বার্সেলোনা
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
হাজারো সংকটের মাঝেও কীভাবে লক্ষ্যে অটল থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা-ই যেন দেখিয়ে চলেছেন হান্সি ফ্লিক। একের পর এক খেলোয়াড়ের চোট এবং ক্লাবের আর্থিক সংকটে নতুন খেলোয়াড় না পেয়ে একাডেমি লা মাসিয়া থেকে যুবাদের মূল দলে এনে জোড়াতালি দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়ে চলেছেন এই জার্মান কোচ। অথচ এমনই তার দলের পারফরম্যান্স যা কোটি বার্সাভক্তকে ভুলিয়ে দেয়— দলটি ঠিক কতটা সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। আর তেমনই এক স্মরণীয় ম্যাচ তিনি উপহার দিলেন রবিবার রাতেও।
সবশেষ কয়েক ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আসার মাঝে দানি অলমো ও পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা, রোনালদ আরাউহোর দল ছাড়ার গুঞ্জন— সব মিলিয়ে ঝটিকাসংকুল সময়ের মাঝে কে ভেবেছিল, এই বার্সেলোনা সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করবে? তাও আবার শেষের অন্তত ৪০ মিনিট দশজন নিয়ে খেলে? অথচ মাঠের খেলায় সেটিই বাস্তবতা হয়ে ধরা দিল। আর হাজারো সমস্যার মাঝে লাল-নীল জার্সির মায়ায় পড়া বিশ্বব্যাপী কোটি কুলেরের হৃদয় বিগলিত করা একটি রাত উপহার দিল দলটি।
পড়তে পড়তে অনেকেরই হয়তো চোখ ভরে উঠবে, কিন্তু মরুর বুকে যে বিজয়গাঁথা বার্সেলোনা রচনা করল, তা কি এসব উপমার তুলনায় কম কিছু?
১ দিন আগে
রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
আর্থিক সংকটে পড়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে না পারা নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের স্বীকার হলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। আর তাতে ম্যাচের শেষের ৩০ মিনিটের বেশি সময় একজন খেলোয়ড় কম নিয়ে খেলেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। অবশ্য জয়ের পথে দুটি গোল হজমও করতে হয়েছে তাদের।
এই হারে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে বার্সেলোনাকে এ বছর আর ছোঁয়ার প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হলো রিয়াল মাদ্রিদের (১৩)। অপরদিকে, জিতে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল (১৫) ব্লাউগ্রানা খ্যাত দলটি।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যায় দলটির সমন্বয়, সেইসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের রক্ষণভাগও। আর দলীয় প্রচেষ্টা, সতীর্থদের দারুণ বোঝাপড়া আর নির্ভুল ফিনিশিংয়ে একের পর এক গোল করতে থাকে কাতালান জায়ান্টরা।
এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লেভানডোভস্কির গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তারপর ৩৯ ও ৪৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার জোড়া গোল ও প্রথমার্ধের যোগ করা দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদের গোলে ব্যাবধান ৫-১ করে ফেলে তারা।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ৬০তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন রদ্রিগো। এরপর বার্সেলোনা রক্ষণে মনোযোগ দিলে আর গোল করা হয়ে ওঠে না কোনো দলেরই। ফলে ৫-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দুবারের দেখায় দুবারই বড় ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল বার্সেলোনা। গত ২৭ অক্টোবর লা লিগায় সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত প্রথম এল ক্লাসিকো ৪-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে প্রথম শিরোপা জেতালেন হান্সি ফ্লিক। সেইসঙ্গে দুটি এল ক্লাসিকোতে ডাগআউটে থেকে দুটিই জিতলেন এই জার্মান কোচ।
বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে কাতালানরা। একদিন পর সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ।
১ দিন আগে
সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ধীরগতির ফুটবল ম্যাচে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই অনুমিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাড়েমেড়ে প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কোনো উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি দুই দল। তবে তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
৬৩তম মিনিটে খানিকটা ভাগ্যের জোরে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। ডান পাশ দিয়ে চমৎকার এক আক্রমণে উঠে মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের দিকে ব্যাক পাস দেন ভিনিসিয়ুস। তা থেকে দূরের পোস্টে শট নিলে রদ্রিগোর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গোলে শট নেন এমবাপে, তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় মায়োর্কা গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা বেলিংহ্যাম পেয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে হতাশ হয় মায়োর্কা।
গোল খাওয়ার পরও সমতায় ফিরতে তেমন জোর চেষ্টা ছিল না দলটির। এর মাঝে সুযোগ তৈরি অব্যাহত রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা প্রতিহত করতেই সময় যায় মায়োর্কার খেলোয়াড়দের।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
এমতাবস্থায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ১-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এমবাপের শট প্রতিহত করতে গিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্ত। আর বল জালে জড়িয়ে গেলে আত্মঘাতী গোলের গ্লানিতে পুড়তে হয় তাকে।
এর দুই মিনিট পর গোল পেয়ে যান রদ্রিগোও। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল থেকে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি। এতে দলকে ফাইনালে নেওয়ার পাশাপাশি গোল করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেদিন জিতলে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশে বসবে রিয়াল (১৩)।
গত মৌসুমেও সুপার কাপে এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্তমান লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বার ফের ফিরতে চলেছে সেই একই ফাইনাল।
৪ দিন আগে
বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও বছরের শেষদিকে এসে খেই হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পুরনো ক্লেশ ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে ফের জয়যাত্রা শুরু করেছে দলটি।
শনিবার কোপা দেল রের ম্যাচে চতুর্থ স্তরের দল বারবাস্ত্রোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বছর শুরু করা বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় ম্যাচেই ছিল শক্ত প্রতিপক্ষ— আথলেতিক বিলবাও। তবে সেই পরীক্ষাতেও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন বছরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে নানা সমস্যায় জর্জরিত কাতালানরা।
বুধবার রাতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন গাভি। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করার মাঝে ৫২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন লামিন ইয়ামাল। সুযোগ পেয়েছিলেন বিলবাওয়ের খেলোয়াড়রাও তবে বার্সার অফসাইডের ফাঁদ আর নিজেদের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে দলটির।
আরও পড়ুন: হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই বিলবাওয়ের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে বার্সেলোনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে উঠে পরপর দুটি সুযোগ তৈরি করেন জুল কুন্দে-রাফিনিয়ারা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে দুটিই মাঠে মারা যায়।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট ৭০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে মাঠে একক আধিপত্য বিস্তার করে বার্সেলোনা। তবে এর পর খানিকটা ঝিমিয়ে যায় তারা। এ সময় সুযোগ কাজে লাগানোর পরিবর্তে ধীর লয়ে খেলতে থাকে বিলবাও-ও। ফলে ম্যাচের গতি বেশ পড়ে যায়। অবশ্য এর মধ্যেই ম্যাচর সপ্তদশ মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
পেদ্রির লং পাস ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে বিলবাওয়ের ডিফেন্স চিরে ছয় গজ বক্সের মধ্যে নিচু ক্রস দেন আলেহান্দ্রো বালদে। আর দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে তা থেকে গোল আদায় করে দলকে এগিয়ে নেন গাভি।
গোল পাওয়ার পর ফের উজ্জীবীত ফুটবলে ফেরে বার্সেলোনা। আরও পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে মনোযোগী হয় এরনেস্তো ভালভের্দের শিষ্যরাও। ফলে আবারও জমে ওঠে ম্যাচ।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে একা পেয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রাফিনিয়া। তবে রাফিনিয়ার শট সিমোন ঠেকিয়ে দিলে তা চলে যায় পেছনে থাকা লামিনের কাছে। তিনি দুর্বল শট নিলে সেটিও প্রতিহত করে দলকে বিপদমুক্ত করেন সিমোন।
প্রথমার্ধের শেষের মিনিট দশেক সমতায় ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় বিলবাও। একের পর এক আক্রমণেও ওঠে তারা। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা আর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের আর গোলের মুখ দেখা হয়ে ওঠেনি। ফলে ব্যবধানে ধরে রেখেই বিরতিতে যায় কাতালানরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
প্রথমার্ধে ৫৩ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার চারটিই লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে, বিলবাও পাঁচটি শট নিলেও তার মাত্র একটি লক্ষ্যে ছিল।
