বার্সেলোনা
মুখে ১০ সেলাই নিয়েও খেলতে চান কুবারসি, তৈরি হচ্ছে মাস্ক
মাত্র ১৬ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর থেকেই বার্সেলোনার শুরুর একাদশে নিয়মিত মুখ পাউ কুবারসি। রক্ষণে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এরই মাঝে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই তরুণ। বার্সার প্রতি তিনি এতটাই নিবেদিত যে এবার অসুস্থ অবস্থাতেও মাঠে নামতে অনড় এই ডিফেন্ডার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয়ের ম্যাচে দুর্ঘটনার শিকার হন কুবারসি। নিজেদের বক্স থেকে বল ক্লিয়ার করার জন্য অনেকটা নিচু হয়ে হেড করেন তিনি। একই সময়ে প্রতিপক্ষের উরোস স্পাইচ বলে কিক করলে তা লাগে কুবারসির মুখে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শুরুতে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন টিম ফিজিওরা। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে তুলে নেওয়া হয় তাকে।
রুমাল চেপে কুবারসি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন দেখা যায় রক্তে ভরে গেছে মুখ। পরে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুখে দশটি সেলাই লাগলেও ভালো আছেন এই ডিফেন্ডার।
এরপর সাংবাদকিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘(বার্সেলোনার) ব্যাজের জন্য এটুকু করা কিছু নয়।’
আগামী রবিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। চোট থেকে এখনও সেরে না ওঠায় রোনালদ আরাউহো ও এরিক গার্সিয়া দলে না থাকায় কুবারসির অনুপস্থিতিতে দলের রক্ষণভাগ নিয়ে কার্যত বিপাকে পড়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
তবে নিজের অসুস্থতা নিয়ে মোটেও ভাবছেন না কুবারসি। মুখে ক্ষত নিয়েই লা রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, মাঠে নামতে নিজের অনড় অবস্থানের কথা ফ্লিকের কাছে স্পষ্ট জানিয়েছেন এই তরুণ। আর দলের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাই তাকে খুব বেশি জোর করেননি কোচও।
তবে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামলেও ঝুঁকি এড়াতে বিশেষ মাস্ক পরে মাঠে নামতে দেখা যাবে তাকে।
মুন্দো দেপর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অনুশীলনের সময় একজন বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়দের পরিদর্শন করেছেন। কুবারসির জন্য কী ধরনের মাস্ক পরা ঠিক হবে, তা নির্ধারণ করতেই বার্সার অনুশীলন ক্যাম্পে আসেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠে নামবেন কিনা এবং নামলেও কতক্ষণ খেলবেন, তা নির্ধারণ করবেন হান্সি ফ্লিক।
লা লিগায় ১২ ম্যাচে ১১ জয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৪। শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
১ সপ্তাহ আগে
রিয়ালের খেলোয়াড় ছাড়াই স্পেনের স্কোয়াড, আছে নতুন দুই মুখ
নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। তবে এই দুই ম্যাচের জন্য দুই ফুটবলারকে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাকলেও রিয়াল মাদ্রিদের কোনো খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখেননি তিনি।
এর ফলে ২০২১ সালের পর প্রথম স্পেন দলে ডাক পেল না মাদ্রিদ জায়ান্টদের কোনো খেলোয়াড়। সে বছর লুইস এনরিকের অধীনে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়ালের ফুটবলারবিহীন ছিল স্পেন। তবে ওই বছরই ইউরোতে আবার লস ব্লাঙ্কোসদের খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড সাজান বর্তমান পিএসজি কোচ এনরিকে।
এ বছর অনুষ্ঠিত ইউরোতেও স্পেন দলে ছিলেন রিয়ালের তিন খেলোয়াড়- দানি কারভাহাল, নাচো ও হোসেলু। তবে মৌসুম শেষে নাচো ও হোসেলু রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যথাক্রমমে সৌদি আর ও কাতারে চলে যান।
অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় স্কোয়াডে না রাখার দায় মোটেও দে লা ফুয়েন্তের ওপর পড়ে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডেই স্প্যানিশ প্রভাব কমেছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
বর্তমানে দানি কারভাহাল, লুকাস ভাসকেস, হেসুস ভায়েহো, দানি সেবায়োস ও ফ্রান গার্সিয়া থাকলেও মাঠের খেলায় নিয়মিত শুধু কারভাহাল। তবে চোটে কারভাহালের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন লুকাস ভাসকেস। এছাড়া ফ্রান গার্সিয়া ও সেবায়োস মাঝেমধ্যে খেলে থাকলেও বেশিরভাগ সময় বেঞেই বসে থাকতে দেখা যায় তাদের।
