মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে প্রচুর ভিড় থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) অধিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে এবং দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও বিজিবিকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে আগুন লাগার কারণ চিহ্নিত করতে তদন্ত করা হবে।
দুইজন সামান্য আহত হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
তিনি আরও দাবি করেন মার্কেটে পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ নেই এবং প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম নেই। এছাড়া মার্কেটে নেই কোনো নিরাপত্তা পরিকল্পনাও।
তাজুল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নোটিশ জারি করেছে, বিভিন্ন সময়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মার্কেটের আশপাশের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তাজুল বলেন, এটি বঙ্গবাজারের মতো এবং ছোট ছোট গলিগুলো মালামালের স্তূপে আটকে রয়েছে এবং কলাপসিবল গেটগুলো বন্ধ থাকায় দমকল কর্মীদের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় মার্কেটের নৈশ প্রহরীরাও উপস্থিত ছিলেন না। দমকল কর্মীরা কলাপসিবল গেট ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি, আমরা দেখেছি যে আগুন মার্কেটের প্রায় তিন-চতুর্থাংশে ছড়িয়ে পড়েছে। দমকল ইউনিটগুলিা এটি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পরিশ্রম করেছে।’
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্সের (মিডিয়া সেল) গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে মার্কেটে আগুন লাগে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নেভাতে ১৭টি দমকল ইউনিট কাজ করছে। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার ব্যবসায়ীদের