৫ দিন আগে
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
১ মাস আগে
দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
বার্সেলোনা-ডর্টমুন্ড ম্যাচ মানেই যেন সুন্দর ফুটবল, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পসরা ও গোলের উচ্ছ্বাসের সমন্বয়ে জমজমাট এক লড়াই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মেনে শেষ পর্যন্ত ব্যথার মালা গলায় পরতে হয়েছে কালো-হলুদ জার্সিধারীদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়া সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিগনাল ইদুনা পার্কে স্বাগকিতদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের নাটক, উত্তেজনা, উল্লাস- সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই বলে প্রথমার্ধ যে ম্যাড়মেড়ে ছিল, মোটেও তা নয়।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পরপর দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগগুলো মাঠে মারা যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার মাঝে ত্রয়োদশ মিনিটে ফের আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। পাল্টা আক্রমণে উঠে বিপরীত পাশ ধরে অনেকটা ফাঁকায় এগোতে থাকা রাফিনিয়ার উদ্দেশে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁকানো সিগনেচার পাস দেন লামিন ইয়ামাল। তবে সেবারও ফিনিংশের অভাবে সুযোগ হারায় দলটি।
চার মিনিট পর গোল করতে পারতেন মার্সেল জাবিৎসার, তবে সতীর্থের পাসে গতি থাকায় সুবিধা করতে পারেননি ডর্টমুন্ডের এই অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সাকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আর তটস্থ হয়ে তাদের স্পেস কমিয়ে দিতে এবং সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় থাকে নুরি সাহিনের শিষ্যরা।
ভুগতে ভুগতে ৪০তম মিনিটের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েই গিয়েছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত ক্রসে মাথা লাগিয়েও ইনিয়াকি পেনিয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন সেরহু গিরাসি।
প্রথমার্ধে বলের ওপর একক আধিপত্য ধরে রাখলেও আক্রমণে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিল বার্সা। ফলে গোলের উদ্দেশ্যে ৮টি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
অপরদিকে, প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে রক্ষণ সামলানো ডর্টমুন্ড মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বার্সার অফসাইড ফাঁদ কিংবা ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না আনতে পেরেই বিরতিতে যায় দুদল।
১ মাস আগে
এক ম্যাচ পর ফের বার্সেলোনার হোঁচট
লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত থেকে শীর্ষস্থান নড়বড়ে করার পর মায়োর্কার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পরের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের মাঠে গিয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার বেনিতো ভিয়ামারিন স্টেডিয়ামে লা লিগায় নিজেদের ১৭তম ম্যাচটি রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে ৩৯তম মিনিটে লেভানডোভস্কির গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই লিড হারায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান জিওভানি লো সেলসো। এরপর ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ফেররান তোরেসের গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফের ম্যাচে সমতা টানেন বেতিসের বদলি নামা ফরোয়ার্ড আসানে দিয়াও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বার্সার রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় বেতিস। এর মধ্যে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই গোল করার দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে বার্সার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের কল্যাণে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
শুরু ধাক্কা সামলে দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছন্দে ফেরে বার্সেলোনা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোলের খাতাও খোলে তারা।ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে লামিন, পেদ্রির পা ঘুরে বল আসে এগোতে থাকা জুল কুন্দের কাছে। তিনি খানিকটা এগিয়ে গিয়ে গোলমুখে সতীর্থের উদ্দেশে ক্রস দেন, আলতো টোকায় তার নিচু ক্রস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এর ফলে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৬টি। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে ২৩ গোল করলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৮/১৯ মৌসুমে লিওনেল মেসির পর লা লিগায় এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় মৌসুমের প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৬ বা তার বেশি গোল করলেন। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে যৌথভাবে গোল করেছেন ১৬টি।
