লিওনেল মেসি
বিশ্বকাপ বাছাই: আর্জেন্টিনা দলে নতুন মুখ
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্জেন্টিনা। টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জয়ের পর অক্টোবরের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে নভেম্বরের বাছাইপর্বে মাঠে নামতে চলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তার আগে মঙ্গলবার ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আলবিসেলেস্তেরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একাদশ ও দ্বাদশ রাউন্ডের ম্যাচে আগামী ১৫ ও ২০ নভেম্বর যথাক্রমে প্যারাগুয়ে ও পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ওই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এক নতুন মুখ।
চলতি মৌসুমে ধারে ভালেন্সিয়ায় খেলা অ্যাস্টন ভিলার ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার এনসো বারেনেচিয়াকে প্রথমবার স্কোয়াডে রেখেছেন স্কালোনি। তিনি ছাড়াও নিকো পাস, ফাকুন্দো বুনানোত্তে, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতো তরুণ ফুটবলার রয়েছেন স্কোয়াডে।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পাশাপাশি ইনজুরি থেকে ফেরায় নিকোলাস গন্সালেসকেও দলে রেখেছেন কোচ।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উরুগুয়ে। আর সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস, ওয়াল্টার বেনিতেস, জেরোনিমো রুলি।
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা, গনসালো মন্তিয়েল, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, জার্মান পেস্সেলা, লিওনার্দো বালেরদি, নিকোলাস ওতামেন্দি, নেহুয়েন পেরেস, লিসান্দ্রো মার্তিনেস, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
মিডফিল্ডার: এনসো ফেরনান্দেস, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এসেকিয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো দে পল, আলেক্সিস মাক অ্যালিস্তের, জিওভানি লো সেলসো, এনসো বারেনেচিয়া, থিয়াগো আলমাদা, ফাকুন্দো বুনানোত্তে, নিকোলাস (নিকো) পাস।
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি, আলেহান্দ্রো গারনাচো, নিকোলাস গনসালেস, হুলিয়ান আলভারেস, লাউতারো মার্তিনেস, ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস।
আরও পড়ুন: চোটটি গুরুতর নয়, আশা নেইমারের
২ সপ্তাহ আগে
চিলির বিপক্ষে দারুণ জয় পেল মেসি-দি মারিয়াহীন আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়াবিহীন দল নিয়ে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু করেছে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তবে নতুন এ অধ্যায়ের শুরুটা দারুণভাবে করেছেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে চিলিকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে লাতিন আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রাখলেও প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাগতিকদের আটকে রাখতে সক্ষম হয় চিলি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
৪৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে হুলিয়ান আলভারেসের আড়াআড়ি ক্রসে মার্তিনেস ডামি দিলে বল চলে যায় সরাসরি আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের পায়ে। এরপর নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ২৫ বছর বয়সী এই লিভারপুল মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
এরপর দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টার ফল আসে ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে। ৮৪তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের পাস ধরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারেস। ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ঠেকানোর চেষ্টা করেন চিলির গোলরক্ষক গাব্রিয়েল আরিয়াস। তবে তার গ্লাভস ফাঁকি দিয়ে বল ঠিকানা খুঁজে নেয়।
এরপর চিলির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ম্যাচের দশ মিনিট বাকি থাকতে বদলি নামা পাওলো দিবালা। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন মেসির অনুপস্থিতিতে তার বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামা দিবালা, তবে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে শটটি ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছায়।
ফলে ৩-০ ব্যবধানে জিতে লাতিন আমেরিকা বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে ৭ ম্যাচে ছয়টি জয়ে তাদের পয়েন্ট হলো ১৮। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উরুগুয়ে।
আগামীকাল ভোর সাড়ে ৫টায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে উরুগুয়ে। এদিন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবেন উরুগুয়ের তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেস।
এছাড়া বাছাইপর্বের অপর দুই ম্যাচ খেলতে সকাল ৭টায় ব্রাজিল একুয়েডরের বিপক্ষে এবং পেরুর বিপক্ষে নামবে কলম্বিয়া।
আরও পড়ুন: চোখের জলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা সুয়ারেসের
২ মাস আগে
২১ বছর পর ব্যালন দ’র লড়াইয়ে নেই মেসি-রোনালদো
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে ব্যালন দ’রে মনোনয়ন পাওয়া ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা। ৩০ জনের এই তালিকায় ২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম দেখা যায়নি ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি এবং আল নাসরের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই বিশ্ব ফুটবলের সেরা এই ব্যক্তিগত পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দুই গ্রেট। ২০২৩ সালে সর্বশেষ ব্যালন দ’র জেতেন মেসি। সেটি ছিল কোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়। তবে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গত বছর থেকেই ব্যালন দ’রের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার এই পুরস্কার জেতা রোনালদো।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুজনের আধিপত্যে ব্যালন দ’র স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। পরের বছর এটি জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। এরপর ২০১৯ সালে ষষ্ঠবারের মতো মেসির হাতে ওঠে পুরস্কারটি। এর ফলে তিনি রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়ের চূড়ায় ওঠেন।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে পুরস্কারটি স্থগিত করে ফেঞ্চ ফুটবল। সেবার দুর্দান্ত পারফর্ম করে ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়ে সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তৎকালীন বায়ার্ন মিউনিখ ও বর্তমান বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবের্ট লেভানডোভস্কি। তবে পরের বছর আবারও জিতে রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ান মেসি। তারপর ২০২২ সালে তৎকালীন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা জেতেন পুরস্কারটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জেতার পর ২০২৩ সালে অষ্টমবারের মতো ব্যালন দ’র জিতে অনন্য উচ্চতায় ওঠেন মেসি।
গত মৌসুমে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতলেও ক্লাব ফুটবলে খুব বেশি অর্জন ছিল না লিওনেল মেসির। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে ৩৫ গোল এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন রোনালদো। কিন্তু গত জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোয় পর্তুগালের পাঁচ ম্যাচে একবারও জালের দেখা পাননি ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় বিদায় নিতে হয় ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।
এবারের ব্যালন দ’র জেতার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ক্লাবটির স্প্যানিশ অধিনায়ক দানি কারভাহাল, ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ অধিনায়ক রদ্রি এবং ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত ৩০ জন: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (আথলেতিক বিলবাও), গ্রানিট জাকা (বায়ের লেভারকুজেন), আর্তেম দবভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি অলমো (লাইপসিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (বায়ের লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান চালানোলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), আদেমোলা লুকমান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুয়েডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ) ও আলেক্স গ্রিমালদো (বায়ের লেভারকুজেন)।
২ মাস আগে
মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট পাওয়ার পর জাতীয় দল ও ক্লাব থেকে সম্পূর্ণ বাইরে রয়েছেন লিওনেল মেসি। এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আসন্ন দুই ম্যাচেও তাকে দলে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা।
আগামী মাসে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা। ওই দুই ম্যাচের জন্য সোমবার (১৯ আগস্ট) দল ঘোষণা করেছেন লিওনেল স্কালোনি। ঘোষিত ২৮ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর।
তিনি ছাড়াও রিভার প্লেট গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানিকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। এছাড়া ফরোয়ার্ড মার্কোস আকুনিয়া ও পাওলো দিবালারও জায়গা হয়নি দলে। কোপা আমেরিকা শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ায় আনহেল দি মারিয়াকেও পাচ্ছেন না কোচ স্কালোনি।
তবে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল কাদসিয়াহর মিডফিল্ডার এসেকিয়েল ফের্নান্দেস। এছাড়া লাৎসিওর ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোসকেও স্কোয়াডে রেখেছেন কোচ।
আরও পড়ুন: মায়ামিতেই শেষ, জানিয়ে দিলেন মেসি
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে চিলিকে আতিথ্য দেবে আর্জেন্টিনা। এর চার দিন পর কলম্বিয়ার মাঠে খেলবে যাবে তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
চিলি ও কলম্বিয়ার বিপেক্ষ আর্জেন্টিনা স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়াল্তার বেনিতেস (পিএসভি আইন্দহোভেন), জেরোনিমো রুলি (অলিম্পিক মার্শেই) ও হুয়ান মুসো (আতালান্তা)।