অন্যদিকে, লা মাসিয়ার কল্যাণে বরাবরই দুর্দান্ত সব স্প্যানিশ প্রতিভা বিশ্ব দরবারে তুলে আনে বার্সেলোনা। ফলে জাতীয় দলেও ক্লাবটির খেলোয়াড়দের আধিক্য লক্ষ করা যায়। তবে সম্প্রতি লা লিগাসহ ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে স্প্যানিশ ফুটবলারদের প্রভাব বাড়ায় জাতীয় দল সাজাতে বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি চোখে পড়ছে।
এরই ধাবাহিকতায় ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে অসাধারণ পারফর্ম করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন গ্রীষ্মের দলবদলে পোর্তোয় নাম লেখানো স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সামু ওমরোদিয়ন।
আরও পড়ুন: প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
১ সপ্তাহ আগে
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ সপ্তাহ আগে
ব্যালন দ’র: মেয়েদের ফুটবলে বার্সেলোনার জয়জয়কার
আর্থিক সংকটের কারণে পুরুষ দলটি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ভুগলেও বার্সেলোনার নারী দলটি যেন হাওয়ায় ভেসে চলেছে। ক্লাবটিকে দুহাত ভরে সাফল্য এনে দিচ্ছে বার্সার মেয়েরা। ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানেও তাই একের পর এক স্বীকৃতি পেল তারা।
টানা দ্বিতীয় ব্যালন দ’র বনমাতির
মেয়েদের ফুটবলে টানা দ্বিতীয়বার ব্যালন দ’র জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি। গত মৌসুমেও তার হাতেই উঠেছিল ফুটবলের ‘অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কারটি।
আরও পড়ুন: রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
গত ১৮ মাসে বিশ্বকাপ ও দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর বার্সেলোনার কোনো ফুটবলারই যে এবারও ব্যালন দ’র জিততে চলেছেন, তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। তবে শেষ হাসিটা ফুটেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টুর্নামেন্ট সেরা বনমাতির মুখেই।
সোমবার দিবাগত রাতে প্রখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যানের কাছ থেকে ব্যালন দ’র ট্রফিটি গ্রহণ করেন বনমাতি।
২ সপ্তাহ আগে
রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতেই উঠল এবারের ব্যালন দ’র। শুরু থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কারটি রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাতে উঠছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে রদ্রিই জিতেছেন এটি।
সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী ঘোষণার পর ক্রাচে ভর দিয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এসিএলের চোট পাওয়া রদ্রি। এরপর ব্যালন দ’রের ইতিহাসের ৫০তম খেলোয়াড় হিসেবে তার হাতে ‘ফুটবলের অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন দ’রজয়ী জর্জ উইয়াহ।
এর ফলে ৬৪ বছর পর ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কারটি জিতলেন স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার। সবশেষ ১৯৬০ সালে এটি জিতেছিলেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার লুইস সুয়ারেস। এতদিন স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র ব্যালন দ’র জয়ী ছিলেন তিনিই। এবার তার পাশে বসলেন আরেক মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
পুরস্কার নেওয়ার পর অনভূতি জানাতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘এটি শুধু আমার একার জয় নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের বিজয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন (স্পেনের) যেসব খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি থেকে বঞ্চিত ছিলেন- (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, শাভি (এর্নান্দেস), ইকের (ক্যাসিয়াস) ও বুসি (সের্হিও বুসকেটস), এই পুরস্কার আমাদের সবার।’
এ সময় বার্সেলোনার উদীয়মান ফুটবলার লামিন ইয়ামালের প্রতিভার প্রশংসা ঝরে রদ্রির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘লামিন খুব তাড়াতাড়িই এটি জিততে চলেছে। এতে আমার কোনো সংশয় নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, (ব্যালন দ’র নিতে) একদিন তুমিও এখানে (মঞ্চে) দাঁড়াবে।’
২ সপ্তাহ আগে
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
২ সপ্তাহ আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকারে ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
৩ সপ্তাহ আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
৩ সপ্তাহ আগে
