অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ফাইনালে ভারত
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে বেড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের। তবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে এতদিন পর সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে চার উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ২৬৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৯৬ বলে ৭৩ রান করে দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এছাড়া মিডল অর্ডারে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি করেন ৬১ রান।
ভারতের হয়ে দশ ওভারে মাত্র ৪৮ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। এছাড়া দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও রবীন্দ্র জাদেজা নেন দুটি করে উইকেট।
২৬৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।
তিনে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলিই এদিন ভারতের জয়ের ভীত গড়ে দেন। ৯৮ বলে ৮৪ রান করার পথে শ্রেয়াস আইয়ার (৪৫), অক্ষর প্যাটেল (২৭) ও লোকেশ রাহুলের (৪২*) সঙ্গে গড়েন যথাক্রমে ৯১, ৪৪ ও ৪৭ রানের জুটি।
পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই যখন জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে ভারত, ঠিক তখনই একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে আউট হন ২৪ বলে ২৮ রান করা হার্দিক পান্ডিয়া। পরে জাদেজাকে নিয়ে ভারতীয়দের জাহাজ জয়ের বন্দরে নোঙর করেন রাহুল।
এদিন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পেলেও কার্যকর সময়ে ভারতীয় ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকেই কেবল ভারতকে রুখে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় দলটি। পরে সময় যত গড়িয়েছে, জয়ের পাল্লা ভারতের দিকেই তত ভারী হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে নাথান এলিস ৪৯ রান খরচ করে এবং অ্যাডাম জ্যাম্পা ৬০ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি জিতলেও বৃষ্টির কারণে পরের দুই ম্যাচ পণ্ড হয়। ফলে ওই এক ম্যাচ জিতেও অপরাজিত থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দুবারের শিরোপাধারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২৬৪/১০ (৪৯.৩ ওভার) (স্মিথ ৭৩, ক্যারি ৬১, হেড ৩৯; শামি ৩/৪৮, জাদেজা ২/৪০, চক্রবর্তী ২/৪৯)।
ভারত: ২৬৭/৬ (৪৮.১ ওভার) (কোহলি ৮৪, আইয়ার ৪৫, রাহুল ৪২*; এলিস ২/৪৯, জ্যাম্পা ২/৬০)।
ফলাফল: ভারত চার উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি।
১৪ দিন আগে
রেকর্ডের মালা গেঁথে নতুন ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া
৩৫১ রান তুলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গড়া ২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেই রেকর্ড এক দিনও ধরে রাখতে পারল না জশ বাটলার অ্যান্ড কোং। দ্বিতীয় ইনিংসেই তা টপকে একাধিক রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বেন ডাকেটের অনবদ্য ১৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেটে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের রেকর্ডটি ভেঙে এদিন রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম তোলে ইংলিশরা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন বেন ডাকেট। তবে ইংলিশদের এসব রেকর্ড ম্লান করে পাঁচ উইকেটের এক স্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্টিভেন স্মিথ অ্যান্ড কোং। ৪৭.৩তম বলটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স ক্যারি।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড (৩৫৬) গড়ল অজিরা। তাছাড়া আইসিসির যেকোনো ওয়ানডে ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ওভালে ভারতের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করে জয়ই ছিল তাদের সর্বোচ্চ।
আরও আছে; এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয়।
এছাড়া এ জয়টি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ৪৩৪ রানের; ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই ম্যাচটি খেলে তারা।
আরও পড়ুন: ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ৬ উইকেটে করা পাকিস্তানের ৩৬৮ রান তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতেই। ৭ উইকেটে সেদিন ৩৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচে ১৫৬ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ট্র্যাভিস হেড।
আর টানা দুটি সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড দেখল গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রেকর্ড অত্যন্ত বিরল।
আজকের ম্যাচে ৮৬ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন জশ ইংলিস।
মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত রেকর্ডেও নাম উঠিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরেন্দর শেবাগের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম শতকের মালিক এখন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ ছাড়াও আরও রেকর্ড হয়েছে ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে দুই দল মিলে মোট ৭০৭ রান সংগ্রহ করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ মোট রানের রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে মোট ৬৫৯ রান সংগ্রহ করে দুই দল। সেদিন ভারতের চার উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ফলে ১৭ রানের হার দেখতে হয় দলটিকে।