ডিফেন্ডার: গনসালো মন্তিয়েল (সেভিয়া), নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), হেরমান পেস্সেইয়া (রিভার প্লেট), লিওনার্দো বেলার্দি (অলিম্পিক মার্শেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ও নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)।
মিডফিল্ডার: ভালেন্তিন বার্কো (ব্রাইটন), লেয়ান্দ্রো পারেদেস (রোমা), গিদো রদ্রিগেস (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড), আলেক্সিস মাক আলিস্তের (লিভারপুল), এনসো ফের্নান্দেস (চেলসি), জিওভানি লো সেলসো (টটেনহ্যাম হটস্পার), এসেকিয়েল ফের্নান্দেস (আল কাদসিয়াহ) ও রদ্রিগো দে পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ)।
ফরোয়ার্ড: নিকোলাস গন্সালেস (ফিওরেন্তিনা), আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), মাতিয়াস সুলে (রোমা), গিলিয়ানো সিমিওনে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ভালেন্তিন কারবোনি (অলিম্পিক মার্শেই), হুলিয়ান আলভারেস (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান) ও ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস (লাৎসিও)।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার রেকর্ড
৩ মাস আগে
কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গেল কানাডা। পার্থক্য হয়ে থাকলেন সেই লিওনেল মেসি। ফলে প্রথমবার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠার পর থামল কানাডার স্বপ্নযাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে সর্বশেষ আট আসরের ৬টিতেই ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আলভারেস। এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এটি চলতি কোপার আসরে দ্বিতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি আসরে তার নবম গোল।
আরও পড়ুন: হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ৫১তম মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা এসনো ফের্নান্দেসকে তা দিয়ে ফেলেন কানাডার একজন ডিফেন্ডার। তিনি জোরালো শট নিলে গোলমুখে থাকা মেসির আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে যায়।
এই গোলের মাধ্যমে কোপার চলতি আসরে গোলখরা ঘোচালেন মেসি। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ১০৯তম গোল। শুধু তাই নয়, এই গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার ছয় আসরে গোল করলেন তিনি।
তবে এদিন গোল খেলেও কোনোভাবে দমিয়ে যায়নি কানাডা। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে জেসি মার্শের শিষ্যরা। কিন্তু কোনোভাবে আর্জেন্টিনার ডেডলক ভাঙতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
৪ মাস আগে
মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলল দুর্বল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাচে ফিরে আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে একুয়েডর। এরপর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে প্রথম শটটিই মিস করেন লিওনেল মেসি। তবে ফের গোলরক্ষক দিবু মার্তিনেসের বীরত্বে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার সকালে একুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া পর তা পেনাল্টিতে গড়ায়। এরপর শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচজুড়ে দুই দলের আক্রমণেই তেমন ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বল দখলের লড়াইয়েও দুদল ছিল সমানে সমান (৫১/৪৯)। গোলের জন্য আর্জেন্টিনার আটটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে ৯টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে একুয়েডর।
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
শঙ্কা কাটিয়ে মেসির ফেরার দিনে ফাউল করে একুয়েডর ম্যাচ শুরু করার পর দুই দলই সাবধানে খেলা শুরু করে। আক্রমণ বারবার দিক পরিবর্তন করার পর ১৫তম মিনিটে প্রথম শট নেয় একুয়েডর।
মইজেজ কাইসেদোর বাড়ানো পাস বাঁ পাশ থেকে ৬ গজ বক্সের মধ্যে ধরে শট নেন ইয়েরেমি সারমিয়েন্তো। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো (দিবু) মার্তিনেস তা ঠেকিয়ে দেন। পরমুহূর্তে বক্সের ভেতর থেকে কেন্দ্রি পায়েসের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা এড়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পরের মিনিটে একুয়েডরের আরও একটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই তিনটি শটই নেন ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।
এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। নাহুয়েল মলিনার ক্রস থেকে হেডারে গোল আদায়ের চেষ্টা করেন ডি বক্সের মাঝমাঝি থাকা এনসো ফের্নান্দেস। তবে তা ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরপর ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৪তম মিনিটে মেসির বাড়ানো পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন এনসো, কিন্তু তার শটটি রক্ষণে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে দূরের পোস্টের দিকে বল ঠেলে দেন আলেক্সিস মাক আলেস্তার। এরপর বাঁ পাশে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থাকা লিসান্দ্রো মার্তিনেস লাফিয়ে উঠে বল জালিয়ে জড়িয়ে দেন।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। আর চলতি কোপার আসরে প্রথমার্ধে এই প্রথম গোল পেল আর্জেন্টিনা।