১ মাস আগে
হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
২৪ ঘণ্টাও হয়নি জমকালো আয়োজনে ক্লাব প্রতিষ্ঠার ১২৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বার্সেলোনা। এর মধ্যেই পুচকে লাস পালমাসের কাছে হেরে বসেছে তারা।
শনিবার লা লিগার ১৫ রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থাকা লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এর ফলে ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের চূড়ায় থাকলেও শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে বার্সেলোনার। দুই ম্যাচ কম খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ওই দুই ম্যাচ জিতে ব্লাউগ্রানাদের টপকে শীর্ষস্থান দখল করার দারুণ সুযোগ এসেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের কাছে।
এই হারের ফলে লা লিগায় সবশেষ তিন ম্যাচ টানা জয়বঞ্চিত রইল বার্সেলোনা। এর মধ্যে মাত্র এক ম্যাচ ড্র করে এক পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ফলে সবশেষ তিন ম্যাচে তাদের অর্জন কেবল ওই একটি পয়েন্ট।
এদিন প্রথমার্ধে সফরকারীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুদল। তবে বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস।
ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে সতীর্থের লং পাস ধরে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢোকার মুখে কোনাকুনি জোরালো শট নেন সান্দ্রো রামিরেস। বল ঝাঁপিয়ে পড়া ইনিয়াকি পেনিয়ার নাগালের বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে খেলায় আধিপত্য দেখাতে না পারলেও এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে বার্সেলোনা। এরই ধাবাহিকতায় ম্যাচের ৬১তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান রাফিনিয়া।
প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে বার্সেলোনা বল নিয়ে নাড়াচাড়া করার মাঝে হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য মনোযোগ হারায় লাস পালমাস। এই সুযোগে পেদ্রির কাছ থেকে বল ধরেই বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুলেট শটে পোস্টঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
তবে সমতায় ফিরলেও বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে ৬ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় লাস পালমাস। মাঝমাঠ থেকে বার্সার ডিফেন্স লাইনে অপেক্ষা করা ফাবিও সিলভার কাছে চমৎকার একটি উড়ন্ত পাস দেন হাভিয়ের মুনিয়োস। পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে পেনিয়াকে বোকা বানান সিলভা।
দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর ৭০ ও ৭১তম মিনিটে দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন যথাক্রমে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নামা লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। তবে পালমাস গোলরক্ষক জ্যাসপার সিলিসেনের নৈপুণ্যে দুবারই হতাশ হন তারা।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে অবশ্য ফেররান তোরেসের গোলে ফের সমতায় ফেরে বার্সেলোনা, তবে অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও গোল আদায় করতে না পারলে ১২৫তম প্রতিবার্ষিকীর উদযাপন মাটি করে মাঠ ছাড়তে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।
রবিবার রাতে টেবিলের আরেক তলানির দল গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ থাকবে চ্যাম্পিয়নদের। এর আগে আজ রাতে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জিততে পারলে বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে পারবে আতলেতিকো মাদ্রিদও।
১ মাস আগে
বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ১২৫তম জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে ক্লাবটির আয়োজনে যে সামিল হতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তবে এই দিনে বার্সাকে নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কাতালুনিয়ার সরকারি টেলিভিশন টিভি৩-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে নিজের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে আজকের ‘মেসি’ হয়ে ওঠার পেছনে ক্লাব বার্সেলোনা ও শহরটির অবদানের কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কিশোর বয়সে ২০০০ সালে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় আসেন মেসি। এরপর যোগ দেন ক্লাবটির অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায়। তারপর মূল দলে অভিষেকের পর থেকে শুধু ক্লাবটিরই নয়, গোটা ফুটবল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি।
