বার্সেলোনা
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
৫ দিন আগে
দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
বার্সেলোনা-ডর্টমুন্ড ম্যাচ মানেই যেন সুন্দর ফুটবল, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পসরা ও গোলের উচ্ছ্বাসের সমন্বয়ে জমজমাট এক লড়াই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মেনে শেষ পর্যন্ত ব্যথার মালা গলায় পরতে হয়েছে কালো-হলুদ জার্সিধারীদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়া সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিগনাল ইদুনা পার্কে স্বাগকিতদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের নাটক, উত্তেজনা, উল্লাস- সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই বলে প্রথমার্ধ যে ম্যাড়মেড়ে ছিল, মোটেও তা নয়।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পরপর দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগগুলো মাঠে মারা যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার মাঝে ত্রয়োদশ মিনিটে ফের আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। পাল্টা আক্রমণে উঠে বিপরীত পাশ ধরে অনেকটা ফাঁকায় এগোতে থাকা রাফিনিয়ার উদ্দেশে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁকানো সিগনেচার পাস দেন লামিন ইয়ামাল। তবে সেবারও ফিনিংশের অভাবে সুযোগ হারায় দলটি।
চার মিনিট পর গোল করতে পারতেন মার্সেল জাবিৎসার, তবে সতীর্থের পাসে গতি থাকায় সুবিধা করতে পারেননি ডর্টমুন্ডের এই অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সাকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আর তটস্থ হয়ে তাদের স্পেস কমিয়ে দিতে এবং সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় থাকে নুরি সাহিনের শিষ্যরা।
ভুগতে ভুগতে ৪০তম মিনিটের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েই গিয়েছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত ক্রসে মাথা লাগিয়েও ইনিয়াকি পেনিয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন সেরহু গিরাসি।
প্রথমার্ধে বলের ওপর একক আধিপত্য ধরে রাখলেও আক্রমণে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিল বার্সা। ফলে গোলের উদ্দেশ্যে ৮টি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
অপরদিকে, প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে রক্ষণ সামলানো ডর্টমুন্ড মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বার্সার অফসাইড ফাঁদ কিংবা ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না আনতে পেরেই বিরতিতে যায় দুদল।
১ সপ্তাহ আগে
এক ম্যাচ পর ফের বার্সেলোনার হোঁচট
লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত থেকে শীর্ষস্থান নড়বড়ে করার পর মায়োর্কার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পরের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের মাঠে গিয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার বেনিতো ভিয়ামারিন স্টেডিয়ামে লা লিগায় নিজেদের ১৭তম ম্যাচটি রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে ৩৯তম মিনিটে লেভানডোভস্কির গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই লিড হারায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান জিওভানি লো সেলসো। এরপর ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ফেররান তোরেসের গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফের ম্যাচে সমতা টানেন বেতিসের বদলি নামা ফরোয়ার্ড আসানে দিয়াও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বার্সার রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় বেতিস। এর মধ্যে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই গোল করার দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে বার্সার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের কল্যাণে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
শুরু ধাক্কা সামলে দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছন্দে ফেরে বার্সেলোনা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোলের খাতাও খোলে তারা।ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে লামিন, পেদ্রির পা ঘুরে বল আসে এগোতে থাকা জুল কুন্দের কাছে। তিনি খানিকটা এগিয়ে গিয়ে গোলমুখে সতীর্থের উদ্দেশে ক্রস দেন, আলতো টোকায় তার নিচু ক্রস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এর ফলে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৬টি। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে ২৩ গোল করলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৮/১৯ মৌসুমে লিওনেল মেসির পর লা লিগায় এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় মৌসুমের প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৬ বা তার বেশি গোল করলেন। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে যৌথভাবে গোল করেছেন ১৬টি।