এরপর কোনো পাশে আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পেরে বিরতিতে যায় দুই দল।
৪ মাস আগে
কোয়ার্টার ফাইনালেও অনিশ্চিত মেসি
উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শঙ্কা এড়াতে পেরুর বিপক্ষে ওই ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। তবে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হতে চলা কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও তাকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে অনিশ্চয়তা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ একুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে ‘এ’ গ্রুপসেরা আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে মেসি অনুশীলন করলেও কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছেন, ‘(মেসির ব্যাপারে) আমরা আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তার কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘তাকে খেলানোর চেষ্টাই করব, কিন্তু যদি তা না হয়ে ওঠে, তাহলে সেরা বিকল্প খুঁজে বের করা হবে। তার সঙ্গে কথা বলার আগে সে আরও খানিকটা অনুশীলন করুক, নিজেই বুঝুক- এটাই আমি ঠিক বলে মনে করি।’
একুয়েডরকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, ‘একুয়েডরে একজন ভালোর কোচের তত্বাবধায়নে ভালো ভালো সব খেলোয়াড় রয়েছে। এবারের আসরে তারা অন্যতম সেরা দল। শিরোপার লড়াইয়েই যে (আগামীকাল) তারা মাঠে নামবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এবারের কোপা আমেরিকা আসরে পরিষ্কার ভেবারিট বলে কোনো দল নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘যে কেউ ফাইনালে উঠতে পারে। কলম্বিয়া-ব্রাজিল ম্যাচটির কথাই ধরুন, সেটি খুব উঁচু মানের একটি ম্যাচ ছিল। উরুগুয়েও খুব ভালো করছে। তাই যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
৪ মাস আগে
ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
পায়ের উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ওই ম্যাচটি ১-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে শুক্রবার আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল জানিয়েছেন, মেসির ইনজুরির বিষয়টি প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
‘তার অনুপস্থিতি শুধু আমাদের জন্যই নয়, সর্বোপরি ফুটবলের জন্যই বিরাট বড় ধাক্কা।’
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
গত মৌসুমে মেজর সকার লিগে (এমএলএস) যোগদানের পর থেকেই ইনজুরি ভোগাচ্ছে লিওনেল মেসিকে। তবে ঠাসা সূচির মধ্যেও তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখেন মায়ামি কোচ তাতা মার্তিনো।
পায়ের চোটে প্রথম মৌসুমের ইন্টার মায়ামির ছয়টি ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। এছাড়া পরের মৌসুমের শুরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার কারণেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে ডাগআউটে বসে থাকতে হয় তাকে।
কোপা আমেরিকায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে তৃতীয় ম্যাচে জয় প্রয়োজন আর্জেন্টিনার। দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির শিষ্যরা। একই সময় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি ও কানাডা।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে কানাডা। অন্যদিকে, এক ড্রয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিলি। ফলে ড্র করতে পারলেও কোয়ার্টারের টিকিট পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে কানাডার জন্য। আর শেষ আট নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প নেই চিলির।
শেষ আটে খেলার স্বপ্ন অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি পেরুরও। আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠে যেতে পারে তারাও।
আরও পড়ুন: ইউরোর শেষ ষোলো চূড়ান্ত, কে কবে কার মুখোমুখি
৪ মাস আগে
আল-হিলালে লিওনেল মেসি, সত্যি না-কি কেবলই গুঞ্জন?
অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল আর্জেন্টিনার ফুটবল সুপারস্টার লিওনেল মেসির পরবর্তী গন্তব্য নাকি সৌদির ক্লাব আল-হিলালে। তবে এবারে সকল জল্পনাকল্পনায় যেন পানিই ঢেলে দিলেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। প্রিয় তারকার ভবিষ্যৎ নিয়ে যেন আরও গভীর অনিশ্চয়তায় ডুবে গেলেন মেসি ভক্তরা।
পিএসজি ছেড়ে মেসির আল-হিলালে যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জনের সূত্রপাত ঘটে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র খবর থেকে।
এএফপি জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে এই ‘ভিনগ্রহের ফুটবলারের’ চুক্তিটি রীতিমতো ‘ডান ডিল’।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, সৌদির জনপ্রিয় এই ক্লাবটিতে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নাম লেখানোর মাধ্যমে বছরে ২০০ মিলিয়ন ডলার পকেটে পুরবেন মেসি!
