দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে সরে যেতে এবং পিতৃতন্ত্রের অবসান ঘটাতে সরকারি পরিষেবা ও অফিসগুলোকে আরও জেন্ডার-সংবেদনশীল হয়ে উঠতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ফারাহ কবির।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এই চিঠি দেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক।
চিঠিতে তিন বলেন, বাংলাদেশের এই নতুন অধ্যায় তৈরিতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানাচ্ছি। আমরা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি রক্ষা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে সম্মত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ড. ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি আরও বলেন, আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে লিখছি। আমরা জানি যে, এই সন্ধিক্ষণে অগ্রাধিকার হচ্ছে আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, শাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনরায় সচল করা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা। দারিদ্র্যের ফ্যামিনাইজেশন, প্রান্তিকীকরণ ও বর্জনের বিষয়গুলো সমাধানের বিষয়টিও মনে রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
এছাড়া দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে সরে যেতে এবং পিতৃতন্ত্রের অবসান ঘটাতে সরকারি পরিষেবা এবং অফিসগুলোকে আরও জেন্ডার-সংবেদনশীল হয়ে উঠতে সহায়তা করার আহ্বানও জানান সারাহ কবির।
তিনি আরও বলেন, নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘুদের অবদান এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করা হয়নি, তাদের যে সম্ভাবনা রয়েছে তার স্বীকৃতি দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী প্রক্রিয়ায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা, সমাজের ক্ষতিকর নিয়মকানুন ও চর্চাসমূহ মোকবিলা করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে সমাজের সর্বস্তরে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে, ছাত্রনেতা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকার কোনো প্রকার সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেবে না।
যেকোনো সহায়তায় সর্বদা তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় চিঠিতে।
আরও পড়ুন: আমরা আশাবাদী এই রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নেবে: অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