দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের বাঘা বাঘা দলগুলোর দায়িত্ব সামলে এবার তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচের দায়িত্ব নিয়েছেন পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনিয়ো। ফুটবলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা মন্তব্য করে বারবার খবরের শিরোনাম হওয়ার খ্যাতি আছে তার। এবার নিজের ক্লাবকে যথাযথ কৃতিত্ব না দেওয়ায় তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
মরিনিয়োর দাবি, ফেনারবাচে একের পর এক জয় পেলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যগুলো তা খুব বেশি প্রচার করছে না। দলটি আরও বেশি স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে শান্তিতে কাজ করতে দিন।’
সোমবার তুর্কি সুপার লিগে গাজিয়ান্তেপের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে ফেনারবাচে। এই জয়ে লিগে ১৩ ম্যাচে ১০ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে ফেনারবাচে। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গালাতেসারাই।
এ নিয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতল মরিনিয়োর শিষ্যরা। এছাড়া চলতি মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করেছে (৩৬) মরিনিয়োর দল, গোল খেয়েছেও সবচেয়ে কম (১২)।
টানা জয়ের পর ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন স্পেশাল ওয়ান। বলেন, ‘এরপরও ওরা আমার ঘাড়ে চাপতে চাইবে। আমাদেরও এক-আধটু কৃতিত্ব দিন।’
সবশেষ ইতালির ক্লাব রোমার দায়িত্ব নেওয়ার ৬ মাসের মাথায় ছাঁটাই হন ৬১ বছর বয়সী এই কোচ। এরপর গত গ্রীষ্মে ফেনারবাচের দায়িত্ব নিয়ে আসেন তুরস্কে।
ঠাসা সূচির কারণে ইউরোপের বেশিরভাগ দল যেখানে চোটে জেরবার, সেখানে ফেনারবাচের এই ধারাবাহিক সাফল্যের রহস্য কী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মরিনিয়ো বলেন, ‘এটি শুধু আমাদের একার সমস্যা নয়, ইউরোপে খেলা বেশিরভাগ দলকেই এর মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’
‘আপনি যখন একই খেলোয়াড়কে খেলাতেই থাকবেন, একটি পর্যায়ে তারা তো চোটে পড়বেই। এক্ষেত্রে গোটা স্কোয়াডের ওপর ভরসা রাখার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘নতুন ও অনিয়মিতদের (দলে) সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমার বেঞ্চে অসাধারণ সব খেলোয়াড় রয়েছে, ফলে অপশনের অভাব নেই। এমন একটি বেঞ্চ থাকলে কোনো কোচেরই সূচি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না।’