১ সপ্তাহ আগে
হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
২৪ ঘণ্টাও হয়নি জমকালো আয়োজনে ক্লাব প্রতিষ্ঠার ১২৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বার্সেলোনা। এর মধ্যেই পুচকে লাস পালমাসের কাছে হেরে বসেছে তারা।
শনিবার লা লিগার ১৫ রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থাকা লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এর ফলে ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের চূড়ায় থাকলেও শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে বার্সেলোনার। দুই ম্যাচ কম খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ওই দুই ম্যাচ জিতে ব্লাউগ্রানাদের টপকে শীর্ষস্থান দখল করার দারুণ সুযোগ এসেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের কাছে।
এই হারের ফলে লা লিগায় সবশেষ তিন ম্যাচ টানা জয়বঞ্চিত রইল বার্সেলোনা। এর মধ্যে মাত্র এক ম্যাচ ড্র করে এক পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ফলে সবশেষ তিন ম্যাচে তাদের অর্জন কেবল ওই একটি পয়েন্ট।
এদিন প্রথমার্ধে সফরকারীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুদল। তবে বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস।
ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে সতীর্থের লং পাস ধরে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢোকার মুখে কোনাকুনি জোরালো শট নেন সান্দ্রো রামিরেস। বল ঝাঁপিয়ে পড়া ইনিয়াকি পেনিয়ার নাগালের বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে খেলায় আধিপত্য দেখাতে না পারলেও এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে বার্সেলোনা। এরই ধাবাহিকতায় ম্যাচের ৬১তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান রাফিনিয়া।
প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে বার্সেলোনা বল নিয়ে নাড়াচাড়া করার মাঝে হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য মনোযোগ হারায় লাস পালমাস। এই সুযোগে পেদ্রির কাছ থেকে বল ধরেই বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুলেট শটে পোস্টঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
তবে সমতায় ফিরলেও বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে ৬ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় লাস পালমাস। মাঝমাঠ থেকে বার্সার ডিফেন্স লাইনে অপেক্ষা করা ফাবিও সিলভার কাছে চমৎকার একটি উড়ন্ত পাস দেন হাভিয়ের মুনিয়োস। পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে পেনিয়াকে বোকা বানান সিলভা।
দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর ৭০ ও ৭১তম মিনিটে দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন যথাক্রমে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নামা লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। তবে পালমাস গোলরক্ষক জ্যাসপার সিলিসেনের নৈপুণ্যে দুবারই হতাশ হন তারা।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে অবশ্য ফেররান তোরেসের গোলে ফের সমতায় ফেরে বার্সেলোনা, তবে অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও গোল আদায় করতে না পারলে ১২৫তম প্রতিবার্ষিকীর উদযাপন মাটি করে মাঠ ছাড়তে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।
রবিবার রাতে টেবিলের আরেক তলানির দল গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ থাকবে চ্যাম্পিয়নদের। এর আগে আজ রাতে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জিততে পারলে বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে পারবে আতলেতিকো মাদ্রিদও।
২ সপ্তাহ আগে
বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ১২৫তম জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে ক্লাবটির আয়োজনে যে সামিল হতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তবে এই দিনে বার্সাকে নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কাতালুনিয়ার সরকারি টেলিভিশন টিভি৩-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে নিজের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে আজকের ‘মেসি’ হয়ে ওঠার পেছনে ক্লাব বার্সেলোনা ও শহরটির অবদানের কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কিশোর বয়সে ২০০০ সালে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় আসেন মেসি। এরপর যোগ দেন ক্লাবটির অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায়। তারপর মূল দলে অভিষেকের পর থেকে শুধু ক্লাবটিরই নয়, গোটা ফুটবল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি।
বার্সেলোনার ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলতে গিয়ে শুরুতেই ক্লাবকে অভিনন্দন জানান তিনি।
বলেন ‘বার্সেলোনার অংশ হওয়া, ক্লাবটির ভক্ত হতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমি ভাগ্যবান যে ঈশ্বর আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং জীবনের বেশিরভাগটাই আমি অসাধারণ এই ক্লাবটিতে কাটাতে পেরেছি।’
