বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, কারণ এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। আমরা এই (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মিলার বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সহিংসতায় জড়িত সব অপরাধীকে পূর্ণ জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-সম্পর্কিত সব সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে চলা সহিংসতায় নিহত, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আহতের খবরে গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন এবং যারা ভুক্তভোগী হয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে কী ঘটছে, তার ওপর আমরা নজর রাখছি।’
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আপনারা গতকাল (মঙ্গলবার) যেমনটা শুনেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, তারা যেন গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কাজ করে, সেটি দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’