সড়ক দুর্ঘটনার ৩৯ দিন পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন ইকুয়েডরের তরুণ ফুটবলার মার্কো আঙ্গুলো। দেশটির ফুটবলের ভবিষ্যতের অন্যতম কাণ্ডারী হিসেবে বিবেচিত হলেও মাত্র ২২ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন এই খেলোয়াড়।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ব্যারিকেড দিয়ে মহাসড়কে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় পাঁচ যাত্রী নিয়ে আঙ্গুলোর প্রাইভেট কারটি প্রচণ্ড গতিতে এসে ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় শ্রমিকদের বেশ কয়েকজনসহ গাড়ির তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন আঙ্গুলো। তবে ৩৯ দিন পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবলার। এর ফলে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটির মোট তিন যাত্রী নিহত হলো।
পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে আঙ্গুলোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) ও তার ক্লাব লিগা দে কিতো।
আরও পড়ুন: পোশাক নিয়ে মুসলিম নারী ফুটবলারদের পাশে এফএ
মাত্র ২২ বছর বয়সেই আঙ্গুলোকে সাম্প্রতিক সময়ে ইকুয়েডরের অন্যতম সেরা প্রতিভা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ইকুয়েডরের স্থানীয় ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তে দেল ভায়ের ডিফেন্ডার হিসেবে পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু করার আগে ক্লাবটির হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ কোপা লিবার্তাদোরেস জেতেন তিনি। এরপর পেশাদার ফুটবলে ক্লাবটির জার্সিতে অভিষেকের পরও দক্ষ মিডফিল্ডার হিসেবে নজর কাড়েন তিনি।
২০২৩ সালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব এফসি সিনসিনাটিতে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানেও নিজের টেকনিক্যাল দক্ষতা ও বল নিয়ন্ত্রণের জন্য জনপ্রিয়তা পান এই ফুটবলার। পরে সেখান থেকে ইকুয়েডরে ফিরে এসে তিনি লিগা দে কিতোয় যোগ দেন।
ইকুয়েডর জাতীয় দলেও খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আঙ্গুলো। তবে অকাল মৃত্যুতে ক্যারিয়ার লম্বা করার সুযোগ পেলেন না এই ফুটবলার।
আঙ্গুলোর মৃত্যুতে ইকুয়েডরের ফুটবল অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে এফইএফ বলেছে, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় খেলোয়াড় মার্কো আঙ্গুলো মারা গেছেন। আমরা তার পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি যা আমাদের হৃদয়ে অমোচনীয় ছাপ রেখে গেছে।’
‘আমরা তার পরিবার, সতীর্থ ও স্বজনদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং এই কঠিন সময়ে তাদের শক্তি কামনা করছি।’