বিচারিক আদালতের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিশন আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও শাহরিয়ার কবির। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারী দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
গত বছরের ১৯ মে এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ থেকে রাশেদুল হক চিশতী জামিন পান। ওই জামিন আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক। মঙ্গলবার এক মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন বহাল থাকলেও আরও অন্য মামলা থাকায় কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শাহরিয়ার কবির।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় পৃথক মামলা করে দুদক। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে এবং নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন। পরে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় গ্রাহকদের ২৫টি হিসাব থেকে পাঠানো ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা স্থানান্তর করা হয়। এসব টাকা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের নামে কেনা শেয়ারের দাম পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাতের দায়ে এনজিও কর্মকর্তা আটক
এজাহারে আরও বলা হয়, লেনদেনের একটি বড় অংশই হয়েছে গুলশান শাখা থেকে। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বখশীগঞ্জ জুট স্পিনার্সের চলতি হিসাবে প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা জমা হয়। এর পুরোটাই নগদে তুলে নেয়া হয়। বাকি ২১ কোটি টাকা বিভিন্ন হিসাব থেকে লেনদেন হয়। মামলার পরপরই চিশতীসহ চারজনকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
অপর তিনজন হলেন- চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।
এদিকে, ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) সহ তার স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ফারমার্স ব্যাংকের চাকরিচ্যুত এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও চাকরিচ্যুত ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধনে ফিঙ্গার প্রিন্ট কেন বাধ্যতামূলক নয়: হাইকোর্ট
ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কুষ্টিয়ার এসপিকে হাইকোর্টে তলব