আন্দোলনের নামে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না।
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের রাজপথে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলন কর্মসূচি করতে দিন।
তিনি ঘোষণা করেন, ‘কিন্তু যদি তারা আবার অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে; যদি কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, আমরা তাদের রেহাই দেব না এবং এটাই বাস্তবতা।’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫ তলা ভবন উদ্বোধনের পর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ পর্যন্ত ২৯ বছরে বাংলাদেশের মানুষ তাদের উন্নতির জন্য কোনো পরিবর্তন দেখেনি।
তিনি বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছে তারা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে ব্যস্ত ছিল। তারা দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই জনগণের অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি কখনো নিজের স্বার্থে রাজনীতি করেন না।
তিনি বলেন, আমি এদেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ অমি উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সদ্য উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।