অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
উদ্ভাবনশীলতা ও উৎপাদনশীলতার বাস্তবিক সন্নিবেশে নিহিত থাকে একটি দেশের সমৃদ্ধির রূপকল্প। এই মেলবন্ধন গঠনের একদম অঙ্কুরে কাজ করে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিকদের কারখানাই নয়, বরং উন্নত দেশ গঠনের জন্য দক্ষ কর্মীর মূল যোগানদাতা। যুগের সেরা সব মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটিয়ে ঠিক এই তত্ত্বটিরই ব্যবহারিক রূপ দান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম ভূ-খণ্ডে যুগ যুগ ধরে চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা চর্চা। পড়াশোনার জন্য বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীদের কাছেই দেশটি এখন প্রথম পছন্দ। চলুন, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, জীবনযাত্রার খরচ, ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ ২০২৫ সালের জন্য শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীবান্ধব নগরীর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (৫) ও সিডনি (৬)। অর্থাৎ জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই মেগাসিটি দুটোতে অনায়াসেই জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
তাছাড়া এ দুটো শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছরই থাকে কিউএস র্যাংকিং-এ। যেমন ২০২৪-এ প্রথম অর্ধশতকের মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন (১৩)
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (১৮)
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (১৯)
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩০)
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি (৩৭)
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (৪০)
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন উচ্চ র্যাংকিং-এ থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এগুলোর প্রত্যেকটি দুইয়ের অধিক বিষয়ের পাঠদানের জন্য সেরা। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, মেডিসিন, কলা ও মানবিকের নাম করলে প্রায়শই ঘুরে ফিরে এই বিদ্যাপীঠগুলোর নাম আসে।
উদ্ভাবনশীলতা নিয়ে ওশেনিয়ার এই দ্বীপ দেশটির রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিগত কয়েক যুগে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তাদের একটা বিরাট অংশ ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী।
বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ অস্ট্রেলিয়া। এর ফলেই দেশটির নাগরিকরা উন্নত মানের অবকাঠামো, আধুনিকতা ও সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবার মতো সুবিধাগুলো পেয়ে থাকে। সব মিলিয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠনে উন্নয়নশীল দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড
· ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
· ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড
· ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি
· আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়:
· অ্যাকাউন্টিং
· অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স
· কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ফরমেশন টেকনোলজি
· সাইকোলজি
· ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
· আর্কিটেক্চার
· ইঞ্জিনিয়ারিং
· হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড নার্সিং
· বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
বছর জুড়ে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মৌসুমগুলো ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর ইন্টেক হিসেবে পরিচিত।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকে ফেব্রুয়ারি ইন্টেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ বা জুনের শুরু পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ করা হয় আগের বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ইন্টার্নশিপ বা কর্মসংস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মৌসুমটিই সর্বাধিক উপযুক্ত।
জুলাই ইন্টেকের আবেদন নেওয়া হয় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত। অতঃপর ভর্তি শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরুর দিকে। তারপর নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি।
সর্বশেষ নভেম্বর ইন্টেকে আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর মাস। ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই আবেদনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল। মৌসুমগুলোকে কেন্দ্র করে এই ওয়েবসাইটগুলোতে ভর্তির যাবতীয় শর্ত, কোর্সের পর্যাপ্ততা ও আবেদনের সময়সীমা হালনাগাদ করা হয়। তাই অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জানতে প্লাটফর্মগুলোতে চোখ রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· অনলাইন আবেদনপত্র
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট: স্নাতকের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের নথি, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের নথি এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: ন্যূনতম যোগ্যতা স্বরূপ আইইএলটিএস স্কোর ৬, টোফেল আইবিটিতে ৬৪, কেম্ব্রিজ ইংলিশ: অ্যাড্ভান্স্ড-এ ১৬৯, বা পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক-এ ৫০।
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· এসওপি (স্টেটমেন্ট অব পার্পাস) বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
· রিসার্চ প্রোপোজাল (ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য)
· পেশাগত অভিজ্ঞতাপত্র (এমবিএ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে)
· বৈধ পাসপোর্ট
· সাম্প্রতিক ছবি
· অধ্যয়ন ফি প্রদানের জন্য আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ: কমপক্ষে কোর্সের প্রথম ১২ মাসের ফি। কোর্স ১২ মাস বা তার কম হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে।
· স্বাস্থ্য বীমা স্বরূপ ওএসএইচসি (ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার)
· আবেদন ফি: সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ৪ হাজার ৯৩ থেকে ৮ হাজার ১৮৫ টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৮১ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এর বাইরেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। কোনো কাগজ বাংলায় হলে তা অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করে মূল কপিসহ অনুদিত কপি স্ক্যান করতে হবে। এখানে অনুবাদককে অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।
১ মাস আগে
অজিদের অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমিতে ভারত
ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য যে কতটা বড়, তা টের পেতে দিল না অস্ট্রেলিয়া। তবে গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারানো ভারতের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত হার মেনেই নিতে হয়েছে।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত বিশ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
এর ফলে ২৪ রানে জিতে টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সেমি-ফাইনালে খেলা পড়ে গেছে অনিশ্চয়তায়।
আরও পড়ুন: রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
এদিন ট্র্যাভিস হেডের ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তার ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটিই দলের সর্বোচ্চ। এছাড়া মিচেল মার্শ ৩৭ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০ রান করেন।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। এছাড়া কুলদীপ যাদবের ঝুলিতে গেছে দুটি উইকেট।
২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতের মতোই উইকেট হারিয়ে ইনিংস শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারের শেষ বলে আর্শদীপের আউটসাইড অফ লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬ বল মোকাবিলায় ৬ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরলে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় অজিরা।
এরপর ট্র্যাভিস হেডকে সঙ্গ দিতে আসেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এখানেও ভারতের মতোই পিটিয়ে খেলতে থাকেন হেড, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন মার্শ। আর উইকেট না হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর মাত্র ২৪ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেড। তবে মাঝে মিচেল মার্শ আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮১ রানের জুটি।
এর ফলে নিজের প্রথম ওভারে মাত্র চার রান দেওয়া কুলদীপ দ্বিতীয় ওভারেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। দুবার জীবন পাওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলের হাতে দারুণ এক ক্যাচ হয়ে ফিরে যান মার্শ। ফেরার আগে ২৮ বলে দুটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে যান তিনি।
এরপর চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে সূর্যকুমারের মতোই হেডের সঙ্গে তাল মেলান। দুজনেই মেরে খেলতে শুরু করেন।
তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি ম্যাক্সওয়েলও। কুলদীপের শেষ ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। একটু স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়েছিলেন কুলদীপ। তা দেখে খানিকটা এগিয়ে এসে জোরে ব্যাট চালান ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ব্যট-বলে সংযোগ না হওয়া উইকেট উপড়ে যায়। ১২ বলে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ২০ রান করে তিনি আউট হয়ে গেলে ১২৮ রানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান নতুন ব্যাটার মার্কাস স্টয়নিসও। অক্ষর প্যাটেলের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে হার্দিকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে প্রয়োজনীয় রান রেটও বাড়তে থাকে। চাপের সুযোগ নিয়ে এরপর হেডকে ফেরান বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি পড়ে গেলে ব্রেকথ্রুর আশায় বুমরাহর হাতে বল তুলে দেন রোহিত। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্লোয়ার দেন বুমরাহ, কিন্তু তা না বুঝতে পেরে রোহিতের কাছে ক্যাচ দেন হেড। ফেরার আগে ৪৩ বলে চারটি ছক্কা ও ৯টি চার মেরে ৭৬ রান করেন তিনি। এর ফলে ১৬.৩ ওভারে ১৫০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জিততে তাদের তখন প্রয়োজন ২১ বলে ৫৬ রান।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
পরের ওভারের প্রথম বলেই নতুন ব্যাটার ম্যাথিউ ওয়েডকে ফেরান আর্শদীপ। এরপর টিম ডেভিড ওই ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার, ছক্কা মেরে ম্যাচে থাকার আভাস দেন। কিন্তু পঞ্চম বলে স্লিপে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকেও।
শেষ দুই ওভারে ৩৯ রানের প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার। তবে সর্বসাকুল্যে ১৪ রান তুলতে সমর্থ হন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ফলে ১৮১ রানে শেষ হয় অজিদের ইনিংস।
এর ফলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের শোধ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
অন্যদিকে, অজিদের সেমিভাগ্য ঝুলে গেছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের ওপর। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে কিংবা আফগানিস্তান জিতলে তারা সেমি-ফাইনালে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনেও। টাইগাররা যদি ১৬০ রান করে অন্তত ৬২ রানের জয় পায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানদের কাঁদিয়ে তারাই উঠে যাবে সেমি-ফাইনালে। আর এর চেয়ে কম রানে (আগে ব্যাটিং ধরে) বাংলাদেশ জিতলে সুপার এইট পর্বে মাত্র এক ম্যাচ জিতেও সেমি-ফাইনালে উঠবে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হতে চলেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচটি।