তবে এসব তথ্য উড়িয়ে দিয়ে হোর্হে মেসি সম্প্রতি জানিয়েছেন, তার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের জন্য এখনও কোনো ক্লাবের সঙ্গে কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। মৌসুম শেষ হলে আমরা ভেবে দেখব সামনে কী কী পথ আছে, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
নিজ বিবৃতিতে হোর্হে মেসি জানান, ‘পিএসজি’র সঙ্গে মেসি’র চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে এই মৌসুমের শেষেই। আর এরই মধ্যে আল-হিলাল ছাড়াও এই ৩৫ বছর বয়সী ফুটবল তারকার সম্ভাব্য গন্তব্যের তালিকায় রয়েছে ইন্টার মায়ামি, ম্যানচেস্টার সিটি; এমনকি তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার নামও।’
স্বাভাবিকভাবেই মেসির আল-হিলালে যাওয়ার খবরটি অনেকের মনে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। অর্থের প্রাচুর্য্য যতই থাকুক, ইউরোপিয়ান ফুটবলের গতানুগতিক ‘পাওয়ারহাউজ ক্লাব’ কোনোদিক থেকেই নয় এই সৌদি দলটি।
অন্যদিকে, আল-হিলালের সঙ্গে মেসির সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার পক্ষে বা বিপক্ষে নিশ্চিত হওয়ার মত কোনো তথ্যও মিলছে না।
কারো কারো মতে, এবারে একেবারেই নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ খুঁজছেন মেসি। ফুটবলার হিসেবে যা কিছু জেতা সম্ভব, তার প্রায় সবই জিতে নিয়েছেন মেসি, আর তাই হয়তো এবার পুরোপুরি নতুন পরিবেশে, নতুন ভক্তদের সামনে নিজেকে তুলে ধরার ইচ্ছে জেগেছে এলএমটেনের মনে!
আরেকটি কারণ হতে পারে, মেসিকে যে বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব আল-হিলাল দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক হয়ে থাকলে কেবল মেসি কেন, যেকোনো খেলোয়াড়েরই প্রলুব্ধ হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু হবে না!
কারণটা যাই হোক, মেসির যোগদান ক্লাব হিসেবে আল-হিলালের জন্য সৃষ্টি করতে পারে এক নতুন অধ্যায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের একজন লিওনেল মেসি, তার আগমন ক্লাবটির ইতিহাসকে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ করবে, পাশাপাশি আকৃষ্ট করবে অনেক নতুন ভক্ত।
তাছাড়া, আপাতত সৌদিরই আরেক ক্লাব আল নাসের-এ খেলছেন মেসির সমকালীন আরেক সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
তবে কি আরবের মাটিতেই দেখা যাবে এই দুই মহারথীর পরবর্তী দ্বৈরথ?
আরও জানতে ভিজিট করুন পারিম্যাচ নিউজ।
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি: দরিদ্রতা, রোগ আর প্রতিকূলতা জয় করে আজ মহানায়ক
১ বছর আগে
ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি
কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে সোমবার ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন লিওনেল মেসি।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছেন স্পেনের অ্যালেক্সিয়া পুতেলাস।
কাতারে ফ্রান্সের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়ায় মেসি এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমার বিপক্ষে সেরা খেলোয়াড়ের ভোট জিতে ১৪ বছরের মধ্যে সপ্তমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার অর্জন করেন।
রেকর্ড পঞ্চম প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপ জেতেন তিনি।
মেসি বলেন, ‘বছরটি আমার জন্য ‘পাগলাটে’ বছর ছিল। এত দিন লড়াই করে আমি আমার (বিশ্বকাপ) স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। শেষ পর্যন্ত যা ঘটেছে তা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুন্দর বিষয়। এই অর্জন প্রতিটি খেলোয়াড়ের স্বপ্ন, তবে খুব কম জনই তা অর্জন করতে পারে। তাই আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: জুনে ঢাকা সফরে আসছে মেসিরা
জাতীয় দলের অধিনায়ক ও কোচদের একটি বৈশ্বিক প্যানেল, ফিফার ২১১টি সদস্য দেশের প্রতিটিতে নির্বাচিত সাংবাদিক এবং অনলাইনে ভক্তদের সমন্বয়ে চূড়ান্তভাবে তিনজন খেলোয়াড়কে নির্বাচিত করা হয়।
৩৫ বছর বয়সী মেসি ফিফার কাছ থেকে তার প্রথম সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার প্রত্যাশী এমবাপ্পেকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য ফিফা প্রদত্ত গোল্ডেন বল ট্রফি জয়লাভ করেন। সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট নিজের দখলে নেন এমবাপ্পে।
ফিফা অ্যাওয়ার্ডস ভোটে মেসির পয়েন্ট ৫২, এমবাপ্পের ৪৪ এবং বেনজেমার ৩৪।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জয়, আর্জেন্টিনার হয়ে আরও খেলতে চান মেসি
১ বছর আগে