প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বামপন্থী দলগুলোর উদ্দেশে প্রশ্ন করেছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বামপন্থীরা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। কিন্তু তারা কি নির্ধারণ করতে পারবে এরপর কে আসবে? এটা আমার প্রশ্ন। কে ক্ষমতায় আসবে আর কে দেশের জন্য কাজ করবে? কিন্তু তারা কাকে আনতে চায় তা স্পষ্ট নয়।’
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বামপন্থীরা কাকে পরবর্তীতে ক্ষমতায় আনতে চায় তা যেহেতু পরিষ্কার নয়, তাই তারা কেউই জনগণের কাছ থেকে সাড়া পান না।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, আন্দোলন চলছে। পলাতক হয়ে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে কেউ আন্দোলন করছে এবং তার সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে প্রতিদিন অনলাইনে নানা নির্দেশ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, 'যারা আন্দোলন করছে, তাদের করতে দিন। আমরা অন্তত এতে বাধা দিচ্ছি না।’
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকান স্টাইলে বাংলাদেশের পক্ষে এখন এখানে আন্দোলন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান পুলিশকে অনুসরণ করতে পারে। আমরা তাদের (বাংলাদেশ পুলিশ) ধৈর্য ধরতে বলেছি্।’
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবরে তাদের সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমাদের পুলিশ আমেরিকান স্টাইলে চলাচল ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান উপজেলা নির্বাচনকে অর্থবহ করাই তার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। কারণ তাদের নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কেন তারা নির্বাচন বর্জন করে? এর কারণ হচ্ছে তাদের আসলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা নেই।’
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল শুরু হওয়া সফর শেষ করে ২৯ এপ্রিল দেশে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী।