লিওনেল মেসি
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
১ সপ্তাহ আগে
‘মেসিনিয়ো’ খেতাব চান না এস্তেভিয়াও
লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা যেকোনো ফুটবলারের জন্য দারুণ ব্যাপার হলেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পালমেইরাস থেকে আগামী মৌসুমে চেলসিতে যোগ দিতে যাওয়া ব্রাজিলীয় তরুণ উইলিয়ান এস্তেভিয়াও। নিজের নামে পরিচিতি হওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।
২০১৭ সালে ব্রাজিলীয় ক্লাব ক্রুজেইরোর একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পরই ‘মেসিনিয়ো’ বা ‘ছোট মেসি’ তকমা পান এস্তেভিয়াও। এরপর ২০২১ সালে পালমেইরাসের যুব একাডেমিতে যোগ দেন এবং চলতি বছরের শুরুতে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন তিনি।
লিওনেল মেসির ভক্ত হলেও মেসির সঙ্গে তুলনা নয়, বরং নিজের পরিচয়ে ফুটবল বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করতে চান এই তরুণ।
ইএসপিএন ব্রাজিলকে তিনি বলেন, “মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই আমাকে ‘মেসিনিয়ো’ নামে ডাকা হয়। তবে বলতে আপত্তি নেই যে, এই নামে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। এই তুলনা আমার পছন্দ নয়। আমার মতো যারা এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, তাদের জন্য বিষয়টি সামলানো বেশ অস্বস্তিদায়ক।”
মেসির মতো বড় মাপের ফুটবলারের সঙ্গে তুলনা নিজের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে তা তিনি ভালো করেই জানেন।
এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘১৭ বছর বয়সেই আমার ওপর সমালোচনার পাহাড় চাপুক, তা চাই না। এই বয়সে সমালোচনা শোনার মতো সময় আমার নেই। আমি খুশি থাকতে চাই, (নিজের মতো করে) ফুটবল খেলতে চাই। ফুটবল থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করতে চাই। তাই ‘এস্তেভিয়াও’ হয়ে ওঠাই আমার জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন: চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুব অ্যকাডেমি থেকে পালমেইরাসের মূল দলে অভিষেক হয় ২০০৭ সালে জন্ম গ্রহণ করা এই তরুণের। তারপর থেকে ব্রাজিলীয় লিগে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। এ পর্যন্ত লিগে ৩১ ম্যাচ খেলে ১৩ গোল ও ৯ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে মোট ২২ গোলে অবদান রেখেছেন এস্তেভিয়াও। ব্রাজিলীয় সেরি-আয় গত মৌসুমে পালমেইরাসকে দ্বিতীয় স্থানে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এই তরুণের।
এরই স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্রাজিলীয় ব্যালন দ’র বা দেশটির বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এ পুরস্কার জিতেছেন এস্তেভিয়াও। মৌসুমসেরা ফুটবলার, ব্রেকথ্রু ফুটবলার ও বর্ষসেরা হিসেতে অনুষ্ঠানে তিনটি পুরস্কার জেতেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
ক্লাব বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: মুখোমুখি ভিনিসিউস-নেইমার
২০০০ সালে যাত্রা শুরুর পর ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন করে এলেও ২০২৫ আসর থেকে এই আয়োজন সত্যিকার অর্থে বৈশ্বিক রূপ পেতে যাচ্ছে। নতুন আঙ্গিকের ৩২ দলের এই লড়াইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর তাতে দেখা গেছে চমকপ্রদ কিছু লড়াইয়ের আভাস।
বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্রয়ের আগে বিশ্বকাপের নতুন ট্রফি উন্মাচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো ও ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভকামনা জানিয়ে বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রেকর্ড করা শুভেচ্ছাবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য এক আসর হতে চলেছে।… শুধু এটুকু বলতে চাই যে, অসাধারণ একজন আপনাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার নাম জিয়ান্নি।’
‘আমি তাকে জিয়ান্নি হিসেবেই জানি, তিনি একজন বিজয়ী। পরস্পরকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমি গর্বিত, কারণ ফুটবল খেলাটি ক্রমেই নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে।… যুক্তরাষ্ট্রেও এটি ছড়িয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
এ পর্যন্ত ৬ দল নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে এলেও এবারই প্রথম সব মহাদেশের সেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে ৩২ দলের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো এবারও এই আসরে রয়েছে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দাপট।
২ সপ্তাহ আগে
বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ১২৫তম জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে ক্লাবটির আয়োজনে যে সামিল হতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তবে এই দিনে বার্সাকে নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কাতালুনিয়ার সরকারি টেলিভিশন টিভি৩-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে নিজের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে আজকের ‘মেসি’ হয়ে ওঠার পেছনে ক্লাব বার্সেলোনা ও শহরটির অবদানের কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কিশোর বয়সে ২০০০ সালে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় আসেন মেসি। এরপর যোগ দেন ক্লাবটির অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায়। তারপর মূল দলে অভিষেকের পর থেকে শুধু ক্লাবটিরই নয়, গোটা ফুটবল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি।
বার্সেলোনার ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলতে গিয়ে শুরুতেই ক্লাবকে অভিনন্দন জানান তিনি।
বলেন ‘বার্সেলোনার অংশ হওয়া, ক্লাবটির ভক্ত হতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমি ভাগ্যবান যে ঈশ্বর আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং জীবনের বেশিরভাগটাই আমি অসাধারণ এই ক্লাবটিতে কাটাতে পেরেছি।’
বিশেষ দিনে বার্সেলোনাকে মিস করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ ক্লাব, বাকি সব ক্লাবের চেয়ে আলাদা।… ক্লাব, শহর, সেখানকার মানুষ, সবার ভালোবাসা- সবকিছুই আমি মিস করি।’
স্পেনে বসবাস করার সময় ১৮৯৯ সালে সুইস ব্যবসায়ী জোয়ান গাম্পার বার্সেলোনা শহরের ফুটবলে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ক্লাব গঠনের আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভাবনীয় সাড়া পান তিনি।
এরপর ওই বছরের ২৯ নভেম্বর ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা প্রতিষ্ঠা করেন গাম্পার। তারপর ফুটবল ছাপিয়ে এই ক্লাবটিই হয়ে ওঠে কাতালানদের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা এই ক্লাবটি তাই সমর্থকদের কাছে শুধু ফুটবল ক্লাব নয়, তার চেয়ে বেশিকিছুই।
প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছরে ২৬টি লা লিগা, সর্বোচ্চ ৩১টি কোপা দেল রে, ১৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। আর ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সার মূল দলে অভিষেকের পর থেকে এসব অর্জনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ নায়ক বনে যান মেসি।
৩ সপ্তাহ আগে
ফিফা বর্ষসেরার তালিকায় মেসি
কোপা আমেরিকা জয় এবং ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে দারুণ সময় কাটালেও এ বছরের ব্যালন দ’রের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে বছরজুড়ে মেসির কাজের স্বীকৃতি দিতে ভোলেনি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০২৪ সালে ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’-এর তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
শুক্রবার ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের দ্য বেস্টের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে মেসির নাম।
মেসি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন এবারের ব্যালন দ’র জয়ী রদ্রি। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ৬ খেলোয়াড় রয়েছেন এই তালিকায়- ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, দানি কারভাহাল, ফেদেরিকো ভালভার্দে, টনি ক্রুস ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ ছাড়াও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড, বায়ের লেভারকুজেনের ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস ও বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামালও জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
এ নিয়ে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ প্রচলনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ বারই মনোনয়ন পেলেন মেসি। এর মধ্যে তিনি পুস্কারটি জিতেছেন তিনবার (২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সালে)।
‘দ্য বেস্ট’ পুরুষ ফুটবলারের পাশাপাশি আরও ১০টি পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। এর মধ্যে রয়েছে বর্ষসেরা নারী ফুটবলার, বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা গোলরক্ষক, বর্ষসেরা একাদশ ও বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার। এছাড়া দেওয়া হবে ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড।
পুরস্কারগুলোর প্রত্যেকটির জন্য ভোট দিতে পারেন ভক্ত-সমর্থকরা। সেরা খেলোয়াড়, সেরা কোচ ও সেরা গোলরক্ষক নির্বাচনে মোট ভোটের এক চতুর্থাংশ রাখা হয়েছে দর্শকদের জন্য, বাকি তিন ভাগ দেন ফিফার সদস্যদেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। সেরা গোল ও একাদশ নির্বাচনে ভক্তদের ভোটের হার অর্ধেক। ফিফার ওয়েবসাইটে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। ‘দ্য বেস্ট’-এর ১১ জনের মধ্যে ইউরোপেরে বাইরে থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শুধু মেসিই।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
তাকে মনোয়ন দেওয়ার ব্যাখ্যায় ফিফা বলেছে, বয়স ৩৭ হয়ে গেলেও ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনা দলে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন মেসি। তার অনুপ্রেরণামূলক পারফরম্যান্সে ২০২৩ লিগস কাপের পর রেকর্ড সংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করে ২০২৪ সালের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছে মায়ামি। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বে কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এমনকি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে জয় দিয়ে বছর শেষ করা আর্জেন্টিনা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায়, আর সর্বোচ্চ ৬ গোল নিয়ে সবার উপরে মেসি।
এক নজরে ‘দ্য বেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকা
সেরা পুরুষ ফুটবলার: জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড/রিয়াল মাদ্রিদ), দানিয়েল কারভাহাল (স্পেন/রিয়াল মাদ্রিদ), আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে/ম্যানচেস্টার সিটি), টনি ক্রুস (জার্মানি/রিয়াল মাদ্রিদ), কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স/রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/ইন্টার মায়ামি), রদ্রিগো এরনান্দেস (স্পেন/ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (উরুগুয়ে/রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (ব্রাজিল/রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (জার্মানি/বায়ের লেভারকুজেন), লামিন ইয়ামাল (স্পেন/বার্সেলোনা)।
সেরা কোচ: শাবি আলোনসো (বায়ের লেভারকুজেন), কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ), লুইস দে লা ফুয়েন্তে (স্পেন), পেপ গার্দিওলা (ম্যানচেস্টার সিটি), লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা)।
সেরা গোলরক্ষক: জানলুইজি দোন্নারুম্মা (ইতালি/পিএসজি), এদেরসন মোরায়েস (ব্রাজিল/ম্যানচেস্টার সিটি), আন্দ্রিই লুনিন (ইউক্রেন/রিয়াল মাদ্রিদ), মাইক মাইনিয়ঁ (ফ্রান্স/এসি মিলান), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (আর্জেন্টিনা/অ্যাস্টন ভিলা), দাভিদ রায়া (স্পেন/আর্সেনাল), উনাই সিমোন (স্পেন/আথলেতিক বিলবাও)।
৩ সপ্তাহ আগে
বিশ্বকাপ বাছাই: আর্জেন্টিনা দলে নতুন মুখ
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্জেন্টিনা। টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জয়ের পর অক্টোবরের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে নভেম্বরের বাছাইপর্বে মাঠে নামতে চলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তার আগে মঙ্গলবার ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আলবিসেলেস্তেরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একাদশ ও দ্বাদশ রাউন্ডের ম্যাচে আগামী ১৫ ও ২০ নভেম্বর যথাক্রমে প্যারাগুয়ে ও পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ওই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এক নতুন মুখ।
চলতি মৌসুমে ধারে ভালেন্সিয়ায় খেলা অ্যাস্টন ভিলার ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার এনসো বারেনেচিয়াকে প্রথমবার স্কোয়াডে রেখেছেন স্কালোনি। তিনি ছাড়াও নিকো পাস, ফাকুন্দো বুনানোত্তে, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতো তরুণ ফুটবলার রয়েছেন স্কোয়াডে।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পাশাপাশি ইনজুরি থেকে ফেরায় নিকোলাস গন্সালেসকেও দলে রেখেছেন কোচ।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উরুগুয়ে। আর সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস, ওয়াল্টার বেনিতেস, জেরোনিমো রুলি।
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা, গনসালো মন্তিয়েল, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, জার্মান পেস্সেলা, লিওনার্দো বালেরদি, নিকোলাস ওতামেন্দি, নেহুয়েন পেরেস, লিসান্দ্রো মার্তিনেস, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
মিডফিল্ডার: এনসো ফেরনান্দেস, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এসেকিয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো দে পল, আলেক্সিস মাক অ্যালিস্তের, জিওভানি লো সেলসো, এনসো বারেনেচিয়া, থিয়াগো আলমাদা, ফাকুন্দো বুনানোত্তে, নিকোলাস (নিকো) পাস।
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, আলেহান্দ্রো গারনাচো, নিকোলাস গনসালেস, হুলিয়ান আলভারেস, লাউতারো মার্তিনেস, ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস।
আরও পড়ুন: চোটটি গুরুতর নয়, আশা নেইমারের
১ মাস আগে
চিলির বিপক্ষে দারুণ জয় পেল মেসি-দি মারিয়াহীন আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়াবিহীন দল নিয়ে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু করেছে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তবে নতুন এ অধ্যায়ের শুরুটা দারুণভাবে করেছেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে চিলিকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে লাতিন আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রাখলেও প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাগতিকদের আটকে রাখতে সক্ষম হয় চিলি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