বিশেষ দিনে বার্সেলোনাকে মিস করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ ক্লাব, বাকি সব ক্লাবের চেয়ে আলাদা।… ক্লাব, শহর, সেখানকার মানুষ, সবার ভালোবাসা- সবকিছুই আমি মিস করি।’
স্পেনে বসবাস করার সময় ১৮৯৯ সালে সুইস ব্যবসায়ী জোয়ান গাম্পার বার্সেলোনা শহরের ফুটবলে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ক্লাব গঠনের আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভাবনীয় সাড়া পান তিনি।
এরপর ওই বছরের ২৯ নভেম্বর ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা প্রতিষ্ঠা করেন গাম্পার। তারপর ফুটবল ছাপিয়ে এই ক্লাবটিই হয়ে ওঠে কাতালানদের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা এই ক্লাবটি তাই সমর্থকদের কাছে শুধু ফুটবল ক্লাব নয়, তার চেয়ে বেশিকিছুই।
প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছরে ২৬টি লা লিগা, সর্বোচ্চ ৩১টি কোপা দেল রে, ১৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। আর ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সার মূল দলে অভিষেকের পর থেকে এসব অর্জনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ নায়ক বনে যান মেসি।
২ সপ্তাহ আগে
মুখে ১০ সেলাই নিয়েও খেলতে চান কুবারসি, তৈরি হচ্ছে মাস্ক
মাত্র ১৬ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর থেকেই বার্সেলোনার শুরুর একাদশে নিয়মিত মুখ পাউ কুবারসি। রক্ষণে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এরই মাঝে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই তরুণ। বার্সার প্রতি তিনি এতটাই নিবেদিত যে এবার অসুস্থ অবস্থাতেও মাঠে নামতে অনড় এই ডিফেন্ডার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয়ের ম্যাচে দুর্ঘটনার শিকার হন কুবারসি। নিজেদের বক্স থেকে বল ক্লিয়ার করার জন্য অনেকটা নিচু হয়ে হেড করেন তিনি। একই সময়ে প্রতিপক্ষের উরোস স্পাইচ বলে কিক করলে তা লাগে কুবারসির মুখে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শুরুতে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন টিম ফিজিওরা। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে তুলে নেওয়া হয় তাকে।
রুমাল চেপে কুবারসি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন দেখা যায় রক্তে ভরে গেছে মুখ। পরে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুখে দশটি সেলাই লাগলেও ভালো আছেন এই ডিফেন্ডার।
এরপর সাংবাদকিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘(বার্সেলোনার) ব্যাজের জন্য এটুকু করা কিছু নয়।’
আগামী রবিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। চোট থেকে এখনও সেরে না ওঠায় রোনালদ আরাউহো ও এরিক গার্সিয়া দলে না থাকায় কুবারসির অনুপস্থিতিতে দলের রক্ষণভাগ নিয়ে কার্যত বিপাকে পড়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
তবে নিজের অসুস্থতা নিয়ে মোটেও ভাবছেন না কুবারসি। মুখে ক্ষত নিয়েই লা রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, মাঠে নামতে নিজের অনড় অবস্থানের কথা ফ্লিকের কাছে স্পষ্ট জানিয়েছেন এই তরুণ। আর দলের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাই তাকে খুব বেশি জোর করেননি কোচও।
তবে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামলেও ঝুঁকি এড়াতে বিশেষ মাস্ক পরে মাঠে নামতে দেখা যাবে তাকে।
মুন্দো দেপর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অনুশীলনের সময় একজন বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়দের পরিদর্শন করেছেন। কুবারসির জন্য কী ধরনের মাস্ক পরা ঠিক হবে, তা নির্ধারণ করতেই বার্সার অনুশীলন ক্যাম্পে আসেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠে নামবেন কিনা এবং নামলেও কতক্ষণ খেলবেন, তা নির্ধারণ করবেন হান্সি ফ্লিক।
লা লিগায় ১২ ম্যাচে ১১ জয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৪। শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
১ মাস আগে
রিয়ালের খেলোয়াড় ছাড়াই স্পেনের স্কোয়াড, আছে নতুন দুই মুখ
নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। তবে এই দুই ম্যাচের জন্য দুই ফুটবলারকে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাকলেও রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখেননি তিনি।
এর ফলে ২০২১ সালের পর প্রথম স্পেন দলে ডাক পেল না মাদ্রিদ জায়ান্টদের কোনো খেলোয়াড়। সে বছর লুইস এনরিকের অধীনে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়ালের ফুটবলারবিহীন ছিল স্পেন। তবে ওই বছরই ইউরোতে আবার লস ব্লাঙ্কোসদের খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড সাজান বর্তমান পিএসজি কোচ এনরিকে।