এল ক্লাসিকোর আগে রিয়াল শিবিরে জোড়া দুঃসংবাদ
শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৫-২ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এর মাঝেই দুটি চোটের খবর পেল দলটি।
পরবর্তী ম্যাচে লা লিগায় শনিবার বার্সেলোনাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির দল। ওই ম্যাচের আগে ছিটকে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস।
ডর্টমুন্ড ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই উরুতে টান লাগায় মাঠ ছাড়তে হয় রদ্রিগোকে। এরপর বুধবার ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চোটটি গুরুতর না হলেও কয়েকদিনের জন্য রদ্রিগোকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
বৃহস্পতিবার পায়ে এমআরআই করার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে। তবে পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তাকে স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে বলে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
এছাড়া ম্যাচ শেষে জানানো হয়, পায়ে চোট পেয়েছেন গোলরক্ষক কোর্তোয়াও। গত মাসে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে যেখানে চোট পেয়েছিলেন, সে স্থানেই ফের ব্যথা অনুভব করেছেন এই বেলজিয়ান।
কোর্তোয়াকে নিয়ে বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছেন কোর্তোয়া। ফলে বার্সেলোনার বিপেক্ষে আসন্ন এল ক্লাসিকো মিস করবেন তিনি।
চোটের কারণে ইতোমধ্যে মৌসুমই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস অধিনায়ক দানি কারভাহালের। এছাড়া লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। তবে চোট কাটিয়ে ইতোমধ্যে অনুশীলনে ফিরেছেন ব্রাহিম দিয়াস।
৩ সপ্তাহ আগে
সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
বার্সেলোনার পরবর্তী দুই ম্যাচ বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। ম্যাচদুটির আগে নিজেদের মানসিক অবস্থা চনমনে রাখতে যেমন জয়ের প্রয়োজন ছিল, আজ তা-ই করে দেখিয়েছেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লা লিগার অষ্টম ম্যাচে রবিবার রাতে সেভিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচদুটির ভালো প্রস্তুতি সেরেছে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার পক্ষে রবের্ট লেভানডোভস্কি ও পাবলো তোরে জোড়া গোল করেন। অন্য গোলটি আসে পেদ্রির পা থেকে। অন্যদিকে, সেভিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন দলটির তরুণ বেলজিয়ান মিডফিল্ডার স্টানিস ইদুম্বো-মুজাম্বো।
মাঠের খেলায় এদিন বার্সেলোনার ধারেকাছেও ছিল না সেভিয়া। ৬৭ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের কাছে রেখে মোট ২১টি শট নেয় বার্সা, যার ৯টি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ৭টি শট নিলেও গোল করা ওই একটি মাত্র শট লক্ষ্যে রাখতে পারে সেভিয়া।
আরও পড়ুন: লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে দারুণ জয় বার্সেলোনার
ম্যাচের শুরু থেকেই পজেশনাল ফুটবলে সেভিয়াকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। তবে নবম মিনিটে প্রথম বিপজ্জনক আক্রমণে ওঠে সফরকারীরাই। ডান পাশ ধরে ক্ষিপ্র গতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে বার্সার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট হানেন সেভিয়া উইঙ্গার দদি লুকেবাকিও। তবে তার শটটি ক্রসবারে বেশ ওপর দিয়ে চলে যায়।
সপ্তদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা, কিন্তু আনসু ফাতির শটটিও পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
দুই মিনিট পর বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে আরও একটি দারুণ আক্রমণে ওঠে সেভিয়া, এবারের আক্রমণটি কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন বার্সা ডিফেন্ডাররা।
২২তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে মধ্যে রাফিনিয়াকে ফেলে দিয়ে পেনাল্টি দিয়ে বসেন সেভিয়ার এক খেলোয়াড়। তা থেকে বার্সাকে ম্যাচের প্রথম গোলটি এনে দেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এরপর পেদ্রির গোলে ২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় কাতালানদের। ডান পাশ ধরে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে মাঝামাঝি থাকা জুল কুন্দেকে পাস দেন লামিন ইয়ামাল। পেছনে পেদ্রিকে দেখে ডামি দেন কুন্দে, আর বল পেয়েই ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ মিডফিল্ডার।
৩ সপ্তাহ আগে