পরিবারের সঙ্গে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন ও উৎসবমুখর পুনর্মিলনীর লক্ষ্যে রাজধানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাসিন্দা ঢাকা ছেড়ে গেলেও বায়ুর গুণমান আশঙ্কাজনকভাবে খারাপ রয়ে গেছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৬৩ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, ছুটির দিনে ঢাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকভাবে কমে গেলেও বর্তমানে ঢাকার বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
র্যাঙ্কিংয়ে এটি কেবল ভারতের দিল্লি, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই এবং নেপালের কাঠমান্ডুর পিছনে রয়েছে, যারা যথাক্রমে ২৩৩, ১৮৭ এবং ১৭২ রিডিং নিয়ে একিউআইতে বেশি স্কোর করেছে।
একিউআই বাতাসের মানের মাত্রাকে 'মাঝারি' থেকে 'বিপজ্জনক' শ্রেণিবদ্ধ করে। আমরা যে বাতাসে নিঃশ্বাস নিই তার স্বাস্থ্যের প্রভাবের জন্য পরিমাপের মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে এটি।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকায় দূষণের প্রধান উপাদানের মধ্যে রয়েছে বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন। বায়ু দূষণের সঙ্গে শহরটির লড়াই মৌসুমী নয় বরং বছরব্যাপী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকালে বায়ুর গুণমান সাধারণত খারাপ হয় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) মতে, এই অব্যাহত বায়ুদূষণ সংকট কেবল ঢাকাতে নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাকে প্রতিফলিত করে। বায়ু দূষণ একটি নীরব ঘাতক। এতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণ প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধাজনিত পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য দায়ী।
রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও একিউআইয়ের উচ্চমাত্রার রিডিং ঢাকার বায়ুদূষণ সমস্যার জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতিকে তুলে ধরে।