ম্যাচটি আজ মোট ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুদলের ব্যাটাররা (ইংল্যান্ড ৭, অস্ট্রেলিয়া ১৬), যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার ১৬টি ছক্কা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডটি এখনও রয়েছে ভারতের দখলে। ২০১৩ সালের ১১ জুন ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮টি ছক্কা হাঁকান ভারতের ব্যাটাররা।
২৩ দিন আগে
ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
রিয়ারে প্রথমবার আইসিসি ইভেন্টে খেলতে নেমেছেন ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট। নেমেই দিনটিকে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড।
এটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের ইনিংসটিই এতদিন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
এদিন ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বেন ডাকেট। ১৪৩ বলে ১৭টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৬৫ রান করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে এটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে পথে তিনি ২০০৪ সালের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের ন্যাথান অ্যাস্টলের করা অপরাজিত ১৪৫ রানের স্কোরটি ছাড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নতুন দলে নাম লেখালেন সাকিব
ডাকেট ছাড়াও এদিন হাসে জো রুটের ব্যাট। শুরুর দিকে দুই উইকেট হারানোর পর ৭৮ বলে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে ডাকেটের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ৪৩ রানে দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের পরবর্তী উইকেটটি যখন পড়ে, তখন স্কোরবোর্ডে দেখা যায় তিন উইকেটে ২০১ রান। ৩১তম ওভারের শেষ বলে রুট আউট হলে তাই মনে হচ্ছিল স্কোর আরও বড় হবে। তবে রুটের উইকেটের মধ্য দিয়েই হারানো ছন্দ খুঁজে পায় অস্ট্রেলিয়া। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকেন দলটির বোলোররা।
ওই দুই ব্যাটার বাদে অধিনায়ক জশ বাটলারের ২৩ ও শেষের দিকে জোফলা আর্চারের ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই কেবল বলার মতো।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন বেন ডুয়ারশিস, আর দুটি করে উইকেট গিয়েছে অ্যাডাম জ্যাম্পা ও মার্কাস লাবুশেনের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩৫১/৮ (ডাকেট ১৬৫, রুট ৬৮, বাটলার ২৩; ডুয়ারশিস ৩/৬৬, লাবুশেন ২/৪১, জ্যাম্পা ২/৬৪)।
২৪ দিন আগে
দেশে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ সংকট মোকাবিলা, নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত একশনএইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি। আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল এবং একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সবার একাগ্র প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে ক্রিস্টিন টিলি বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথা আমরা তুলে আনতে পারব। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের লড়াইয়ের কথা (আমরা) শুনতে চাই; তাদের সেভাবে সহযোগিতা করতে চাই।’
‘এ লড়াইয়ের যাত্রায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে একশনএইড বাংলাদেশ দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সঙ্গী হতে পেরে আনন্দিত। আশা করছি, জলবায়ু ন্যায়বিচার, নারী অধিকার নিশ্চিতসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
নারী ও তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের কথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উঠে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল।
তার কথায়, ‘অস্ট্রেলিয়া ও একশনএইড বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা দুপক্ষই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য (আমরা) কাজ করতে চাই। বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কমিউনিটির পাশে থাকতে চাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, নারী ও তরুণ কমিউনিটির জীবন-জীবিকার মানোয়ন্নন ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করতে চাই। তাদের কণ্ঠই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘১৯৮২ সালে ভোলায় জলবায়ু বিপর্যয়ের মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে একশনএইড বাংলাদেশ। জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। আমরা লক্ষ করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে দেশের নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্বে তাদের জীবনমান উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব বলে আমরা আশা রাখি।’
বৈঠকের একপর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত সম্মুখ সারির কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন ক্রিস্টিন টিলি। এ সময় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার দুলালী বেগম এবং শ্যামনগরের রেক্সোনা খাতুন জলবায়ু বিপর্যয়কালে কাটানো দুর্ভোগ আর মোকাবিলার কথা তার কাছে তুলে ধরেন।
এ সময় জলবায়ু নিয়ে কাজ করা তরুণদের প্রতিনিধি রায়হান নুরনবীসহ বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ও একশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে পুরস্কার প্রদান
ক্যানবেরা, ২১ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রবাসী দিবস ও জাতীয় অভিবাসী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানসহ দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. মো. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপরও জোর দেন তিনি।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন নাঈম, সাফাত বিন আজাদ, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী ফয়সাল মিয়া, সামোয়া প্রবাসী মো. শাহাজান এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম খানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মাদ আলী মনি, অধ্যাপক এম আখতার হোসেন ও ফিজি প্রবাসী ড. কবির আল মামুনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি হিসেবে সফলদের মধ্যে রামিম জাইয়ান খান ও অ্যানি রেনেসা সাবরিনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণকারীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ সময় বক্তব্য দেন ক্যানবেরায় কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আবুল হাসান সৈয়দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাঈদ। অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
৮৭ দিন আগে
ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি নিলামে
সর্বকালের সেরা ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ব্যাগি গ্রিন টুপিটি নিলামে উঠেছে। নিলামে টুপিটে বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার কিছু বেশি।
বিখ্যাত ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহ্যামস টুপিটি নিলামে তোলে। নিলাম অনুষ্ঠানে টুপিটিকে ‘সূর্যে রং জ্বলে যাওয়া ও জীর্ণ’ বলে উপস্থাপন করা হয়। তবে তা বিশেষ এই টুপিটির মূল্য নির্ধারণে কোনো প্রভাব ফেলেনি। নিলামের ওঠার ১০ মিনিটের মধ্যেই সেটি বিক্রি হয়ে যায়।
৩ লাখ ৯০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলারে টুপিটি বিক্রি হয়। এর সঙ্গে নিলামঘরের ফি যুক্ত করে মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় টুপিটি পরেছিলেন স্যার ব্র্যাডম্যান। ওই সিরিজে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শততম সেঞ্চুরি করেন। ঘরের মাঠে সেটিই ছিল তার শেষ সিরিজ।
১০৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
উদ্ভাবনশীলতা ও উৎপাদনশীলতার বাস্তবিক সন্নিবেশে নিহিত থাকে একটি দেশের সমৃদ্ধির রূপকল্প। এই মেলবন্ধন গঠনের একদম অঙ্কুরে কাজ করে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিকদের কারখানাই নয়, বরং উন্নত দেশ গঠনের জন্য দক্ষ কর্মীর মূল যোগানদাতা। যুগের সেরা সব মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটিয়ে ঠিক এই তত্ত্বটিরই ব্যবহারিক রূপ দান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম ভূ-খণ্ডে যুগ যুগ ধরে চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা চর্চা। পড়াশোনার জন্য বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীদের কাছেই দেশটি এখন প্রথম পছন্দ। চলুন, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, জীবনযাত্রার খরচ, ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ ২০২৫ সালের জন্য শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীবান্ধব নগরীর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (৫) ও সিডনি (৬)। অর্থাৎ জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই মেগাসিটি দুটোতে অনায়াসেই জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
তাছাড়া এ দুটো শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছরই থাকে কিউএস র্যাংকিং-এ। যেমন ২০২৪-এ প্রথম অর্ধশতকের মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন (১৩)
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (১৮)
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (১৯)
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩০)
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি (৩৭)
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (৪০)
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন উচ্চ র্যাংকিং-এ থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এগুলোর প্রত্যেকটি দুইয়ের অধিক বিষয়ের পাঠদানের জন্য সেরা। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, মেডিসিন, কলা ও মানবিকের নাম করলে প্রায়শই ঘুরে ফিরে এই বিদ্যাপীঠগুলোর নাম আসে।
উদ্ভাবনশীলতা নিয়ে ওশেনিয়ার এই দ্বীপ দেশটির রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিগত কয়েক যুগে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তাদের একটা বিরাট অংশ ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী।
বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ অস্ট্রেলিয়া। এর ফলেই দেশটির নাগরিকরা উন্নত মানের অবকাঠামো, আধুনিকতা ও সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবার মতো সুবিধাগুলো পেয়ে থাকে। সব মিলিয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠনে উন্নয়নশীল দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড
· ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
· ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড
· ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি
· আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়:
· অ্যাকাউন্টিং
· অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স
· কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ফরমেশন টেকনোলজি
· সাইকোলজি
· ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
· আর্কিটেক্চার
· ইঞ্জিনিয়ারিং
· হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড নার্সিং
· বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
বছর জুড়ে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মৌসুমগুলো ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর ইন্টেক হিসেবে পরিচিত।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকে ফেব্রুয়ারি ইন্টেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ বা জুনের শুরু পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ করা হয় আগের বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ইন্টার্নশিপ বা কর্মসংস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মৌসুমটিই সর্বাধিক উপযুক্ত।
জুলাই ইন্টেকের আবেদন নেওয়া হয় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত। অতঃপর ভর্তি শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরুর দিকে। তারপর নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি।
সর্বশেষ নভেম্বর ইন্টেকে আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর মাস। ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই আবেদনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল। মৌসুমগুলোকে কেন্দ্র করে এই ওয়েবসাইটগুলোতে ভর্তির যাবতীয় শর্ত, কোর্সের পর্যাপ্ততা ও আবেদনের সময়সীমা হালনাগাদ করা হয়। তাই অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জানতে প্লাটফর্মগুলোতে চোখ রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· অনলাইন আবেদনপত্র
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট: স্নাতকের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের নথি, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের নথি এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: ন্যূনতম যোগ্যতা স্বরূপ আইইএলটিএস স্কোর ৬, টোফেল আইবিটিতে ৬৪, কেম্ব্রিজ ইংলিশ: অ্যাড্ভান্স্ড-এ ১৬৯, বা পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক-এ ৫০।
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· এসওপি (স্টেটমেন্ট অব পার্পাস) বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
· রিসার্চ প্রোপোজাল (ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য)
· পেশাগত অভিজ্ঞতাপত্র (এমবিএ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে)
· বৈধ পাসপোর্ট
· সাম্প্রতিক ছবি
· অধ্যয়ন ফি প্রদানের জন্য আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ: কমপক্ষে কোর্সের প্রথম ১২ মাসের ফি। কোর্স ১২ মাস বা তার কম হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে।
· স্বাস্থ্য বীমা স্বরূপ ওএসএইচসি (ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার)
· আবেদন ফি: সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ৪ হাজার ৯৩ থেকে ৮ হাজার ১৮৫ টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৮১ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এর বাইরেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। কোনো কাগজ বাংলায় হলে তা অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করে মূল কপিসহ অনুদিত কপি স্ক্যান করতে হবে। এখানে অনুবাদককে অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।
১৭৫ দিন আগে
অজিদের অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমিতে ভারত
ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য যে কতটা বড়, তা টের পেতে দিল না অস্ট্রেলিয়া। তবে গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারানো ভারতের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত হার মেনেই নিতে হয়েছে।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত বিশ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
এর ফলে ২৪ রানে জিতে টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সেমি-ফাইনালে খেলা পড়ে গেছে অনিশ্চয়তায়।
আরও পড়ুন: রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
এদিন ট্র্যাভিস হেডের ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তার ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটিই দলের সর্বোচ্চ। এছাড়া মিচেল মার্শ ৩৭ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০ রান করেন।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। এছাড়া কুলদীপ যাদবের ঝুলিতে গেছে দুটি উইকেট।
২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতের মতোই উইকেট হারিয়ে ইনিংস শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারের শেষ বলে আর্শদীপের আউটসাইড অফ লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬ বল মোকাবিলায় ৬ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরলে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় অজিরা।
এরপর ট্র্যাভিস হেডকে সঙ্গ দিতে আসেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এখানেও ভারতের মতোই পিটিয়ে খেলতে থাকেন হেড, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন মার্শ। আর উইকেট না হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর মাত্র ২৪ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেড। তবে মাঝে মিচেল মার্শ আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮১ রানের জুটি।
এর ফলে নিজের প্রথম ওভারে মাত্র চার রান দেওয়া কুলদীপ দ্বিতীয় ওভারেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। দুবার জীবন পাওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলের হাতে দারুণ এক ক্যাচ হয়ে ফিরে যান মার্শ। ফেরার আগে ২৮ বলে দুটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে যান তিনি।
এরপর চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে সূর্যকুমারের মতোই হেডের সঙ্গে তাল মেলান। দুজনেই মেরে খেলতে শুরু করেন।
তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি ম্যাক্সওয়েলও। কুলদীপের শেষ ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। একটু স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়েছিলেন কুলদীপ। তা দেখে খানিকটা এগিয়ে এসে জোরে ব্যাট চালান ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ব্যট-বলে সংযোগ না হওয়া উইকেট উপড়ে যায়। ১২ বলে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ২০ রান করে তিনি আউট হয়ে গেলে ১২৮ রানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান নতুন ব্যাটার মার্কাস স্টয়নিসও। অক্ষর প্যাটেলের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে হার্দিকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে প্রয়োজনীয় রান রেটও বাড়তে থাকে। চাপের সুযোগ নিয়ে এরপর হেডকে ফেরান বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি পড়ে গেলে ব্রেকথ্রুর আশায় বুমরাহর হাতে বল তুলে দেন রোহিত। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্লোয়ার দেন বুমরাহ, কিন্তু তা না বুঝতে পেরে রোহিতের কাছে ক্যাচ দেন হেড। ফেরার আগে ৪৩ বলে চারটি ছক্কা ও ৯টি চার মেরে ৭৬ রান করেন তিনি। এর ফলে ১৬.৩ ওভারে ১৫০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জিততে তাদের তখন প্রয়োজন ২১ বলে ৫৬ রান।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
পরের ওভারের প্রথম বলেই নতুন ব্যাটার ম্যাথিউ ওয়েডকে ফেরান আর্শদীপ। এরপর টিম ডেভিড ওই ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার, ছক্কা মেরে ম্যাচে থাকার আভাস দেন। কিন্তু পঞ্চম বলে স্লিপে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকেও।
শেষ দুই ওভারে ৩৯ রানের প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার। তবে সর্বসাকুল্যে ১৪ রান তুলতে সমর্থ হন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ফলে ১৮১ রানে শেষ হয় অজিদের ইনিংস।
এর ফলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের শোধ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
অন্যদিকে, অজিদের সেমিভাগ্য ঝুলে গেছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের ওপর। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে কিংবা আফগানিস্তান জিতলে তারা সেমি-ফাইনালে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনেও। টাইগাররা যদি ১৬০ রান করে অন্তত ৬২ রানের জয় পায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানদের কাঁদিয়ে তারাই উঠে যাবে সেমি-ফাইনালে। আর এর চেয়ে কম রানে (আগে ব্যাটিং ধরে) বাংলাদেশ জিতলে সুপার এইট পর্বে মাত্র এক ম্যাচ জিতেও সেমি-ফাইনালে উঠবে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হতে চলেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচটি।
২৬৬ দিন আগে
রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
ভারতের বিপক্ষে জয়, নাহলে ন্যূনতম ব্যবধানে হার- এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেও ম্যাচটি কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। মূলত সময়মতো ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডব থামাতে ব্যর্থ হয়ে বিশাল লক্ষ্যের সামনে পড়ে গেছে তারা।
টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে রান পাহাড়ে চড়েছে ভারত। রোহিতের ৪১ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে অজিদের ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।
