ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালেও 'অস্বাস্থ্যকর' রয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৬ স্কোরে খারাপ বাতাসের মান নিয়ে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ১৩তম অবস্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে একিউআই ২১১, ১৯৫ ও ১৮৮ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
একিউআই,দৈনন্দিন বাতাসের গুণগতমানের একটি সূচক প্রতিবেদন করে জনগণকে জানায় যে কোনও নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো তাদের জন্য কি ধরণের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) অনুসারে, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ু দূষণে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির কারণ।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি হলেও সোমবার সকালে 'অস্বাস্থ্যকর'