বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হন।
তাদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সব চিহ্নিত খুনিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তি, আজ বিকাল ৫টার মধ্যে বুয়েটের উপাচার্যকে শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির হয়ে জবাবদিহি করা এবং র্যাগিং ও ভিন্ন মতের কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতরকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল করা।
এছাড়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে হল থেকে ছাত্রদের উৎখাতের বিষয়ে অজ্ঞ থাকায় শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ ও তার পরিবারের ক্ষতিপূরণ বুয়েট কর্তৃপক্ষকে দেয়া এবং ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ছাত্র শিবিরের সাথে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে আবরারকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী।
এ ঘটনায় সিটিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা নিয়ে পুলিশ সোমবার ছাত্রলীগের নয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। অন্যদিকে, আবরারের বাবা চকবাজার থানায় ছাত্রলীগের ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।