রোহিতের দুর্দান্ত ইনিংসটি ছিল ৮টি ছক্কা ও ৭টি চারের মারে সাজানো। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৫ বলে ৩১ রান এবং একই সংখ্যক বল মোকাবিলা করে অপরাজিত ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেইসঙ্গে শিবম দুবে ২৮ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসটিও বড় লক্ষ্য গড়তে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: বাটলারের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র, সেমিতে ইংল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক চার ওভারে ৪৫ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিসও, তিনি দিয়েছেন ৫৬ রান। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন জশ হেজলউড। রান ফোয়ারার ইনিংসেও চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
ইনিংসের শুরুতে বিরাট কোহলিকে হেজলউড শূন্য রানে ফিরে দিলেও উইকেটে তার অনুপস্থিতি টেরই পেতে দেননি রোহিত। দ্বিতীয় ওভারে কোহলি ফিরে গেলে পরের ওভারে চারটি ছক্কা ও একটি চার মেরে স্টার্কের কাছ থেকে ২৯ রান সংগ্রহ করেন রোহিত। ব্যাটিং ঝড় ধরে রেখে মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটিই চলমান বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এরপর একই গতিতে সেঞ্চুরির দিকে এগোন তিনি। মাঝে অষ্টম ওভারের শেষ বলে মার্কাস স্টয়নিসের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এতক্ষণ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে আসা ঋষভ পান্ত। ১৪ বলে ১৫ রান করে তিনি আউট হলে ৯৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
এরপর সূর্যকুমার একে রোহিতের সঙ্গে তাল দেন। পিটিয়ে খেলা শুরু করেন তিনিও। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রথম দশ ওভারে ১১৪ রান তোলে ভারত। এরপর দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্কের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় রোহিতকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলে বিদায় নেন তিনি।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ৮৩। সেটিও চলতি আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করে রেকর্ড বইয়ে আরও একবার নাম লেখান তিনি। এই তালিকায় ১০১ রান নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন সুরেশ রাইনা। ২০১০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি এই রেকর্ড করেন।
এরপর শিবম দুবে এসেও রানের ধারা অব্যাহত রাখেন। তবে ১৪.৩ ওভারে সূর্যকুমার ফিরে গেলে রানের চাকা কিছুটা স্লথ হয়ে যায়। তারপরও হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুবে। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দুবে স্ট্রাইক দেন হার্দিক। তিনিও মেরে খেলতে চাইলে চতুর্থ বলে ক্যাচ হয়ে যান। ফেরার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭ বলে দুটি ছক্কা ও একটি চারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাদেজা মাত্র ৫ বল খেলার সুযোগ পান। এর মধ্যে একটি ছক্কা মেরে ৯ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে মাঠ ছাড়ে ভারত। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য টপকাতে হবে ওয়ার্নার-ট্যাভিস হেডদের। কিন্তু বুমরাহ-কুলদীপদের বোলিংয়ের সামনে কাজটি করে দেখানো যে কতটা কঠিন, তা চলতি বিশ্বকাপে ভারতের খেলা দেখা সবাই জানেন। ফলে দুর্জয় এই লক্ষ্য মোকাবিলা করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে কি না অস্ট্রেলিয়া, তা তাদের ব্যাটারদের ওপর নির্ভর করছে এখন।
২৬৭ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের পথ কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি তাই তাদের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিতলে সেমির জায়গা মোটামুটি পাকাপোক্ত হয়ে যাবে তাদের। এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রোলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে সবশেষ দেখায় ভারতকে হারিয়ে ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এই ম্যাচটি ভারতের জন্য প্রতিশোধেরও বটে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে কামিন্সের বিরল কীর্তি
ভারতের বিপক্ষে হারলেও সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশের। তবে এত কঠিন সমীকরণের দিকে নিশ্চয় যেতে চাইবেন না মিচেল মার্শ।
টসের পর সে কথাই উঠে আসে তার বক্তব্যে, ‘এখান থেকে প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে আমাদের। এই ম্যাচ আমাদের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের মতো।’
তবে আজকে হেরে গেলেও সেমি-ফাইনালে ওঠা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় পড়া লাগবে না ভারতের। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভালো নেট রান রেট (২.৪২৫) নিয়ে ইতোমধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে তারা। আফগানিস্তান যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতেও, সেক্ষেত্রে -০.৬৫০ থেকে নেট রান রেট ভারতের ওপরে নিয়ে যাওয়াটা সত্যিই কষ্টসাধ্য তাদের জন্য। এক্ষেত্রে বরং দুশ্চিন্তা থাকবে অস্ট্রেলিয়ারই।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
সেন্ট লুসিয়ায় এটি ভারতের প্রথম ম্যাচ হলেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। সেই ম্যাচটি তারা বড় ব্যবধানে জিতেছিল। তবে ভারতের এই মাঠে এটিই প্রথম ম্যাচ। ফলে ভারতের অনভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবে অস্ট্রেলিয়া।
আজকের ম্যাচে স্পিনার এস্টন এগারের পরিবর্তে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আরশদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
২৬৭ দিন আগে