ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রথমেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে স্মরণ করেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আবু সাঈদ বাংলাদেশের সবার হৃদয়ে থাকবেন চিরকাল।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইউনূস।
রাত সাড়ে ৮টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেবেন ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে আবু সাঈদের ছবি। এটা কেউ ভুলতে পারবে না। অবিশ্বাস্য সাহসী যুবক বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়েছিল।’
ইউনূস বলেন, আবু সাঈদের মৃত্যুর পর আর কোনো তরুণ পরাজয় মেনে নেননি। তারা সামনে অগ্রসর হতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, 'তারা (তরুণরা) বলেছেন কত গুলি চালাবে। আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে এই বার্তা পৌঁছে দেব। আমাদের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হব না, যাতে মানুষ নতুন স্বাধীনতার অর্থ জানতে পারে।’
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এখন অগ্রাধিকার: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, নতুন স্বাধীনতার অর্থ হলো ব্যক্তির পরিবর্তন, সুযোগের পরিবর্তন এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ। ‘তাদের যা প্রাপ্য, তা তারা অবশ্যই পাবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণদের বুঝতে হবে দেশের ভবিষ্যৎ তাদের হাতে।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের মনের ইচ্ছে তোমরা সেভাবেই গড়বে, দেশকে স্বাধীন করতে পারলে তুমিও এটি গড়তে পার, তোমার কাছ থেকে গোটা বিশ্ব শিখবে, কীভাবে (বাংলাদেশের) তরুণরা একটা দেশকে বদলে দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘পুরোনোদের বিদায় নিতে হবে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য সত্য এবং আপনাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ প্রথম নিহত হন। গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে দেশে অধ্যাপক ড. ইউনূস, উষ্ণ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বরণ