চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের পীতম্বরপুর গ্রামের আসাবুল হকের ভাগ্যের বদল হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির প্রকল্পে। তবে জৈব সারের মান ভালো ও চাহিদা থাকলেও যোগ্য মূল্য না পাওয়ায় হুমকির মুখে তার এই প্রচেষ্টা।
আসাবুলের প্রতিষ্ঠানের (কৃষি খামার) লাইসেন্স না থাকায় প্যাকেট করে বাজারজাত করতে পারছেন না তিনি। কিন্তু দেশের অনেক স্বনামধন্য সার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আসাবুলের কাছ থেকে কম মূল্যে সার কিনে তা অধিক লাভে সারা দেশে বিক্রি করছে।
নেই প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা, পার হননি স্কুলের গন্ডি। হারিকেনের টিমটিমে আলোয় নিজের নামটুকু শুধু লেখা শিখেছেন মাত্র। দরিদ্রের কষাঘাতে বেড়ে ওঠা ব্যক্তিটি আজ নিজেই একজন উদ্যোক্তা।
চুয়াডাঙ্গায় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারে ভাগ্য বদলে গেছে আসাবুল হক নামের ওই উদ্যোক্তার। অনেকটা শূন্য থেকে শুরু করে তার পুঁজি আজ কোটি টাকার বেশি। নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষের। একই সঙ্গে কৃষি জমির স্বাস্থ্য সুরক্ষাও হচ্ছে তার মাধ্যমে। তিনি আগ্রহী বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সার্বিক সহযোতিার আশ্বাস দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে উৎসাহিত করছেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে পাট চাষিদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার