১৯১৫ সালের ২৫ এপ্রিল, অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ড আর্মি কোরের (অ্যানজাক) সেনারা তুরস্কের গ্যালিপোলিতে অবতরণ করে। সেবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান সেনারা জাতি হিসেবে একসাথে লড়াই করেছিল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার হাইকমিশনে অনুষ্ঠেয় ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘অ্যানজাক দিবসে অস্ট্রেলিয়ানরা একত্রিত হয় স্মরণ অনুষ্ঠানের জন্য। তবে এই বছর, আমরা কোভিড -১৯ মহামারির কারণে নিজেরা একত্রিত হওয়ার বদলে মনে মনে সবাই এক হয়ে অ্যানজাকের স্পৃহা এবং আমাদের প্রবীণ সেনাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
হাই কমিশনার স্মরণ করেন, সকল সাহসী ব্যক্তিকে যারা যুদ্ধ এবং শান্তির সময় তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে ৩০ জন অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ড এয়ারম্যান, যারা দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় বার্মা অভিযানে মারা যান এবং যাদের সমাধি দেয়া হয় চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার যুদ্ধ সমাধিস্থলে। অনেক দেশের হাজারো সেনা, যারা এই আট মাসব্যপী অভিযানের সময় মারা যান তাদের মধ্যে আট হাজারেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান এবং ২,৭০০ এর বেশি নিউজিল্যান্ডার ছিলেন।
অ্যানজাক একজনের বংশধর হিসেবে হাইকমিশনার ব্রুয়ার বলেন যে অ্যানজাক দিবসের অন্যতম দিক যা নিয়ে তিনি সবচেয়ে গর্বিত তা হল পুরানো শত্রুদের একত্রে হওয়া। গ্যালিপোলি অভিযানের সময় অ্যানজাকরা প্রতিকূলতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের ক্ষেত্রে সাহসের জন্য সুনাম অর্জন করেন।
কোভিড-১৯ সংকট থেকে উদ্ভূত কঠিন পরিস্থিতিতে, হাই কমিশনার সারা বিশ্বের সেবাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান, যারা মহামারিটি মোকাবিলায় এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।