন রেখে প্রথমার্ধে মোট ২৪টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল। প্রথমার্ধে তিনিট ‘বিগ চান্স’ তৈরি করে দলটি, কিন্তু স্কোরবোর্ডে কিছুই যোগ করতে পারে না। অপরদিকে, নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত থাকা মায়োর্কার আক্রমণের খাতা ছিল একেবারে শূন্য।
২২৬ দিন আগে
শেষের গোলে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল
মৌসুমের শেষে এসে লা লিগার শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রতিটি ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই রিয়াল মাদ্রিদের। অপরদিকে, আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করতে একই লক্ষ্য আথলেতিক বিলবাওয়ের সামনেও। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুদল। তবে পুরো ম্যাচ নিজেদের কৌশলে খেলে সফল হলেও শেষে গিয়ে আর পেরে ওঠেনি বিলবাও। ফলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
রবিবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগার ৩২তম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে দুদলের কেউ গোল করতে না পারলেও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেন মাদ্রিদ জায়ান্টদের উরুগুয়ে মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভের্দে।
রিয়াল মাদ্রিদের ডেরায় গত ২০ বছর ধরে জয়বঞ্চিত বাস্ক কান্ট্রির দলটি। সেই ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ বের্নাবেউতে জয় পেয়েছিল বিলবাও। তারপর ১৯ ম্যাচ খেলে তিন ড্রয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে দলটি, বাকি ১৬ ম্যাচেই হার। রবিবার এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে।
এদিন ৩১ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থেকে ম্যাচ শুরু করে বিলবাও। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লা লিগা থেকে পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হলেও পরের দলগুলোর সঙ্গে ব্যবধান পয়েন্ট বেশি না থাকায় বাকি ম্যাচগুলোতে জয় আবশ্যক এর্নেস্তো ভালভের্দের শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে ভিয়ারিয়াল রয়েছে পাঁচে এবং ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল বেতিস রয়েছে ছয়ে। তাই বাকি ম্যাচগুলোতে পা হড়কালে এই দুই দল বিলবাওকে পেছনে ফেলে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিতে পারে।
ফলে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাদ্রিদে এসেছিল বিলবাও। তবে রিয়ালের আক্রমণের তোড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘প্ল্যান বি’ বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে দেখা যায় দলটির খেলোয়াড়দের।
রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে লো-ব্লক ডিফেন্স শুরু করে তারা। পুরো ম্যাচে মাত্র ২৭ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রাখতে সক্ষম হয় দলটি। এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও প্রথমার্ধে তা-ও নিতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, ৭৩ শতাংশ সময় বলের ওপর দখল রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ২২টি শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ, যার ১৭টিই ছিল দ্বিতীয়ার্ধে।
২২৭ দিন আগে