কোস্ট গার্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম শনিবার টেলিফোনে ইউএনবিকে জানান, ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দুই দেশের জলসীমান্তে নিয়ে যাবে এবং ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে তাদের তুলে দেবে।
ভারত তাদের আইন অনুযায়ী অনুপ্রবেশ করা জেলেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জেলেদের ফেরত দিতে দেরি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল হলেই তাদের ফেরত দেয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
হামিদুল ইসলাম আরও জানান, খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় জেলেদের স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্টগার্ড খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশের জলসীমায় বিদেশি নৌযানের অবৈধ প্রবেশ ঠেকানো নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা স্থলসীমার চেয়েও বড়। বিশাল এ এলাকায় নজরদারি চালানোর মতো লোকবলের অভাব রয়েছে কোস্টগার্ডের। তারপরও বাহিনীটি তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
হামিদুল ইসলামের মতে, সমুদ্রে জাহাজের মতো বড় নৌযান সহজে শনাক্ত করা গেলেও মাছ ধরার ছোট নৌকা বা ট্রলার শনাক্তে বেগ পেতে হয়। এগুলো দেশি না বিদেশি তা নির্ণয় করতে সময় লাগে।
উল্লেখ্য, ৭ জুলাই পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের রাবনাবাদ মোহনা থেকে ৩২টি ট্রলারসহ ৫১৯ ভারতীয় জেলেকে আটক করে পায়রা বন্দর কোস্টগার্ড।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, দুপুর দেড়টার দিকে রাবনাবাদ চ্যানেলের মৌডুবি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে আটক জেলেরা দুর্যোগপূর্ণ অবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করেন। তাদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।