তবে, মাসিক/স্বল্পদূরত্বের (যেমন- ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদী) স্টেশনগুলোতে কোনো ট্রেন থামবে না।
বুধবার ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান।
তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ৮ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। বুধবার নতুন করে আরও ১১ জোড়া ট্রেন পুনরায় চালু করা হলো।
নতুন করে যুক্ত হওয়া আরও ১১ জোড়া ট্রেনগুলো হলো- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার–ঢাকা রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা–চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী–খুলনা রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট–রাজশাহী রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা–কিশোরগঞ্জ–ঢাকা রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, নোয়াখালী-ঢাকা–নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস।
প্রত্যেক যাত্রীকে নিজেদের সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকা এবং সহযাত্রীকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবেন আশা করে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। সকল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হবে, কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে না। যাত্রী সাধারণকে আবশ্যই মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। ট্রেনে আরোহণ এবং অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে।
বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং যাত্রার তারিখসহ ৫ দিন আগে হতে টিকিট কেনা করা যাবে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সাথে নিতে হবে। তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টিকিট ছাড়া প্লাটফরমে প্রবেশ করা যাবে না। দর্শনার্থী/প্লাটফরম টিকিট বিক্রয় বন্ধ থাকবে।