৪৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে হুলিয়ান আলভারেসের আড়াআড়ি ক্রসে মার্তিনেস ডামি দিলে বল চলে যায় সরাসরি আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের পায়ে। এরপর নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ২৫ বছর বয়সী এই লিভারপুল মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
এরপর দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টার ফল আসে ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে। ৮৪তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের পাস ধরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারেস। ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ঠেকানোর চেষ্টা করেন চিলির গোলরক্ষক গাব্রিয়েল আরিয়াস। তবে তার গ্লাভস ফাঁকি দিয়ে বল ঠিকানা খুঁজে নেয়।
এরপর চিলির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ম্যাচের দশ মিনিট বাকি থাকতে বদলি নামা পাওলো দিবালা। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন মেসির অনুপস্থিতিতে তার বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামা দিবালা, তবে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে শটটি ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছায়।
ফলে ৩-০ ব্যবধানে জিতে লাতিন আমেরিকা বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে ৭ ম্যাচে ছয়টি জয়ে তাদের পয়েন্ট হলো ১৮। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উরুগুয়ে।
আগামীকাল ভোর সাড়ে ৫টায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে উরুগুয়ে। এদিন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবেন উরুগুয়ের তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেস।
এছাড়া বাছাইপর্বের অপর দুই ম্যাচ খেলতে সকাল ৭টায় ব্রাজিল একুয়েডরের বিপক্ষে এবং পেরুর বিপক্ষে নামবে কলম্বিয়া।
আরও পড়ুন: চোখের জলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা সুয়ারেসের
৩ মাস আগে
২১ বছর পর ব্যালন দ’র লড়াইয়ে নেই মেসি-রোনালদো
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে ব্যালন দ’রে মনোনয়ন পাওয়া ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা। ৩০ জনের এই তালিকায় ২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম দেখা যায়নি ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি এবং আল নাসরের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই বিশ্ব ফুটবলের সেরা এই ব্যক্তিগত পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দুই গ্রেট। ২০২৩ সালে সর্বশেষ ব্যালন দ’র জেতেন মেসি। সেটি ছিল কোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়। তবে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গত বছর থেকেই ব্যালন দ’রের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার এই পুরস্কার জেতা রোনালদো।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুজনের আধিপত্যে ব্যালন দ’র স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। পরের বছর এটি জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। এরপর ২০১৯ সালে ষষ্ঠবারের মতো মেসির হাতে ওঠে পুরস্কারটি। এর ফলে তিনি রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়ের চূড়ায় ওঠেন।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে পুরস্কারটি স্থগিত করে ফেঞ্চ ফুটবল। সেবার দুর্দান্ত পারফর্ম করে ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়ে সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তৎকালীন বায়ার্ন মিউনিখ ও বর্তমান বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবের্ট লেভানডোভস্কি। তবে পরের বছর আবারও জিতে রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ান মেসি। তারপর ২০২২ সালে তৎকালীন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা জেতেন পুরস্কারটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জেতার পর ২০২৩ সালে অষ্টমবারের মতো ব্যালন দ’র জিতে অনন্য উচ্চতায় ওঠেন মেসি।
গত মৌসুমে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতলেও ক্লাব ফুটবলে খুব বেশি অর্জন ছিল না লিওনেল মেসির। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে ৩৫ গোল এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন রোনালদো। কিন্তু গত জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোয় পর্তুগালের পাঁচ ম্যাচে একবারও জালের দেখা পাননি ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় বিদায় নিতে হয় ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।