এ বছর অনুষ্ঠিত ইউরোতেও স্পেন দলে ছিলেন রিয়ালের তিন খেলোয়াড়- দানি কারভাহাল, নাচো ও হোসেলু। তবে মৌসুম শেষে নাচো ও হোসেলু রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যথাক্রমমে সৌদি আর ও কাতারে চলে যান।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় স্কোয়াডে না রাখার দায় মোটেও দে লা ফুয়েন্তের ওপর পড়ে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডেই স্প্যানিশ প্রভাব কমেছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
বর্তমানে দানি কারভাহাল, লুকাস ভাসকেস, হেসুস ভায়েহো, দানি সেবায়োস ও ফ্রান গার্সিয়া থাকলেও মাঠের খেলায় নিয়মিত শুধু কারভাহাল। তবে চোটে কারভাহালের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন লুকাস ভাসকেস। এছাড়া ফ্রান গার্সিয়া ও সেবায়োস মাঝেমধ্যে খেলে থাকলেও বেশিরভাগ সময় বেঞেই বসে থাকতে দেখা যায় তাদের।
অন্যদিকে, লা মাসিয়ার কল্যাণে বরাবরই দুর্দান্ত সব স্প্যানিশ প্রতিভা বিশ্ব দরবারে তুলে আনে বার্সেলোনা। ফলে জাতীয় দলেও ক্লাবটির খেলোয়াড়দের আধিক্য লক্ষ করা যায়। তবে সম্প্রতি লা লিগাসহ ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে স্প্যানিশ ফুটবলারদের প্রভাব বাড়ায় জাতীয় দল সাজাতে বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি চোখে পড়ছে।
এরই ধাবাহিকতায় ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে অসাধারণ পারফর্ম করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন গ্রীষ্মের দলবদলে পোর্তোয় নাম লেখানো স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সামু ওমরোদিয়ন।
আরও পড়ুন: প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
১ মাস আগে
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ মাস আগে
ব্যালন দ’র: মেয়েদের ফুটবলে বার্সেলোনার জয়জয়কার
আর্থিক সংকটের কারণে পুরুষ দলটি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ভুগলেও বার্সেলোনার নারী দলটি যেন হাওয়ায় ভেসে চলেছে। ক্লাবটিকে দুহাত ভরে সাফল্য এনে দিচ্ছে বার্সার মেয়েরা। ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানেও তাই একের পর এক স্বীকৃতি পেল তারা।
টানা দ্বিতীয় ব্যালন দ’র বনমাতির
মেয়েদের ফুটবলে টানা দ্বিতীয়বার ব্যালন দ’র জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি। গত মৌসুমেও তার হাতেই উঠেছিল ফুটবলের ‘অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কারটি।
আরও পড়ুন: রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
গত ১৮ মাসে বিশ্বকাপ ও দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর বার্সেলোনার কোনো ফুটবলারই যে এবারও ব্যালন দ’র জিততে চলেছেন, তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। তবে শেষ হাসিটা ফুটেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টুর্নামেন্ট সেরা বনমাতির মুখেই।
সোমবার দিবাগত রাতে প্রখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যানের কাছ থেকে ব্যালন দ’র ট্রফিটি গ্রহণ করেন বনমাতি।
১ মাস আগে
রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতেই উঠল এবারের ব্যালন দ’র। শুরু থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কারটি রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাতে উঠছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে রদ্রিই জিতেছেন এটি।
সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী ঘোষণার পর ক্রাচে ভর দিয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এসিএলের চোট পাওয়া রদ্রি। এরপর ব্যালন দ’রের ইতিহাসের ৫০তম খেলোয়াড় হিসেবে তার হাতে ‘ফুটবলের অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন দ’রজয়ী জর্জ উইয়াহ।
এর ফলে ৬৪ বছর পর ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কারটি জিতলেন স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার। সবশেষ ১৯৬০ সালে এটি জিতেছিলেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার লুইস সুয়ারেস। এতদিন স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র ব্যালন দ’র জয়ী ছিলেন তিনিই। এবার তার পাশে বসলেন আরেক মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
পুরস্কার নেওয়ার পর অনভূতি জানাতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘এটি শুধু আমার একার জয় নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের বিজয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন (স্পেনের) যেসব খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি থেকে বঞ্চিত ছিলেন- (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, শাভি (এর্নান্দেস), ইকের (ক্যাসিয়াস) ও বুসি (সের্হিও বুসকেটস), এই পুরস্কার আমাদের সবার।’
এ সময় বার্সেলোনার উদীয়মান ফুটবলার লামিন ইয়ামালের প্রতিভার প্রশংসা ঝরে রদ্রির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘লামিন খুব তাড়াতাড়িই এটি জিততে চলেছে। এতে আমার কোনো সংশয় নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, (ব্যালন দ’র নিতে) একদিন তুমিও এখানে (মঞ্চে) দাঁড়াবে।’
১ মাস আগে