মেঘনার প্রচণ্ড স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে বেড়িবাঁধের কিছু অংশ শনিবার রাতে তলিয়ে যায়। নদীর পাড়ে এই অঞ্চলের পাঁচটি বাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
নদীর পাড়ের আশপাশের অঞ্চলেও ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ভাঙনের ভয়ে অনেক আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজন বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আকস্মিক নদী ভাঙনের খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, স্থানীয় কাউন্সিলর মো: আলী মাঝি, পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শহীদ হোসেন, হরিসভা মন্দির কমিটি, লোকনাথ মন্দির কমিটির লোকজনসহ শতশত আতঙ্কিত মানুষ সেখানে ছুটে যান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাঁদপুরের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দীন ইউএনবিকে জানান, প্রচণ্ড স্রোতের চাপের কারণে এমনটি হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনস্থলে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফালানো হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় দু বছর আগেও আরেক দফা ভাঙ্গনের শিকার হয় হরিসভা এলাকা। প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কংক্রিট সিমেন্ট ব্লক ফেলে শহর রক্ষাবাঁধের কাজ করেছেন। এবার আবারও সেখানে ভাঙন শুরু হওয়ায় হরিসভা, মধ্যশ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক ভাঙনের হুমকির সম্মুখীন। লোকজন আতংকে দিনরাত কাটাচ্ছে।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি জাহাংগীর আখন্দ সেলিম সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতা ও স্থানীয়রা সরকারের কাছে স্থায়ীভাবে এ এলাকাটি রক্ষার জন্য অবিলম্বে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।