৪ মাস আগে
রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
ভারতের বিপক্ষে জয়, নাহলে ন্যূনতম ব্যবধানে হার- এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেও ম্যাচটি কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। মূলত সময়মতো ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডব থামাতে ব্যর্থ হয়ে বিশাল লক্ষ্যের সামনে পড়ে গেছে তারা।
টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে রান পাহাড়ে চড়েছে ভারত। রোহিতের ৪১ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে অজিদের ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।
রোহিতের দুর্দান্ত ইনিংসটি ছিল ৮টি ছক্কা ও ৭টি চারের মারে সাজানো। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৫ বলে ৩১ রান এবং একই সংখ্যক বল মোকাবিলা করে অপরাজিত ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেইসঙ্গে শিবম দুবে ২৮ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসটিও বড় লক্ষ্য গড়তে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: বাটলারের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র, সেমিতে ইংল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক চার ওভারে ৪৫ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিসও, তিনি দিয়েছেন ৫৬ রান। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন জশ হেজলউড। রান ফোয়ারার ইনিংসেও চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
ইনিংসের শুরুতে বিরাট কোহলিকে হেজলউড শূন্য রানে ফিরে দিলেও উইকেটে তার অনুপস্থিতি টেরই পেতে দেননি রোহিত। দ্বিতীয় ওভারে কোহলি ফিরে গেলে পরের ওভারে চারটি ছক্কা ও একটি চার মেরে স্টার্কের কাছ থেকে ২৯ রান সংগ্রহ করেন রোহিত। ব্যাটিং ঝড় ধরে রেখে মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটিই চলমান বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এরপর একই গতিতে সেঞ্চুরির দিকে এগোন তিনি। মাঝে অষ্টম ওভারের শেষ বলে মার্কাস স্টয়নিসের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এতক্ষণ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে আসা ঋষভ পান্ত। ১৪ বলে ১৫ রান করে তিনি আউট হলে ৯৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
এরপর সূর্যকুমার একে রোহিতের সঙ্গে তাল দেন। পিটিয়ে খেলা শুরু করেন তিনিও। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রথম দশ ওভারে ১১৪ রান তোলে ভারত। এরপর দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্কের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় রোহিতকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলে বিদায় নেন তিনি।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ৮৩। সেটিও চলতি আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করে রেকর্ড বইয়ে আরও একবার নাম লেখান তিনি। এই তালিকায় ১০১ রান নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন সুরেশ রাইনা। ২০১০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি এই রেকর্ড করেন।
এরপর শিবম দুবে এসেও রানের ধারা অব্যাহত রাখেন। তবে ১৪.৩ ওভারে সূর্যকুমার ফিরে গেলে রানের চাকা কিছুটা স্লথ হয়ে যায়। তারপরও হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুবে। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দুবে স্ট্রাইক দেন হার্দিক। তিনিও মেরে খেলতে চাইলে চতুর্থ বলে ক্যাচ হয়ে যান। ফেরার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭ বলে দুটি ছক্কা ও একটি চারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাদেজা মাত্র ৫ বল খেলার সুযোগ পান। এর মধ্যে একটি ছক্কা মেরে ৯ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে মাঠ ছাড়ে ভারত। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য টপকাতে হবে ওয়ার্নার-ট্যাভিস হেডদের। কিন্তু বুমরাহ-কুলদীপদের বোলিংয়ের সামনে কাজটি করে দেখানো যে কতটা কঠিন, তা চলতি বিশ্বকাপে ভারতের খেলা দেখা সবাই জানেন। ফলে দুর্জয় এই লক্ষ্য মোকাবিলা করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে কি না অস্ট্রেলিয়া, তা তাদের ব্যাটারদের ওপর নির্ভর করছে এখন।
৪ মাস আগে
অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের পথ কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি তাই তাদের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিতলে সেমির জায়গা মোটামুটি পাকাপোক্ত হয়ে যাবে তাদের। এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রোলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে সবশেষ দেখায় ভারতকে হারিয়ে ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এই ম্যাচটি ভারতের জন্য প্রতিশোধেরও বটে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে কামিন্সের বিরল কীর্তি
ভারতের বিপক্ষে হারলেও সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশের। তবে এত কঠিন সমীকরণের দিকে নিশ্চয় যেতে চাইবেন না মিচেল মার্শ।
টসের পর সে কথাই উঠে আসে তার বক্তব্যে, ‘এখান থেকে প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে আমাদের। এই ম্যাচ আমাদের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের মতো।’
তবে আজকে হেরে গেলেও সেমি-ফাইনালে ওঠা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় পড়া লাগবে না ভারতের। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভালো নেট রান রেট (২.৪২৫) নিয়ে ইতোমধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে তারা। আফগানিস্তান যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতেও, সেক্ষেত্রে -০.৬৫০ থেকে নেট রান রেট ভারতের ওপরে নিয়ে যাওয়াটা সত্যিই কষ্টসাধ্য তাদের জন্য। এক্ষেত্রে বরং দুশ্চিন্তা থাকবে অস্ট্রেলিয়ারই।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