এবারের ব্যালন দ’র জেতার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ক্লাবটির স্প্যানিশ অধিনায়ক দানি কারভাহাল, ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ অধিনায়ক রদ্রি এবং ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত ৩০ জন: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (আথলেতিক বিলবাও), গ্রানিট জাকা (বায়ের লেভারকুজেন), আর্তেম দবভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি অলমো (লাইপসিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (বায়ের লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান চালানোলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), আদেমোলা লুকমান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুয়েডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ) ও আলেক্স গ্রিমালদো (বায়ের লেভারকুজেন)।
৩ মাস আগে
মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট পাওয়ার পর জাতীয় দল ও ক্লাব থেকে সম্পূর্ণ বাইরে রয়েছেন লিওনেল মেসি। এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আসন্ন দুই ম্যাচেও তাকে দলে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা।
আগামী মাসে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা। ওই দুই ম্যাচের জন্য সোমবার (১৯ আগস্ট) দল ঘোষণা করেছেন লিওনেল স্কালোনি। ঘোষিত ২৮ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর।
তিনি ছাড়াও রিভার প্লেট গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানিকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। এছাড়া ফরোয়ার্ড মার্কোস আকুনিয়া ও পাওলো দিবালারও জায়গা হয়নি দলে। কোপা আমেরিকা শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ায় আনহেল দি মারিয়াকেও পাচ্ছেন না কোচ স্কালোনি।
তবে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল কাদসিয়াহর মিডফিল্ডার এসেকিয়েল ফের্নান্দেস। এছাড়া লাৎসিওর ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোসকেও স্কোয়াডে রেখেছেন কোচ।
আরও পড়ুন: মায়ামিতেই শেষ, জানিয়ে দিলেন মেসি
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে চিলিকে আতিথ্য দেবে আর্জেন্টিনা। এর চার দিন পর কলম্বিয়ার মাঠে খেলবে যাবে তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
চিলি ও কলম্বিয়ার বিপেক্ষ আর্জেন্টিনা স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়াল্তার বেনিতেস (পিএসভি আইন্দহোভেন), জেরোনিমো রুলি (অলিম্পিক মার্শেই) ও হুয়ান মুসো (আতালান্তা)।
ডিফেন্ডার: গনসালো মন্তিয়েল (সেভিয়া), নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), হেরমান পেস্সেইয়া (রিভার প্লেট), লিওনার্দো বেলার্দি (অলিম্পিক মার্শেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ও নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)।
মিডফিল্ডার: ভালেন্তিন বার্কো (ব্রাইটন), লেয়ান্দ্রো পারেদেস (রোমা), গিদো রদ্রিগেস (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড), আলেক্সিস মাক আলিস্তের (লিভারপুল), এনসো ফের্নান্দেস (চেলসি), জিওভানি লো সেলসো (টটেনহ্যাম হটস্পার), এসেকিয়েল ফের্নান্দেস (আল কাদসিয়াহ) ও রদ্রিগো দে পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ)।
ফরোয়ার্ড: নিকোলাস গন্সালেস (ফিওরেন্তিনা), আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), মাতিয়াস সুলে (রোমা), গিলিয়ানো সিমিওনে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ভালেন্তিন কারবোনি (অলিম্পিক মার্শেই), হুলিয়ান আলভারেস (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান) ও ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস (লাৎসিও)।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার রেকর্ড
৪ মাস আগে
কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গেল কানাডা। পার্থক্য হয়ে থাকলেন সেই লিওনেল মেসি। ফলে প্রথমবার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠার পর থামল কানাডার স্বপ্নযাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে সর্বশেষ আট আসরের ৬টিতেই ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আলভারেস। এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এটি চলতি কোপার আসরে দ্বিতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি আসরে তার নবম গোল।
আরও পড়ুন: হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ৫১তম মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা এসনো ফের্নান্দেসকে তা দিয়ে ফেলেন কানাডার একজন ডিফেন্ডার। তিনি জোরালো শট নিলে গোলমুখে থাকা মেসির আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে যায়।
এই গোলের মাধ্যমে কোপার চলতি আসরে গোলখরা ঘোচালেন মেসি। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ১০৯তম গোল। শুধু তাই নয়, এই গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার ছয় আসরে গোল করলেন তিনি।
তবে এদিন গোল খেলেও কোনোভাবে দমিয়ে যায়নি কানাডা। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে জেসি মার্শের শিষ্যরা। কিন্তু কোনোভাবে আর্জেন্টিনার ডেডলক ভাঙতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
৫ মাস আগে