ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশ শনাক্ত হলেই অনেক তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (১০ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আনোয়ারুলকে কলকাতায় হত্যা করা হয় এবং পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার একটি খাল থেকে সম্প্রতি তার কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সত্য উদঘাটনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। লাশ নিশ্চিত হলে আমরা অনেক কিছুই প্রকাশ করতে পারব।’
তিনি আরও জানান, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্তে যুক্ত হয়েছে। আনোয়ারুলের লাশ অনেক খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে বলে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে বলেছে। তবে সেগুলো কোথায় প্রথমে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া অংশগুলোর ডিএনএ টেস্ট ছাড়া বোঝা যাবে না যে এগুলো আমাদের সংসদ সদস্যের কি না।’
এ মামলায় ঝিনাইদহে বাবু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো উপসংহারে না পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়ে আরও গ্রেপ্তার হতে পারে বলে জানান তিনি।
মামলার আন্তর্জাতিক দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধান আসামি যুক্তরাষ্ট্রে এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে এবং যেহেতু কলকাতায় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাই ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িত।
তিনি আরও বলেন, 'আনোয়ারুলের মেয়ে দুটি মামলা করেছেন, একটি কলকাতায়, অন্যটি ঢাকায়। এভাবে দুই দেশই এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সংক্রান্ত মামলার অংশের বিচার অভ্যন্তরীণভাবে হবে এবং যেখানে হত্যাকাণ্ড হয়েছিল সেখানে ভারতীয় আইন অনুযায়ী বিচার চলবে।
তদন্তে ভারতের অব্যাহত সহায়তার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।