সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী।
টেলিফোনে তিনি জানান শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়া নগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টায় দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধরা হলেন-কমলা বেগম (৫০), সাবিনা বেগম(৪০), সাদিকুল ইসলাম (২৮), হাসেম আলী (৪৫), নজরুল ইসলাম (৪৫) ও মহসিন (২৭)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘গ্যাস লিকেজ’ থেকে আগুন, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মধ্যরাতে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ ছয়জনকে আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়।
এদের মধ্যে কমলা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, সাবিনা বেগমের ৫০ শতাংশ, সাদিকুল ইসলামের ৫০ শতাংশ, হাসেম আলীর ৪৫ শতাংশ, নজরুল ইসলামের ৪৫ শতাংশ ও মহসিনের ১০ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছে। আহত সবাই জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।
দগ্ধ সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, এই এলাকার শফিকের সেমি পাকা বাড়িতে তারা অনেকেই ভাড়া থাকেন। রাতে নিজ কাপড়ের দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলাম এ সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাসায় গিয়ে দেখি আরো কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড ধোয়া বের হচ্ছে। আশেপাশে ভাড়াটিয়াদের সহযোগিতায় আমার স্ত্রীসহ ছয়জনকে বের করে আনা হয়। পরে তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
তিনি আরও জানান, এখানে গ্যাসের সিলিন্ডারে রান্না করা হয়। গ্যাসের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গতকাল রাতে ওই বাসায় রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় একাধিক পরিবারের প্রায় ৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের ক্যাপের লিকেজ থেকেই গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। রান্নার সময় আগুনের স্পর্শ পেতেই তা নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজ থেকে হয়নি: তিতাস গ্যাস