বার্সেলোনার ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলতে গিয়ে শুরুতেই ক্লাবকে অভিনন্দন জানান তিনি।
বলেন ‘বার্সেলোনার অংশ হওয়া, ক্লাবটির ভক্ত হতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমি ভাগ্যবান যে ঈশ্বর আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং জীবনের বেশিরভাগটাই আমি অসাধারণ এই ক্লাবটিতে কাটাতে পেরেছি।’
বিশেষ দিনে বার্সেলোনাকে মিস করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ ক্লাব, বাকি সব ক্লাবের চেয়ে আলাদা।… ক্লাব, শহর, সেখানকার মানুষ, সবার ভালোবাসা- সবকিছুই আমি মিস করি।’
স্পেনে বসবাস করার সময় ১৮৯৯ সালে সুইস ব্যবসায়ী জোয়ান গাম্পার বার্সেলোনা শহরের ফুটবলে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ক্লাব গঠনের আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভাবনীয় সাড়া পান তিনি।
এরপর ওই বছরের ২৯ নভেম্বর ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা প্রতিষ্ঠা করেন গাম্পার। তারপর ফুটবল ছাপিয়ে এই ক্লাবটিই হয়ে ওঠে কাতালানদের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা এই ক্লাবটি তাই সমর্থকদের কাছে শুধু ফুটবল ক্লাব নয়, তার চেয়ে বেশিকিছুই।
প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছরে ২৬টি লা লিগা, সর্বোচ্চ ৩১টি কোপা দেল রে, ১৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। আর ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সার মূল দলে অভিষেকের পর থেকে এসব অর্জনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ নায়ক বনে যান মেসি।
১ মাস আগে
মুখে ১০ সেলাই নিয়েও খেলতে চান কুবারসি, তৈরি হচ্ছে মাস্ক
মাত্র ১৬ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর থেকেই বার্সেলোনার শুরুর একাদশে নিয়মিত মুখ পাউ কুবারসি। রক্ষণে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এরই মাঝে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই তরুণ। বার্সার প্রতি তিনি এতটাই নিবেদিত যে এবার অসুস্থ অবস্থাতেও মাঠে নামতে অনড় এই ডিফেন্ডার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয়ের ম্যাচে দুর্ঘটনার শিকার হন কুবারসি। নিজেদের বক্স থেকে বল ক্লিয়ার করার জন্য অনেকটা নিচু হয়ে হেড করেন তিনি। একই সময়ে প্রতিপক্ষের উরোস স্পাইচ বলে কিক করলে তা লাগে কুবারসির মুখে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শুরুতে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন টিম ফিজিওরা। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে তুলে নেওয়া হয় তাকে।
রুমাল চেপে কুবারসি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন দেখা যায় রক্তে ভরে গেছে মুখ। পরে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুখে দশটি সেলাই লাগলেও ভালো আছেন এই ডিফেন্ডার।
এরপর সাংবাদকিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘(বার্সেলোনার) ব্যাজের জন্য এটুকু করা কিছু নয়।’
আগামী রবিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। চোট থেকে এখনও সেরে না ওঠায় রোনালদ আরাউহো ও এরিক গার্সিয়া দলে না থাকায় কুবারসির অনুপস্থিতিতে দলের রক্ষণভাগ নিয়ে কার্যত বিপাকে পড়ে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
তবে নিজের অসুস্থতা নিয়ে মোটেও ভাবছেন না কুবারসি। মুখে ক্ষত নিয়েই লা রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
মুন্দো দেপর্তিভোর খবরে বলা হয়েছে, মাঠে নামতে নিজের অনড় অবস্থানের কথা ফ্লিকের কাছে স্পষ্ট জানিয়েছেন এই তরুণ। আর দলের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাই তাকে খুব বেশি জোর করেননি কোচও।
তবে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামলেও ঝুঁকি এড়াতে বিশেষ মাস্ক পরে মাঠে নামতে দেখা যাবে তাকে।
মুন্দো দেপর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অনুশীলনের সময় একজন বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়দের পরিদর্শন করেছেন। কুবারসির জন্য কী ধরনের মাস্ক পরা ঠিক হবে, তা নির্ধারণ করতেই বার্সার অনুশীলন ক্যাম্পে আসেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠে নামবেন কিনা এবং নামলেও কতক্ষণ খেলবেন, তা নির্ধারণ করবেন হান্সি ফ্লিক।
লা লিগায় ১২ ম্যাচে ১১ জয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৪। শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
২ মাস আগে