সেন্ট লুসিয়ায় এটি ভারতের প্রথম ম্যাচ হলেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। সেই ম্যাচটি তারা বড় ব্যবধানে জিতেছিল। তবে ভারতের এই মাঠে এটিই প্রথম ম্যাচ। ফলে ভারতের অনভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবে অস্ট্রেলিয়া।
আজকের ম্যাচে স্পিনার এস্টন এগারের পরিবর্তে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আরশদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
৪ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় অবদান রাখতে আগ্রহ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় এ কথা জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি এলবানিজ।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান: অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ
৬ মাস আগে
নারী ওয়ানডে: বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজেই অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই রবিবার ৬ উইকেটের বড় জয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সহজেই নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ ওভার ১ বলে মাত্র ৯৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এদিকে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন নাহিদা আক্তার।
জবাবে মাত্র ২৩ ওভার ৫ বলে লক্ষ্য তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেট হাতে রেখে এবং ১৫৭ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: খালেদের ৩ উইকেটে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু
এদিকে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেন সোফি মলিনেক্স। এছাড়া অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যালানা কিং ও জর্জিয়া ওয়ারহাম ২টি করে উইকেট নেন।
এলিস পেরি অপরাজিত ৩৫ রান করেন। এছাড়া বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন রাবেয়া খান ও সুলতানা খাতুন।
ব্যাটিং ও বোলিং এই দুই বিভাগেই নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের ফিল্ডিংও ভালো ছিল না।
সিরিজের আগে বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে দুই দল।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: ধনঞ্জয়ার দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে বড় ব্যবধানের লিডে শ্রীলঙ্কা
সিলেট টেস্ট: ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
৭ মাস আগে
অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সই হওয়া এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে এ দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উচ্চতর শিক্ষা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হলো।
আরও পড়ুন: আগামী রমজানে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য মাইক ফেরগুসনসহ উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পারস্পরিক সফর বিনিময় করবেন।
এছাড়া চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত শিক্ষক ও প্রতিনিধিরা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সফরসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধিসহ ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
৮ মাস আগে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: নিউজিল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের ৭২ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা।
শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাডাম জাম্পা নেন ৩৪ রানে ৪টি উইকেট।
বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর অজিরা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে জুনে ক্যারিবিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে যাবে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে ৬ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। রবিবার ইডেন পার্কে দুই দলের তৃতীয় ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ বলেছেন, ‘এটা দারুণ এক জয়। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল এবং আমরা ভেবেছিলাম আমাদের ৫০ রান কম হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের বোলাররা যেভাবে বেরিয়ে এসে পারফর্ম করেছে তা অসাধারণ। গত ১২ মাসে আমাদের সব দলই অনেক কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং আমরা তাদের থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। আজকের রাতটি তারই আরেকটি উদাহরণ।’
ছয় ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে ৭২ রানে ১ উইকেট হওয়ার পর ১৯ দশমিক ৫ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে গেলে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া প্রতিযোগিতামূলক স্কোর থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: রিদম গ্রুপের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ট্রাভিস হেড ২২ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত শুরু এনে দেন। কিন্তু লকি ফার্গুসন ৪/১২ ও বেন সিয়ার্স ২-২৯ লাভ করায় নিউজিল্যান্ডের পেসাররা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ধারাবাহিক পতন ঘটায়।
শেষ ৯ দশমিক ৫ ওভারে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
খেলা শুরুর ঠিক আগে হাঁটুতে সামান্য আঘাত পেয়ে রাচিন রবীন্দ্রকে হারায় এবং ডেভন কনওয়ে বুড়ো আঙুলে আঘাত পেয়ে এক্স-রে করার জন্য হাসপাতালে চলে যান। এরপর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং দুর্বল হযে পড়ে। তিনি যখন দেখেন সেখানে কোনো ফ্র্যাকচার নেই তিনি মাঠে ফিরে আসেন।
কনওয়ে তখনও ব্যাট করতে অক্ষম ছিলেন এবং তার উদ্বোধনী অংশীদার ফিন অ্যালেনকে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গ্লাভস নিতে হয়েছিল।
ইনজুরি যাই থাকুক না কেন, ফাস্ট ও বাউন্সি উইকেটে অসাধারণ অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে বিপর্যস্ত পড়ে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ বলে আউট হন অ্যালেন, জশ হ্যাজেলউডের গুড লেংথ বল নিজের স্টাম্পে লেগে যায়।
উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের দুর্দান্ত ক্যাচ দিয়ে আউট হন উইল ইয়ং (৫)। ইয়ং প্যাট কামিন্সের একটি বল টপ-এজ করেছিলেন যা তিনি পুল করার চেষ্টা করেছিলেন এবং ওয়েড বৃত্তের প্রান্তে একটি ক্যাচ নিয়েছিলেন ফাইন লেগের দিকে দৌড়ে।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার নিজেকে অর্ডারে সাত নম্বরে থেকে তিন নম্বরে উন্নীত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিসিবির নারী বিভাগের নতুন প্রধান হাবিবুল বাশার
মার্ক চ্যাপম্যানও একটি শর্ট বলে পড়েছিলেন, মার্শের একটি বল স্ল্যাশ করেছিলেন যা মিড অনে টিম ডেভিডের হাতে ধরা পড়েছিল। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ২৯-৪, সিরিজ বাঁচানোর আশা শেষ হয়ে যায়।
পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ফিলিপস ও জশ ক্লার্কসন ৪৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১০ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হন ক্ল্যাকসন এবং পরের বলেই অ্যাডাম মিলনে একই কায়দায় আউট হন। নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৭৪-৬।
ট্রেন্ট বোল্টের করা ম্যাচের প্রথম ওভারে দুটি ছক্কাসহ ২০ রান করে অস্ট্রেলিয়ান অর্ডারের শীর্ষে ছিলেন হেড।
বোল্টকে ২০২২ সালের নভেম্বরের পর তার প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য নিউজিল্যান্ড দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল এবং বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস দলে জায়গা পাওয়ার আশা করেছিলেন। তবে তার চার ওভার ৪৯ রান দেওয়ায় তার নির্বাচনের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে গেছে। বোল্ট এখন আর নিউজিল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নন, বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেন।
ওয়েলিংটনে প্রথম ম্যাচে খেলা ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে হেডের সঙ্গে ওপেন করার জন্য স্টিভ স্মিথের নাম ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েড এসেছিলেন ম্যাট শর্টের পরিবর্তে এবং এলিস মিচেল স্টার্কের পরিবর্তে।
তৃতীয় ওভারে স্মিথ ১১ রানে আউট হলেও হেডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ বলে ৫০ রানে নিয়ে যায়।
অবশেষে সপ্তম ওভারে হেড আউট হন যখন মোট স্কোর ৮৫-২। এরপর থেকে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং দুর্বল হয় কারন ফার্গুসন কিছু অসাধারণ ফাস্ট বোলিং উপহার দেন।
সিয়ার্স এবং অ্যাডাম মিলনের সহায়তা তিনি ২/৪০ স্কোর করেন। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন এই খেলোয়াড়রা।
স্যান্টনারের হাতে পড়ার আগে ২১ বলে ২৬ রান করেন মার্শ এবং মিলনের বলে ফার্গুসনের হাতে ধরা পড়ার আগে কামিন্স ২২ বলে মূল্যবান ২৮ রান করেন।
আরও পড়ুন: বিপিএল: অনুশীলনে মাথায় চোট পেয়েছেন মুস্তাফিজ
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
এই উদ্দেশ্যে ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়া সফর করেন।
এ সময় সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক কমিশনের উপনির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দেন।
এসময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়ার উপনির্বাহী প্রধান উচ্চশিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বৈঠকে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগসংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সিনিয়র সচিব তার সফরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আশ্বাসের প্রশংসা করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সচিব।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দু’দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন
অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও ফিজি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণ, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশির হাতে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ তুলে দেওয়া হয়েছে হাইকমিশন থেকে।
জাতীয় প্রবাসী দিবসকে সামনে রেখে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী পুরস্কারপ্রাপ্তদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন নাঈম, মোহাম্মদ কাজী আবদুল কাদের, মো. মাহাতাব উদ্দিন খান ও সিফাত বিন আজাদ এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শাহিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউ জিল্যান্ড প্রবাসী মোস্তাফিজুর রহমান খানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরা মাতালো সোলস
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মদ আজিজ রহমান ও ফিজি প্রবাসী এ বি এম শওকত আলীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাইকমিশনার সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন বলে তিনি আশবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপর জোর দেন হাইকমিশনার।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন এ বি এম শওকত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও মো. শাহিনুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করবে।
হাইকমিশনের মিনিস্টার ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরির শ্যাডো মালটিকালচারাল মিনিস্টার পিটার কেইন।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন
১১ মাস আগে