পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৫ থেকে ২৮ জুন প্যারিসে ইন্টারগভর্নমেন্টাল ওশানোগ্রাফিক কমিশনের (আইওসি) নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্যারিসের বৈঠকে বেশ কয়েকটি মূল কার্যক্রমের জন্য বাজেটের বিধান প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভারত মহাসাগরের জন্য জিওএস (গ্লোবাল ওশান অবজারভেশন সিস্টেম) আঞ্চলিক জোট, ভারত মহাসাগরে সম্প্রদায়ের সহনশীলতা তৈরি, আইওসিইন্ডিও প্রশাসন ও সমন্বয়, আইওসিইন্ডিও সক্ষমতা উন্নয়ন এবং আইওসিইন্ডিও সমুদ্র গবেষণা।
এই অধিবেশনে মধ্য ভারত মহাসাগরের জন্য আইওসি আঞ্চলিক কমিটির (আইওসিইন্ডিও) সাফল্যগুলো বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইওসিন্ডিও আইওসির অধীনে কাজ করছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্ষেত্র যেমন সমুদ্রের তাপমাত্রা, মহাসাগর পর্যবেক্ষণ, সমুদ্রের আবহাওয়া ও উপকূলীয় দুর্বলতার উপর গুরুত্ব দেয়।
২০২১ সালের জুন মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অবসরপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ থেকে আইওসিইন্ডিওর সভাপতি নির্বাচিত হন।
তার নেতৃত্বে কমিটি বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১১টি বৈঠক করেছে।
এই প্রচেষ্টাগুলো কমিটিকে ভারত মহাসাগরের জন্য একটি উপকমিশনে উন্নীত করতে একটি প্রস্তাবের সফল পাসের মাধ্যমে শেষ হয়। যা ২০২৩ সালের জুনে আইওসি অ্যাসেম্বলিতে অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: আইওসি রিজিয়নাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশান কমিটির অধিবেশন ঢাকায় শুরু
যদিও আইওসিইন্ডিও ভারত মহাসাগরের জন্য নিবেদিত একমাত্র কমিটি ছিল। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান ও আফ্রিকান উপকূলের মতো অন্যান্য অঞ্চলে আইওসির অধীনে উপ-কমিশন রয়েছে।
আইওসিইন্ডিও সাবকমিশন ১১টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। রাষ্ট্রগুলো হলো- বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, ওমান, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং শ্রীলঙ্কা, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।
এই আপগ্রেডের পর রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অবসরপ্রাপ্ত) আইওসিইন্ডিওর চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন।
এরপর তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম আবিষ্কৃত মহাসাগরগুলোর মধ্যে ভারত মহাসাগর নিয়ে গবেষণা বাড়ানোর লক্ষ্যে আইওসির কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।‘
আরও পড়ুন: আইওসি-২০২৩’ আয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী